hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আম্মা পারা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩০
১০৫- সূরা ফীল
সূরার নামকরণ :

প্রথম আয়াতে উল্লেখিত اَلْفِيْلُ (আল-ফীল) শব্দের আলোকে এ সূরার নামকরণ করা হয় আল-ফীল। এর অর্থ হাতী।

নাযিলের সময়কাল :

এ সূরাটির মক্কী হওয়ার ব্যাপারে সবাই একমত। এর ঐতিহাসিক পটভূমি সামনে রাখলে মক্কায় ইসলামের প্রথম যুগে এটি নাযিল হয় বলে মনে হবে।

ঐতিহাসিক পটভূমি:

ইয়ামানের বাদশা আবরাহার উদ্দেশ্য ছিল, একদিকে আরবে খৃস্ট ধর্ম প্রচার করা এবং অন্যদিকে আরবদের মাধ্যমে রোম সম্রাজ্য ও প্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে যে ব্যবসা চলতো তাকে পুরোপুরি নিজেদের দখলে নিয়ে আসা। এ উদ্দেশ্যে আবরাহা ইয়ামানের রাজধানী সানআয় একটি বিশাল গীর্জা নির্মাণ করে। এ কাজটি সম্পন্ন করার পর সে আরবদের হজ্জকে মক্কায় কাবার পরিবর্তে সানআর এ গীর্জার দিকে ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছিল। এজন্য সে কাবাঘরকে ধ্বংস করে দেয়ার পরিকল্পনা করে।

এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য ৫৭০ বা ৫৭১ খৃস্টাব্দে সে ৬০ হাজার পদাতিক, ১৩টি হাতি (অন্য বর্ণনা মতে ৯টি হাতি) সহকারে মক্কার পথে রওয়ানা হয়। এ সেনাদল তায়েফের নিকটবর্তী হলে বনু সাকীফ অনুভব করে এত বড় শক্তি মোকাবিলা করার ক্ষমতা তাদের নেই এবং এই সঙ্গে তারা এ আশঙ্কাও করতে থাকে যে, হয়তো তাদের লাত দেবতার মন্দিরও তারা ভেঙ্গে ফেলবে। ফলে তাদের সরদার মাসউদ একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আবরাহার সাথে সাক্ষাৎ করে। তারা তাকে বলে, আপনি যে উপাসনালয়টি ভাংতে এসেছেন আমাদের এ মন্দিরটি সে উপাসনালয় নয়। সেটি মক্কায় অবস্থিত। কাজেই আপনি আমাদেরটায় হাত দেবেন না। আমরা মক্কার পথ দেখানোর জন্য আপনাকে পথপ্রদর্শক সংগ্রহ করে দিচ্ছি। আবরাহা তাদের এ প্রস্তাব গ্রহণ করে। ফলে বনু সাকীফ আবু রিগাল নামক এক ব্যক্তিকে তার সাথে দিয়ে দেয়। মক্কার কাছাকাছি আল মাগাম্মেস নামক স্থানে পৌঁছলে আবু রিগাল মারা যায়।

আল মাগাম্মেস থেকে আবরাহা তার অগ্রবাহিনীকে সামনের দিকে এগিয়ে দেয়। তারা তিহামার অধিবাসীদের ও কুরাইশদের উট, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি বহু পালিত পশু লুট করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর দাদা আবদুল মুত্তালিবেরও ২০০টি উট ছিল। এরপর সে মক্কাবাসীদের কাছে নিজের একজন দূতকে পাঠায়। তার মাধ্যমে মক্কাবাসীদের কাছে এই মর্মে বাণী পাঠায় যে, আমি তোমাদের সাথে যুদ্ধ করতে আসিনি। আমি এসেছি শুধুমাত্র এই ঘরটি (কাবা) ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে।

আবদুল মুত্তালিব তখন ছিলেন মক্কার সবচেয়ে বড় সরদার। দূত তাঁর সাথে সাক্ষাত করে আবরাহার সংবাদ তাঁর কাছে পৌঁছিয়ে দেয়। তিনি বলেন, আবরাহার সাথে যুদ্ধ করার শক্তি আমাদের নেই। এটা আল্লাহর ঘর, তিনি চাইলে তাঁর ঘর রক্ষা করবেন। দূত বলে, আপনি আমার সাথে আবরাহার কাছে চলুন। তিনি সম্মত হন এবং দূতের সাথে আবরাহার কাছে যান। সে তাঁকে জিজ্ঞেস করে, আপনি কী চান? তিনি বলেন, আমার যে উটগুলো ধরে নেয়া হয়েছে সেগুলো আমাকে ফেরত দেয়া হোক। আবরাহা বলল, আপনাকে দেখে তো আমি বড়ই প্রভাবিত হয়েছিলাম। কিন্তু আপনি নিজের উটের দাবী জানাচ্ছেন, অথচ এই যে ঘরটা আপনার ও আপনার পূর্বপুরুষদের ধর্মের কেন্দ্র সে সম্পর্কে কিছুই বলছেন না। তিনি বলেন, আমি তো কেবল আমার উটের মালিক এবং সেগুলোর জন্য আপনার কাছে আবেদন জানাচ্ছি। আর এই ঘর! এর একজন মালিক ও প্রভু আছেন। তিনি নিজেই এর হেফাযত করবেন। আজ পর্যন্ত তিনি কাউকে এর উপর চেপে বসতে দেননি। আবরাহা জবাব দেয়, আমি একে বিধ্বস্ত না করে এখান থেকে সরে যাব না। আবদুল মুত্তালিব বলেন, আপনি যা কিছু চান আমাদের কাছ থেকে নিয়ে যান। কিন্তু আবরাহা অস্বীকার করে। আবদুল মুত্তালিবকে পেছনে রেখে নিজের সেনাবাহিনী নিয়ে সে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।

আবরাহার সেনাদলের কাছ থেকে ফিরে এসে আবদুল মুত্তালিব কুরাইশদেরকে বলেন, নিজেদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে পাহাড়ের উপর চলে যাও। এভাবে ব্যাপক গণহত্যার হাত থেকে রক্ষা পাবে। তারপর তিনি ও কুরাইশদের কয়েকজন সরদার হারাম শরীফে হাযির হয়ে যান। তারা কাবার দরজার কড়া ধরে আল্লাহর কাছে দু‘আ করতে থাকেন যে, তিনি যেন তার ঘর ও তাঁর খাদেমদের হেফাজত করেন। সে সময় কাবা ঘরে ৩৬০টি মূর্তি ছিল। কিন্তু এই সংকটকালে তারা সবাই এই মূর্তিগুলোর কথা ভুলে যায়। তারা একমাত্র আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে।

এ দু‘আ করার পর আবদুল মুত্তালিব ও তার সাথিরাও পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরের দিন আবরাহা মক্কায় প্রবেশ করার জন্য এগিয়ে যায়। কিন্তু তার বিশেষ হাতী মাহমুদ ছিল সবার আগে, সে হঠাৎ বসে পড়ে। কুড়ালের বাট দিয়ে তার গায়ে বারবার আঘাত করতে করতে তাকে আহত করে ফেলা হয়। কিন্তু এত বেশি মারপিট ও নির্যাতনের পরেও সে একটুও নড়ে না।

এ সময় ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা ঠোঁটে ও পাঞ্জায় পাথরকণা নিয়ে উড়ে আসে। তারা এ সেনাদলের উপর পাথর বর্ষণ করতে থাকে। যার উপর পাথরকণা পড়তো তার দেহ সঙ্গে সঙ্গে গলে যেতে থাকতো। ইবনে আববাসের বর্ণনা মতে, যার উপরই পাথরকণা পড়তো, তার সারা গায়ে ভীষণ চুলকানি শুরু হতো এবং চুলকাতে চুলকাতে চামড়া ছিলে গোশত ঝরে পড়তে থাকতো। আবরাহা নিজেও এই অবস্থার সম্মুখীন হয়। তার শরীর টুকরো হয়ে খসে পড়তো এবং যেখান থেকে এক টুকরো গোশত খসে পড়তো সেখান থেকে রক্ত ও পুঁজ ঝড়ে পড়তে থাকতো। বিশৃঙ্খলা ও ছুটাছুটির মধ্যে তারা ইয়ামানের দিকে পালাতে শুরু করে। ফলে কিছু লোক সেখানে মারা পড়ে আর দৌড়াতে দৌড়াতে কিছু লোক পথের উপর পড়ে যেতে থাকে। এভাবে সারাটা পথে তাদের লাশ বিছিয়ে থাকে। আবরাহাও খাশআম এলাকায় পৌঁছে মারা যায়।

মুযদালিফা ও মিনার মধ্যে অবস্থিত মহাসাব উপত্যকার সন্নিকটে মুহাসসির নামক স্থানে এ ঘটনাটি ঘটে। হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন মুযদালিফা থেকে মিনার দিকে গেলেন তখন মুহাসসির উপত্যকায় তিনি চলার গতি দ্রুত করে দেন।

এটা একটা মস্তবড় ঘটনা ছিল। সমগ্র আরবে এ ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে। অনেক কবি এ নিয়ে কবিতা লেখেন। এ সমস্ত কবিতার একক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই যে, সবখানেই একে আল্লাহর অলৌকিক ক্ষমতা হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। কোন একটি কবিতাতে ইশারা-ইঙ্গিতেও এ কথা বলা হয়নি যে, কাবার অভ্যন্তরে রক্ষিত যেসব মূর্তির পূজা করা হতো তাদের কারো এতে সামান্যতম হাত ছিল।

যে বছর এ ঘটনাটি ঘটে আরববাসীরা সে বছরটিকে আমুল ফীল (হাতির বছর) বলে আখ্যায়িত করে। সেই বছরই রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্ম হয়। আসহাবে ফীলের ঘটনাটি ঘটে মহররম মাসে এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্ম হয় রবিউল আউয়াল মাসে। অধিকাংশের মতে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্ম হয় হাতির ঘটনার ৫০ দিন পরে।

মূল বক্তব্য :

এ সূরায় শুধুমাত্র আসহাবে ফীলের উপর মহান আল্লাহর আযাবের কথা বর্ণনা করেই শেষ করে দেয়া হয়েছে। ঘটনা খুব বেশি পুরানো ছিল না। মক্কার সবাই এ ঘটনা জানতো। আরবের লোকেরা সাধারণভাবে এ সম্পর্কে অবহিত ছিল। সমগ্র আরববাসী স্বীকার করতো আবরাহার এ আক্রমণ থেকে কাবাঘরকে কোন দেবতা বা দেবী নয়; বরং আল্লাহই এর হেফাজত করেছেন। কুরাইশ সরদাররা আল্লাহর কাছে সাহায্যের জন্য দু‘আ করেছিল। আবার এ ঘটনা কুরাইশদেরকে কয়েক বছর পর্যন্ত এত বেশি প্রভাবিত করে রেখেছিল যে, তারা সে সময় একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কারোর ইবাদাত করেনি। তাই সূরা ফীলে এসব বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন ছিল না। বরং শুধুমাত্র এ ঘটনাটি স্মরণ করিয়ে দেয়াই যথেষ্ট ছিল। এভাবে স্মরণ করিয়ে দেবার ফলে বিশেষ করে কুরাইশরা এবং সাধারণভাবে সমগ্র আরববাসী মনে মনে এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে পারে যে, মুহাম্মাদ যে বিষয়ের দিকে আহবান জানাচ্ছেন সেটি অন্যান্য মাবুদদেরকে ত্যাগ করে একমাত্র আল্লাহর ইবাদাত করা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাছাড়া তারা এ কথাটিও ভেবে দেখার সুযোগ পাবে যে, এ হকের দাওয়াত যদি তারা বল প্রয়োগ করে দমন করতে চায়, তাহলে যে আল্লাহ আসহাবে ফীলকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছিলেন তারা তাঁরই ক্রোধের শিকার হবে।

আয়াত : ১-৫



اَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِاَصْحَابِ الْفِيْلِ (১) اَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِيْ تَضْلِيْلٍ (২) وَاَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا اَبَابِيْلَ (৩) تَرْمِيْهِمْ بِحِجَارَةٍ مِّنْ سِجِّيْلٍ (৪) فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُوْلٍ (৫)

শাব্দিক অনুবাদ :

(১) اَلَمْ تَرَ তুমি কি দেখনি, كَيْفَ فَعَلَ কী ব্যবহার করেছেন رَبُّكَ তোমার প্রতিপালক بِاَصْحَابِ الْفِيْلِ হাতিওয়ালাদের সাথে? (২) اَلَمْ يَجْعَلْ তিনি কি করে দেননি كَيْدَهُمْ তাদের ষড়যন্ত্রসমূহ فِيْ تَضْلِيْلٍ নস্যাৎ? (৩) وَاَرْسَلَ এবং তিনি পাঠিয়েছেন عَلَيْهِمْ তাদের উপর طَيْرًا اَبَابِيْلَ আবাবীল পাখি। (৪) تَرْمِيْهِمْ তারা তাদের উপর নিক্ষেপ করছিল بِحِجَارَةٍ পাথরের টুকরো مِنْ سِجِّيْلٍ পোড়ামাটির । (৫) فَجَعَلَهُمْ অতঃপর তিনি তাদেরকে করে দিলেন كَعَصْفٍ ভূষির মতো مَأْكُوْلٍ ভক্ষিত।

সরল অনুবাদ :

(১) তুমি কি দেখনি,১ তোমার মালিক (কা’বা ধ্বংসের জন্য আগত) হাতিওয়ালাদের সাথে কী ব্যবহার করেছেন? (২) তিনি কি (সে সময়) তাদের যাবতীয় ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেননি? (৩) আর২ তিনি তাদের উপর আবাবীল (ঝাঁকে-ঝাঁকে) পাখি পাঠালেন।৩ (৪) যারা তাদের উপর পোড়া মাটির পাথরের টুকরো নিক্ষেপ করেছিল।৪ (৫) অতঃপর তিনি তাদেরকে জন্তু-জানোয়ারের চর্বিত ঘাস-পাতার মতো করে দিলেন।৫

টীকা :

[১] এখানে اَلَمْ تَرَ অর্থাৎ ‘আপনি কি দেখেননি’ বলা হয়েছে। বাহ্যত এর দ্বারা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে সম্বোধন করা হয়েছে, অথচ এটা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্মের কিছুদিন পূর্বেকার ঘটনা। কোন কোন মুফাসসির এর সমাধানে বলেন, এখানে শুধু কুরাইশদেরকেই নয়; বরং সমগ্র আরববাসীকেই সম্বোধন করা হয়েছে। তারা এই সমগ্র ঘটনা সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত ছিল। কুরআন মাজীদের বহু স্থানে ‘আলাম তারা’ বা আপনি কি দেখেননি? শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে নয়; বরং সাধারণ লোকদেরকে সম্বোধন করাই উদ্দেশ্য। অপর কোন কোন তাফসিরবিদ বলেন, যে ঘটনা এরূপ নিশ্চিত যে, তা ব্যাপকভাবে প্রত্যক্ষ করা হয়, সে ঘটনার জ্ঞানকেও দেখা বলে ব্যক্ত করা হয়; যেন এটা চাক্ষুষ ঘটনা।

[২] যদি আয়াতটিকে পূর্বের আয়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট ধরা হয়, তখন এ আয়াতটির অর্থ হয়, তিনি কি তাদের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি পাঠাননি? পক্ষান্তরে যদি আয়াতটিকে প্রথম আয়াতটির সাথে সম্পৃক্ত করা হয়, তখন এর অর্থ হবে, আপনি কি দেখেননি, তিনি তাঁদের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি পাঠিয়েছিলেন?

[৩] اَبَابِيْلٌ শব্দের অনুবাদ করা হয়েছে, ঝাঁকে ঝাঁকে, যা একটার পর একটা আসে। কারো কারো মতে, শব্দটি বহুবচন। অর্থ পাখির ঝাঁক- কোন বিশেষ প্রাণীর নাম নয়। বলা হয়ে থাকে যে, এ জাতীয় পাখি পূর্বে কখনও দেখা যায়নি।

[৪] سِجِّيْلٌ এর অর্থ করা হয়েছে, পোঁড়া মাটির কঙ্কর। কারো কারো মতে, ভিজা মাটি আগুনে পুড়ে শক্ত হয়ে যে কঙ্কর তৈরি হয়, সে কঙ্করকে سِجِّيْلٌ বলা হয়ে থাকে। আবার কেউ কেউ বলেন, এর অর্থ অতি শক্ত পাথরের কঙ্কর।

[৫] عَصْفٌ এর অর্থ শুষ্ক তৃণলতা, শুকনো খড়কুটো। শুষ্ক তৃণ ভক্ষিত হওয়ার পর যা হয় কঙ্কর নিক্ষিপ্ত হওয়ার ফলে আবরাহার সেনাবাহিনীর অবস্থা তদ্রূপই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিল।

এ সূরার শিক্ষাসমূহ :

ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে নিজেদেরকেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়।

কখনো কখনো আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বিরোধীদেরকে দুনিয়াতেই শাস্তি দিয়ে থাকেন।

ইসলাম বিরোধী শক্তিসমূহ যত ভয়ঙ্করই দেখা যাক না কেন, প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর মোকাবেলায় একেবারেই তুচ্ছ।

আল্লাহ তা‘আলা সাধারণ কিছু দ্বারাও আযাব দিতে সক্ষম।

পূর্ববর্তী ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন