hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের মৌলিক নীতিমালা সংক্রান্ত মণিমুক্তা

লেখকঃ ড. মুহাম্মাদ ইয়োসরী

৪০
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ: বিদ‘আতের অনুসারীদের সাথে আচার ব্যবহার
আর বিদ‘আতপন্থী ভিন্ন মত পোষণকারীর সাথে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আচার-আচরণ ও লেনদেন বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে:

সুতরাং কখনও কখনও তারা (তাদেরকে) সঠিক বিষয়টি বর্ণনা করে দেন এবং নিরপেক্ষভাবে উপদেশ প্রদান করেন। আবার কখনও কখনও তারা তাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ ও কোমল ব্যবহার করেন, আবার কখনও কখনও ব্যবহারের ক্ষেত্রে তারা তাদেরকে বর্জন ও এড়িয়ে চলার নীতি অবলম্বন করেন, আর এ তিন ধরনের ব্যবহার হয়ে থাকে স্বয়ং বিদ‘আতের স্তর বা মানের তারতম্য ও বিদ‘আতপন্থীদের অবস্থার বিভিন্নতার ওপর ভিত্তি করে এবং স্থান কাল পাত্র ভেদে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভালো ও মন্দ অনুযায়ী। কারণ, এর প্রতিটি বিষয় শরী‘আতসম্মত রাজনীতি বিষয়ক এমন সব মাসআলার অন্তর্ভুক্ত, যেসব মাসআলা ভালো ও কল্যাণ অর্জন, তার পরিপূর্ণতা বিধান এবং মন্দ ও অকল্যাণসমূহ প্রতিরোধ ও তা কমিয়ে আনার নীতির ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।

আর তাঁরা প্রথম অবস্থাতে মনে করেন যে, বিদ‘আতপন্থী ভিন্ন মত পোষণকারী ব্যক্তি দা‘ওয়াত পাওয়ার উপযুক্ত— সুকৌশল অবলম্বনে ও উত্তম উপদেশের মাধ্যমে তাদেরকে দা‘ওয়াত দিতে হবে এবং তারা সঠিক পথে ও সুন্নাহ’র আলোর দিকে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তাদের সাথে সহৃদয়তা ও সহানুভূতিপূর্ণ ব্যবহার করেন।

আর যে ব্যক্তি সত্য কিছু নিয়ে আসে তারা তার থেকে তা গ্রহণ করেন এবং সত্য দ্বারাই তারা মানুষদের পরিচিতি গ্রহণ করেন। আর তারা বিদ‘আতপন্থী ভিন্ন মত পোষণকারী ব্যক্তির সাথেও ইনসাফপূর্ণ ব্যবহার করেন, ফলে তার কথার মধ্যে যেটা সত্য তারা তা গ্রহণ করেন এবং যা বাতিল ও অসত্য তা প্রত্যাখ্যান করেন।

আর বিদ‘আতপন্থীদের বিরুদ্ধে তাদের জবাব ও যুক্তিখণ্ডনকে তারা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেন ভালো উদ্দেশ্যে, সত্যের পৃষ্ঠপোষকতায়, মানবজাতির কল্যাণ কামনায় ও হিদায়েতের উদ্দেশ্যে এবং দয়া ও সহানুভূতিসহ।

আর তারা এমন ব্যক্তির সাথে বিতর্ক করতে নিষেধ করেন, যে ব্যক্তি জ্ঞানের ক্ষেত্রে শক্তিশালী নয়, যার বুঝশক্তি গভীর ও সুবিস্তৃত নয় এবং যুক্তি-প্রমাণ বিশুদ্ধ ও পরিপূর্ণ নয়, আর তারা বিদ‘আতকে সততার সাথে প্রত্যাখ্যান করেন এবং তার বাজে রূপকে মূল থেকে ছিন্ন করেন।

আর তারা বিতর্ক করার পূর্বে বিপক্ষের মাযহাব, কথা বা মন্তব্য, দলীল ও গ্রন্থগত অবস্থা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

আর তারা কূটতার্কিক ও কুতার্কিকদের সাথে বিতর্ক করতে বারণ করেন।

আর তারা বিরোধের জায়গাগুলো সুনির্ধারণ করেন এবং বিদ‘আতপন্থীদের একের ওপর অন্যের যুক্তি খণ্ডনের বিষয়গুলো সম্পূর্ণরূপে আয়ত্ত করেন।

আর প্রথমত তারা বাতিলের স্ববিরোধিতা এবং তার দলীলসমূহের পারস্পরিক অসঙ্গতি ও বাতিলের কথার মাধ্যমে যে ফ্যাসাদ আবশ্যক হয়ে পড়ে তা স্পষ্ট করেন।

আর তারা তাদের দলীল-প্রমাণগুলোর শব্দগুচ্ছ ও তার যথার্থ সম্পাদনার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেন এবং আরও নজর দেন তার বর্ণনাপ্রসঙ্গ, পূর্বসূত্র ও যোগসূত্রের প্রতি।

আর তারা সাদৃশ্যপূর্ণ বা একই রকম বিষয়গুলো একত্রিত করেন এবং বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলোকে পৃথক করেন, আর তারা যুক্তি প্রমাণ পেশ করার ক্ষেত্রে সর্বসম্মত দলীলগুলো দ্বারা দলীল-প্রমাণ পেশ করেন।

আর তারা বিভ্রান্তিমূলক অবস্থায় সিদ্ধান্ত দানে বিরত থাকেন।

আর সংক্ষিপ্ত কথার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দাবি করেন।

আর তারা জানেন যে, নতুন পরিভাষাগুলো শরী‘আতী বাস্তবতার কোনো কিছুই পরিবর্তন করতে পারবে না।

আর তারা প্রয়োজনের সময় পরিভাষার অনুসারীগণের সাথে তাদের বিশেষ পরিভাষায় দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী বক্তব্য প্রদান করেন। আর বাতিলপন্থীগণ তাদের মতের সপক্ষে যেসব দলীলসমূহ দ্বারা প্রমাণ পেশ করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত সেগুলো দিয়ে অনুরূপ একই রকম বিষয়ে তাদের উপর প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত করে তাদেরকে যুক্তিশূণ্য করেন।

আর তারা সেসব ব্যাপারে নীরবতা পালন করেন, যেসব ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল নীরবতা পালন করেছেন।

আর বিতর্ক ও আলাপ-আলোচনার ফলাফল শূন্য হওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হলে তারা তা (বিতর্ক করা) থেকে নিষেধ করেন, আর নির্দেশ প্রদান করেন তাদেরকে এড়িয়ে চলার জন্য এবং তাদের সঙ্গ উঠা-বসা করার বিষয়টি বর্জন করার জন্য, যাতে (তাদের) কোনো স্বার্থ বাস্তবায়িত হতে না পারে অথবা কোনো ক্ষতির শিকার না হয়। আর স্বেচ্ছাচারী সমাজ ও বিদ‘আতপন্থীগণের সঙ্গে বসার ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত থেকে আসা সতর্কীকরণের কাজটি উপরিউক্ত নীতির অনুসরণে করা হয়ে থাকে।

আর তারা তাদের প্রশাসনের নিকট দাবি করেন স্বেচ্ছাচারী লোকদেরকে এমনভাবে হাত চেপে ধরার জন্য, যার ফলে তাদের অনিষ্টতা বন্ধ হয়ে যাবে এবং যার কারণে তাদের কর্তৃক মুসলিমগণের ক্ষতি করার বিষয়টি রুদ্ধ হয়ে যাবে।

মোটকথা, বিদ‘আতপন্থীরা আহলে কিবলা তথা কিবলার অনুসারীগণের অন্তর্ভুক্ত, যতক্ষণ না তারা পরিষ্কার দলীল ও স্পষ্ট প্রমাণ দ্বারা তাদের বিদ‘আতকে নিয়ে ইসলাম থেকে ভিন্ন কোনো আদর্শে স্থানান্তরিত হয়। কারণ, তাদের (বিদ‘আতপন্থীদের) মধ্যে কেউ আছে এমন, যার বিদ‘আত তাকে কাফির বানিয়ে দেয়, আবার তাদের মধ্যে কেউ আছে এমন, যার বিদ‘আত তাকে ফাসিক বানিয়ে দেয়। আর এ জাতীয় প্রত্যেকের জন্য কতগুলো বিধিবিধান রয়েছে।

আর তাদের সকলের জন্য হিদায়েতের দো‘আ করা- যেমন বৈধ, ঠিক অপর দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের সকলের জন্য বদদো‘য়া করাও বৈধ। তবে তাদের নির্দিষ্ট জনের ওপর বদদো‘আর ব্যাপারে মতবিরোধ ও বিস্তারিত কথা রয়েছে।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত জুমু‘আ ও ঈদের সালাত আদায় করেন আহলে কিবলা তথা কিবলার অনুসরণকারী ব্যক্তির পিছনে এবং ঐ ব্যক্তির পিছনে, যে ব্যক্তি তার বিদ‘আতের দিকে ডাকে না এবং প্রকাশ্যে তা ঘোষণা করে না।

আর তারা কিবলার অনুসরণকারী ব্যক্তির জানাযার সালাতে অংশগ্রহণ করেন। আবার কখনও কখনও তাদের মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের কেউ কেউ কোনো কোনো বিদ‘আতপন্থীর জানাযার সালাত বর্জন করেন তার বিদ‘আতকে তিরস্কার করার জন্য।

আর যে ব্যক্তির কুফুরী করার বিষয়টি প্রমাণিত হবে, তার পিছনে সালাত আদায় করা বৈধ হবে না এবং তার জানাযার সালাতে অংশগ্রহণ করাও বৈধ হবে না।

আর তারা বিশ্বাস করেন যে, মুসলিমগণের মধ্যে মূল বিষয় হলো (খারাপ আকীদা-বিশ্বাস থেকে) বিশুদ্ধ থাকা।

আর ইমামের অনুসরণকারী ব্যক্তির জন্য ইমামের অবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন করার কোনো শরী‘আতসম্মত সুযোগ রাখা হয় নি, যদি তার অবস্থা অপ্রকাশিত ও গোপন থাকে।

আর বিদ‘আতপন্থীদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি বিদ‘আতের দিকে আহ্বান করে, তাকে প্রত্যাখ্যানস্বরূপ তার সাক্ষ্যকে প্রত্যাখ্যান করা হবে এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মধ্যে যিনি তার সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন, তাকেও নিন্দা করা হবে, আর যে ব্যক্তি বিদ‘আতের দিকে আহ্বান করবে না, অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মতে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।

আর বিদ‘আতপন্থীদের কাছ থেকে শিক্ষা অর্জনের ব্যাপারে মূলনীতি হলো- অনিষ্টতাকে প্রতিরোধ বা প্রতিহত করার জন্য এবং ক্ষতির পথ বন্ধ করার নিমিত্তে তাদের নিকট থেকে শিক্ষা অর্জন করা নিষিদ্ধ; কিন্তু তাদের নিকট থেকে শিক্ষা অর্জন করতে বাধ্য হলে, সে ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে শিক্ষা লাভ করা বৈধ।

আর যখন প্রযোজন দাবি করে, তখন জিহাদের ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা গ্রহণ করা বৈধ হবে, এ শর্তে যে, তারা এমন ব্যক্তিবর্গের অন্তর্ভুক্ত হবেন, যারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের ব্যাপারে ভালো ধারণা করেন এবং তারা হবে নিরাপদ ও বিশ্বস্ত-আমানতদার, আর এ শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে জিহাদের ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা গ্রহণ করা বৈধ হবে না, আর এ ব্যাপারে ইতিহাসে ও বাস্তব ঘটনায় বহু সাক্ষী ও শিক্ষা রয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন