hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নির্বাচিত ফাতাওয়া

লেখকঃ মিরফাত বিনতে কামিল আবদিল্লাহ উসরা

৪৫
গাড়ীর চালকের সাথে ছাত্রীদের ভ্রমণ
প্রশ্ন: প্রশ্নকারী বলেন, কিছু সংখ্যক মানুষ (আল্লাহ তাদেরকে হিদায়াত দান করুক) তাদের মেয়েদেরকে মাদরাসা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে অপরিচিত ড্রাইভারদের সাথে প্রেরণ করেন এবং তারা এই কাজের ফলাফলের দিকে লক্ষ্য করেন না। সুতরাং আমি (আপনাদের নিকট) তাদের উদ্দেশ্যে নসিহত বা উপদেশ কামনা করছি, বিশেষ করে মাদরাসাসমূহ খোলার সময়ের ব্যাপারে?

উত্তর: এই কাজটি দু’ভাবে হতে পারে:

প্রথমত: চালকের সাথে যাত্রী হিসেবে কয়েকজন নারী হওয়া, যেখানে তাদের কেউ একাকী নয়। সুতরাং এমতাবস্থায় তাতে কোনো সমস্যা নেই, যখন তা শহরের অভ্যন্তরে হবে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «لا يخلون رجل بامرأة» “অবশ্যই কোনো একজন পুরুষ একজন নারীকে নিয়ে নির্জনে অবস্থান করবে না”, আর এটা নির্জনতা নয়; তবে শর্ত হলো চালকের মধ্যে আমানতদারিতা থাকতে হবে। সুতরাং চালক যদি বিশ্বস্ত না হয়, তবে মহিলাদের সাথে প্রাপ্তবয়স্ক বুদ্ধিমান মাহরাম পুরুষ না থাকলে তার সাথে ভ্রমণ করা বৈধ হবে না।

দ্বিতীয়ত: চালক কর্তৃক পৃথকভাবে শুধু একজন মহিলা যাত্রীকে নিয়ে যাওয়া বৈধ হবে না, যদিও তা এক মিনিটের জন্য হউক। কারণ, একাকীভাবে পৃথক হওয়াটাই নির্জনতা, আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই কাজ থেকে তাঁর বাণীর মাধ্যমে নিষেধ করেছেন: «لا يخلون رجل بامرأة» “অবশ্যই কোনো একজন পুরুষ একজন নারীকে নিয়ে নির্জনে অবস্থান করবে না” এবং তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাদের তৃতীয়জন হলো শয়তান।

আর এর ওপর ভিত্তি করে নারীদের যথাযধ অভিভাবক ও কর্তৃপক্ষের জন্য এই পরিস্থিতিতে তাদেরকে চালকদের সাথে ছেড়ে দেওয়া বৈধ হবে না, যেমনিভাবে নারীর জন্যও তার মাহরাম পুরুষ ছাড়া চালকের সাথে যাত্রী হওয়া বৈধ নয়। কেননা তা হচ্ছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবাধ্যতা, যা আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলার অবাধ্যতারই নামান্তর। কারণ, কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আনুগত্য করলে, সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدۡ أَطَاعَ ٱللَّهَۖ ﴾ [ النساء : ٨٠ ]

“কেউ রাসূলের আনুগত্য করলে, সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করল।” [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৮০]

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন,

﴿... وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلَٰلٗا مُّبِينٗا ٣٦ ﴾ [ الاحزاب : ٣٦ ]

“...আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করল, সেই ব্যক্তি স্পষ্টভাবে পথভ্রষ্ট হলো।” [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৬]

সুতরাং আমাদের মুসলিম ভাইদের আবশ্যকীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো, আমরা আল্লাহর অনুগত বান্দা হব তাঁর নির্দেশ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ পালন করার মাধ্যমে। যেহেতু এর মধ্যে রয়েছে বড় ধরনের উপকার এবং প্রশংসনীয় ফলাফল, আর আমাদের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর আবশ্যক হলো, আমরা আমাদের মাহরামা নারীদের ব্যাপারে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী হব। সুতরাং আমরা তাদেরকে শয়তানের হাতে তুলে দিতে পারি না যে, সে তাদেরকে নিয়ে খেল-তামাশা করবে, অতঃপর সে ফিতনা (বিপর্যয়) ও পথভ্রষ্টতার দিকে নিয়ে যাবে।

আর আমি আমার ভাইদেরকে আল্লাহ তা‘আলা কর্তৃক আমাদেরকে দুনিয়ার যে চাকচিক্য দিয়েছেন সেটা দ্বারা ধোকাগ্রস্থ হয়ে অবহেলা ও বেপরোয়া আচরণ থেকে সতর্ক করছি, আর আমরা সতর্ক করছি এই আয়াতের কারণে, যাতে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

﴿وَأَصۡحَٰبُ ٱلشِّمَالِ مَآ أَصۡحَٰبُ ٱلشِّمَالِ ٤١ فِي سَمُومٖ وَحَمِيمٖ ٤٢ وَظِلّٖ مِّن يَحۡمُومٖ ٤٣ لَّا بَارِدٖ وَلَا كَرِيمٍ ٤٤ إِنَّهُمۡ كَانُواْ قَبۡلَ ذَٰلِكَ مُتۡرَفِينَ ٤٥ وَكَانُواْ يُصِرُّونَ عَلَى ٱلۡحِنثِ ٱلۡعَظِيمِ ٤٦﴾ [ الواقعة : ٤١، ٤٦ ]

“আর বাম দিকের দল, কত হতভাগ্য বাম দিকের দল! তারা থাকবে অত্যন্ত উষ্ণ বায়ু ও উত্তপ্ত পানিতে, আর কালো বর্ণের ধূঁয়ার ছায়ায়, যা শীতল নয়, আরামদায়কও নয়। ইতোপূর্বে তারা তো মগ্ন ছিল ভোগ-বিলাসে, আর তারা অবিরাম লিপ্ত ছিল ঘোরতর পাপকাজে।” [সূরা আল-ওয়াকিয়া, আয়াত: ৪১-৪৬] আর আমরা অবশ্যই স্মরণ করি আল্লাহ তা‘আলা বাণী:

﴿ وَأَمَّا مَنۡ أُوتِيَ كِتَٰبَهُۥ وَرَآءَ ظَهۡرِهِۦ ١٠ فَسَوۡفَ يَدۡعُواْ ثُبُورٗا ١١ وَيَصۡلَىٰ سَعِيرًا ١٢ إِنَّهُۥ كَانَ فِيٓ أَهۡلِهِۦ مَسۡرُورًا ١٣ ﴾ [ الانشقاق : ١٠، ١٣ ]

“আর যাকে তার ‘আমলনামা তার পিঠের পিছন দিক থেকে দেওয়া হবে, সে অবশ্যই তার ধ্বংস ডাকবে এবং জ্বলন্ত আগুনে দগ্ধ হব। নিশ্চয় সে তার স্বজনদের মধ্যে আনন্দে ছিল।” [সূরা আল-ইনশিকাক, আয়াত: ১০-১৩]

শাইখ ইবন ‘উসাইমীন

ফাতাওয়ায়ে মানারুল ইসলাম ( فتاوى منار الإسلام ): ৩/৮২২

(ঈষৎ পরিবর্তিত)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন