hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের মৌলিক নীতিমালা সংক্রান্ত মণিমুক্তা

লেখকঃ ড. মুহাম্মাদ ইয়োসরী

৩৮
চতুর্থ পরিচ্ছেদ: ইমামত বা নেতৃত্ব
প্রধান ইমাম তথা শাসক নির্ধারণ করা ন্যূনতম পক্ষে কিছুসংখ্যক ব্যক্তি কর্তৃক অগ্রাধিকারমূলক ওয়াজিব কাজ, যা কুরআন, সুন্নাহ ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের ইজমা দ্বারা প্রমাণিত।

আর ‘ইমামত’ তথা নেতৃত্ব হচ্ছে জনতা ও ইমামগণের মধ্যকার এমন এক চুক্তির নাম, যা দীন দেখাশুনা ও দুনিয়া পরিচালনা করার ব্যাপারে নবুওয়াতের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য সম্পাদিত হয়।

নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে জনগণের ঐক্যবদ্ধ সমর্থনের দ্বারা অথবা (আহলুল হাল্লি ওয়াল আকদ তথা) সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবীগণ কর্তৃক আনুগত্যের শপথবাক্য পাঠ করার দ্বারা অথবা পূর্ববর্তী শাসকের নির্দেশনা দ্বারা, আর যে জোর করে ক্ষমতা দখল করে সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে তার নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সৎকাজে তার আনুগত্য করাটা বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে।

জাতির কল্যাণে তার ইমামগণের দায়িত্ব হলো তাদেরকে শরী‘আতের আলোকে শাসন করা, তাদের আকিদা-বিশ্বাসের হিফাযত করা এবং তাদের ঐক্য রক্ষা করা, যাতে সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধের মত আবশ্যকীয় বিধানটি প্রতিষ্ঠিত করা যায়, জিহাদের নিদর্শন ও বৈশিষ্ট্যসমূহ ছড়িয়ে দেওয়া যায়, যাকাত ও সাদকা একত্রিত করা যায় এবং উপযুক্ত দায়িত্বশীল লোক নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আমানতদারিতার আশ্রয় নেওয়া যায়।

আর জনগণের নিকট ইমামগণের অধিকার হলো- তারা সুখে দুঃখে তাদের কথা শুনবে এবং আনুগত্য করবে তাদের সুখে ও দুঃখে, অনুরূপভাবে শরী‘আত নির্ধারিত সকল আনুগত্যের ক্ষেত্রে ও শরী‘আতসম্মত সকল বৈধ কাজেও তাদের আনুগত্য করবে। তবে (শরী‘আতের) সকল প্রকার অবাধ্যতার ক্ষেত্রে অথবা যুলুমের ক্ষেত্রে আনুগত্য করা চলবে না।

আর শাসকের জন্য জনগণের দায়িত্ব হলো—শাসকগণ যখন ভুল করবে, তখন তারা জনগণের পক্ষ থেকে উপদেশ পাওয়ার অধিকার রাখবে, যখন তারা সঠিক কাজ করবে, তখন সহযোগিতা পাওয়ার অধিকার থাকবে, তাদের স্খলন বা অতঃপতনের বিষয়গুলোতে ছাড় দেওয়া হবে, তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো গোপন রাখা হবে, তাদের দুনিয়ার ব্যাপারে লোভ করা হবে না এবং তাদের জন্য কল্যাণের জন্য দো‘আ করা হবে।

আর শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা হারাম- যতক্ষণ তারা মুসলিম হিসেবে জীবন চালাবেন এবং আল্লাহর কিতাব ও তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ অনুযায়ী শাসনকাজ পরিচালনা করবেন। তারা অন্যায় করলেও তাদের ব্যাপারে ধৈর্যধারণ করতে হবে, আর তাদের সাথে হজ ও জিহাদ করতে হবে, যদিও তারা যুলুম ও পাপ করে, আর তাদের জামা‘আতে লেগে থাকতে হবে, যদিও তারা তাদের আঘাত করে এবঙ তাদের সম্পদ গ্রাস করে।

আর শাসক তার ইমামত বা নেতৃত্বের বাই‘আত হারাবে, তার রুকনসমূহের কোনো একটি ভঙ্গ হওয়ার কারণে, যেমন, ইমাম হারিয়ৈ যাওয়া অথবা নেতৃত্বের শর্তসমূহের কোনো একটি নষ্ট হওয়ার কারণে। যেমন, শাসকের পাগলামী ধরা পড়া বা মুরতাদ হয়ে যাওয়া।

আর শাসকের নেতৃত্বের চুক্তি নষ্ট হওয়ার কারণে তার কাফির হওয়া আবশ্যক হয় না; বরং তাতে তার বৈধ ক্ষমতার বিলুপ্তি ঘটে মাত্র। ক্ষমতা বিলুপ্তি অর্থ তাকে কর্মকাণ্ডে হেনস্থা করা বা তার সাথে আমল ত্যাগ করাও বুঝায় না। কারণ, এর জন্য কতগুলো শর্ত রয়েছে, যা পূরণ করা জরুরি। আর যদি তা পূরণ করা না হয়, তাহলে তা হবে জীবন ও সম্পদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সুতরাং নেতৃত্বের বৈধতার শর্তসমূহ পূরণ করা জরুরী এবং জাতির ক্ষতি না করা আবশ্যক। আরও জরুরী হচ্ছে কেবল জাতির শত্রুদের সাথে মোকাবিলা করার নীতি অবলম্বন করা। সাথে থাকবে প্রাধান্যপ্রাপ্ত বিষয়গুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা, ঝাণ্ডাসমূহের সুস্পষ্টতা, পদ-পদবীর বিশুদ্ধতা, দীনকে মর্যাদা দেওয়ার মাধ্যমে স্বার্থ ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণ এবং দুর্বলগণের প্রতিরক্ষার ব্যাবস্থা গ্রহণ।

আর এর সব কিছুই নির্ধারণ হবে সুদক্ষ আলেমগণের মাধ্যমে এবং ক্ষমতাবান প্রভাবশালী ব্যক্তিগণের মধ্য থেকে যিনি তাদের আনুগত্যের অধীন হয়েছেন তার দ্বারা।

আর যখন শরী‘আতসম্মত কারণে অথবা বাস্তব দিক থেকে কোনো স্থান বা কাল সত্যিকারের ইমাম বা শাসক শূন্য হয়ে পড়বে, তখন এ বিষয়টির দায়িত্ব অর্পিত হবে জাতির প্রভাবশালী যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ (আহলুল হাল্লি ওয়াল আকদ) তথা সুশীল সমাজের ওপর, আর তাদের ওপর সুনির্দিষ্ট কর্তব্য হয়ে পড়বে, সত্যের ওপর একতাবদ্ধ থাকা, সুন্নাহ অনুযায়ী চলা, জাতির মধ্যে বিভক্তির বিষয়টি বর্জন করা, আর বাধ্যতমূলক হবে জাতির মধ্যে ফরয বিষয়গুলো প্রতিষ্ঠা করার কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা।

সুতরাং জুমু‘আর সালাত যাদের ওপর ওয়াজিব, তাদের থেকে তা বাদ পড়বে না, আর যাদের ওপর জামা‘আতে সালাত আদায় করা বাধ্যতামূলক, তাদের কেউ জামা‘আতে সালাত আদায় থেকে পিছিয়ে থাকবে না, আর সমাজে সৎকাজের নির্দেশ প্রদান এবং অসৎ কাজে নিষেধ করার মত আবশ্যকীয় কাজটি পরিত্যাগ করা যাবে না, আর মুসলিম অথবা যিম্মী অথবা শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অথবা আশ্রিতদের সম্পদ, জীবন ও মানসম্মান যথযথ কারণ ছাড়া বৈধ বলে গণ্য হবে।

আর এটা সমাজের মধ্যে পুনরায় ফিরিয়ে আনবে পবিত্রতা, নিরাপত্তা, সংশোধন ও নিয়ন্ত্রণ, শান্তি ও স্থিরতা এবং শক্তি, আরও ফিরিয়ে আনবে সমাজে ঐক্য ও সংহতি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন