hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের উপর ৪০টি অভিযোগ এবং তার প্রমাণ ভিত্তিক জবাব

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

প্রশ্ন-৪ মুসলমানদের অধিক হারে মৌলবাদী ও একমুখী দেখা যায় কেন?
উত্তর : এই প্রশ্ন বেশিরভাগ ধর্মমতের বিতর্ক ও বিশ্ব বিষয়াবলির বিষয়ে ওঠানো হয়। কঠিন ধর্ম বিশ্বাস ও মৌলবাদের সাথে মুসলমানদের উল্লেখ বিশ্বব্যাপী বারবার করা হচ্ছে। এর সাথে সাথে মুসলমানদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ করে দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রচার প্রপাগান্ডার চূড়ান্ত করা হচ্ছে যা তাদেরকে বিরুদ্ধ বৈশিষ্ট্যের কাঠিন্যের প্রবক্তা হিসেবে দেখানো হচ্ছে। কোথাও বোমা ফাটানো হলে আমেরিকার মিডিয়াগুলো ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় এবং মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানদের এ কাজের জন্য উৎসাহদাতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়। অথচ যেখানকার অপরাধী ছিল এক আমেরিকার সৈন্য। এখন আমরা এ সকল অভিযোগের অসারতা প্রমাণ করব।

মৌলবাদী ঐ লোককে বলা হয়, যে ব্যক্তি নিজ বিশ্বাস বা দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা মূল কথাগুলোকে সবচেয়ে আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে এবং তার ওপরে আমল করে। যদি কোনো ব্যক্তি উত্তম ডাক্তার হতে চায় তাহলে তাকে মেডিকেলের মৌলিক কথাগুলোর জ্ঞানার্জন করতে হবে এবং তার উপর আমলের নিষ্ঠাও থাকতে হবে। যদি কেউ উত্তম ব্যায়ামবীর হতে চায় তাকেও ব্যায়ামের মৌলিক কথা-বার্তা জানতে হবে। দ্বিতীয় কথায়, একজন ডাক্তারকে অনুরূপভাবে এবং একজন ব্যায়ামবীরকে নিজস্ব বিষয়ে মৌলবাদী (Fundamentalist) হতে হবে। ঠিক এরূপভাবে একজন বৈজ্ঞানিক প্রথমত বিজ্ঞানকে সম্পূর্ণ জানতে হবে এবং দ্বিতীয় যুক্তিতে তাকে বৈজ্ঞানিক বিষয়াবলিতে মৌলবাদী হতে হবে। এরূপভাবে একজনকে দ্বীনি বিষয়েও মৌলবাদী হতে হবে। মূলত সকল মৌলবাদী এক রূপ নয় এবং সকল মৌলবাদীকে এক রকম সংজ্ঞায় ফেলে বিচার করা যাবে না।

মৌলিকভাবে মৌলবাদকে খারাপ বা ভালো এরূপ গ্রুপে ভাগ করা যাবে না। কারো মৌলবাদী হওয়া এ কথার ওপর সীমাবদ্ধ যে সে কোন ধরনের বিষয়ের মৌলবাদী। একজন মৌলবাদী ডাকাত বা চোর নিজ পেশায় মৌলবাদী হয়, যে মানুষের জন্য কষ্টের কারণ হয়। এ কারণে তাকে অপছন্দ করা হয়। এর বিপরীত একজন (মৌলবাদী) ডাক্তার মানুষের জন্য যথেষ্ট কল্যাণকর এবং সম্মানেরই হয়ে থাকেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি একজন মৌলবাদী মুসলমান, ইসলামের মৌলিক বিষয়াদি জানি এবং তার ওপরে আমল করার চেষ্টারত আছি। কোনো মুসলমানের মৌলবাদী হওয়া লজ্জার কোনো বিষয় নয়। আমি মৌলবাদী মুসলমান। এ জন্য গৌরববোধ করি। কেননা আমি জানি ইসলামের মৌলিক নীতিমালা শুধু মানবতার জন্যই নয়, সারা বিশ্বের জন্য উপকারী। ইসলামের এমন কোনো মৌলিক নীতি নেই যা মানবতার কল্যাণ করে না বা তার ভেতরে কোনো ক্ষতি আছে। অনেক লোক ইসলাম সম্পর্কে ভুল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। ইসলাম সম্পর্কে তাদের অনেক জ্ঞান সঠিক নয় এবং তা ইসলামের ভিত্তির ওপরেও নেই।

এ ধরনের বুঝ ইসলাম সম্পর্কে ভুল ও অসম্পূর্ণ জ্ঞান থেকে হয়। যদি কোনো ব্যক্তি খোলা মন-মগজ থেকে ইসলামের শিক্ষা সম্পর্কে জানে, তাহলে এ সত্য গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না যে, ইসলাম ব্যক্তি ও সামাজিক দিক দিয়ে উপকারী। ওয়েবস্টার-এর ইংরেজি ডিকশনারি অনুযায়ী Fundamentalism ছিল এমন এক আন্দোলন যা বিংশ শতাব্দীতে আমেরিকার প্রোটেস্ট্যান্টরা আরম্ভ করে। এ আন্দোলনে নতুনত্বের প্রতিবাদ ছিল এবং এ সকল লোকেরা আকিদা ও আখলাকের ভিত্তিতে নয় বরং ঐতিহাসিক রেকর্ডের ভিত্তিতে বাইবেলের ভুল থেকে পবিত্র করার ওপর জোর দান করতে থাকেন।

তারা এও বলতে থাকেন যে, বাইবেলের মূলে বহু খোদার বাক্য আছে। ‘মৌলবাদ' এমন এক পরিভাষা যা প্রথমে খ্রিস্টানদের এক দল সম্পর্কে ব্যবহার করা হয় যারা বিশ্বাস করে যে, বাইবেলের প্রত্যেকটি অক্ষর আল্লাহর বাণী এবং এর মধ্যে কোনো কম বেশি বা ভুল নেই। কিন্তু আজ অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুযায়ী মৌলবাদ হলো কোনো বিশেষ ধর্ম, বিশেষ করে ইসলামের মূল বা ভিত্তির ওপরে আমল করা। পশ্চিমা পণ্ডিতগণ এবং তাদের মিডিয়াগুলো মৌলবাদের অভিযোগ থেকে খ্রিস্টানদের অব্যাহতি দিয়ে মুসলমানদের ওপর বিশেষভাবে এ অভিযোগ চাপাচ্ছে। আজ ‘মৌলবাদ’ পরিভাষা যখনই ব্যবহৃত হয় তখনই ব্যবহারকারীর মগজে তৎক্ষণাৎ এমন এক মুসলমানের চিত্র ভেসে ওঠে, যে এদের দৃষ্টিতে নিষ্ঠাবান। সকল মুসলমানেরই নিষ্ঠাবান হওয়া জরুরি।

নিষ্ঠাবান এমন ব্যক্তিকে বলা হয়, যে তার আকিদাকে প্রচার করে। যদি কোনো ডাকাত কোনো পুলিশ দেখে তাহলে তার দ্বারা সে ভীত হয়। দ্বিতীয় ভাষায় পুলিশ ডাকাতের জন্য ভীতি উদ্রেককারী। এভাবে সকল মুসলমান চোর-ডাকাত এবং ব্যভিচারী এবং সাধারণের শত্রুদের জন্য ভীতি উদ্রেককারী হতে হবে এবং এ ধরনের লোক যখন কোনো মুসলমানকে দেখবে তখন তার মধ্যে ভীতির সঞ্চার করবে।

এটা বৈধ যে, এ শব্দ সাধারণভাবে এ ধরনের লোকের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে যে ব্যক্তি সাধারণ লোকদের জন্য ভীতিপ্রদ। কিন্তু একজন ভালো মুসলমান যিনি বিশেষ কিছু লোক যারা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তাদের জন্য ভীতির কারণ হবে, বরং সাধারণ লোকদের জন্য নয়। মূলকথা হলো একজন মুসলমান নিরপরাধ জনসাধারণের জন্য নিরাপত্তা ও শান্তির প্রতীক হবেন।

হিন্দুস্তানের স্বাধীনতার পূর্বে ইংরেজ শাসনামলে কিছু কিছু মুজাহিদ যারা তার সাহায্যকারী ছিলেন না, যাদেরকে ইংরেজরা রাষ্ট্রসন্ত্রাসী বলতো। কিন্তু সাধারণ লোকজনের নিকট তারা জনগণ ও দেশের বন্ধু ছিল। এ সকল লোকদের দু'রকমের নাম ছিল। যারা মনে করতো ইংরেজদের হিন্দুস্তান শাসন করার অধিকার ছিল, তাদের নিকট তারা ছিল সন্ত্রাসী। যারা মনে করতো ইংরেজদের হিন্দুস্তান শাসন করার কোনো অধিকার নেই তারা তাদেরকে দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী যোদ্ধা বলতো।

এজন্য এটা খুবই জরুরি যে, কোনো ব্যক্তির কোন কর্মের ব্যাপারে ফায়সালা করার পূর্বে তার অবস্থান শুনতে হবে। উভয় পক্ষের প্রমাণাদি শোনার পর সুরতহাল নিয়ে এ ব্যক্তির দলিল ও উদ্দেশ্য দেখে তার সম্পর্কে রায় দেয়া যাবে। ‘ইসলাম' শব্দটি সালাম’ শব্দ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। যার অর্থ শান্তি।

এটা শান্তি ও নিরাপত্তার ধর্ম। যা অনুসারীদের দুনিয়ায় শান্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার শিক্ষা প্রদান করে। এজন্য সকল মুসলিমের মৌলবাদী হবার দরকার। এই দ্বীন, যা নিরাপত্তার ধর্ম তার মূল ভিত্তির ওপর আমল করা দরকার এবং সে সমাজের দুশমনদের জন্য ভীতি সৃষ্টিকারী হওয়াও দরকার। এ জন্য যে, সমাজে শান্তি, নিরাপত্তা, ন্যায় ও ইনসাফের জয়-জয়কার থাকে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন