hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের উপর ৪০টি অভিযোগ এবং তার প্রমাণ ভিত্তিক জবাব

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

২৪
প্রশ্ন-২৩. কুরআনে এসেছে যে, জমিনকে তোমাদের জন্য বিছানারূপ বানানো হয়েছে। এ থেকে একথা বুঝা যায় যে, জমিন (ভূমি) চ্যাপ্টা এবং সমতল। একথা কি গ্রহণীয় আধুনিক বিজ্ঞানের মূল সত্তার সাথে বৈপরত করে না?
উত্তর : প্রশ্নে ৭১ নং সূরা নূহ-এর ১৯ নং আয়াতের বরাত দেয়া হয়েছে, যাতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ইরশাদ করেন

অর্থ : আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্যে এ জমিনকে বিছানাস্বরূপ বানিয়েছেন। কিন্তু এ আয়াতে বাক্য পূর্ণ হয় নি। এ আয়াত পরবর্তী আয়াতে আছে যা এর পরবর্তী আয়াতে পরিষ্কার করা হয়েছে। ৭১ নং সূরা নূহ-এর ২০ নং আয়াতে মহান রব ইরশাদ করেন

অর্থ : যেন তোমরা এর বুকে উন্মুক্ত ও প্রশস্ত পথ ধরে চলতে পারো।

এরূপভাবে এ কথা ২০ নং সূরা ত্বহার ৫৩ নং আয়াতে একে পুনরায় বলা হয়েছে

অর্থ : যিনি তোমাদের জন্য জমিনকে বিছানা বানিয়ে দিয়েছেন, তাতে তোমাদের জন্য বহু ধরনের পথ-ঘাটের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আকাশ থেকে বারি বর্ষণ করেছেন। জমিনের উপরিস্তরের পুরুত্ব তেইশ মাইলেরও কম এবং এর তুলনা জমিনের অর্ধাংশের ওপর ধরা হয় যার দৈর্ঘ্য মোটামুটিভাবে ৩,৭৫০ মাইল। তাই জমিনের পুরুত্ব খুবই পাতলা মনে হবে। জমিনের অভ্যন্তরে প্রচণ্ড গরম, তরল এবং যে কোনো প্রকারের জীবনযাপনের জন্য অসম্ভব স্থান।

জমিনের উপরিস্তর গোলাকৃতির ঐ গোলকের ন্যায় যার ওপরে আমরা জীবন নিয়ে আছি। এজন্য কুরআন এটাকে সম্পূর্ণ সঠিকরূপে বিছানা অর্থাৎ কালীন’ এর সাথে তুলনা করেছে। যাতে আমরা ' এর রাস্তা এবং পথের ওপর চলাফেরা করি। কুরআনের মধ্যে এমন কোনো আয়াত নেই যাতে একথা বলা হয়েছে যে, জমিন চ্যাপ্টা অথবা সমতল। কুরআন শুধু জমিনের উপরিস্তরকে সমতল কালীন এর সাথে তুলনা করেছে।

বুঝা যায় যে, কিছু লোকের নিকট ‘কালীন' (বিছানা) কেবল সমতল ভূমির ওপর বিছানো হয়। যদিও পাহাড়ি ভূমি যেমন বড় পাথরের ওপরও বিছানা বিছানো সম্ভব এবং এর অভিজ্ঞতা ভূমির গ্লোব-এর আকারের বড় নমুনা নিয়ে তার ওপর বিছানা বিছিয়ে আরাম করা যায়। বিছানা সাধারণভাবে এমন ছাদের ওপর বিছানো হয়, যার ওপর আরামে চলা যায়। কুরআনে জমিনের উপরিস্তরের উল্লেখ বিছানার ওপর করেছে যার নিচে গরম, তরল এবং জীবনের জন্য অসম্ভব পাওয়া যায়। বিছানা জমিনের ওপর বিছানো, 'কালীন ব্যতীত মানুষের পক্ষে জীবন-যাপন করা সম্ভব নয়। এজন্য কুরআনের এ বক্তব্য শুধু যুক্তির আলোকেই নয় বরং এর মধ্যে এমন এক সত্য বর্ণিত হয়েছে যা ভূমি বিষয়ক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোকেরা বুঝতে পারে। কুরআনের অসংখ্য আয়াতে বলা হয়েছে যে, জমিনকে বিছিয়ে দেয়া হয়েছে। ৫১ নং সূরা যারিয়াত-এর ৪৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে -

অর্থ : আমি এই জমিনকেও তোমাদের জন্য বিছিয়ে দিয়েছি, আমি কত সুন্দরই না বিছিয়ে থাকি। এমনভাবে কুরআনের বহু আয়াতে জমিনকে খোলা বিছানা বা ফেরাশ বলা হয়েছে। যেমন : ৭৮ নং সূরা নাবার ৬, ৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে

অর্থ : আমি কি জমিনকে বিছানা ও পাহাড়কে পেরেকস্বরূপ বানাই নি? কুরআনের এ আয়াতে কোনোরূপ ইঙ্গিতও করা হয় নি যে, আমি জমিনকে চ্যাপ্টা বা সমতল বানিয়েছি। শুধু এটা পরিষ্কার হয় যে, জমিন খোলা ও প্রশস্ত এবং এর কারণও বর্ণনা করা হয়েছে। ২৯ নং সূরা আনকাবুতের ৫৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে

অর্থ : হে আমার বান্দারা যারা আমার ওপর ঈমান এনেছো, আমার জমিন অনেক প্রশস্ত। সুতরাং তোমরা একমাত্র আমারই ইবাদত কর।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন