মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সূরার শেষ আয়াতে উল্লেখিত اَلْمَاعُوْنُ (আল-মাউন) শব্দের আলোকে এ সূরার নামকরণ করা হয় আল-মাউন। এর অর্থ ছোটখাটো জিনিস।
নাযিলের সময়কাল :
এই সূরার মধ্যে এমন একটি অভ্যন্তরীণ সাক্ষ্য রয়েছে, যা এর মাদানী হবার প্রমাণ পেশ করে। সেটি হচ্ছে, এ সূরায় এমন সব নামাযীদেরকে ধ্বংসের বার্তা শুনানো হয়েছে, যারা নিজেদের সালাতে গাফলতি করে এবং লোক দেখানো সালাত আদায় করে। এ ধরনের মুনাফিক মদীনায় পাওয়া যেতো।
সূরার বিষয়বস্তু :
আখেরাতের প্রতি ঈমান না আনলে মানুষের মধ্যে কোন ধরনের নৈতিকতা জন্ম নেয় তার বর্ণনা করাই এর মূল বিষয়বস্তু। ২ ও ৩ নং আয়াতে এমন সব কাফিরদের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে, যারা প্রকাশ্যে আখেরাতকে মিথ্যা বলে। আর শেষ চার আয়াতে যেসব মুনাফিক আপাত দৃষ্টিতে মুসলমান মনে হয়, কিন্তু তাদের আখেরাত এবং এর শাস্তি ও পুরস্কার সম্পর্কে কোন ধারণা নেই, তাদের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। আখেরাতে বিশ্বাস ছাড়া মানুষের মধ্যে একটি মজবুত শক্তিশালী ও পবিত্র-পরিচ্ছন্ন চরিত্র গড়ে তোলা কোনক্রমেই সম্ভবপর নয়, এ সত্যটি মানুষের হৃদয়ে অঙ্কিত করে দেয়াই এ সূরার মূল উদ্দেশ্য।
(১) اَرَاَيْتَ তুমি কি ভেবে দেখেছো (সে ব্যক্তির কথা) اَلَّذِيْ যে يُكَذِّبُ অস্বীকার করে بِالدِّيْنِ কর্মফল দিবসকে। (২) فَذٰلِكَ এ তো হচ্ছে সেই ব্যক্তি اَلَّذِيْ যে يَدُعُّ ধাক্কা দেয় اَلْيَتِيْمَ এতীমকে, (৩) وَلَا يَحُضُّ সে কখনো উৎসাহ দেয় না عَلٰى طَعَامِ খাবার দিতে اَلْمِسْكِيْنِ মিস্কীনদের, (৪) فَوَيْلٌ (মর্মান্তিক) দুর্ভোগ রয়েছে لِلْمُصَلِّيْنَ সেসব (মুনাফিক) নামাযীদের জন্যে। (৫) اَلَّذِيْنَ هُمْ যারা عَنْ صَلَاتِهِمْ নিজেদের সালাত থেকে سَاهُوْنَ উদাসীন থাকে। (৬) اَلَّذِيْنَ هُمْ যারা যাবতীয় يُرَآءُوْنَ লোক দেখায়। (৭) وَيَمْنَعُوْنَ এবং তারা (সাহায্য দেয়া থেকে) বিরত থাকে اَلْمَاعُوْنَ ছোটখাটো জিনিস।
সরল অনুবাদ :
(১) তুমি কি সে ব্যক্তির কথা (কখনো) ভেবে দেখেছো,১ যে শেষ বিচারের দিনকে২ অস্বীকার করে। (২) সে তো এমন লোক, যে (নিরীহ) এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়।৩ (৩) আর সে কখনো উৎসাহিত করে না৪ (নিজেকে ও অন্যকে) মিসকীনকে খাবার দিতে। (৪) অতএব দুর্ভোগ সেসব (মুনাফিক) নামাযীদের জন্য। (৫) যারা নিজেদের সালাত থেকে উদাসীন থাকে। (৬) তারা যাবতীয় কাজ-কর্ম শুধুমাত্র লোক দেখানোর জন্যই করে থাকে।৫ (৭) এবং ছোটখাটো জিনিস৬ পর্যন্ত (অন্যদেরকে) দেয়া থেকে বিরত থাকে।
টীকা :
[১] এখানে বাহ্যত নবী ﷺ-কে সম্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু কুরআনের বর্ণনাভঙ্গী অনুযায়ী দেখা যায়, এসব ক্ষেত্রে সাধারণত প্রত্যেক জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিচার-বিবেচনা সম্পন্ন লোকদেরকেই এভাবে সম্বোধন করা হয়ে থাকে। আর দেখা মানে চোখ দিয়ে দেখাও হয়; আবার এর মানে জানা, বুঝা ও চিন্তা-ভাবনা করাও হতে পারে।
[২] এ আয়াতে ‘আদ-দীন’ শব্দটির অর্থ আখেরাতে কর্মফল ও বিচার।
[৩] এখানে يَدُعُّ বলা হয়েছে। এর অর্থ, দৃঢ়ভাবে তাড়ানো, কঠোরভাবে দূর করে দেয়া। এতীমদের প্রতি অসদাচরণ করা, তাদের প্রতি দয়া না করে কঠোরভাবে ধিক্কার ও যুলুম করা, তাদেরকে খাদ্য দান না করা এবং তাদের হক আদায় না করাই এখানে উদ্দেশ্য।
[৪] لَا يَحُضُّ শব্দের মানে হচ্ছে সে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করে না, নিজের পরিবারের লোকদেরকেও মিসকিনের খাবার দিতে উদ্বুদ্ধ করে না এবং অন্যদেরকেও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করে না।
[৫] এটা মুনাফিকদের অবস্থা। তারা লোক দেখানোর জন্য এবং মুসলিম হওয়ার দাবী প্রমাণ করার জন্য সালাত পড়ে। কিন্তু সালাত যে ফরয, এ বিষয়ে তারা বিশ্বাসী নয়। ফলে সময়ের প্রতিও লক্ষ্য রাখে না এবং আসল সালাতেও খেয়াল রাখে না। লোক দেখানোর জায়গা হলে পড়ে, নতুবা ছেড়ে দেয়। আর সালাত আদায় করলেও এর ওয়াজিবসমূহ, শর্ত ইত্যাদি পূর্ণ করে না। আসল সালাতের প্রতিই ভ্রুক্ষেপ না করা মুনাফিকদের অভ্যাস এবং سَاهُوْنٌ শব্দের আসল অর্থও তাই।
[৬] مَاعُوْنٌ শব্দের অর্থ অধিকাংশ মুফাসসিরদের নিকট যৎকিঞ্চিৎ ও সামান্য উপকারী বস্তু। মূলত মাউন ছোট ও সামান্য পরিমাণ জিনিসকে বলা হয়- যা লোকদের কোন কাজে লাগে বা এর থেকে তারা ফায়দা অর্জন করতে পারে। অধিকাংশ তাফসীরকারের মতে, সাধারণত প্রতিবেশীরা একজন আরেকজনের কাছ থেকে দৈনন্দিন যেসব জিনিস চেয়ে নিয়ে থাকে, যেগুলোর পারস্পরিক লেনদেন সাধারণ মানবতারূপে গণ্য হয়; যথা কুড়াল, কোদাল অথবা রান্না-বান্নার পাত্র এ সবই মাউনের অন্তর্ভুক্ত। আবার কারো কারো মতে আলোচ্য আয়াতে مَاعُوْنٌ বলে যাকাত বুঝানো হয়েছে। যাকাতকে مَاعُوْنٌ বলার কারণ সম্ভবত এই যে, যাকাত পরিমাণে আসল অর্থের তুলনায় খুবই কম।
এ সূরার শিক্ষাসমূহ :
আখেরাতের উপর বিশ্বাস স্থাপন ঈমানের অন্যতম মূলভিত্তি।
এতীম ও মিসকীনদের সাথে সর্বদা সদ্ব্যবহার করা উচিত।
সালাতের মধ্যে মনোযোগী হওয়া খুবই জরুরি।
সালাতের মধ্যে অমনোযোগী হওয়াটা মুনাফিকের আলামত।
আল্লাহর উদ্দেশ্য ব্যতীত কোন উদ্দেশ্যে ইবাদাত করা যাবে না।
লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ইবাদাত করা কবীরা গোনাহ।
প্রতিবেশী বা অপর কোন মুসলিম ভাইকে নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য জিনিস দিয়ে সাহায্য করা ঈমানের অন্যতম দাবী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/319/32
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।