hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নির্বাচিত ফাতাওয়া

লেখকঃ মিরফাত বিনতে কামিল আবদিল্লাহ উসরা

৪৯
পরীক্ষায় নকল করা
প্রশ্ন: পরীক্ষায় নকল করার হুকুম (বিধান) কী?

উত্তর: সমস্ত প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য, আর সালাত ও সালাম আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর, আর সালাম (শান্তি) বর্ষিত হোক তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল সঙ্গী-সাথীর ওপর।

আমার ধারণা মতে প্রশ্নটির মধ্যেই উত্তরের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে, যেহেতু প্রশ্নকর্তা বলেন, পরীক্ষায় নকল (প্রতারণা) করার হুকুম কী? সুতরাং প্রশ্নকর্তা নিজেই স্বীকার করেছেন যে, পরীক্ষায় নকল করাটা এক ধরনের প্রতারণা, আর প্রতারণার বিষয়টি সুস্পষ্ট এবং তার বিধানও স্পষ্ট; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«من غش فليس منا» .

“যে প্রতারণা করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।” [তিরমিযী, হাদীস নং ১৩১৫] অতঃপর পরীক্ষায় নকল (প্রতারণা) করা অত্যন্ত বিপজ্জনক বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। কারণ, তার ক্ষতির দিকটি সম্পদের ক্ষতি বা ঝুঁকির মত নয়, যার কারণে হাদীস বর্ণিত হয়েছে; বরং তার ভয়াবহতা আরও প্রকট, কেননা তা হচ্ছে গোটা জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণা। কারণ, যে ছাত্র নকল করে পাশ করেছে, তার মানে হলো: সে যে সার্টিফিকেট (সনদ) অর্জন করেছে, তার মান অনুযায়ী সে একটি বড় ধরণের বলয় তৈরি করবে, অথচ বাস্তবে সে তার উপযুক্ত নয়, আর তখন এই বৃত্ত বা বলয়ের মধ্যে তার অবস্থান এমন হবে, যেই অবস্থানটি এই সার্টিফিকেট অর্জন করা ব্যতীত কোনো ব্যক্তির পক্ষে দখল করা সম্ভব নয়, ফলে সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হলো; এই নকল প্রবণতার আরও একটি ক্ষতিকর দিক আছে, আর তা হলো শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে। কারণ, যখন জাতির শিক্ষিত সমাজ পরীক্ষায় নকল বা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পাশ করে বের হয়ে আসবে, তখন তাদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অবস্থান হবে নড়বড়ে, শিক্ষা বিমুখ। অতঃপর (শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে) অন্যের ওপর তাদের অবস্থান হবে রিক্তহস্ত। কারণ, এটা জানা কথা যে, যে ব্যক্তি পরীক্ষায় নকল করে পাশ করে, তার পক্ষে শিক্ষা দানের সময় ছাত্রদের প্রশ্নের জবাব দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। সুতরাং রাষ্ট্রের সাথে এই ধরনের প্রতারণা করা থেকে বিরত থাক, যা তুমি নিজেও কখনও পছন্দ করবে না; অতএব পরিদর্শক, পর্যবেক্ষক ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে এই নকল প্রবণতা প্রতিরোধে নিরন্তর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, কোনো একজন যদি প্রতারণা করে, তবে সেই প্রতারক রাষ্ট্র বা সরকারের লক্ষ্যমাত্রা বিনষ্ট করবে এবং তার (রাষ্ট্রের) সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَخُونُواْ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ وَتَخُونُوٓاْ أَمَٰنَٰتِكُمۡ وَأَنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ٢٧ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّمَآ أَمۡوَٰلُكُمۡ وَأَوۡلَٰدُكُمۡ فِتۡنَةٞ وَأَنَّ ٱللَّهَ عِندَهُۥٓ أَجۡرٌ عَظِيمٞ ٢٨ ﴾ [ الانفال : ٢٧، ٢٨ ]

“হে ঈমানদারগণ! জেনে-বুঝে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের খেয়ানত করো না এবং তোমাদের পরস্পরের আমানতেরও খেয়ানত করো না, আর জেনে রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো এক পরীক্ষা। আর নিশ্চয় আল্লাহ, তাঁরই কাছে রয়েছে মহাপুরস্কার। [সূরা আল-আনাফাল, আয়াত: ২৭, ২৮]

আর এই ব্যাপারে কোনো এক বিষয় থেকে অপর কোনো বিষয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। সুতরাং উদাহরণস্বরূপ তাফসীর বিষয় ও ইংরেজি ভাষা বিষয়ে আমাদের নকল করার মধ্যে বিধানগত কোনো পার্থক্য নেই। কারণ, এক স্তর থেকে অন্য স্তরে ছাত্রের অগ্রগতি হওয়ার বিষয়টি বিন্যস্ত হয় সকল বিষয়ের ওপর এবং তার ওপরই নির্ভর করে ছাত্রকে সার্টিফিকেটের মত প্রমাণপত্র দেওয়ার বিষয়টি। সুতরাং সবই প্রতারণা, আর সবই হারাম। আর আমি আমাদের যুবকদেরকে তাদের এই পর্যায়ের অধঃপতন হওয়ার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং তাদেরকে আহ্বান করছি, তারা যাতে যোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যমে মর্যাদা লাভের ব্যাপারে প্রচণ্ড আগ্রহী হয়। ফলে এটা তাদের দীন ও দুনিয়ার ক্ষেত্রে তাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

শাইখ ইবন ‘উসাইমীন

ফাতাওয়া ইসলামীয়া ( فتاوى إسلامية ): ৪/৩৩১

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন