hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নির্বাচিত ফাতাওয়া

লেখকঃ মিরফাত বিনতে কামিল আবদিল্লাহ উসরা

৪৩
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষক থেকে ছাত্রীদের পর্দা অবলম্বন করা
প্রশ্ন: দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষকদের সামনে মেয়েদের পর্দা না করে জন্য খোলামেলা অবস্থান করা জায়েয (বৈধ) হবে কিনা?

উত্তর: দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পুরুষ ব্যক্তি থেকে নারীর পর্দা করার আবশ্যকতার ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কেননা এই ব্যাপারে হাদীসের বিভিন্নতা রয়েছে; এক হাদীসের মধ্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার থেকে পর্দা করার নির্দেশ দিয়েছেন, আর অপর এক হাদীসের মধ্যে তার থেকে পর্দা করার অনাবশ্যকতার প্রমাণ রয়েছে।

উম্মু সালামা রা. বর্ণিত হাদীসের মধ্যে আছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদেরকে (অন্ধ সাহাবী) ইবন উম্মে মাকতুম রা. থেকে পর্দা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন, তখন তাঁরা বললেন:

«يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَيْسَ أَعْمَى لاَ يُبْصِرُنَا وَلاَ يَعْرِفُنَا فَقَالَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم : «أَفَعَمْيَاوَانِ أَنْتُمَا أَلَسْتُمَا تُبْصِرَانِهِ » .

“হে আল্লাহর রাসূল! সে কি অন্ধ নয়, সে তো আমাদেরকে দেখে না এবং আমাদেরকে চিনতেও পারবে না? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উদ্দেশ্য প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বললেন: তোমারা দু’জনই কি অন্ধ?! তোমরা কি তাকে দেখতে পাও না?!” [আবূ দাউদ, হাদীস নং-৪১১৪]

সুতরাং এই হাদীসটি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পুরুষ ব্যক্তি থেকে নারীর পর্দা করার আবশ্যকতার ওপর প্রমাণ পেশ করে।

আর ফাতেমা বিনতে কায়েস রাদিয়াল্লাহ ‘আনহা বর্ণিত হাদীসের মধ্যে আছে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আবদুল্লাহ ইবন উম্মে মাকতুম রাদিয়াল্লাহ ‘আনহুর ঘরে ইদ্দত পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি বলেছেন:

«... فَإِنَّهُ رَجُلٌ أَعْمَى تَضَعِينَ ثِيَابَكِ عِنْدَهُ » .

“...কারণ, সে হলো অন্ধ ব্যক্তি, তুমি তোমার কাপড় টানিয়ে তার থেকে আড়াল করবে।” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৭৭০]

আর অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য দলীল (আল্লাহই সবচেয়ে বেশি ভালো জানেন) হলো, তার উপরে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পুরুষ ব্যক্তি থেকে পর্দা করা আবশ্যক নয়; অর্থাৎ তার উপস্থিতিতে তার (নারীর) চেহারা ঢেকে রাখা ওয়াজিব নয়; কিন্তু তার (নারীর) জন্য পুরুষ ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টি দেওয়া বৈধ হবে না।

ইমাম শাওকানী রহ. যখন এই হাদীস দু’টি নিয়ে আলোচনা করেন, তখন তিনি বলেন, “জবাবে বলা হয়, হতে পারে তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের নিকট থেকে তাদের দৃষ্টি অবনমিত করার বিষয়টি প্রত্যাশা করেছেন, যাতে ঘরের মধ্যে সমবেত হওয়া এবং দৃষ্টির মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন না হয়।”

শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমিয়্যা রহ. বলেন, “অধিকাংশ আলেমের মতে, নারীর জন্য মূলত অপরিচিত পুরুষদের দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে অথবা স্বাভাবিক দৃষ্টিতে তাকানো বৈধ নয়।”

আর এটা এই জন্য যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ ... [ النور : ٣١ ]

“আর মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনমিত করে ...।” [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩১]

শাইখ আল-ফাওযান

মুসলিম নারীর ফাতাওয়া ( فتاوى المرأة المسلمة ): ১/২৪৫

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন