hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের উপর ৪০টি অভিযোগ এবং তার প্রমাণ ভিত্তিক জবাব

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

১৬
প্রশ্ন-১৫. মুসলমান এক কুরআনকে অনুসরণ করে। এরপরও তাদের চিন্তা-ভাবনার মধ্যে এতো পার্থক্য কেন? এও বলতে পারি যে, ইসলামে এতে ফিরকা বা দল কেন?
উত্তর : আজ মুসলমান বিভক্ত হয়ে গেছে, যদিও ইসলামে এ ধরনের সুযোগ নেই। ইসলাম নিজ অনুসারীদের মধ্যে একতা প্রতিষ্ঠার ওপর বিশ্বাস রাখে। আল-কুরআনের ৩ নং সূরা আলে ইমরানের ১০৩ নং আয়াতে রয়েছে

অর্থ : তোমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।

এখানে আল্লাহর কোন্ রশির উল্লেখ হয়েছে? উত্তরে বলা যায়- এটা আল্লাহর রশি, যা সকল মুসলমান মজবুতভাবে ধারণ করবে। এ আয়াতে দুটি নির্দেশ আছে১. সবাই মিলে শক্তভাবে ধারণ কর এবং ২. পৃথক হয়ে যেও না, বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আল-কুরআনে এটাও বর্ণিত আছে ৪ নং সূরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের মহান রব ইরশাদ করেন

অর্থ : হে ঈমানদার লোকেরা, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর। এ কারণে সকল মুসলমানকে কুরআন ও হাদীসের ওপর আমল করা জরুরি। এবং নিজেদের মধ্যে বিভক্ত হয়ে যাওয়া চলবে না। আল-কুরআনে মহান রব ইরশাদ করেন। ৬ নং সূরা আনআম, আয়াত নং ১৫৯

অর্থ : যারা নিজেদের দ্বীনকে টুকরো টুকরো করে নিজেরাই নানা দল উপদলে বিভক্ত হয়ে গেছে, তাদের কোনো দায়িত্বই তোমার ওপর নেই। তাদের ব্যাপারটা আল্লাহ তাআলার হাতে। তখন তিনি তাদের জানিয়ে দিবেন তাদের কৃতকর্ম যা তারা করে। এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা এ ধরনের লোকদের মুসলমানদের থেকে পৃথক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন যারা দ্বীনকে খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত করে। যখন মুসলমানদের জিজ্ঞেস করা হয়, তোমরা কোন মুসলমান? তখন সাধারণত উত্তর দেয়া হয় আমরা সুন্নী বা আমরা শিয়া। এভাবে কিছু লোক নিজেদেরকে ‘হানাফী', মালেকী, শাফেয়ী’ অথবা হাম্বলী বলে।

কেউ কেউ বলে আমরা দেওবন্দী” অথবা “ব্রেলভী'। এ লোকদের নিকট একথা জিজ্ঞেস করা দরকার যে, আমাদের নবী করীম কোন্ (মাযহাবের অনুসারী) ছিলেন? তিনি কি হাম্বলী, শাফেয়ী, মালেকী না হানাফী ছিলেন? একেবারেই না, তিনি আল্লাহর সকল নবী যেমন মুসলমান ছিলেন যা তিনি প্রথমে ছিলেন। কুরআনে বর্ণনা করে ঈসা আলাইহি সাল্লাম মুসলমান ছিলেন এবং নিজ হাওয়ারি (সঙ্গী)-দেরও সেরূপ নির্দেশ প্রদান করেছেন। ৩ নং সূরা আলে ইমরানের ৫ নং আয়াতে রয়েছে : কে আছো আল্লাহর পথে আমার সাহায্যকারী?

উত্তরে হাওয়ারিগণ বলেছেন

অর্থ : আমরা আল্লাহর সাহায্যকারী। আমরা আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছি। আপনি সাক্ষী থাকুন আমরা সবাই মুসলমান। এ শব্দাবলি বর্ণনা করে যে, ঈসা আলাইহি সাল্লাম এবং তাঁর অনুসারিগণ মুসলমান ছিলেন। এরূপভাবে ৩ নং সূরা আলে ইমরানের ৬৭ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে

অর্থ : (সঠিক ঘটনা হলো এই যে,) ইবরাহীম না ছিলেন ইহুদি, না ছিলেন খ্রিস্টান, বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম। তিনি মুশরিকদের দলভুক্তও ছিলেন না। ইসলামের অনুসারীদের এ কথার ওপর আনুগত্য রয়েছে যে, তারা নিজেদের মুসলমান পরিচয় দেয়। যদি এক ব্যক্তি নিজেকে মুসলমান মনে করে, তাহলে তাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে, আপনি কে? তাহলে উত্তর দেয়া উচিত ‘আমি মুসলমান।'এভাবে নিজেদের ‘হানাফী, শাফেয়ী' এরূপ বলা উচিত নয়। কুরআনের ৪১ নং সূরা হা-মীম আস-সিজদার ৩৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে

অর্থ : তার কথার চেয়ে আর কার কথা উত্তম, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয় এবং সৎ আমল করে এবং বলে যে, আমি মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয় ভাষায়, আপনাকে এটা বুঝে নেয়া দরকার যে, আল্লাহ এ আয়াতে একথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমি মুসলমান। নবী করীম এই ৭ হিজরীতে অমুসলিম শাসকদের ইসলামের দাওয়াত দেয়ার জন্য চিঠি লিখিয়েছিলেন। যার মধ্যে, রোম, সিরিয়া, হাবসী খ্রিস্টান রাষ্ট্রগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি সূরা আলে ইমরানের শব্দাবলি লিখিয়েছিলেন

অর্থ : তোমরা সাক্ষী থাকো আমরা মুসলমান। আমি মুসলিম উম্মাহকে সম্মান করতে চাই, যাদের মধ্যে ইমাম আবু হানীফা (র), ইমাম আবু ইউসুফ (র), ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (র) ইমাম মালেক (র) এবং

অন্যান্য উলামায়ে কিরাম শামিল আছেন। এঁরা সবচেয়ে বড় আলেম ও ফকীহ ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাদের গবেষণা ও শ্রমের প্রতিদান তাঁদের দিন। যদি কোনো ব্যক্তি ইমাম আবু হানীফা (র) অথবা ইমাম শাফেয়ী (র)-এর আকিদা অথবা দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাদের গবেষণার সাথে একমত হন, তবে তার ওপর কোনো অভিযোগ থাকা উচিত নয়। কিন্তু যদি কেউ কাউকে জিজ্ঞেস করে আপনি কে? উত্তরে বলা উচিত আমি মুসলমান। কিছু লোক আবু দাউদ শরীফের হাদীস নং ৪৫৯ যা মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বরাত দেয়অর্থ : নিঃসন্দেহে আমার উম্মত ৭৩ কাতারে বিভক্ত হবে, ৭২ দল দোযখে যাবে এবং এক দল জান্নাতে যাবে, যেটা হবে আল জামাআত।

হাদীস থেকে একথা বের করার চেষ্টা করা হয় নবী করীম ৭৩ দল হওয়ার কথা বলেছেন, কিন্তু আপনি তো একথা বলছেন না যে মুসলমান বিভক্ত হবার চেষ্টা করছে। কুরআন দলে দলে বিভক্ত হওয়ার পথকে রুদ্ধ করতে চায়। যে লোক কুরআন ও হাদীসের ওপর আমল করে এ দল তৈরি করে না এবং লোকদের বিভক্ত করে না, সে সোজা রাস্তায় রয়েছে। তিরমিযীর হাদীস নং ২৬৪১ যা আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করীম আমার বর্ণনা করেছেনআমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, এ সকল দল জাহান্নামে যাবে এক দল ছাড়া। জিজ্ঞেস করা হলো, সেটা কোন্ দল? তিনি বললেন : ঐ দল, যে আমার ও আমার সাহাবীদের রাস্তার ওপর চলবে।

কুরআনের বহু আয়াত একথা বলে যে, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর। একজন মুসলমানের কুরআন এবং ছহীহ্ হাদীসের ওপর আমল করা উচিত। তার কোনো আলেম বা ইমামের ততক্ষণ পর্যন্ত একমত হওয়া উচিত যতক্ষণ পর্যন্ত তার আকিদা ও দৃষ্টিভঙ্গি কুরআন এবং ছহীহ্ হাদীস মুতাবিক হবে। যদি তার আকিদা ও দৃষ্টিভঙ্গি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার বিধান ও নবী করীম এর সুন্নাতের বিপরীত হবে, তবে তার কোনো গুরুত্ব নেই। যদি সকল মুসলমান কুরআনকে বুঝে এর অধ্যয়ন করে এবং বিশুদ্ধ হাদীসের ওপর আমল করে, তবে ইনশাআল্লাহ সকল মতানৈক্য শেষ হয়ে যাবে এবং মুসলমানগণ এক ঐকমত্যে উম্মত হয়ে যাবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন