hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের উপর ৪০টি অভিযোগ এবং তার প্রমাণ ভিত্তিক জবাব

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

প্রশ্ন-৮. ইসলামে দু'জন নারীর সাক্ষ্য একজন পুরুষের সমান কেন?
উত্তর : ইসলামে সর্বদা দু'নারীর সাক্ষ্য একজন পুরুষের সমান নয় এটার ব্যতীক্রম আছে। কুরআন মাজীদে তিন স্থানে নারী-পুরুষের পার্থক্য ব্যতীত সাক্ষীর কথা বর্ণনা করা হয়েছে। উত্তরাধিকার প্রশ্নে ওয়ারিশ-এর ব্যাপারে ওসিয়তের সময় দু’জন ন্যায়বিচারক লোকের সাক্ষ্যদানের প্রয়োজন। যেমন ৫ নং সূরা মায়িদার ১০৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে

অর্থ : হে ঈমানদারগণ! তোমাদের কারো যখন মৃত্যুর সময় এসে উপনীত হয়, ওসিয়ত করার এ মুহূর্তে তোমরা তোমাদের মধ্য থেকে দু'জন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিকে সাক্ষী বানিয়ে রাখবে, আর যদি তোমরা প্রবাসে থাকো এবং এ সময়ে তোমাদের ওপর মৃত্যুর বিপদ এসে পড়ে, তাহলে বাইরের লোকদের মধ্য থেকে দুজন ব্যক্তিকে সাক্ষী বানিয়ে নেবে। তালাকের ব্যাপারে দু’জন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিকে সাক্ষী বানানোর নির্দেশ আছে। ৬৫ নং সূরা তালাকের ২নং আয়াতে আল্লাহ বলেন

অর্থ : তোমাদের মধ্য থেকে দু'জন ন্যায়পরায়ণ লোককে তোমরা সাক্ষী বানিয়ে রাখবে। তোমরা শুধু আল্লাহর জন্যই এ সাক্ষ্য প্রদান করবে। এরূপভাবে সতী-সাধ্বী স্ত্রীলোকের ব্যাপারে চারজন সাক্ষীর প্রয়োজন। যেমন ২৪ নং সূরা নূর -এর ৪ নং আয়াতে মহান রব ঘোষণা করেন

অর্থ: যারা (খামাখা) সতী-সাধ্বী নারীদের ওপর (ব্যভিচারের) অপবাদ আরোপ করে। অতঃপর চারজন সাক্ষী আনতে পারে না, তাদেরকে আশিটি দোররা মারো, আর তাদের সাক্ষ্য কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না, এরাই অপকর্মকারী। একথা সমীচীন নয় যে, দু’মহিলার সাক্ষ্য সব সময় এক পুরুষের সমান। এ শুধু বিশেষ কয়েকটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ। কুরআন শরীফে পাঁচটি আয়াত এরূপ আছে যাতে নারী-পুরুষের সাক্ষ্যের ব্যাপারে কোনো পার্থক্য করা হয় নি। আর একটি আয়াত এমন আছে যাতে বলা হয়েছে দু'নারীর সাক্ষ্য একজন পুরুষের সমান। এটা ২ নং সূরা বাকারার ২৮২ নং আয়াতে বলা হয়েছে। যে আয়াত সম্পদের আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে কুরআন শরীফের সবচেয়ে বড় আয়াত। যেমন- মহিয়াসের নিম্নোক্ত বাণী

অর্থ : হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা যখন পরস্পরের সাথে নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋণের চুক্তি কর তখন অবশ্যই তা লিখে রাখবে। তোমাদের মধ্যকার যেকোন একজন লেখক সুবিচারের ভিত্তিতে (এ চুক্তিনামা) লিখে দিবে যাকে আল্লাহ তাআলা লেখা শিখিয়েছেন, তাদের কখনো লেখার কাছে অস্বীকৃতি জানানো উচিত নয়। ঋণ গ্রহীতা লেখককে বলে দিবে কী শর্ত সেখানে লিখতে হবে। এ বিষয়ে লেখককে তার আল্লাহ তাআলাকে ভয় করা উচিত। কিছুই যেন সে বাদ না দেয়। যদি ঋণ গৃহীত অজ্ঞ ও মূর্খ হয় এবং সব দিক থেকে দুর্বল অথবা (শর্তাবলি) বলে দেবার ক্ষমতাই সে না রাখে, তাহলে তার পক্ষ থেকে তার কোনো ওলী ন্যায়ানুগ পন্থায় বলে দেবে কী কথা লিখতে হবে। আরো দু’জন পুরুষকে এ চুক্তিনামায় সাক্ষী বানিয়ে নিও।

যদি দু’জন পুরুষ না পাওয়া যায় তাহলে একজন পুরুষ ও দু’জন মহিলা। যাতে করে তাদের একজন ভুলে গেলে দ্বিতীয় জন মনে করিয়ে দিতে পারে। কুরআনে কারীমে এ আয়াত শুধু মালের লেনদেনের জন্য, আর ঐ প্রকারের লেনদেনের মধ্যে একথা বলা হয়েছে যে, এ চুক্তিনামা দুই দলের মধ্যে লিখে নিতে হবে। এজন্য দু’জন সাক্ষী বানিয়ে নিতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে যেন শুধু পুরুষই হয়, যদি পুরুষ না পাওয়া যায়, এ অবস্থায় একজন পুরুষ ও দু'জন নারী যথেষ্ট।

ইসলামে সম্পদের লেনদেনে দু’জন পুরুষকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। ইসলাম পুরুষের ওপর এ আস্থা রাখে যে, সে বংশীয় দায়িত্ব রক্ষা করবে। যেহেতু অর্থনৈতিক দায়-দায়িত্ব পুরুষের ওপর, এজন্য এটা বুঝা যায় যে, সে সম্পদের লেনদেনের ক্ষেত্রে নারীর তুলনায় অধিক সম্পর্ক রাখে। দ্বিতীয় অবস্থায় একজন পুরুষ ও দু'জন নারীর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে এবং যদি একজন নারী ভুলে যায়, অথবা ভুল করে তাহলে দ্বিতীয় জন মনে করিয়ে দেবে। কুরআনে ব্যবহৃত L.

শব্দের অর্থ ইচ্ছেকৃত ভুল করা অথবা অনিচ্ছেকৃত ভুলে যাওয়া। শুধু সম্পদের লেনদেনের ক্ষেত্রে দু’জন নারীর সাক্ষ্য একজন পুরুষের সমান নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বিপরীতে কিছু লোক একথা বলে যে, হত্যার ক্ষেত্রেও নারীর সাক্ষ্য দ্বিগুণ করতে হবে অর্থাৎ দু’জন নারীর সাক্ষ্য একজন পুরুষের সমান হবে। এ ধরনের কাজ-কর্মে একজন নারী পুরুষের তুলনায় বেশি ভীতু হয় এবং সে নিজের আবেগী অবস্থার কারণে অস্থির হয়।

এজন্য অনেক (পণ্ডিত) লোকের মতে হত্যার মতো কাজে দু জন নারীর সাক্ষ্য একজন পুরুষের সমান। কিছু কিছু আলেমের মতে, সকল ক্ষেত্রে দুজন নারীর সাক্ষ্য একজন পুরুষের সমান। এ ব্যাপারে। সকলে একমত হতে পারেন নি। কারণ ২৪ নং সূরা আন-নূরের ৬ থেকে ৯ নং আয়াতে একজন নারীর সাক্ষ্য একজন পুরুষের সমান এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ আছে। যেমন

অর্থ : যারা নিজেদের স্ত্রী (কিংবা স্বামী)-র ওপর (ব্যভিচারের) অপবাদ আরোপ করে অথচ নিজেরা ছাড়া তাদের কাছে অন্য কোনো সাক্ষী না থাকে। তারা আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলবে যে, অবশ্যই সে নিজে সত্যবাদী। পঞ্চমবার বলবে, যদি সে মিথ্যাবাদী হয়, তাহলে তার ওপর যেন আল্লাহ তাআলার গযব নাযিল হয়। স্ত্রীর ওপর থেকে এ ধরনের আনিত অভিযোগের শাস্তি রহিত করা হবে যদি সেও চারবার আল্লাহর নামে কসম করে বলে যে, এই পুরুষ লোকই আসলেই মিথ্যাবাদী। পঞ্চমবার বলবে, পুরুষটি সত্যবাদী হলে আল্লাহর গযব যেন তার ওপর নেমে আসে। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু যিনি আমাদের নবী করীম এর স্ত্রী ছিলেন, তাঁর নিকট থেকে কম বেশি ২ হাজার ২১০টির কাছাকাছি হাদীস বর্ণিত আছে। যা তার একার সাক্ষ্যের ওপরে ভিত্তি করে সনদভুক্ত হয়েছে। এটা এ কথার সাক্ষী যে, একজন নারীর সাক্ষ্যও গ্রহণযোগ্য। অনেক আলেম এ ব্যাপারে একমত যে, চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে একজন নারীর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য। আপনি আন্দাজ করতে পারেন যে, রোযা যেটা ইসলামের মৌলিক ইবাদতের একটি, এ ব্যাপারেও একজন নারীর সাক্ষ্য

গ্রহণযোগ্য এবং তার সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করে গোটা মুসলিম সমাজ রোযা রাখবে। আলেমদের মতে রোযা শুরু করার জন্য এক এবং শেষ করার জন্য দু'জনের সাক্ষ্য প্রয়োজন এবং এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই যে, সে সাক্ষী পুরুষ হোক কিংবা নারী। কিন্তু এমন বিষয়ও রয়েছে যাতে শুধু একজন নারীর সাক্ষ্যই জরুরি যেমন নারীদের মাসআলার ব্যাপারে, মহিলাদের দাফনের জন্য গোসল দেয়া, এ ধরনের বিষয়ে পুরুষের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। সম্পদের লেনদেনের ক্ষেত্রে নারী পুরুষের যে পার্থক্য করা হয়েছে যা অসমতার ভিত্তিতে নয় বরং সমাজে তাদের দায়িত্বের পার্থক্যের কারণে করা হয়েছে। যে দায়িত্ব ইসলাম উভয়কে (ভাগ করে দিয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন