hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের মৌলিক নীতিমালা সংক্রান্ত মণিমুক্তা

লেখকঃ ড. মুহাম্মাদ ইয়োসরী

দ্বিতীয় অধ্যায়: ঈমানের প্রকৃত রূপ ও তার মূল উপাদানসমূহ প্রথম পরিচ্ছেদ: আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমানের স্বরূপ
আল্লাহ তা‘আলা, তাঁর ফিরিশতাগণ, কিতাবসমূহ, রাসূলগণ, আখেরাত এবং তাকদীরের ভালো ও মন্দের প্রতি ঈমান স্থাপন করা মুসলিমগণের আকিদা-বিশ্বাস। যারা সর্বশেষ নবী ও রাসূলগণের নেতা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতের অনুসারী, এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য একই রকম এবং তাদের ইমামগণ এ ব্যাপারে একমত। আর তাদের পরবর্তীগণ তাদের পূর্ববর্তীগণের মধ্য থেকে তা অর্জন করেছেন।

শরী‘আতের বিধান পালন করার মতো উপযুক্ত ব্যক্তিগণের জন্য প্রথম ওয়াজিব (আবশ্যকীয়) কাজ হলো আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান আনয়ন করা এবং ‘শাহাদাতাঈন’ [‘শাহাদাতাঈন’ হলো: ( أشهد أن لا إله إلا الله، وأشهد أن محمدا عبده ورسوله ) অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দাও রাসূল।] এর মাধ্যমে তার ঘোষণা প্রদান করা।

আর মুমিনগণ হলেন আল্লাহর বন্ধু, তিনি তাদেরকে ভালোবাসেন এবং তারাও তাঁকে ভালোবাসে, আর তিনি তাদেরকে রক্ষা করেন। ফলে তিনি তাদেরকে সাহায্য করেন এবং তারাও তাঁকে সাহায্য করে, আর তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে এবং তারাই সুপথপ্রাপ্ত।

আর ঈমান ও তা বিনষ্টকারী বিষয় সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে দলীল হলো, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের বর্ণনা।

আর শরী‘আতসম্মত ঈমান: তার মানে- ঈমান এমন এক বিষয়ের নাম, যার শাখা ও প্রশাখা রয়েছে; যার রয়েছে সর্বনিম্ন শাখা ও সর্বোচ্চ শাখা। সুতরাং তার সর্বোচ্চ শাখা হলো: لا إله إلا الله (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই), আর সর্বনিম্ন শাখা হলো ‘রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা’। আর ‘ঈমান’ নামটি যেমনিভাবে তার সকল শাখা-প্রশাখার সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়, ঠিক তেমনিভাবে তার কিছু কিছু শাখা-প্রশাখার সাথেও সম্পর্কযুক্ত হয়।

আর ঈমান হলো বিশ্বাস, কথা ও কাজ, আর ঈমানের কিছু অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিষয় রয়েছে।

সুতরাং অভ্যন্তরীণ বিষয় হলো: যা অন্তরের মধ্যে অবস্থান করে এবং এটাই হলো ঈমানের আসল।

আর বাহ্যিক বিষয় হলো: যা মানুষের মুখ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দ্বারা প্রকাশ পায়।

আর অভ্যন্তরীণ ঈমান ( الإيمان الباطن ) দুই ধরনের: কথা ও কাজ:

প্রথমত: মনের কথা ( قول القلب ): আর তা হলো জানা, সমর্থন করা, দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন করা।

দ্বিতীয়ত: মনের কাজ ( عمل القلب ): আর তা হলো আল্লাহর প্রতি আন্তরিকতা, একনিষ্ঠতা ও সম্মান প্রদর্শন; তাঁকে গ্রহণ করা, মেনে নেওয়া, স্বীকৃতি দেওয়া ও তাঁর প্রতি আত্মসমর্পণ করা; তাঁর সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা, তাঁকে ভয় করা, তাঁর নিকট আশা করা, তাঁকে ভালোবাসা ও লজ্জা করা। তাঁকে বড় মনে করা ও ভয় করা, তাঁর নিকট নত হওয়া ও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট থাকা, ধ্যান করা, ধৈর্য ও সততার নীতি অবলম্বন করা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। তাঁর প্রতি আনুগত্য, ভয়-ভীতি, বিশ্বাস ও তাওবা বা প্রত্যাবর্তন। তাঁর ওপর ভরসা করা এবং তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা ইত্যাদি।

আর অন্তরের কাজগুলো হলো প্রতিটি ভালো কাজের মূল এবং তার থেকেই প্রত্যেকটি সৎকাজের প্রকাশ ঘটে, আর তা বান্দার ওপর আবশ্যক ও অপরিহার্য এবং আখেরাতে তা সবচেয়ে উপকারী ও প্রতিদানযোগ্য।

আর যখন মনের কথা অথবা কাজ সামগ্রিকভাবে চলে যাবে, তখন সামগ্রিকভাবে ঈমানও চলে যাওয়ার ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত একমত।

আর অন্তরের মধ্যে যে ঈমান থাকবে, মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমলের জন্য সেটাই হল আসল বা মূল (চালিকা শক্তি)।

আর বাহ্যিক ঈমান ( الإيمان الباطن ) দুই প্রকারের: কথা ও কাজ:

প্রথমত: মুখের কথা ( قول اللِّسان ): আর তা হলো - أشهد أن لا إله إلا الله ، وأشهد أن محمدا عبده ورسوله (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল)- এ বলে সাক্ষ্য দেওয়ার মাধ্যমে এবং তা যা দাবি করে তার দ্বারা সেগুলোর স্বীকৃতি প্রদান করা।

আর তার অর্থ হলো: ইবাদতকে শুধু আল্লাহর জন্য ঠিক করে নেওয়া, তিনি ভিন্ন অন্য কারও জন্য নয়। আর আনুগত্য ও অনুসরণকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সুন্নাহর জন্য নির্দিষ্ট করা, যাতে তাঁর বক্তব্যের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা হয় এবং তাঁর শরী‘আতের প্রতি আত্মসমর্পণ করা হয়।

সুতরাং যে ব্যক্তি তার মুখের দ্বারা স্বীকার করল এবং তার অন্তর দ্বারা তা অস্বীকার করল, সে ব্যক্তি বাহ্যিকভাবে মুসলিম হবে এবং অভ্যন্তরীণভাবে মুনাফিক বলে গণ্য হবে।

মুখের কথার আরও কতগুলো ( ومن قول اللِّسان ) দিক হলো: দো‘আ ( الدعاء ), যিকির ( الذكر ), হামদ বা প্রশংসা ( الحمد ), শুকর বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ( الشكر ), ইস্তি‘আযা বা আশ্রয় প্রার্থনা করা ( الاستعاذة ), ইস্তিগাছা বা ফরিয়াদ ( الاستغاثة ), সৎ কাজের আদেশ দেওয়া, অসৎ কাজে নিষেধ করা, কুরআন তিলাওয়াত করা, শিক্ষা প্রদান করা ইত্যাদি।

দ্বিতীয়ত: অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহের কাজ ( عمل الجوارح ): তা হলো সালাত, যাকাত, সাওম, হজ, জিহাদ, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা, পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা, দাওয়াত দান, বিচার ফয়সালার কাজ করা, আদব রক্ষা করে চলা, ইত্যাদি।

আর যেমনিভাবে যে ব্যক্তির ভিতরগত ঈমান নেই তার বাহ্যিক ঈমান কোনো উপকারে বা কাজে লাগবে না, যদিও তার দ্বারা জীবনের নিরাপত্তা হবে এবং সম্পদ সুরক্ষার ব্যবস্থা হবে; ঠিক অনুরূপভাবে যে ব্যক্তির বাহ্যিক ঈমান নেই তার ভিতরগত ঈমান তার জন্য যথেষ্ট হবে না; কিন্তু যখন কোনো অক্ষমতার কারণে বা বল প্রয়োগ করার কারণে অথবা ধ্বংসের আশঙ্কার কারণে (বাহ্যিকভাবে ঈমান প্রকাশ করা) তার পক্ষে অসম্ভব হয়, তখনকার বিষয়টি ভিন্ন। সুতরাং কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকা সত্ত্বেও আমল করা থেকে বিরত বা পিছিয়ে থাকাটা প্রমাণ করে যে, তার ভিতরটা নষ্ট এবং ঈমানশূণ্য।

আর যখন প্রয়োজনীয় বিষয় তথা ঈমান বিদ্যমান থাকবে এবং কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকবে, তখন অবশ্যই তার কিছু প্রভাব বা প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন