hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নির্বাচিত ফাতাওয়া

লেখকঃ মিরফাত বিনতে কামিল আবদিল্লাহ উসরা

৬৯
আলেমদের মধ্যে ফিকহী বিরোধের ক্ষেত্রে জ্ঞান অনুসন্ধানী ছাত্রের ভূমিকা
প্রশ্ন: আমি শরী‘আহ অনুষদের প্রথম বর্ষের ছাত্র; অনেক বিরোধপূর্ণ মাসআলা আমাদের নিকট পেশ করা হয়, আর এসব মাসআলার ক্ষেত্রে কোনো কোনো অধিক গ্রহণযোগ্য মাসআলা এখনকার সময়ের আলেমদের কোনো কোনো বক্তব্যের বিপরীত অথবা আমরা মাসআলাসমূহ গ্রহণ করি, কিন্তু সেগুলো থেকে অগ্রাধিকার দেওয়ার মত কিছু নেই; ফলে আমরা আমাদের কাজে-কর্মে হয়রানির শিকার হই। সুতরাং বিরোধপূর্ণ মাসআলার হুকুমের (বিধানের) ক্ষেত্রে অথবা যখন সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে আমরা প্রশ্নের সম্মুখীন হব, তখন আমরা কী করব? আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম পুরস্কার দান করুন।

উত্তর: প্রশ্নকারী ব্যক্তি যে প্রশ্নটির অবতারণা করেছে, সেটি শুধু শরী‘আহ অনুষদের ছাত্রের প্রশ্নই নয়, বরং এটা সাধারণভাবে প্রত্যেকেরই প্রশ্ন, যখন সে কোনো ফাতওয়াকে কেন্দ্র করে আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ দেখে, তখন সে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে থমকে দাঁড়ায়; কিন্তু বাস্তব অবস্থা হলো, এতে হয়রান হওয়ার কিছুই নেই। কারণ, যখন কোনো মানুষের নিকট একই বিষয়ে বিভিন্ন রকম ফাতওয়া আসবে, তখন সে ঐ ব্যক্তির মতামতের অনুসরণ করবে, যাকে সে তার অধিক জ্ঞান ও ঈমানী শক্তির কারণে সত্যের খুব কাছাকাছি দেখবে; যেমনিভাবে মানুষ যখন অসুস্থ হয়, অতঃপর তার চিকিৎসার ব্যাপারে দু’জন ডাক্তার ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করে, তখন সে ঐ ডাক্তারের কথাকে গ্রহণ করে, তার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র প্রদানে যার কথাটিকে তার নিকট অধিক গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে। আর যদি তার নিকট দু’টি বিষয়ই সমান হয়, অর্থাৎ যদি বিরোধপূর্ণ মতামত পেশকারী দুই আলেমের কোনো একজনকে প্রাধান্য দেওয়া না যায়, তখন আলেমদের কেউ কেউ বলেন, সে কঠিন মতটির অনুসরণ করবে, কেননা এতে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করা হবে, আর কোনো কোনো আলেম বলেন, সে সহজ মতের অনুসরণ করবে। কারণ, এটাই ইসলামী শরী‘আতের মূলনীতি; আবার কেউ কেউ বলেন, তার জন্য এটা এবং ঐটা উভয়টার যে কোনো একটা গ্রহণ করার ব্যাপারে স্বাধীনতা থাকবে, আর অধিক গ্রহণযোগ্য কথা হলো, সে সবচেয়ে সহজ মতামতটি গ্রহণ করবে। কারণ, এটা ইসলামী জীবন ব্যবস্থার সহজ-সরলতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কেননা আল্লাহ (তাবারাকা ওয়া) তা‘আলা বলেন,

﴿ يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلۡيُسۡرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلۡعُسۡرَ﴾ [ البقرة : ١٨٥ ]

“আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তোমাদের জন্য কষ্ট চান না।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৫]

তিনি আরও বলেন,

﴿ وَمَا جَعَلَ عَلَيۡكُمۡ فِي ٱلدِّينِ مِنۡ حَرَجٖۚ ﴾ [ الحج : ٧٨ ]

“তিনি দীনের ব্যাপারে তোমাদের ওপর কোনো সংকীর্ণতা রাখেন নি।”- [সূরা আল-হাজ, আয়াত: ৭৮]

আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«يَسِّرُوا وَلَا تُعَسِّرُوا» .

“তোমরা সহজ কর, কঠিন বা জটিল করো না।” [আহমাদ] আর যে কোনো বস্তুর ব্যাপারে মূলকথা বা মৌলিক নীতিমালা হচ্ছে, ‘দায়দায়িত্ব বা জিম্মাদারী (কঠিনতা থেকে) মুক্ত থাকা’ যতক্ষণ না সে দায়-দায়িত্ব বা জিম্মাদারী (মত কঠিনতা) মুক্ত না হওয়ার ব্যাপারটি সাব্যস্ত হবে।

আর এই কায়দা বা নিয়ম ঐ ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য, যে ব্যক্তি নিজে নিজে সঠিক বিষয় অনুধাবন করতে সক্ষম নয়। সুতরাং সে যদি সত্য অনুধাবন বা উদঘাটনে সক্ষম হয়, যেমন, সে এমন ছাত্র, যে এই মাসআলার মধ্যে কি বলা হয়েছে, তা পাঠ করতে, অতঃপর তার নিকট বিদ্যমান শরী‘আতের দলীলসমূহের মাধ্যমে যা তার নিকট শ্রেষ্ঠ মনে হয়, তা প্রাধান্য দিতে সক্ষম; তাহলে এমতাবস্থায় তার ওপর জরুরি হলো, সে গবেষণা করবে ও পড়াশুনা করবে, যাতে সে এসব মতামত থেকে সবচেয়ে বিশুদ্ধ মতটি সম্পর্কে জানতে পারে, যেসবের ব্যাপারে আলেমগণ মতবিরোধ করেছেন।

শাইখ ইবন ‘উসাইমীন

ফাতাওয়া ( فتاوى ): ১/৪৫

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন