hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের উপর ৪০টি অভিযোগ এবং তার প্রমাণ ভিত্তিক জবাব

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

প্রশ্ন-৭. ইসলাম নারীদের পর্দায় রেখে এদেরকে কি খাটো করে নি?
উত্তর : ধর্মনিরপেক্ষ মিডিয়াগুলোতে ইসলামে নারীদের মর্যাদাকে বেশিরভাগ খাটো করার টার্গেট বানায়। পর্দা অর্থাৎ ইসলামি পোশাকের ব্যাপারে বলা হয় যে, নারীরা ইসলামি শরিআতের দ্বারা নির্যাতিত এবং তাদের দাবিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা ইসলামে পর্দার বিষয়টা পরে বিশ্লেষণ করি। আমরা ইসলাম পূর্ব যুগের নারীর মর্যাদা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিই। ইতিহাস একথার সাক্ষ্য যে, ইসলাম পূর্ব সংস্কৃতিগুলোতে নারীর কোনো অবস্থান ছিল না। এদেরকে শুধুই যৌন তৃপ্তির মাধ্যম মনে করা হতো।

এমনকি এদেরকে মানবতার মূল ভিত্তির সম্মান ও মর্যাদা দেয়ার প্রয়োজন বোধ করা হতো না। বাবেলের সংস্কৃতিতে নারীদের খুঁটি মনে করা হতো এবং তাদের আইনে সে সকল প্রকার অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। যদি কোন পুং কাউকে হত্যা করতো তাহলে তার শাস্তির সাথে সাথে স্ত্রীকেও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতো। গ্রিক সংস্কৃতি যাকে পুরাতন সংস্কৃতির মধ্যে সবচেয়ে উঁচু ও মর্যাদাবান মনে করা হয়। এতেও নারীদের সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল এবং তাদেরকে তুচ্ছ মনে করা হতো। গ্রিক দেউ মালায় এক খেয়ালি নারী ছিল যাকে ‘পান্ডুরা' বলা হয়, যাকে মানুষের দুর্ভাগ্যের মূল মনে করা হয়। এ লোকেরা নারীদের পুরুষের

চেয়ে কম মর্যাদাসম্পন্ন মনে করতো। একথা ঠিক যে, দেশীজোগী মতে নারীদের অনেক মর্যাদাবান মনে করা হতো এবং এ ব্যাপারে তারা বিশেষ গুরুত্বারোপ করতো। পরবর্তীতে এ সংস্কৃতিতেও আমিত্ব ও জাতিভেদ শুরু হয় এবং এদের মধ্যে পার্থক্য সূচিত হয়। রোমের সংস্কৃতি যখন উচ্চ মার্গে আরোহণ করছিল তখন একজন পুরুষের তার স্ত্রীর জীবন হরণের অধিকার ছিল। বৈষম্য ও উলঙ্গপনা এ সভ্যতায় সাধারণ ব্যাপার ছিল। মিসরীয় সভ্যতায় নারী দেহকে খারাপ মনে করা হতো এবং তাদেরকে শয়তানের আলামত মনে করা হতো।

ইসলাম পূর্ব আরবে নারীদের খুবই তুচ্ছ করা হতো এবং সাধারণভাবে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ পিতা ও বংশের জন্য এতোই। অমর্যাদাকর মনে করা হতো যে, তাদেরকে জীবন্ত দাফন করা হতো। ইসলাম নারীদের সম মর্যাদা দান করেছে এবং ১৪০০ বছর পূর্বে তাদের অধিকার নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। ইসলাম এতো গুরুত্ব দিয়েছে যে, নারীকে তার মর্যাদায় রেখেছে। সাধারণভাবে পর্দা শুধু নারীদের জন্য, এরূপ ভাবা হয় অথচ কুরআন মাজীদে পর্দার প্রথম নির্দেশ পুরুষের জন্যই দিয়েছে। যেমন ২৪ নং সূরা নিসা'র ৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে

অর্থ : হে নবী! আপনি মুমিন (পুরুষদের) বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতর। তারা যা কিছু করছে আল্লাহ সে সম্পর্কে ওয়াকিফহাল। এ আয়াতের আলোকে যখন কোনো পুরুষ কোনো গায়রে মুহরিম নারীর ওপর দৃষ্টি দিবে তখনই দৃষ্টিকে নামিয়ে নিবে। এর পরের আয়াতে বলা হয়েছে। ২৪ নং সূরা নিসা’র আয়াত ৩১-এ

অর্থ : হে নবী! আপনি মুমিন নারীদের বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নিম্নগামী রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহকে হেফাজত করে, তারা যেন তাদের সৌন্দর্যকে প্রদর্শন করে না বেড়ায়। তবে শরীরের যে অংশ এমনিতেই খোলা থাকে সেগুলোর কথা আলাদা। তারা যেন তাদের বক্ষদেশকে মাথার কাপড় (ওড়না) বা চাদর দ্বারা আবৃত করে রাখে, তারা যেন তাদের স্বামী, তাদের পিতা, তাদের শ্বশুর, তাদের ছেলে, তাদের স্বামীর আগের ঘরের ছেলে, তাদের ভাই, তাদের ভাইপো, তাদের বোনপো, তাদের নিজেদের মহিলা, অধিকারভুক্ত দাস-দাসী নিজেদের অধিকারভুক্ত এমন পুরুষ যাদের মহিলাদের নিকট থেকে কোনো কিছুই কামনার নেই। কিংবা এমন শিশু যারা মহিলাদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে কিছুই জানে না।

এদের ছাড়া। এ ধারাবাহিকতায় ছয়টি শর্ত রয়েছে। তাহলো১. পুরুষ নিজ নাভী থেকে টাখনু পর্যন্ত ঢেকে রাখার পোশাক পরবে। নারীদের

শরীর ঢেকে রাখবে। যদি হাত ও চেহারা ঢেকে রাখতে পারে তাহলে আরো ভালো। তবে এটা তার জন্য আবশ্যকীয় নয়। সারা শরীর আবৃত রাখা দরকার। শুধু হাতের কজি পর্যন্ত ও চেহারা দেখা যায় তবে দেখার শর্ত পুরুষ

ও নারীর জন্য ভিন্ন ভিন্ন। ২. সে এমন পোশাক পরতে পারবে না যাতে ভেতরের দৃশ্য চোখে পড়ে। ৩. এমন আঁটসাঁট পোশাক পরতে পারবে না যা দ্বারা অঙ্গের ভাঁজগুলো দেখা যায়। ৪. সে এমন কাপড় পরতে পারবে না যা দ্বারা বিপরীত লিঙ্গকে আকৃষ্ট করা হয়। ৫. এমন পোশাক পরা যাবে না যা বিপরীত লিঙ্গের জন্য নির্দিষ্ট এবং তাদের

সাদৃশ্য রাখে। যেমন পুরুষের জন্য ছায়া, ব্লাউজ অথবা শাড়ি পরা। ৬. এমন পোশাক পরা যাবে না যাতে আপনাকে বিধর্মী বা কাফির ধারণা করা হয়।

(যেমন : পৈতা পরা, সিদুর লাগানো ইত্যাদি।)। আসুন! দ্বিতীয়বার প্রশ্নের সুযোগ হতে পারে যে, ইসলাম পর্দার এবং বিপরীত জাতির পার্থক্যের মধ্যে বিশ্বাস করে কেন? আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, মুসলিম সমাজ যে পর্দার সহযোগী আবার কোনো সমাজে পর্দার বিপরীতও আছে। আমেরিকা এমন এক রাষ্ট্র যেখানে সবচেয়ে বেশি অপরাধ হয়। এফ. বি. আই. এর ১৯৯০ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী ১০ হাজার ২৫৫ নারীর সঙ্গে ব্যভিচার করা

হয়েছে। এ হলো ঐ সকল মামলা যেগুলো দায়ের করা হয়েছে। অন্য রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এ হলো সকল অপরাধ ঘটনার শতকরা ১৬ ভাগ মাত্র। যদি আপনি সঠিক চিত্র পেতে চান তাহলে ১০,২৫৫-কে ৬.২৫ দিয়ে পূরণ করুন, দেখবেন শুধু ১৯৯০ সালে ৬,৪০,০০০ নারীর সঙ্গে ব্যভিচার করা হয়েছে। যদি আপনি বছরের দিনগুলো দিয়ে এ সংখ্যাকে ভাগ করুন তাহলে দৈনিক ব্যভিচারের সংখ্যা পাবেন ১,৭৫৬। অর্থাৎ তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিদিন ১,৭৫৬ নারীর সঙ্গে ব্যভিচার করা হয়েছে এবং ১৯৯১ সালে প্রতিদিন ১৯০০ নারীর সঙ্গে ব্যভিচার করা হয়েছে এবং ১৯৯৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি ১.৩ মিনিটে একটি ব্যভিচারের কেস রেকর্ড করা হয়েছে। আপনি কি জানেন, কেন আমেরিকাতে নারীদের অধিকার বেশি প্রদান করা হয়েছে এবং সেখানে নারীদের ধর্ষণও বেশি হয় এবং এ সকল কেসের শতকরা ১৬ ভাগের মাত্র শতকরা ১০ ভাগ এর শাস্তি হয়।

অর্থাৎ মাত্র ১.৬% এর কিছুটা শাস্তি হয়। (কাস্টডিতে যায়)। সকল অভিযোগের মাত্র ০.৮%-এর মোকদ্দমা তৈরি হয়। অর্থাৎ কোনো লোক যদি ১২৫ বার ব্যভিচার করে তাহলে তার একবার মাত্র কাস্টডিতে যেতে হয়। ব্যভিচারের শাস্তি হলো বন্দি করা যেটা আমেরিকার আইনে রয়েছে, অথচ সে বলে যে, সে মাত্র এই প্রথম বার ব্যভিচার করেছে এবং পাকড়াও হয়েছে। একে একবার সুযোগ দেয়া হয় এবং এক বছরের কম শাস্তি দেয়া হয়।

এমনকি ভারতেও National Crime Bureo (Nc B১-এর রিপোর্ট মোতাবেক যা ১৯৯২ সালের ১ ডিসেম্বরের এক খবরে প্রকাশিত হয় যে, প্রতি ৫৪ মিনিটে ভারতে একটা মামলা দায়ের হয়। প্রত্যেক ২৬ মিনিটে উত্যক্ত করার মামলা, ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিটে যৌতুকের কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। যদি আপনি এ দেশের সকল ঘটনা একত্র করেন তাহলে প্রতি ২ মিনিটে একটা ব্যভিচারের মামলা পাওয়া যেত। যদি আপনি আমেরিকার সকল নারীকে হিজাব পরতে বলেন, তাহলে এ সকল ঘটনা বাড়বে না বরং কমবে?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন