hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের উপর ৪০টি অভিযোগ এবং তার প্রমাণ ভিত্তিক জবাব

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

২৭
প্রশ্ন-২৬. কুরআনের কয়েক স্থানে একথা বলা হয়েছে যে, আল্লাহ অত্যন্ত দয়াশীল ও ক্ষমাশীল। আবার এর সাথে একথাও বলেছেন যে, তিনি কঠিন শাস্তিদাতা। আসলে তিনি কি ক্ষমাশীল নাকি শাস্তিদাতা?
উত্তরঃ আল কুরআনের কোনো অবস্থায় একথা বলা হয়েছে যে, আল্লাহ খুবই দয়াশীল। আল কুরআনের ৯ নং সূরা তাওবা ব্যতীত সকল সূরা এ সুন্দর বাণীপরমদাতা ও দয়ালু আল্লাহর নামে- দ্বারা আরম্ভ হয়েছে। আল কুরআনের ৪ নং সূরা নিসা'র ২৫ নং আয়াতে ৫ নং সূরা মায়িদা’র ৭৪ নং আয়াতে এবং আরো বহু স্থানে সংশ্লিষ্ট অবস্থায় ; অর্থ : আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াময়।

বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল ও দয়াময়। এর সাথে তিনি অনেক কঠোরও। যে লোক শাস্তির উপযুক্ত তাকে শাস্তিও দেন। আল কুরআনে কয়েক স্থানে স্বঅবস্থায় আল্লাহ এটাও বলেছেন আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বেদ্বীন ও কাফিরদের কঠিন শাস্তি দিবেন। তিনি তাদের শাস্তি দিবেন যারা তাঁর নাফরমানি করবে। কয়েকটি আয়াতে বিভিন্ন প্রকারের শাস্তির কথা বর্ণিত আছে যা দোযখে নাফরমানদের দেয়া হবে। ৪ নং সূরা নিসার ৫৬ নং আয়াতে মহান রব ইরশাদ করেন

অর্থ : যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে তাদের অচিরেই আমি জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো, অতঃপর যখন পুড়ে চামড়া গলে যাবে, তখনই আমি তার বদলে নতুন চামড়া গজিয়ে দিব, যাতে তারা আযাব ভোগ করতে পারে। অবশ্যই আল্লাহ তাআলা মহান পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ কৌশলী। প্রশ্ন হলো, আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল নাকি শাস্তি দানকারী? এ বিষয়ের ওপর মনোযোগ জরুরি যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ক্ষমাশীল, দয়াময় সাথে সাথে শাস্তির যোগ্য, খারাপ আমলকারী এবং খারাপ লোকদের জন্য কঠিন শাস্তিও দিবেন তিনি ন্যায়বিচারক। ৪ নং সূরা নিসার ৪০ নং আয়াতে মহান রব ইরশাদ করেন

অর্থ : নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা এক অণু পরিমাণ জুলুমও করেন না।

২১ নং সূরা আম্বিয়ার ৪৭ নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে

অর্থ : কিয়ামতের দিন আমি ন্যায় বিচারের জন্য একটি মানদণ্ড স্থাপন করব, অতঃপর সেদিন কারো ওপরই কোনো রকম জুলুম করা হবে না। যদি সামান্য সরিষা দানা পরিমাণ আমলও থাকে আমি এনে হাজির করব। হিসাব নেবার জন্য আমিই যথেষ্ট। কোনো শিক্ষক কি ঐ ছাত্রকে ছেড়ে দেবেন যে পরীক্ষায় নকল করে কোনো ছাত্রকে যদি পরীক্ষায় নকল করা অবস্থায় পায় এবং পরীক্ষক হাতে হাতে ধরে ফেলেন তাহলে কি শিক্ষক একথা বলেন যে, সে বড়ই দয়ার যোগ্য এবং পুনরায় তাকে নকল করার অনুমতি দিয়ে দেয়? যদি এরূপ করে তাহলে তাকে পরিশ্রমী ছাত্ররা (শিক্ষককে) রহমদীল ও দয়াময় বলবে না বরং অবিচারক বলবে।

শিক্ষকের এমন কাজ অন্য ছাত্রদেরও নকল করার প্রতি উৎসাহিত করবে। যদি শিক্ষকগণ এরূপ করেন এবং দয়াশীল হোন এবং ছাত্রদের নকলে অনুমতি দান করে তাহলে কোনো ছাত্রই পরীক্ষার জন্য পড়াশুনা করবে না এবং তারা নকল করে পরীক্ষায় উন্নতমানে পাস করবে। দৃশ্যত সকল ছাত্রই এ গ্রেডে বিশেষ মানে উত্তীর্ণ হয়ে যাবে এবং কর্মজীবনে ব্যর্থ হয়ে যাবে আর পরীক্ষার সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যাবে। ৬৭ নং সূরা মূলক-এর ২ নং আয়াতে মহান রব ইরশাদ করেন

অর্থ : যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য, কে আমলের দিক দিয়ে উত্তম হতে পারে? যদি আল্লাহ তাআলা সব মানুষকে ক্ষমা করে দেন এবং কাউকে শাস্তি না দেন, তাহলে মানুষ আল্লাহ তাআলার আনুগত্য কীভাবে করবে? আমি একথা মানি যে, এ অবস্থায় কোনো লোক জাহান্নামে যাবে না, তবে এর ফলে অবশ্যই পৃথিবীটা জাহান্নামে পরিণত হবে।

যদি একথা প্রচার হয়ে যায় যে, সব মানুষই জান্নাতে যাবে, তাহলে মানুষের এ দুনিয়ায় আগমনের উদ্দেশ্য আর কী থাকলো? এ অবস্থায় দুনিয়ার জীবন আখিরাতের জন্য আর পরীক্ষাগার হিসেবে থাকলো না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা শুধু তওবাকারীকেই ক্ষমা করবেন না, বরং তাকে ক্ষমা করবেন যে নিজ কর্মের ওপর অনুতপ্ত হয়েছে এবং তওবা করেছে। ৩৯ নং সূরা যুমার-এর ৫৩ থেকে ৫৫ নং আয়াতে মহান রব ইরশাদ করেন

অর্থ : বলুন! হে আমার বান্দারা, তোমরা যারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছো, আল্লাহর তাআলার রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। অবশ্যই আল্লাহ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দেবেন, তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। অতএব, তোমরা তোমাদের মালিকের দিকে ফিরে এসো এবং তার নিকট আত্মসমর্পণ কর, তোমাদের ওপর আল্লাহ তাআলার আযাব আসার পূর্বেই।

কেননা আযাব এসে গেলে) অতঃপর তোমাদের আর কোনো সাহায্য করা হবে না। তোমাদের অজান্তে তোমাদের ওপর অতর্কিত আযাব নাযিল হবার পূর্বেই তোমাদের মালিকের নাযিলকৃত গ্রন্থের অনুসরণ কর। অনুতপ্ত হওয়ার ও তওবার শর্ত চারটি। তাহলো১. এ কথার ওপর একমত হওয়া যে, একটি খারাপ কাজ করে ফেলেছে। ২. এ কাজ থেকে তৎক্ষণাৎ ফিরে আসা। ৩. পরবর্তীতে কখনো এ পাপ না করা। ৪. যদি এ কাজের দ্বারা কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে তার ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা।

(এভাবে তওবা করলে কঠিন অপরাধীকেও আল্লাহ মাফ করে দেন।)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন