hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নির্বাচিত ফাতাওয়া

লেখকঃ মিরফাত বিনতে কামিল আবদিল্লাহ উসরা

২৪
অধ্যয়নের সময় পর্যন্ত ফজরের সালাতকে বিলম্বিত করা
প্রশ্ন: আমার আগ্রহ হলো, আমি সালাত ত্যাগ করব না; তবে আমি বিলম্বে ঘুমাই এবং ঘড়িতে সতর্ক সঙ্কেত (Alarm) বাজানোর সময় নির্ধারণ করি সকাল সাত ঘটিকায় (সূর্য উদয়ের পর); অতঃপর সালাত আদায় করি এবং ক্লাসে গিয়ে উপস্থিত হই, আর বৃহস্পতিবার ও জুমা‘বারে বিলম্ব করে ঘুম থেকে জাগ্রত হই, অর্থাৎ যোহরের সালাতের একঘন্টা বা দুই ঘন্টা পূর্বে জাগ্রত হই এবং ঘুম থেকে জাগার পরপরই ফযরের সালাত আদায় করি; যেমনিভাবে আমি অধিকাংশ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে আমার নিজ কক্ষে সালাত আদায় করি এবং মাসজিদে যাই না, যা আমার থেকে বেশি দূরে নয়; আমার এক বন্ধু আমাকে সতর্ক করে বলেছে যে, এটা জায়েয (বৈধ) নয়। সুতরাং উল্লেখিত বিষয়ে মাননীয় পিতা-গুরুর নিকট থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা কামনা করছি। আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম পুরস্কার দান করুন?

উত্তর: যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে সূর্য উদয়ের পরে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার জন্য ঘড়ি নিয়ন্ত্রণ করে এবং ফজরের ফরয সালাত তার সময়মত আদায় করে না, তবে সে ইচ্ছা করেই তা ত্যাগ করে, আর এই কারণে সে একদল আলেমের মতে কাফির হয়ে যায় (আমরা আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই) ইচ্ছাপূর্বক তার সালাত ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য; অনুরূপভাবে একই বিধান প্রযোজ্য হবে তার জন্য, যখন সে যোহরের পূর্ব পর্যন্ত ফজরের সালাতকে বিলম্বিত করার ইচ্ছা করবে, অতঃপর যোহরের সালাতের পূর্বে তা আদায় করবে।

আর যে ব্যক্তির ওপর ঘুম প্রভাব বিস্তার করেছে এবং শেষ পর্যন্ত সালাতের সময় অতিবাহিত হয়ে যায়, তবে এতে তার ক্ষতি হবে না এবং এমতাবস্থায় তার ওপর আবশ্যক হলো, যখন ঘুম থেকে জাগ্রত হবে, তখন সালাত আদায় করে নেবে, আর এতে তার কোনো পাপ হবে না, যখন তার ওপর ঘুম প্রভাব বিস্তার করে অথবা ভুলক্রমে সালাত ত্যাগ করে।

আর যেই মানুষ সালাতকে বিলম্বিত করে নির্ধারিত সময়ের পরে আদায় করার ইচ্ছা করে অথবা ঘড়িতে সতর্ক সঙ্কেত (Alarm) দিয়ে রাখে (সালাতের) সময়ের পরে জেগে উঠার জন্য, শেষ পর্যন্ত সে সময়মত জেগে উঠতে পারল না, তবে এই কাজটি হবে ইচ্ছা করে সালাত ত্যাগ করার শামিল এবং সকল আলেমের মতে সে বড় ধরনের অন্যায় কাজ করেছে; কিন্তু সে কাফির হবে কি, হবে না? এই ব্যাপারে আলেমদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। যখন সে তার (সালাতের) আবশ্যকতাকে অস্বীকার করবে না, তখন অধিকাংশ আলেমের মতে এই কারণে সে কাফির হবে না, আর একদল আলেমের মতে এই কারণে তার পক্ষ থেকে বড় ধরনের কুফুরী হবে, আর এই মতটি সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম আজমা‘ঈনের পক্ষ থেকে উদ্ধৃত।

আর সালাতের জামা‘আত ত্যাগ করাটাও অন্যায় এবং অবৈধ; আবশ্যক (ওয়াজিব) হলো মাসজিদে সালাত আদায় করা। কেননা আবদুল্লাহ ইবন উম্মে মাকতুম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, আর তিনি ছিলেন অন্ধ সাহাবী; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে তিনি বললেন:

«يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ لَيْسَ لِى قَائِدٌ يَقُودُنِى إِلَى الْمَسْجِدِ . فَسَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُرَخِّصَ لَهُ فَيُصَلِّىَ فِى بَيْتِهِ فَرَخَّصَ لَهُ فَلَمَّا وَلَّى دَعَاهُ فَقَالَ «هَلْ تَسْمَعُ النِّدَاءَ بِالصَّلاَةِ » . فَقَالَ نَعَمْ . قَالَ « فَأَجِبْ» .

“হে আল্লাহর রাসূল! আমার এমন কোনো সহায়তাকারী নেই, যে আমাকে সহায়তা করে মাসজিদে নিয়ে আসবে; অতঃপর তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট (মাসজিদে হাযির হওয়া থেকে ছুটি চেয়ে) অনুমতি প্রার্থনা করলেন, যাতে তিনি (মাসজিদে উপস্থিত না হয়ে) তাঁর ঘরের মধ্যে সালাত আদায় করতে পারেন; তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে অনুমতি প্রদান করেন। অতঃপর যখন তিনি ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি তাঁকে ডাকলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন: তুমি কি আযানের ধ্বনি শুনতে পাও? জবাবে তিনি বললেন: হ্যাঁ, শুনতে পাই; তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তাহলে তার জবাব দাও, অর্থাৎ মাসজিদে উপস্থিত হও।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫১৮] এই হলো অন্ধ ব্যক্তি, যাকে মাসজিদে পৌঁছিয়ে দেওয়ার মতো কোনো সহায়তাকারী নেই; তা সত্ত্বেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং সুস্থ দৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তি তো আরও উত্তমভাবেই এই নির্দেশের আওতায় আসবে।

আর উদ্দেশ্য হলো, তিনি মুমিনের ওপর মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করাকে বাধ্যতামূলক করবেন। সুতরাং তার জন্য এই ক্ষেত্রে শৈথিল্য প্রদর্শন করা এবং মাসজিদের নিকটবর্তী ঘরের মধ্যে সালাত আদায় করা বৈধ নয়। আর আল্লাহই তাওফীক দানের মালিক।

শাইখ ইবন বায

মাজমু‘উ ফাতাওয়া ( مجموع فتاوى ): ২/১৮৫

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন