hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের মৌলিক নীতিমালা সংক্রান্ত মণিমুক্তা

লেখকঃ ড. মুহাম্মাদ ইয়োসরী

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: ইসলাম ও মুসলিমগণের ফযীলত বা মর্যাদা
সত্য দীন হলো ইসলাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلۡإِسۡلَٰمُۗ﴾ [ ال عمران : ١٩ ]

“নিশ্চয় ইসলামই আল্লাহর নিকট একমাত্র দীন।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯]

আর ইসলাম হলো আল্লাহ তা‘আলার নির্ভেজাল একত্ববাদের প্রতি আত্মসমর্পন করা, তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিপূর্ণ অনুসরণ করা এবং শির্ক ও মুশরিকদের থেকে মুক্ত থাকা।

আর সার্বজনীন ইসলাম হলো নবী ও রাসূলগণের দীন। আল্লাহ তা‘আলা নূহ ‘আলাইহিস সালামের পক্ষ থেকে বলেন,

﴿وَأُمِرۡتُ أَنۡ أَكُونَ مِنَ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ٧٢﴾ [ يونس : ٧٢ ]

“আর আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত হতে আদেশপ্রাপ্ত হয়েছি।” [সূরা ইউনূস, আয়াত: ৭২]

আর আল্লাহ তা‘আলা ইবরাহীম ‘আলাইহিস সালামকে উদ্দেশ্য করে বলেন,

﴿أَسۡلِمۡۖ قَالَ أَسۡلَمۡتُ لِرَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٣١﴾ [ البقرة : ١٣١ ]

“‘আত্মসমর্পণ করুন’, তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সৃষ্টিকুলের রবের কাছে আত্মসমর্পণ করলাম।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৩১]

আর ইবরাহীম ও ইসমা‘ঈল ‘আলাইহিমাস সালাম বলেন,

﴿رَبَّنَا وَٱجۡعَلۡنَا مُسۡلِمَيۡنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَآ أُمَّةٗ مُّسۡلِمَةٗ لَّكَ﴾ [ البقرة : ١٢٨ ]

“‘হে আমাদের রব! আর আমাদের উভয়কে আপনার একান্ত অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধর হতে আপনার এক অনুগত জাতি উত্থিত করুন।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১২৮]

আর ইবরাহীম ও ইয়াকূব ‘আলাইহিমাস সালাম ইসলামের অনুসরণ করার জন্য নির্দেশ দিয়ে বলেন,

﴿فَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسۡلِمُونَ ١٣٢﴾ [ البقرة : ١٣٢ ]

“কাজেই তোমরা আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) না হয়ে মারা যেও না।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৩২]

আর মূসা ‘আলাইহিস সালাম বলেন,

﴿يَٰقَوۡمِ إِن كُنتُمۡ ءَامَنتُم بِٱللَّهِ فَعَلَيۡهِ تَوَكَّلُوٓاْ إِن كُنتُم مُّسۡلِمِينَ ٨٤﴾ [ يونس : ٨٤ ]

“হে আমার সম্প্রদায়! যদি তোমরা আল্লাহর ওপর ঈমান এনে থাক, তবে তোমরা তাঁরই ওপর নির্ভর কর, যদি তোমরা মুসলিম হয়ে থাক।” [সূরা ইউনূস, আয়াত: ৮৪]

আর হাওয়ারীগণ ‘ঈসা ‘আলাইহিস সালামকে উদ্দেশ্য করে বলেন,

﴿ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَٱشۡهَدۡ بِأَنَّا مُسۡلِمُونَ ٥٢﴾ [ ال عمران : ٥٢ ]

“আমরা আল্লাহতে ঈমান এনেছি, আর আপনি সাক্ষী থাকুন যে, নিশ্চয় আমরা মুসলিম।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৫২]

আর সর্বশেষ মনোনীত ও পছন্দসই রিসালাত হলো ইসলাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ٱلۡيَوۡمَ أَكۡمَلۡتُ لَكُمۡ دِينَكُمۡ وَأَتۡمَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ نِعۡمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلۡإِسۡلَٰمَ دِينٗاۚ﴾ [ المائ‍دة : ٣ ]

“আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের ওপর আমার নি‘আমত সম্পূর্ণ করলাম, আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দীন হিসেবে পছন্দ করলাম।” [সূরা আল-মায়িদা, আয়াত:৩]

আর সর্বশেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর আল্লাহ তা‘আলা যে ইসলাম নাযিল করেছেন, তা ব্যতীত অন্য কেনো ধর্মকে দীন হিসেবে গ্রহণ করা কারো জন্য বৈধ নয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَن يَبۡتَغِ غَيۡرَ ٱلۡإِسۡلَٰمِ دِينٗا فَلَن يُقۡبَلَ مِنۡهُ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٨٥﴾ [ ال عمران : ٨٥ ]

“আর কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো দীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো তার পক্ষ থেকে কবুল করা হবে না এবং সে হবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮৫]

আর সহীহ হাদীসের মধ্যে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«وَاَلَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لاَ يَسْمَعُ بِي أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ ، وَلاَ يَهُودِيٌّ وَلاَ نَصْرَانِيٌّ ، وَمَاتَ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِاَلَّذِي أُرْسِلْت بِهِ إلاَ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ» .

“যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন তাঁর শপথ! এ উম্মতের যে কেউ আমার সম্পর্কে শুনল জানল -ইহুদী হউক, আর খ্রিষ্টানই হউক এবং আমি যে রিসালাত নিয়ে এসেছি তার প্রতি ঈমান না এনেই মারা গেল, সে জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত।” [মুসলিম, হাদীস নং ৪০৩]

কারণ, ইসলাম হলো স্বভাবধর্ম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿فَأَقِمۡ وَجۡهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفٗاۚ فِطۡرَتَ ٱللَّهِ ٱلَّتِي فَطَرَ ٱلنَّاسَ عَلَيۡهَاۚ لَا تَبۡدِيلَ لِخَلۡقِ ٱللَّهِۚ﴾ [ الروم : ٣٠ ]

“কাজেই আপনি একনিষ্ঠ হয়ে নিজ চেহারাকে দীনে প্রতিষ্ঠিত রাখুন। আল্লাহর ফিতরাত (স্বাভাবিক রীতি বা দীন ইসলাম), যার ওপর (চলার যোগ্য করে) তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোনো পরিবর্তন নেই।” [সূরা আর-রূম, আয়াত: ৩০]

আর ইসলাম হলো হিদায়াত ও রহমতের দীন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَنَزَّلۡنَا عَلَيۡكَ ٱلۡكِتَٰبَ تِبۡيَٰنٗا لِّكُلِّ شَيۡءٖ وَهُدٗى وَرَحۡمَةٗ وَبُشۡرَىٰ لِلۡمُسۡلِمِينَ ٨٩﴾ [ النحل : ٨٩ ]

“আর আমরা আত্মসমর্পণকারীদের জন্য প্রত্যেক বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ, পথনির্দেশ, দয়া ও সুসংবাদস্বরূপ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছি।” [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৮৯]

আর তা সহজ দীন, জটিল নয়, সমস্যামুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَا جَعَلَ عَلَيۡكُمۡ فِي ٱلدِّينِ مِنۡ حَرَجٖ﴾ [ الحج : ٧٨ ]

“তিনি দীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোনো সংকীর্ণতা রাখেন নি।” [সূরা আল-হাজ, আয়াত: ৭৮]

আর ইসলাম হলো আল্লাহ ব্যতীত অন্য সকল কিছুর দাসত্ব করা থেকে মুক্ত থাকার দীন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿قُلۡ يَٰٓأَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ تَعَالَوۡاْ إِلَىٰ كَلِمَةٖ سَوَآءِۢ بَيۡنَنَا وَبَيۡنَكُمۡ أَلَّا نَعۡبُدَ إِلَّا ٱللَّهَ وَلَا نُشۡرِكَ بِهِۦ شَيۡ‍ٔٗا وَلَا يَتَّخِذَ بَعۡضُنَا بَعۡضًا أَرۡبَابٗا مِّن دُونِ ٱللَّهِۚ فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَقُولُواْ ٱشۡهَدُواْ بِأَنَّا مُسۡلِمُونَ ٦٤﴾ [ ال عمران : ٦٤ ]

“আপনি বলুন, হে আহলে কিতাবগণ! এসো সে কথায়, যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই; যেন আমরা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদাত না করি, তাঁর সাথে কোনো কিছুকে শরীক না করি এবং আমাদের কেউ আল্লাহ ছাড়া একে অন্যকে রব হিসেবে গ্রহণ না করি।’ তারপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে তোমরা বল: তোমরা সাক্ষী থাক যে, নিশ্চয় আমরা মুসলিম।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৬৪]

আর তা হলো ‘ইলম ও ‘আকলের (জ্ঞান, বুদ্ধি ও প্রজ্ঞার) দীন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَرۡفَعِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡ وَٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ دَرَجَٰتٖۚ﴾ [ المجادلة : ١١ ]

“তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় উন্নত করবেন।” [সূরা আল-মুজাদালা, আয়াত: ১১]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿كِتَٰبٌ أَنزَلۡنَٰهُ إِلَيۡكَ مُبَٰرَكٞ لِّيَدَّبَّرُوٓاْ ءَايَٰتِهِۦ وَلِيَتَذَكَّرَ أُوْلُواْ ٱلۡأَلۡبَٰبِ ٢٩﴾ [ص: ٢٩ ]

“এক মুবারক কিতাব, এটা আমরা আপনার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহে গভীরভাবে চিন্তা করে এবং যাতে বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিরা উপদেশ গ্রহণ করে।” [সূরা সোয়াদ, আয়াত:২৯]

আর মুসলিমগণ হলেন সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মাত বা জাতি, মানবজাতির কল্যাণে যাদের আত্মপ্রকাশ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿كُنتُمۡ خَيۡرَ أُمَّةٍ أُخۡرِجَتۡ لِلنَّاسِ تَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَتَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ وَتُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِۗ وَلَوۡ ءَامَنَ أَهۡلُ ٱلۡكِتَٰبِ لَكَانَ خَيۡرٗا لَّهُمۚ مِّنۡهُمُ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ وَأَكۡثَرُهُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ ١١٠﴾ [ ال عمران : ١١٠ ]

“তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানব জাতির কল্যাণের জন্য যাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে; তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দিবে, অসৎকাজে নিষেধ করবে এবং আল্লাহর ওপর ঈমান আনবে। আর আহলে কিতাবগণ যদি ঈমান আনতো, তবে তা ছিল তাদের জন্য ভাল হতো। তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মুমিন আছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই ফাসেক।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ১১০]

আর মুসলিমগণ হলেন মধ্যপন্থি জাতি এবং সকল জাতির ওপর ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَكَذَٰلِكَ جَعَلۡنَٰكُمۡ أُمَّةٗ وَسَطٗا لِّتَكُونُواْ شُهَدَآءَ عَلَى ٱلنَّاسِ وَيَكُونَ ٱلرَّسُولُ عَلَيۡكُمۡ شَهِيدٗاۗ ﴾ [ البقرة : ١٤٣ ]

“আর এভাবে আমরা তোমাদেরকে এক মধ্যপন্থী জাতিতে পরিণত করেছি, যাতে তোমরা মানবজাতির ওপর স্বাক্ষী হও এবং রাসূল তোমাদের ওপর সাক্ষী হতে পারেন।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৪৩]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন