hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের উপর ৪০টি অভিযোগ এবং তার প্রমাণ ভিত্তিক জবাব

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

১০
প্রশ্ন-৯. ইসলামে উত্তরাধিকারে নারীর অংশ পুরুষের অর্ধেক কেন?
উত্তর : কুরআন মাজীদে এমন অনেক আয়াত আছে যাতে উত্তরাধিকার বণ্টনের ব্যাপারে বিধান বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন২ নং সূরা বাকারা, আয়াত নং ১৮০ ও ২৪০ ৪ নং সূরা নিসা, আয়াত নং ৭, ৯, ১৯ ও ৩৩ ৫ নং সূরা মায়িদা, আয়াত নং ১০৬ থেকে ১০৮ কুরআন মাজীদের তিন আয়াতে নিকটাত্মীয়দের উত্তরাধিকারে অংশ পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যার মধ্যে দু’আয়াত এরূপ ৪ নং সূরা নিসা আয়াত নং ১১ ও ১২

অর্থ : আল্লাহ তাআলা উত্তরাধিকারে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে তোমাদের জন্য বিধান জারি করছেন যে, এক ছেলের অংশ হবে দুই কন্যা সন্তানের মতো। কিন্তু কন্যারা যদি দুয়ের অধিক হয় তাহলে তাদের জন্য সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ আর কন্যা যদি একজন হয় তাহলে তার অংশ হবে অর্ধেক। মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকলে তার পিতামাতার প্রত্যেকের জন্য থাকবে ছয় ভাগের একভাগ, মৃত ব্যক্তির যদি কোনো সন্তান না থাকে এবং শুধু পিতা-মাতা থাকে তাহলে মায়ের অংশ হবে তিন ভাগের এক ভাগ, যদি মৃত ব্যক্তির কোন ভাই-বোন বেঁচে থাকে তাহলে তার মায়ের অংশ হবে ছয় ভাগের এক ভাগ, তার ওসিয়ত পূরণ ও ঋণ আদায়ের পরই এসকল ভাগ হবে।

তোমরা জানো না তোমাদের পিতা-মাতা ও সন্তান-সন্তুতির মধ্য থেকে উপকারের দিক থেকে কে তোমাদের বেশি নিকটবর্তী। এ হচ্ছে আল্লাহর বিধান অবশ্যই আল্লাহ তাআলা সকল কিছু সম্পর্কে ওয়াকিফহাল এবং তিনিই হচ্ছেন মঙ্গলময়। তোমাদের স্ত্রীদের রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে তোমাদের অংশ হচ্ছে অর্ধেক, যদি তাদের কোনো সন্তানাদি না থাকে, আর যদি তাদের সন্তান থাকে, তাহলে তোমাদের অংশ হবে চার ভাগের একভাগ। তাদের কৃত অসিয়ত পূরণ ও ঋণ

পরিশোধের পর। তোমাদের স্ত্রীদের জন্য তোমাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তির এক চতুর্থাংশ, যদি তোমাদের সন্তান না থাকে। যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তাহলে তারা পাবে রেখে যাওয়া সম্পত্তির আট ভাগের একভাগ, অসিয়ত পূরণ ও ঋণ পরিশোধ করার পর। যদি কোনো পুরুষ কিংবা নারী এমন হয় যে, তার কোনো সন্তানও নেই, পিতা-মাতাও নেই, তার শুধু এক ভাই এক বোন আছে, তাহলে তাদের সবার জন্য থাকবে ছয় ভাগের এক ভাগ, তারা যদি এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে সকলে মিলে পাবে এক-তৃতীয়াংশ, মৃত ব্যক্তির অসিয়ত পূরণ ও ঋণ পরিশোধের পর। কোনোরূপ ক্ষতি ছাড়াই। এ হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশ। আল্লাহ তাআলা সর্বজ্ঞানী ও পরম ধৈর্যশীল।

৪ নং সূরা নিসার ১৭৬ নং আয়াতে মহান রব আরো বলেন

অর্থ : (হে নবী!) তারা আপনার নিকট ফতোয়া জিজ্ঞেস করে। আপনি বলুন, আল্লাহ তাআলা সেই ব্যক্তির (উত্তরাধিকারের ব্যাপারে তোমাদের তার সিদ্ধান্ত অবহিত করছেন। যার পিতা-মাতা কেউ-ই নেই আবার নিজেরও কোনো সন্তান নেই, এ ধরনের কোনো সন্তানহীন ব্যক্তি যদি মারা যায় এবং তার একটি বোন থাকে, তাহলে বোনটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধেকের মালিক হবে। অপরদিকে সে যদি নিঃসন্তান হয় তাহলে সে তার বোনের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে। যদি তারা দু’জন হয় তাহলে তারা দুই বোন সেই পরিত্যক্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দুই ভাগের মালিক হবে। যদি ভাই-বোনেরা কয়েকজন হয় তাহলে মেয়েদের একভাগ ও পুরুষের দুই ভাগ (১:২)।

আল্লাহ তাআলা উত্তরাধিকারের এ আইন-কানুনকে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে তোমাদের জন্য বলে দিয়েছেন যাতে করে তোমরা (কোনোরূপ) বিভ্রান্ত হয়ে না পড়, আল্লাহ তাআলা সবকিছুর ব্যাপারেই পূর্ণ জ্ঞান রাখেন। বেশিরভাগ নারীদের অংশ পুরুষের অর্ধেক তবে সর্বদা এমন নয়। যদি মৃতের মাতা-পিতা এবং ছেলে-মেয়ে না থাকে কিন্তু মায়ের পক্ষ থেকে ভাই-বোন থাকে তা হলে উভয়ে ৬ ভাগের ১ অংশ করে পাবে।

যদি মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকে তাহলে পিতা-মাতা উভয়ে ৬ ভাগের ১ অংশ করে লাভ করবে। কয়েকটি ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারী দ্বিগুণ সম্পত্তি পাবে। যদি মৃতা স্ত্রী হয় এবং তার সন্তান এবং ভাই-বোন না থাকে এবং তার স্বামী এবং মা-বাপ থাকে তাহেল স্বামীকে অর্ধেক এবং মাকে ১ চতুর্থাংশ অংশ এবং পিতাকে ৬ ভাগের ১ অংশ দিতে হবে। এ অবস্থায় মায়ের অংশ পিতার দ্বিগুণ ঐ কথা ঠিক যে, সাধারণভাবে নারীদের পুরুষের তুলনায় অর্ধেক অংশ মিলে। যেমন কন্যার অংশ অর্ধেক। স্ত্রীদের ৮ ভাগের ১ অংশ যেখানে স্বামীদের ৪ ভাগের ১ অংশ। মৃতের সন্তান

থাকলে তাহলে স্ত্রীর ৪ ভাগের ১ অংশ এবং স্বামীর ২ ভাগের ১ (অর্ধেক) অংশ। মৃতার সন্তান না থাকে এবং মৃতের মা-বাপ বা সন্তান না থাকে এবং মৃতের মা-বাপ বা সন্তান না থাকে, তাহলে বোন ভাইয়ের অর্ধেক অংশ লাভ করবে। বেশিরভাগ স্থানে নারীর

অংশ পুরুষের তুলনায় অর্ধেকই। যখন স্ত্রী এবং কন্যার কথা বলা হবে। কিন্তু এর উত্তর এই যে, যেহেতু পুরুষের ওপর বংশ রক্ষার বোঝা চাপানো হয়েছে। এজন্য পুরুষের ওপর অবিচার না হয়, আল্লাহ নারীর তুলনায় পুরুষকে বড় অংশ প্রদান করেছেন। আমি এখানে একটি উদাহরণ দিতে চাই। এক লোকের মরণোত্তর তার সম্পদ বণ্টন করা হচ্ছে। তার দু'সন্তান ছিল। এক ছেলে ও এক মেয়ে। দুজনের দেড় লাখ রুপি।

ছেলে এক লাখ এবং মেয়ে ৫০ হাজার রুপি পেল ইসলামি আইন মোতাবেক। কিন্তু যে ছেলের এক লাখ রুপী মিলল তার অধিকতর অংশ নিজের পরিবারের দায়ভারের পেছনে খরচ করতে হলো। সম্ভবত ৮০ হাজার ৮৫ হাজার অথবা এক লাখ রুপি। এর বংশীয় দায় দায়িত্বের জন্য খরচ করতে হয়। কিন্তু সেই বোন যে, ৫০ হাজার রুপি পেল তার বংশীয় বা পারিবারিক ব্যয় বাবদ এক পয়সাও খরচ করার প্রয়োজন হয় না। যে এক লাখ রুপি নিল তার পরিবারের (অপরের) জন্য ৮০ হাজার বা তার চেয়ে অধিক খরচ হয়ে গেল। এদিকে যিনি ৫০ হাজার পেলেন তার নিকট সারা জীবন তা থেকে যাবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন