hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আম্মা পারা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৮
৯৩- সূরা আদ-দ্বোহা
সূরার নামকরণ :

সূরাটির প্রথম আয়াতে উল্লেখিত اَلضُّحٰى (আদ-দ্বোহা) শব্দের আলোকে নামকরণ করা হয়েছে সূরা আদ-দ্বোহা। এর অর্থ পূর্বাহ্ন, ভোর বেলা।

অবতরণকাল :

এই সূরার বিষয় থেকে এ কথা পুরোপুরি সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, এটি মক্কায় প্রথম যুগে নাযিল হয়। হাদীস থেকেও জানা যায়, কিছুদিন অহীর অবতরণ বন্ধ ছিল। এ জন্য নবী ﷺ অত্যন্ত অস্থির হয়ে পড়েছিলেন। বারবার তাঁর মনে এই আশঙ্কার উদয় হচ্ছিল, হয়তো তাঁর এমন কোন ত্রুটি হয়ে গেছে, যার ফলে তাঁর রব তাঁর প্রতি নারাজ হয়ে গেছেন এবং তাঁকে পরিত্যাগ করেছেন। এজন্য তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলা হয়েছে, কোন প্রকার অসন্তুষ্টির কারণে অহীর সিলসিলা বন্ধ করা হয়নি। সে সময় অহী নাযিলের কষ্ট বরদাশত করার অভ্যাস তাঁর গড়ে ওঠেনি। তাই মাঝে মাঝে ফাঁক দেবার প্রয়োজন ছিল। পরে তাঁর মধ্যে এই মহা ভার বরদাশত করার ক্ষমতা সৃষ্টি হয়ে গেলে আর দীর্ঘ ফাঁক দেবার প্রয়োজন থাকেনি।

এই সূরা অবতরণের কারণ সম্পর্কে হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ একবার অসুস্থ হলেন। ফলে তিনি একরাত বা দু’রাত সালাত আদায়ের জন্য বের হলেন। তখন এক মহিলা এসে বলল, মুহাম্মাদ আমি তো দেখছি তোমার শয়তান তোমাকে ত্যাগ করছে, এক রাত বা দু’রাত তো তোমার কাছেও আসেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয়। (সহীহ বুখারী, হা/৪৯৫০) অন্য বর্ণনায় এসেছে, একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট ওহী আসতে বিলম্ব হয়, এতে করে মুশরিকরা বলতে শুরু করে যে, মুহাম্মাদকে তার আল্লাহ পরিত্যাগ করেছেন ও তার প্রতি রুষ্ট হয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে সূরা আদ-দ্বোহা অবতীর্ণ হয়। (সহীহ মুসলিম, হা/১৭৯৭)

সূরার বিষয়বস্তু :

এর বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য রাসূলুল্লাহ ﷺ কে সান্ত্বনা দেয়া। আর এই সান্ত্বনা দানের উদ্দেশ্য ছিল অহী নাযিলের সিলসিলা বন্ধ হয়ে যাবার কারণে তাঁর মধ্যে যে পেরেশানী দেখা দিয়েছিল তা দূর করা। প্রথমে আলো ঝলমল দিনের এবং রাতের নীরবতা ও প্রশান্তির কসম খেয়ে তাঁকে এই কর্মে নিশ্চিন্ততা দান করা হয়েছে যে, তার রব তাঁকে মোটেই পরিত্যাগ করেননি এবং তিনি তাঁর প্রতি অসন্তুষ্ট হননি। এরপর তাকে সুসংবাদ দান করা হয়েছে যে, ইসলামী দাওয়াতের প্রাথমিক পর্যায়ে তাকে যেসব কঠিন সমস্যা ও সংকটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে এগুলো মাত্র কয়েক দিনের ব্যাপার। তাঁর জন্য পরবর্তী প্রত্যেকটি পর্যায় পূর্ববর্তী পর্যায় থেকে উন্নত হতে থাকবে এবং কিছু দিনের মধ্যেই মহান আল্লাহ তাঁর উপর এমনভাবে তাঁর দান বর্ষণ করতে থাকবেন, যার ফলে তিনি খুশী হয়ে যাবেন।

তারপর মহান আল্লাহ তাঁর বন্ধু মুহাম্মাদ ﷺ কে বলেন, আমি তোমাকে পরিত্যাগ করেছি এবং তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছি- এ ধরনের পেরেশানীতে তুমি ভুগছো কেন? আমি তো তোমার জন্মের দিন থেকেই তোমার প্রতি অবিরাম মেহেরবানী করে আসছি। তুমি এতীম অবস্থায় জন্ম লাভ করেছিলে, আমি তোমার প্রতিপালন ও রক্ষণাবেক্ষণের সর্বোত্তম ব্যবস্থা করেছি। তুমি অনভিজ্ঞ ছিলে, আমি তোমাকে পথের সন্ধান দিয়েছি। তুমি অর্থ-সম্পদহীন ছিলে, আমি তোমাকে বিত্তশালী করেছি। এসব কথা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিচ্ছে যে, তুমি শুরু থেকেই আমার প্রিয়পাত্র আছো এবং আমার মেহেরবানী, অনুগ্রহ দান স্থায়ীভাবে তোমার সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে।

সবশেষে মহান আল্লাহ নবী ﷺ এর প্রতি যেসব অনুগ্রহ করেছেন তার জবাবে আল্লাহর সৃষ্টির সাথে তার কি ধরনের আচরণ করা উচিত এবং তার নিয়ামতের শুকরিয়া কিভাবে আদায় করতে হবে এ কথা তাঁকে জানিয়ে দেন।

আয়াত : ১-১১



وَالضُّحٰى (১) وَاللَّيْلِ اِذَا سَجٰى (২) مَا وَدَّعَكَ رَبُّكَ وَمَا قَلٰى (৩) وَلَلْاٰخِرَةُ خَيْرٌ لَّكَ مِنَ الْاُوْلٰى (৪) وَلَسَوْفَ يُعْطِيْكَ رَبُّكَ فَتَرْضٰى (৫) اَلَمْ يَجِدْكَ يَتِيْمًا فَاٰوٰى (৬) وَوَجَدَكَ ضَآلًّا فَهَدٰى (৭) وَوَجَدَكَ عَآئِلًا فَاَغْنٰى (৮) فَاَمَّا الْيَتِيْمَ فَلَا تَقْهَرْ (৯) وَاَمَّا السَّآئِلَ فَلَا تَنْهَرْ (১০) وَاَمَّا بِنِعْمَةِ رَبِّكَ فَحَدِّثْ (১১)

শাব্দিক অনুবাদ :

(১) وَالضُّحٰى শপথ পূর্বাহ্নের, (২) وَاللَّيْلِ শপথ রাত্রির اِذَا যখন سَجٰى তা গভীর হয়, (৩) مَا وَدَّعَكَ আপনাকে ত্যাগ করেননি رَبُّكَ আপনার পালনকর্তা وَمَا قَلٰى এবং আপনার প্রতি বিরূপ হননি। (৪) وَلَلْاٰخِرَةُ পরকালই خَيْرٌ উত্তম لَكَ আপনার জন্য مِنَ الْاُوْلٰى ইহকাল থেকে। (৫) وَلَسَوْفَ অচিরেই يُعْطِيْكَ আপনাকে দান করবেন رَبُّكَ আপনার পালনকর্তা, فَتَرْضٰى অতঃপর আপনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। (৬) اَلَمْ يَجِدْكَ তিনি কি আপনাকে পাননি يَتِيْمًا এতীমরূপে? فَاٰوٰى অতঃপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন। (৭) وَوَجَدَكَ আর তিনি আপনাকে পেয়েছেন ضَآلًّا পথহারা অবস্থায় فَهَدٰى অতঃপর তিনি পথপ্রদর্শন করেছেন। (৮) وَوَجَدَكَ আর তিনি আপনাকে পেয়েছেন عَآئِلًا নিঃস্ব অবস্থায়, فَاَغْنٰى অতঃপর তিনি অভাবমুক্ত করেছেন। (৯) فَاَمَّا অতএব اَلْيَتِيْمَ এতীমের প্রতি فَلَا تَقْهَرْ কঠোর হবেন না; (১০) وَاَمَّا আর اَلسَّآئِلَ সওয়ালকারীদেরকে فَلَا تَنْهَرْ ধমক দিবেন না (১১) وَاَمَّا এবং بِنِعْمَةِ رَبِّكَ আপনার পালনকর্তার নিয়ামত সম্পর্কে فَحَدِّثْ জানিয়ে দিন।

সরল অনুবাদ :

(১) শপথ পূর্বা‎হ্নের, (২) শপথ রাত্রির- যখন তা গভীর হয়,১ (৩) আপনার প্রতিপালক আপনাকে ত্যাগ করেননি২ এবং আপনার প্রতি বিরূপ হননি। (৪) আপনার জন্য পরকাল ইহকাল অপেক্ষা শ্রেয়।৩ (৫) আপনার প্রতিপালক অচিরেই আপনাকে দান করবেন, তখন আপনি খুশি হয়ে যাবেন।৪ (৬) তিনি কি আপনাকে এতীমরূপে পাননি? অতঃপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন।৫ (৭) তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা অবস্থায়, অতঃপর তিনিই আপনাকে পথপ্রদর্শন করেছেন।৬ (৮) তিনি আপনাকে পেয়েছেন নিঃস্ব অবস্থায়, অতঃপর তিনিই আপনাকে অভাবমুক্ত করেছেন।৭ (৯) সুতরাং আপনি এতীমের প্রতি কঠোর হবেন না;৮ (১০) ভিক্ষুকদেরকে ধমক দিবেন না।৯ (১১) আর আপনি আপনার প্রতিপালকের নিয়ামত সম্পর্কে জানিয়ে দিন।১০

টীকা :

[১] سَجٰى এর আরেকটি অর্থ হতে পারে। আর তা হলো, অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়া। এখানে দিনের আলো ও রাতের নীরবতা বা অন্ধকারের কসম খেয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলা হয়েছে, আপনার রব আপনাকে বিদায় দেননি।

[২] এখানে وَدَّعَ এর আরেকটি অর্থ হতে পারে, আর তা হলো, বিদায় দেয়া।

[৩] এখানে اَلْاٰخِرَةُ এবং أَلْاُوْلٰى শব্দদ্বয়ের প্রসিদ্ধ অর্থ আখেরাত ও দুনিয়া নেয়া হলে এর ব্যাখ্যা হবে যে, সেখানে আপনাকে দুনিয়ার চেয়ে অনেক বেশি নিয়ামত দান করা হবে। তাছাড়া اَلْاٰخِرَةُ কে পরবর্তী অবস্থা ও أَلْاُوْلٰى কে প্রথম অবস্থার অর্থেও নেয়া যায়। তখন আয়াতের অর্থ হবে, আপনার প্রতি আল্লাহর নিয়ামত দিন দিন বেড়েই যাবে এবং প্রত্যেক প্রথম অবস্থা থেকে পরবর্তী অবস্থা উত্তম ও শ্রেয় হবে।

[৪] অর্থাৎ আপনার পালনকর্তা আপনাকে এত প্রাচুর্য দেবেন যে, আপনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। এতে কি দিবেন, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। এতে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, প্রত্যেক কাম্যবস্তুই প্রচুর পরিমাণে দেবেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কাম্যবস্তুসমূহের মধ্যে ছিল ইসলামের ও কুরআনের উন্নতি, সারা বিশ্বে হিদায়াতের প্রসার, শত্রুর বিরুদ্ধে তার বিজয়লাভ, শত্রুদেশে ইসলামের কালেমা সমুন্নত করা ইত্যাদি। হাদীসে আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট পরবর্তীতে যে সমস্ত জনপদ বিজীত হবে তা একটি একটি করে পেশ করা হচ্ছিল। এতে তিনি খুশি হলেন, তখন আল্লাহ তা‘আলা ‘‘অচিরেই আপনার রব আপনাকে এমন দান করবেন, যে আপনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন’’ এ আয়াত নাযিল করলেন। (মুস্তাদরাকে হাকেম : ২/৫২৬)

[৫] এখানে আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর প্রতি কিছু নিয়ামতের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছেন। প্রথম নিয়ামত হচ্ছে, আমি আপনাকে পিতৃহীন পেয়েছি। আপনার জন্মের পূর্বেই পিতা ইন্তেকাল করেছিল এবং ছোট থাকতেই মা মারা যায়। অতঃপর আমি আপনাকে আশ্রয় দিয়েছি। অর্থাৎ প্রথমে পিতামহ আব্দুল মুত্তালিব, পরবর্তীতে পিতৃব্য আবু তালেব যত্নসহকারে আপনাকে লালন-পালন করতেন। (সাদী)

[৬] দ্বিতীয় নিয়ামত হচ্ছে, আপনাকে ضَالٌّ পেয়েছি। এ শব্দটির অর্থ ভ্রষ্ট, অনভিজ্ঞ, অনবহিত বা গাফেল। নবুওয়াত লাভের পূর্বে তিনি আল্লাহর বিধি-বিধান সম্পর্কে, ঈমান সম্পর্কে অনবহিত ছিলেন। অতঃপর নবুওয়াতের পদ দান করে তাকে পথনির্দেশ দেয়া হয়, যা তিনি জানতেন না তা জানানো হয় এবং সর্বোত্তম আমলের তৌফিক দেয়া হয়।

[৭] তৃতীয় নিয়ামত হচ্ছে, আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে নিঃস্ব পেয়েছেন; অতঃপর আপনাকে অভাবমুক্ত করেছেন এবং ধৈর্যশীল ও সন্তুষ্ট করেছেন। এখানে اَغْنٰى বলতে দুটি অর্থ হতে পারে। এক অর্থ, তিনি আপনাকে ধনশালী করেছেন। অপর অর্থ, তিনি আপনাকে তাঁর নিয়ামতে সন্তুষ্ট করেছেন।

[৮] এ নিয়ামতগুলো উল্লেখ করার পর রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে এর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ কয়েকটি বিষয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রথম নির্দেশ হচ্ছে, এতীমের সাথে কঠোর ব্যবহার করবেন না। অর্থাৎ আপনি কোন পিতৃহীনকে অসহায় ও বেওয়ারিশ মনে করে তার ধন-সম্পদ জবরদস্তিমূলকভাবে নিজ অধিকারভুক্ত করে নেবেন না।

[৯] দ্বিতীয় নির্দেশ হচ্ছে, অর্থগত ও জ্ঞানগত প্রার্থীকে ধমক বা ভৎর্সনা না করতে রাসূলুল্লাহ ﷺ কে নির্দেশ করা হয়েছে। যদি প্রার্থনাকারী বলতে এখানে সাহায্য প্রার্থনাকারী অভাবী ধরা হয়, তাহলে এর অর্থ হয়, তাকে সাহায্য করতে পারলে করুন আর না করতে পারলে কোমল স্বরে তাকে নিজের অক্ষমতা বুঝিয়ে দিন। কিন্তু কোনক্রমে তার সাথে দুর্ব্যবহার করবেন না। আর যদি প্রার্থী দ্বীনের কোন বিষয় বা বিধান জিজ্ঞেসকারী হয়, তাহলে এই ধরনের লোক যতই মূর্খ ও অজ্ঞ হোক না কেন স্নেহশীলতা ও কোমলতা সহকারে তকে জবাব দিন এবং ধমক দিয়ে বা কড়া কথা বলে তাকে তাড়িয়ে দিবেন না।

[১০] তৃতীয় নির্দেশ হচ্ছে, মানুষের সামনে আল্লাহর নিয়ামতসমূহ বর্ণনা করুন, স্মরণ করুন। নিয়ামত শব্দটি ব্যাপক অর্থবোধক। এর অর্থ দুনিয়ার নিয়ামতও হতে পারে; আবার এমন সব নিয়ামতও হতে পারে, যা আল্লাহ তা‘আলা আখেরাতে দান করবেন। এ নিয়ামত প্রকাশ করার পদ্ধতি বিভিন্ন হতে পারে। সামগ্রিকভাবে সমস্ত নিয়ামত প্রকাশের পদ্ধতি হলো আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং এ স্বীকৃতি দেয়া যে, আমি যেসব নিয়ামত লাভ করেছি সবই আল্লাহর মেহেরবাণী ও অনুগ্রহের ফল। নবুওয়াতের এবং অহীর নিয়ামত প্রকাশ করা যেতে পারে দ্বীনের প্রচার ও প্রসার করার মাধ্যমে। এছাড়া একজন অন্যজনের প্রতি যে অনুগ্রহ করে তার শোকর আদায় করাও আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি পন্থা। হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি অপরের অনুগ্রহের শোকর আদায় করে না, সে আল্লাহ তা‘আলারও শোকর আদায় করে না। (আবু দাউদ, হা/৪৮১১; তিরমিযী, হা/১৯৫৫)

এ সূরার শিক্ষাসমূহ :

আল্লাহ তা‘আলা বিভিন্ন সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর উপর বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন।

নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা আবশ্যক।

নিয়ামত পেলে তা নিজেদের আচার-আচরণ ও পোষাক-পরিচ্ছদে প্রকাশ করা উত্তম।

এতীম ও সওয়ালকারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করা মারাত্মক অপরাধ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন