মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
প্রথম আয়াতে উল্লেখিত نَصْرٌ (নাসর) শব্দকে এর নাম হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এর অর্থ সাহায্য, বিজয়।
নাযিলের সময়কাল :
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) একে কুরআন মাজীদের শেষ সূরা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এরপর নবী ﷺ এর উপর আর কোন পূর্ণাঙ্গ সূরা নাযিল হয়নি। (সহীহ মুসলিম, হা/৩০২৪)
এ সূরায় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ওফাত নিকটবর্তী হওয়ার ইঙ্গিত আছে। সূরা আন-নাসরের নাযিল হওয়া ও রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ইন্তিকালের মধ্যে ৩ মাস কয়েক দিনের ব্যবধান ছিল।
সূরার বিষয়বস্তু :
আল্লাহ তাঁর রাসূলকে বলে দিয়েছিলেন, যখন আরবে ইসলামের বিজয় পূর্ণ হয়ে যাবে এবং লোকেরা দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করতে থাকবে তখন এর মানে হবে, আপনাকে যে কাজের জন্য দুনিয়ায় পাঠানো হয়েছিল তা পূর্ণ হয়ে গেছে। তারপর তাঁকে হুকুম দেয়া হয়েছে, আপনি আল্লাহর হামদ ও প্রশংসাবাণী উচ্চারণ করতে থাকুন। কারণ তাঁরই অনুগ্রহে আপনি এতবড় কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন। আর তাঁর কাছে এ মর্মে দু‘আ করুন যে, এই বিরাট কাজ করতে গিয়ে যে ভুল-ভ্রান্তি হয়েছে তা যেন তিনি মাফ করে দেন।
এখানে একজন সাধারণ নেতা ও একজন নবীর মধ্যে বিরাট পার্থক্য দেখতে পাওয়া যায়। একজন সাধারণ নেতা যে বিপ্লব করার জন্য কাজ করে যায় নিজের জীবদ্দশাতেই যদি সেই বিপ্লব সফলকাম হয়ে যায় তাহলে এ জন্য সে বিজয় উৎসব পালন করে এবং নিজের নেতৃত্বের গর্ব করে বেড়ায়। কিন্তু একজন নবী এতবড় মহৎ কাজ সম্পন্ন করার পরও তাঁকে উৎসব পালন করার নয়; বরং আল্লাহর প্রশংসা ও গুণাবলী বর্ণনা করার এবং তাঁর কাছে মাগফিরাতের দু‘আ করার হুকুম দেয়া হয়েছে। আর তিনি পূর্ণ দৃঢ়তার সাথে সেই হুকুম পালন করতে থাকেন।
(১) اِذَا যখন جَآءَ আসবে نَصْرُ সাহায্য اَللهِ আল্লাহর وَالْفَتْحُ ও বিজয়। (২) وَرَاَيْتَ তখন তুমি দেখবে اَلنَّاسَ মানুষদেরকে, يَدْخُلُوْنَ তারা দাখিল হচ্ছে فِيْ دِيْنِ اللهِ আল্লাহর দ্বীনে اَفْوَاجًا দলে দলে। (৩) فَسَبِّحْ অতঃপর তুমি তাসবীহ পাঠ করতে থাকো بِحَمْدِ প্রশংসার সাথে رَبِّكَ তোমার প্রতিপালকের وَاسْتَغْفِرْهُ এবং তার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থনা কর; اِنَّهٗ অবশ্যই তিনি كَانَ تَوَّابًا তাওবা কবুলকারী।
সরল অনুবাদ :
(১) যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয় আসবে।১ (২) তখন মানুষদেরকে তুমি দেখবে, তারা দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে দাখিল হচ্ছে।২ (৩) অতঃপর তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রশংসা করো এবং তার কাছেই ক্ষমাপ্রার্থনা কর; অবশ্যই তিনি তাওবা কবুলকারী।৩
টীকা :
[১] এখানে বিজয় বলে মক্কা বিজয় বুঝানো হয়েছে। আর বিজয় মানে কোন একটি সাধারণ যুদ্ধে বিজয় নয়। বরং এর মানে হচ্ছে এমন একটি চূড়ান্ত বিজয়, যার পরে ইসলামের সাথে সংঘর্ষ করার মতো আর কোন শক্তির অস্তিত্ব দেশের বুকে থাকবে না এবং এ কথাও সুস্পষ্ট হয়ে যাবে যে, বর্তমানে আরবে এ দ্বীনটিই প্রাধান্য বিস্তার করবে।
[২] অর্থাৎ লোকদের একজন দু’জন করে ইসলাম গ্রহণ করার যুগ শেষ হয়ে যাবে। তখন এমন যুগের সূচনা হবে যখন একটি গোত্রের সবাই এবং এক একটি বড় বড় এলাকার সমস্ত অধিবাসী কোন প্রকার যুদ্ধ-বিগ্রহ ও চাপ প্রয়োগ ছাড়াই স্বতষ্ফূর্তভাবে মুসলিম হয়ে যেতে থাকবে। মক্কা বিজয়ের পূর্বে এমন লোকদের সংখ্যাও প্রচুর ছিল, যারা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর রিসালত ও ইসলামের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত বিশ্বাসের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু কুরাইশদের ভয়ে অথবা অন্য কোন কারণে তারা ইসলাম গ্রহণ থেকে বিরত ছিল। মক্কা বিজয় তাদের সেই বাধা দূর করে দেয়। সে মতে তারা দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করতে শুরু করে। সাধারণ আরবরাও এমনিভাবে দলে দলে ইসলামে দাখিল হয়।
[৩] একাধিক হাদীসে সাহাবীদের উক্তি আছে যে, এ সূরায় রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ওফাত নিকটবর্তী হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত আছে। আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা উমর (রাঃ) আমাকে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রবীণ সাহাবীদের সঙ্গে তাঁর দরবারে শামিল করলেন। এ কারণে সম্ভবত তাদের কারো কারো মনে প্রশ্ন জেগে থাকবে। তাই একজন বললেন, আপনি একে আমাদের সঙ্গে শামিল করলেন কেন? আমাদেরও তো তার মতো সন্তান আছে। উমর বললেন, তার বিষয়ে তো আপনারা ভাল করেই জানেন। অতঃপর তিনি একদিন তাকে (আবদুল্লাহ ইবনু আববাসকে) তাঁদের সাথে ডাকলেন। আবদুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, আমি বুঝতে পারলাম আজকে তিনি তাঁদেরকে কিছু দেখানোর জন্য আমাকে ডেকেছেন। তিনি (উমর) সবাইকে বললেন মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘ইযা জা-আ নাসরুল্লা-হি ওয়াল ফাতহ্’’ অর্থাৎ ‘‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে’’ এ সম্পর্কে আপনারা কী বলেন? উত্তরে তাঁদের কেউ বললেন, আমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হলে ও বিজয় লাভ করলে এ আয়াতে আমাদেরকে আল্লাহর প্রশংসা ও তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আবার কেউ কেউ কিছু না বলে নীরব থাকলেন। তখন তিনি আমাকে বললেন, হে আবদুল্লাহ ইবনু আববাস! তুমিও কি তা-ই বল? তখন আমি বললাম, না- আমি এমনটি মনে করি না। উমর (রাঃ) বললেন, তাহলে তুমি কী বলতে চাও? আমি বললাম, এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে তাঁর মৃত্যুর সংবাদ জানিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসলে সেটিই হবে তোমার মৃত্যুর লক্ষণ। তখন তুমি তোমার রবের প্রশংসা বর্ণনার সাথে সাথে তাঁর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা কর। তিনিই তাওবা কবুলকারী। এ কথা শুনে উমর (রাঃ) বললেন, তুমি যা বলছো এ আয়াতের অর্থ আমিও তাই বুঝি। (সহীহ বুখারী, হা/৪৯৭০)
সুতরাং সূরার অর্থ হচ্ছে আপনার দুনিয়াতে অবস্থান করার উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়ে গেছে, তাবলীগ তথা পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব পালিত হয়েছে। অতএব, আপনি তাসবীহ ও ইস্তেগফারে মনোবিবেশ করুন।
আয়েশা (রাঃ) বলেন, এই সূরা নাযিল হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতের রুকূ ও সিজদায় এ দু‘আ পাঠ করতেন,
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার প্রশংসার সাথে আমরা তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও। (সহীহ বুখারী, হা/৭৯৪)
এ সূরার শিক্ষাসমূহ :
সফলতা ও বিজয় আল্লাহর সাহায্য দ্বারাই অর্জিত হয়।
আল্লাহ কোন বান্দাকে নিয়ামত দান করলে সেজন্য গর্বিত না হয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা উচিত।
আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করার জন্য বেশি বেশি এ দু‘আ পাঠ করা উচিত- ‘‘সুবহানাকা আল্লা-হুম্মা রাববানা ওয়াবিহাম্দিকা আল্লা-হুম্মাগ্ ফিরলী’’।
মৃত্যু নিকটবর্তী মনে হলে বেশি বেশি তাসবীহ ও ইসতেগফার করা উচিত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/319/35
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।