মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
তৃতীয় পরিচ্ছেদ: ঈমান বিনষ্টকারী বিষয়সমূহের প্রকার ও শ্রেণিবিভাগ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/20/33
আর ঈমান বিনষ্টকারী বিষয়গুলো হবে আন্তরিক বিশ্বাসে অথবা হবে কথায় বা কাজে।
সে বিষয়গুলো আবার চার ভাগে বিভক্ত। প্রথমত: তাওহীদ তথা আল্লাহর একত্ববাদ এবং উলুহিয়্যাত তথা আল্লাহর ইবাদতের ব্যাপার ঈমান বিনষ্টকারী বিষয়। দ্বিতীয়ত: নবুওয়াতের ক্ষেত্রে ঈমান বিনষ্টকারী বিষয়। তৃতীয়ত: গায়েব তথা অদেখা বিষয়গুলোর ব্যাপারে ঈমান বিনষ্টকারী বিষয়। চতুর্থত: বিভিন্ন বিষয়ে ঈমান বিনষ্টকারী বিষয়।
সুতরাং তাওহীদের ক্ষেত্রে আন্তরিক বিশ্বাস বিনষ্টকারী বিষয়সমূহের মধ্য থেকে কিছু বিষয় আছে এমন, যা তার অন্তরের বিশ্বাস ও কথার বিপরীত ও বিরোধী হয়; আবার কিছু বিষয় আছে এমন, যা তার কাজের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ হয়।
তাওহীদের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্তরের বিশ্বাস বিনষ্টকারী বিষয়গুলো হলো:
‘রুবূবিয়্যাত’ এর গুণাবলীর ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলা এবং তাঁর সৃষ্টির মধ্য থেকে কারও মাঝে শির্কের সম্পর্ক স্থাপন করা; যেমন, সৃষ্টি, রাজত্ব, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ এবং ইলমুল গাইবের ক্ষেত্রে শির্ক করা অথবা ওয়াহদাতুল ওজুদ (সর্বেশ্বরবাদ “প্রকৃত বিরাজমান সত্তা একমাত্র আল্লাহ”) -এ মতবাদে বিশ্বাস করা অথবা “আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৃষ্টিরাজির মধ্যে অবস্থান করেন” -এ মতবাদে বিশ্বাস করা।
আল্লাহ ব্যতীত অন্যের উলুহিয়্যাত ইবাদাতে বিশ্বাস করা অথবা আল্লাহ ব্যতীত তাকে বা আল্লাহর সাথে তাকেও ইবাদতের উপযুক্ত মনে করা।
আল্লাহ তা‘আলার ব্যাপারে অথবা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যাপারে অথবা তাঁর কিতাবের ব্যাপারে অথবা তাঁর শরী‘আত ও বিধিবিধানের ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা।
আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ ও গুণাবলীর ব্যাপারে অবিশ্বাস করা -তা অস্বীকার করার দ্বারা অথবা আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহের দ্বারা দেব-মূর্তির নামকরণ করার মাধ্যমে অথবা আল্লাহ তা‘আলাকে অসম্পূর্ণতা বা মন্দের দ্বারা গুণান্বিত করার দ্বারা অথবা গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে আল্লাহ তা‘আলাকে তাঁর সৃষ্টির সাথে তুলনা করা। (তারা যা বলে, আল্লাহ তা থেকে অনেক বড় ও মহান।)
তাওহীদের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্তরের আমল বিনষ্টকারী বিষয়গুলো হলো:
অহঙ্কার ও ঔদ্ধত্য প্রকাশের মাধ্যমে কুফুরী করা, আর তা হলো ইবলিস ও রাসূলগণের শত্রুদের কুফুরী, আর তার আসল তাৎপর্য হলো আল্লাহ তা‘আলার নির্দেশের প্রতি আত্মসমর্পণ করা থেকে বিরত থাকা।
আর অন্তরের আমল বিনষ্টকারী আরেকটি বিষয় হলো: নিয়ত, ইচ্ছা ও উদ্দেশ্যের শির্ক। তন্মধ্যে কিছু বড় শির্ক, আবার কিছু ছোট শির্ক।
তন্মধ্য থেকে আরেকটি হলো: মহব্বতের (ভালোবাসার) শির্ক। যেমন, আল্লাহকে ভালোবাসার মতো করে কোনো সৃষ্টিকে ভালোবাসা।
আর তাওহীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ঈমান বিনষ্টকারী কথা:
যেমন, আল্লাহ তা‘আলাকে গালি দেওয়া, তাঁর সাথে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা অথবা তাঁর কিতাবকে গালি দেওয়া, আর এ উভয়টি বিষয় ইজমার দ্বারাও প্রমাণিত।
আর তাওহীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ঈমান বিনষ্টকারী আমলগুলো হলো:
ইবাদত ও কুরবানীর মধ্যে শির্ক করা। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও উদ্দেশ্যে কোনো ইবাদত করবে, সে কুফুরী বা শির্ক করল; যেমন, আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কারও উদ্দেশ্যে যবেহ করা অথবা মানত করা অথবা তাওয়াফ করা অথবা সালাত আদায় করা অথবা তিনি ছাড়া অন্য কারও নিকট প্রার্থনা করা।
তন্মধ্যে আরেকটি হলো: আল্লাহ তা‘আলা যা নাযিল করেছেন, তা ব্যতীত অন্যভাবে বিচার-ফয়সালা করা; এর মধ্য থেকে কিছু বড় কুফরী এবং কিছু ছোট কুফরী।
সুতরাং যে ব্যক্তি কোনো একটি বা একাধিক ঘটনায় স্বীয় প্রবৃত্তির কারণে অথবা ঘুষ গ্রহণ করার কারণে অথবা ভয়ে অথবা দুনিয়াবী কোনো স্বার্থের কারণে অথবা এ ধরনের যে কোনো কারণে স্বীয় অপরাধের স্বীকৃতি প্রদান এবং অবাধ্যতার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাসসহ আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী বিচার-ফয়সালা করার বিষয়টি বর্জন করল, সে ব্যক্তি স্বল্প মাত্রার কুফুরী করল, আর কুফুরীর উপরে কুফুরী আছে।
আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী বিচার-ফয়সালা করার বিষয়টি বর্জন করবে তার পরিবর্তন করাটাকে বৈধ মনে করে অথবা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও কাছ থেকে বিধান গ্রহণ করার মাধ্যমে, অথবা তার আবশ্যকতাকে অস্বীকার করে অথবা মনে করে যে তাতে তার স্বাধীনতা আছে অথবা মনে করে যে আল্লাহর বিধান যথাযথ নয় অথবা তিনি ছাড়া অন্যের বিধান খুব লাগসই অথবা মনে করে যে তা আল্লাহর বিধানের সমান, সে ব্যক্তি কাফির বলে গণ্য হবে এবং মুসলিম মিল্লাত থেকে খারিজ (বহিষ্কার) হয়ে যাবে, তবে এ সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হবে দলীল-প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত করা এবং সন্দেহ-সংশয় দূর করার পর।
আর দেশের মধ্যে এবং জনগণের হৃদয়ে আল্লাহ শাসনব্যবস্থার ভিত্তিতে শরী‘আতের কর্তৃত্ব ও প্রভাব প্রতিষ্ঠা করার জন্য চেষ্টা করা শরী‘আতসম্মতভাবে ফরয এবং সন্তোষজনক কাজ, আর তা করতে হবে উম্মাতের পূর্ববর্তীগণের অনুধাবন ও ব্যাখ্যার দ্বারা কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার মাধ্যমে, যাতে অর্জিত আকিদা-বিশ্বাসকে দোষত্রুটি থেকে নিষ্কণ্টক রাখা যায় এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের অনুসরণীয় জীবন-পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষালাভ করা যায়।
আর হালাল বা বৈধকারী, (সে ব্যক্তি যে আল্লাহর বিধান ব্যতীত অন্য বিধানে ফয়সালা করা হালাল মনে করেছে) যার কাফির হওয়ার ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত ঐকমত্য পোষণ করেছে, সেটা (দু’ভাবে হতে পারে) :
কখনও হয়ে থাকে শরী‘আতের বিধানকে বিশ্বাস না করার কারণে, বস্তুত এটা মিথ্যা প্রতিপন্ন করার কুফুরী পর্যন্ত পৌঁছে দেয়, যা ঈমানের ক্ষেত্রে বিশ্বাসের রুকনটি বিনষ্টকারী।
আবার কখনও কখনও (সে হালাল মনে করার বিষয়টি) সংঘটিত হয়ে থাকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিধানকে প্রত্যাখ্যান করার কারণে এবং তা পালন বা গ্রহণ না করার কারণে, বস্তুত এটা অহঙ্কার ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ কুফুরী পর্যন্ত পৌঁছে দেয়, যা (ঈমানের অন্যতম শর্ত) আত্মসমর্পণের রুকনটি বিনষ্টকারী।
আর সন্তুষ্ট চিত্তে ও ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহ কর্তৃক নাযিলকৃত বিধানের বাইরে গিয়ে বিচার চাওয়া বা আপিল করা নিফাকী, যা ঈমানের সাথে একত্রিত হতে পারে না।
আর কথা, কাজ ও শাসন-পদ্ধতির এমন প্রতিটি সংঘটিত ও উদ্ভাবিত বিষয়ই বাতিল বলে গণ্য হবে, যা শরী‘আতের বিপরীত, তার কোনো মর্যাদা নেই এবং নেই কোনো প্রভাব, যার ওপর তা বিন্যাস হতে পারে; কিন্তু জরুরি অবস্থা যদি কোনো দিকে আহ্বান করবে সেটা ভিন্ন ব্যাপার।
আর নবুওয়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট ঈমান বিনষ্টকারী আন্তরিক বিশ্বাসগত বিষয়গুলো:
কোনো ব্যক্তির জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণ করা ব্যতীত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের কোনো পথ আছে বলে বিশ্বাস করা অথবা তাঁর অনুসরণ করা তার ওপর ওয়াজিব নয় বলে বিশ্বাস করা অথবা অন্যের জন্য তাঁর অনুসরণ করা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ আছে বলে বিশ্বাস করা।
আর তন্মধ্য থেকে আরেকটি বিষয় হলো: স্বয়ং নিজেই নবুওয়াত দাবি করা অথবা অন্য নবুওয়াত দাবিকারীর প্রতি বিশ্বাস করা অথবা নবুওয়াতের ধারা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও নবীর আগমনের বিষয়কে বৈধ মনে করা অথবা ‘খতমে নবুওয়াত’ তথা নবুওয়াতের পরিসমাপ্তির বিষয়টিকে অস্বীকার করা।
আরেকটি বিষয় হলো: নাযিলকৃত সকল কিতাবকে অস্বীকার করা অথবা বিস্তারিতভাবে যেসব কিতাবের প্রতি ঈমান স্থাপন করা ওয়াজিব, সেসব কিতাবের কিছু কিছু কিতাবকে অস্বীকার করা, বস্তুত এসবের প্রত্যেকটিই ঈমানের সাথে সংশ্লিষ্ট মনের কথার বিপরীত বিষয়।
আর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন, তাকে ঘৃণা ও অপছন্দ করা; যা ঈমানের সাথে সংশ্লিষ্ট ভালোবাসা, সন্তুষ্টি ও কবুল বা গ্রহণ করার বিরোধী বিষয়।
আর নবুওয়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট ঈমান বিনষ্টকারী মৌখিক বিষয়গুলো:
সাধারণভাবে নবীগণকে গালি দেওয়া অথবা নির্দিষ্টভাবে আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গালি দেওয়া। সুতরাং যে ব্যক্তি আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অথবা নবীগণের কোনো একজনকে অবজ্ঞা করবে অথবা তাদেরকে বিদ্রূপ ও তুচ্ছ জ্ঞান করবে অথবা তাদেরকে কষ্ট দিবে, সে ব্যক্তি সর্বসম্মতিক্রমে কাফির।
আর নবুওয়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট ঈমান বিনষ্টকারী ব্যবহারিক বা কার্যগত বিষয়গুলো:
মাসহাফ বা কিতাবের সাথে অশ্রদ্ধা ও অপমানজনক ব্যবহার করা, যেমন, তাকে পায়ের নীচে রাখা অথবা তাকে ময়লা ও আবর্জনার মধ্যে নিক্ষেপ করা অথবা কম বা বেশি করার মাধ্যমে তাকে পরিবর্তন ও বিকৃত করার চেষ্টা করা।
আর গাইব বা অদৃশ্য বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ঈমান বিনষ্টকারী আন্তরিক ও মৌখিক বিষয়গুলো:
ফিরিশতাগণ অথবা জিন্নকে অস্বীকার করা অথবা এদের কাউকে গালি দেওয়া বা এদের কোনো কিছুর সাথে বিদ্রূপ করা, আর তা হলো ওহীকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা এবং ইজমাকে লঙ্ঘন করা।
তন্মধ্যে আরও কিছু বিষয় হলো: পুনরুত্থান এবং আল্লাহ দেওয়া প্রতিশ্রুতি ও হুমকিকে অস্বীকার করা অথবা এগুলোর কোনো কিছুর সাথে উপহাস করা এবং গালি দেওয়া।
ঈমান বিনষ্টকারী আরও কতগুলো বিষয়
তন্মধ্যে কিছু বিষয় এমন, যেগুলোর ব্যাপারে সকলে একমত। আবার তন্মধ্যে একন কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলোর ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে।
সুতরাং যেসব বিষয়ে সকলে একমত, তন্মধ্যে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা মনের ঈমানের কথার বিপরীত: দীনের আবশ্যকীয় জানা বিষয় অস্বীকার করা। যেমন, নারীর পর্দার বিষয়টিকে মৌলিকভাবে অস্বীকার করা এবং ঢালাওভাবে নগ্নতা ও বিবস্ত্র হওয়াকে বৈধ মনে করা।
তন্মধ্যে যা অন্তরের বিশ্বাস ও কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ঈমানের বিপরীত: তা হচ্ছে নিফাক (কপটতা), আর তা হলো অন্তরে যা আছে, তার বিপরীত কথা বলা ও কাজ করা।
তন্মধ্যে কিছু আছে যা ব্যক্তিকে কাফির বানিয়ে দেয়, আর তা হলো বড় ধরনের নিফাক বা কপটতা, আর কিছু আছে যা ব্যক্তিকে কাফির বানিয়ে দেয় না, আর তা হলো ছোট ধরনের নিফাক, যা পাপ ও অপরাধ জাতীয়।
তন্মধ্যে যা কিছু অন্তরের কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ঈমানের বিপরীত: কাফিরদের সাথে বন্ধুত্বের কিছু কিছু ব্যাপার। সুতরাং যে ব্যক্তি কোনো কাফিরকে বন্ধু বলে গ্রহণ করল তার কুফুরীর কারণে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি তার আসল ঈমানই নষ্ট হয়ে গেল, আর এ একই শ্রেণিভুক্ত হলো হালাল, হারাম ও শরী‘আতের ক্ষেত্রে তাদের অনুসারী ব্যক্তি, আর তাদের ধর্মীয় বিষয়ে তাদের অনুসরণ ও অনুকরণকারী ব্যক্তিবর্গ।
আর মুসলিমগণের বিরুদ্ধে কাফিরগণকে সমর্থন ও সহায়তা করার কয়েকটি মান ও স্তর রয়েছে। তন্মধ্যে কোনো কোনোটি ঈমান নষ্ট করে দেয়, আবার কোনোটি এর চেয়ে নিম্নস্তর ও স্বল্পমানের।
তন্মধ্যে আরেকটি হলো: সকল ধর্মকে এক করার দাওয়াত দেওয়া অথবা সকল ধর্মকে বা যে কোনো একটিকে দীন হিসেবে গ্রহণ করার বিষয়টিকে বিশুদ্ধ বলে দাবি করা অথবা ইসলাম ছেড়ে অন্য যে কোনো ধর্মে বিবর্তিত হওয়াকে বৈধ মনে করা।
আর তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, যার মানে জীবন থেকে দীনকে পুরাপুরিভাবে বা আংশিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা, (এটিও ঈমান বিনষ্টকারী কুফরী) বস্তুত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও ঈমান -এ দু’টি পরস্পর বিরোধি ও বিপরীত, যারা একত্রিত হতে পারে না। কারণ, ওহীর দলীলের কারণে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বাস্তবেই একটি বাতিল মতবাদ এবং তাওহীদ ও নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণের বিরোধী ও বিপরীত মতবাদ।
আর মতবিরোধপূর্ণ ঈমান বিনষ্টকারী কিছু বিষয়:
সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমকে গালি দেওয়া। আর বিশুদ্ধ কথা হলো: যে ব্যক্তি তাদের সকলকে অথবা তাদের অধিকাংশকে গালি দিবে এবং তাদেরকে কুফুরী করার অভিযোগে অভিযুক্ত করবে, সে ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে, আর যে ব্যক্তি তাদের দীনের ব্যাপারে কোনো রকম অপবাদ না দিয়ে তাদের কাউকে কাউকে গালি দেয়, তাহলে সে কাফির হবে না (বরং ফাসিক বলে গণ্য হবে)।
জাদু করা: আর এ ব্যাপারে সহীহ কথা হলো, যে জাদু কাজে, কথায় বা বিশ্বাসে এমন কিছু অন্তর্ভুক্ত করে, যা কুফুরীকে অপরিহার্য করে, সে জাদু কুফুরী বলে গণ্য হবে, আর যদি তা না হয়, তাহলে কুফুরী হবে না। আর যদি তা শিক্ষা করা এবং শিক্ষা দেওয়া এমন কিছুকে শামিল করে, যা কুফুরীকে অপরিহার্য করে, তখন তা কুফুরী বলে গণ্য হবে, আর যদি তা না হয়, তাহলে কুফুরী হবে না।
জ্যোতিষশাস্ত্র চর্চা করা বা গ্রহ-নক্ষত্র দেখে ভবিষ্যদ্বাণী করা: আর এ ব্যাপারেও সহীহ কথা হলো, যে জ্যোতিষশাস্ত্র চর্চা গ্রহ-নক্ষত্র পূজা করাকে অন্তর্ভুক্ত করে অথবা সৃষ্টির মধ্যে সেগুলোর ক্ষমতা বা হস্তক্ষেপের বিশ্বাসকে শামিল করে অথবা ‘গায়েব’ তথা অদৃশ্যের জ্ঞানের দাবিকে ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে, তা কুফুরী বলে গণ্য হবে, আর যদি তা না হয়, তাহলে কুফুরী হবে না।
আর অস্বীকার করে নয়, বরং অলসতা করে যে সালাত বর্জন করা হয়, তার বিধানের ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। যিনি সালাত বর্জনকারীকে সাধারণভাবে কাফির বলেন, তিনি তার সাথে দ্বিমত বা ভিন্নমত পোষণকারীকে মুরজিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারী বলে অপবাদ দেন নি, আর যিনি সালাত বর্জনকারীকে কাফির বলেননি, তিনি তার সাথে ভিন্নমত পোষণকারী ব্যক্তিকে খারেজী সম্প্রদায়ের অনুসারী বলে অভিযুক্ত করেন নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/20/33
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।