মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
চতুর্থ পরিচ্ছেদ: শিক্ষাগ্রহণ এবং কুরআন ও সুন্নাহকে আকঁড়ে ধরার পদ্ধতি
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/20/7
আর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত তাদের আকিদার শিক্ষা নেন বিশুদ্ধ দলীল, গ্রহণযোগ্য ইজমা, সুস্পষ্ট যুক্তি ও নির্ভরযোগ্য ফিতরাত বা স্বভাব-চরিত্র থেকে।
আর তারা বিশ্বাস করেন যে, অকাট্য দলীল ও সেরা তথ্যসূত্র হলো আল্লাহ তা‘আলার কিতাব এবং বিশুদ্ধ হাদীসে নববী, যদি তা ‘আহাদ’ পর্যায়ের হাদীসও হয়।
আর তারা আল্লাহ তা‘আলার কালাম (কথা) ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীর ওপর অন্য কারও কথাকে অগ্রাধিকার দেন না, সে যে কেউ হউক না কেন।
আর তারা বিশ্বাস করেন যে, আকিদা-বিশ্বাস ও শরী‘আতের বিধিবিধানের ক্ষেত্রে সুন্নাহ স্বয়ং দলীল হিসেবে গণ্য।
আর তারা কুরআন ও সুন্নাহ’র বক্তব্যসমূহকে সম্মান ও মর্যাদা সহকারে গ্রহণ করেন।
আর তাঁর বিশ্বাস করেন যে, কুরআন ও সুন্নাহ’র বক্তব্যসমূহ দীনের সকল বিষয়কে, বিশেষ করে ঈমানকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
আর তারা (কুরআন ও সুন্নাহ’র) সকল বক্তব্যকে আস্থা, বিশ্বাস ও নির্ভরশীলতার উৎস হিসেবে গ্রহণ করেন।
আর তারা প্রত্যেক বিষয়ে বর্ণিত সকল ‘নস’ তথা শরী‘আতের বক্তব্যের প্রতি যথাযথ মনোযোগ দিয়ে থাকেন।
আর তারা এসব ‘নস’-কে অনুধাবন করেন নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপলব্ধি এবং নির্ভরযোগ্য সাহাবী ও ইমামগণের বুঝ ও অনুধাবনের ভিত্তিতে।
তারা কুরআন ও সুন্নাহ’র ব্যাখ্যা করেন কুরআন ও সুন্নাহর দ্বারাই, অতঃপর সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমের কথা এবং যারা তাদের পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন তাদের কথার দ্বারা। তারপর যদি বিষয়টি সুস্পষ্ট না হয়, তাহলে আরবদের বিশুদ্ধ ভাষা ও উপভাষা দ্বারা ব্যাখ্যা করেন।
আর তারা তা অনুধাবন করেন তার গ্রহণযোগ্য বাহ্যিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে, আর বাতিল ব্যাখ্যাকে প্রতিহত করেন।
আর যা বাহ্যিকভাবে সহীহ দলীল ও স্পষ্ট যুক্তির মাঝে বিরোধপূর্ণ করে তুলে, তারা তা বর্জন করেন।
আর তারা বিশ্বাস করেন যে, কুরআন ও সুন্নাহ’র বক্তব্যসমূহ গ্রহণ করার অসম্ভবতা ও অসাধ্যতাকে নিয়ে আসে না; বরং কখনও কখনও তা এমন কিছু নিয়ে আসে, যার ব্যাপারে বিবেক-বুদ্ধি হতভম্ব হয়ে পড়ে।
সুতরাং যদি তার বাহ্যিকতায় বিরোধ দেখা দেয়, তাহলে বুঝতে হবে যে, তার যুক্তির বিশুদ্ধতার ব্যাপারে সমস্যা রয়েছে অথবা দলীলটি প্রমাণিত কিনা অথবা তা কি আমি যা প্রকাশ্যে বুঝেছি তার ওপর প্রমাণবহ কিনা তা দেখতে হবে।
আর যে ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল চুপ থেকেছেন, কোনো মন্তব্য করেন নি এবং সাহাবীগণ ও তাদের যথাযথ অনুসরণকারীগণ যে প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেন নি, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত তা থেকে বিরত থাকেন।
সুতরাং তারা আকদী-বিশ্বাস গ্রহণ করার উৎস ও তথ্যসূত্রকে একক করার ব্যাপারে এবং তাকে যাবতীয় বাজে কথার মিশ্রণ অথবা নিন্দিত মন্দ দর্শন অথবা বিদ‘আতী পন্থা থেকে নির্ভেজাল রাখার ব্যাপারে একমত।
আর তারা আকিদার বিষয়সমূহ ও দীনের মূলনীতিগুলো বর্ণনা করার সময় কুরআন ও সুন্নাহ’র শব্দ ও পরিভাষাগুলো ব্যবহার করেন এবং আল-কুরআনের ভাষা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বর্ণনার আলোকে সেগুলোর দ্বারা শর‘ঈ অর্থ প্রকাশ করেন।
আর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরে নিষ্পাপ কথাটি কারও জন্য প্রযোজ্য নয়, তবে উম্মাতের ইজমা সংঘটিত হলে ভিন্ন কথা, আর উম্মাতের কারও জন্য নিষ্পাপ কথাটি প্রযোজ্য নয়।
আর তারা বিশ্বাস করেন যে, বিধিবিধানের ব্যাপারে ‘ইজমা’ একটি অকাট্য দলীল এবং অনুমোদিত মতবিরোধ হলো অনুমতি বা অবকাশের জায়গা।
আর যে বিষয়ে মতবিরোধ হবে, তাকে কুরআন ও সুন্নাহ’র দিকে প্রেরণ করা আবশ্যক, সাথে ইমামগণের মধ্যে থেকে যিনি ভুল করেছেন তাঁর জন্য ওযর পেশ করা। সুতরাং তাদেরকে (ইমামগণকে) নিষ্পাপ বলা যাবে না এবং গুনাহ’র অভিযোগে অভিযুক্তও করা যাবে না।
আর এমন প্রত্যেকটি বিষয় ‘ইজতিহাদী’ তথা গবেষণামূলক বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে, যে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো সহীহ দলীল বর্ণিত হয় নি অথবা কোনো ইজমা সংঘটিত হয় নি। সুতরাং এসব বিষয়ে মুজতাহিদকে (গবেষককে) নিন্দা করা যাবে না, যদিও তিনি ভুল করেন, যখন সত্য ও সঠিক বিষয়টি তার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে এবং তা অনুসন্ধানের ব্যাপারে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করে থাকেন।
আর তারা সে বিষয়কে গবেষণামূলক মাসআলার অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করেন না, যে বিষয়ে কোনো ‘শায’ বা বিরল মতভেদ দেখা দেয় অথবা যা আলেমগণের পদস্খলণজনিত বা সুস্পষ্ট ভুলজনিত মতামতে চালু হয়েছে, সুতরাং এগুলোতে তাদের অনুসরণ করা যাবে না, কিন্তু এ কারণে তাদেরকে অসম্মানজনক কথা বলা যাবে না।
আর তারা যেসব গবেষণামূলক মাসআলায় মতবিরোধের উপযুক্ত এবং যেসব গবেষণামূলক মাসআলায় মতবিরোধের উপযুক্ত নয়, সেসবের মাঝে পার্থক্যকরণের দিকে মনোযোগ দেন, আর সে ক্ষেত্র্রে মতবিরোধকারী ব্যক্তির ওপর সংকীর্ণতা আরোপ করেন না। কিন্তু যে সব মাসআলায় মতভেদ করা যাবে না সেটা বর্ণনা করে দেন।
আর তাদের মতে, গবেষণামূলক মাসআলার ব্যাপারে মতবিরোধকারী ব্যক্তিকে নিন্দা ও আক্রমণ করার বিষয়টি বর্জন করার মাঝে এবং সেসব মাসআলায় ইলমী (জ্ঞানগত) পর্যালোচনা, বিপক্ষের দলীলের দুর্বলতা বর্ণনা ও তার মাযহাব (মত) অনুসরণ করা থেকে সতর্ক করার মাঝে কোনো বিরোধ বা দ্বন্দ্ব নেই।
আর সত্য ফারাসাত বা অন্তর্দৃষ্টির (বাস্তব অভিজ্ঞতার) বিষয়টি সত্য।
আর ভালো স্বপ্নের বিষয়টিও সত্য।
তবে এ সবকিছু গ্রহণের উৎস বা শরী‘আতের তথ্যের অন্তর্ভুক্ত নয়।
আর আল্লাহর ওলীগণের ‘কারামত’-এর (অলৌকিক ঘটনার) বিষয়টি সত্য।
আর সর্বোত্তম ‘কারামত’ হলো আনুগত্য ও দৃঢ়তা ব্যাপারে নিরবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিকতা।
আর অলৌকিক কিছু ঘটলেই আল্লাহর ‘বেলায়েত’ প্রাপ্তিকে বুঝায় না।
আর প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তিই, তার মধ্যে যে তাকওয়া (আল্লাহর ভয়) ও ঈমান রয়েছে সে পরিমাণে দয়াময় আল্লাহর ওলী।
আর সুফীদের মুকাশাফা (খুলে যাওয়া), মুখাতাবাহ (সরাসরি জিজ্ঞেস করা) ইত্যাদি, যদি কেউ দাবী করে, তবে সেটা ঠিক মনে করার কোনো সুযোগ নেই।
আর শরী‘আতের উৎসকে ওহী থেকে প্রবৃত্তি বা খেয়াল-খুশির দিকে স্থানান্তর করাটা বিদ‘আত ও নাস্তিকতার ভয়াবহ পথগুলোর অন্যতম একটি পথ।
আর দীনের ব্যাপারে জ্ঞান ও বুদ্ধির পরিপূর্ণতা আসে ইলম ও আমলের যৌথ সমন্বয়ে। আর ইলম, আমল, ধৈর্য ও দৃঢ়বিশ্বাসের দ্বারা অর্জিত হয় দীন বিষয়ক নেতৃত্ব।
আর সামগ্রিকভাবে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের পদ্ধতি পালন করা, বিশেষ করে ঈমান বিষয়ক মাসআলাসমূহ সাব্যস্ত ও নিশ্চিত করার ফলে পূর্ববর্তী সৎ বান্দাগণের সাথে সম্পর্কের দাবি করাটা যথাযথ বলে প্রমাণিত হবে, সকলকে একই সারিতে সারিবদ্ধ করবে, সকলকে এক কথার ওপর ঐক্যবদ্ধ করবে, সঠিক বিষয় ও সিদ্ধান্তের পরিমাণ বেড়ে যাবে, ভুলের পরিমাণ কমে যাবে, ক্ষমতায়নের বিষয়টিকে নিশ্চিত করবে এবং দুনিয়া ও আখিরাতে মুক্তি ও সফলতা অর্জিত হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/20/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।