hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের উপর ৪০টি অভিযোগ এবং তার প্রমাণ ভিত্তিক জবাব

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

প্রশ্ন-৫. ইসলাম এক ব্যক্তিকে একের অধিক বিবাহ অর্থাৎ একের অধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি কেন দিয়েছে?
উত্তর : Polygamy অর্থাৎ অনেক বিবাহের অর্থ এমন বৈবাহিক নিয়ম যেখানে এক ব্যক্তি অনেকের সাথে অংশীদার ভিত্তিতে জীবনযাপন করবে? এটা দু প্রকার। ১. যেখানে একজন পুরুষ একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করবে। ২. যেখানে একজন নারী একাধিক স্বামী গ্রহণ করবে। ইসলাম সীমিত সংখ্যক স্ত্রী রাখার পক্ষে অনুমতি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু এক স্ত্রীকে একই সময়ে একাধিক স্বামী রাখার অনুমতি প্রদান করা হয় নি। মূল প্রশ্ন এখানেই যে, ইসলাম একজন স্বামীকে একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি কেন দিল?

একমাত্র আল-কুরআনই হলো এমন একখানা ধর্মীয় কিতাব যাতে বলা হয়েছে, এক স্ত্রী বিয়ে কর। দ্বিতীয় অন্য কোনো ধর্মীয় কিতাবে একথা বলা হয় নি যে শুধু এক স্ত্রী রাখতে হবে। তা সে হিন্দুদের বেদ, মহাভারত বা গীতাই হোক, অথবা ইহুদিদের তালমুদ অথবা খ্রিস্টানদের বাইবেলই হোক না কেন। এ সকল ধর্মগ্রন্থের বিধান অনুসারে একজন পুরুষ যত ইচ্ছে বিয়ে করতে পারবে এবং এ প্রথাই চলে আসছিল কিন্তু বহু শতাব্দী পরে হিন্দু পুরোহিত পণ্ডিতগণ এবং খ্রিস্টান পাদ্রিগণ স্ত্রীদের সংখ্যা একের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছেন। বহু হিন্দু ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের যাদের উল্লেখ হিন্দুদের ধর্মীয় গ্রন্থে আছে তাদের একের অধিক স্ত্রী ছিল। রামের

পিতা রাজা দশরথের একের অধিক স্ত্রী ছিল। এভাবে কৃষ্ণেরও বহু স্ত্রী ছিল। প্রথম প্রথম খ্রিস্টানদেরও এ অনুমতি ছিল যে, যত ইচ্ছে স্ত্রী রাখতে পারে। এ জন্য বাইবেলে কোনো সংখ্যা নির্দিষ্ট করা ছিল না। মাত্র কয়েক শ' বছর পূর্বে পাদ্রিগণ স্ত্রীদের সংখ্যা এক এ সীমাবদ্ধ করে দেয়। ইহুদি ধর্মেও একের অধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি আছে। ইহুদিদের ধর্মীয় গ্রন্থ তালমূদের বন্দনা মতে ইবরাহীম আলাইহি সাল্লাম এর তিন স্ত্রী এবং সুলাইমান আলাইহি সাল্লাম-এর ৯৯ জন স্ত্রী ছিলেন।

একের অধিক স্ত্রীর অনুমতি গরশুম বিন ইহুদা যার রাজত্ব ৯৬০ থেকে ১০৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। তার এক আদেশের ভিত্তিতে একের অধিক স্ত্রী গ্রহণের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু ইসলামি সাম্রাজ্যের প্রতিবেশী সিফার্দী ইহুদি ১৯৫০ সাল পর্যন্ত একাধিক স্ত্রীর ওপর অটল থাকেন। এমনকি ইহুদিদের প্রধান রাববীনেই (Chief Rablonate) একাধিক স্ত্রীর ওপরও অটল থাকেন। পরিষ্কার কথা এই যে, ১৯৭৫ সালে ভারতে এক পরিসংখ্যানের ফল এই দাঁড়ায় যে, হিন্দুরা মুসলমানদের তুলনায় অধিক বিবাহ করে। ইসলামের নারীদের মুকাম কমিটির রিপোর্ট যা ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয় পৃষ্ঠা নম্বর ৬৬, ৬৭-তে বলা হয়েছে।

যে, ১৯৬১ থেকে ১৯৯১ এর পরিধিতে হিন্দুদের মধ্যে একাধিক বিয়ের শতকরা, হার ৫,০৬% যেখানে মুসলমানদের একাধিক বিয়ের শতকরা হার ৪.৩১ ছিল। ভারতের আইন মোতাবেক মুসলমানদের একাধিক বিয়ে করা বৈধ। পক্ষান্তরে হিন্দুদের একাধিক বিয়ে সিদ্ধ নয়। বেআইনি হওয়া সত্ত্বেও হিন্দুদের একাধিক বিবাহ মুসলমানদের চেয়ে বেশি। প্রথমে ভারত বর্ষে একাধিক স্ত্রী রাখার ব্যাপারে কোনো আইন ছিল না।

১৯৪৫ সালে যখন ভারতে ম্যারেজ অ্যাক্ট পাস হয় তখন হিন্দুদের একাধিক স্ত্রী রাখা বেআইনি করা হয়। স্মরণ রাখা দরকার যে, একথা আইনি বিধানে আছে, হিন্দুদের ধর্মীয় গল্পে নয়। আসুন আমরা দেখি ইসলাম কেন একাধিক স্ত্রী রাখার অনুমতি দিয়েছে? যেমন আমি ইতিপূর্বে বলেছি যে, পৃথিবীতে কুরআনই একমাত্র ধর্মীয় কিতাব যাতে এক স্ত্রী গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। আল-কুরআনের সূরা নিসার ৪নং এবং ৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে

অর্থ : তোমরা তোমাদের পছন্দমতো বিয়ে কর দুই দুই, তিন তিন অথবা চার চার জন।

অর্থ : যদি তোমরা ভয় পাও যে, সুবিচার করতে পারবে না তাহলে মাত্র একজন। কুরআন নাযিলের পূর্বে বিয়ের সংখ্যা সীমাবদ্ধ ছিল না এবং বহু পুরুষ বহু স্ত্রী গ্রহণ করত, এমনকি কারো কারো শত স্ত্রীও থাকত। কিন্তু ইসলাম স্ত্রীদের সংখ্যা চার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করে দেয়। ইসলাম একজন পুরুষকে দুই দুই, তিন তিন, অথবা চার চার স্ত্রী গ্রহণ করার অনুমতি দিয়েছে। তবে শর্ত হলো ন্যায়বিচার করতে হবে। এ সূরা নিসার ১২৯ নং আয়াতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন

অর্থ : তোমরা কখনো একাধিক স্ত্রীদের মাঝে ইনসাফ করতে পারবে না, যদি তোমরা তা করতে চাও-ও। এজন্য একাধিক বিয়ে কোনো নিয়ম নয়। বরং এটা ভিন্ন এক কথা। অনেক লোক একথা বুঝে নিয়েছে যে, এটা আবশ্যকীয় যে এক মুসলমান একাধিক বিয়ে করবে। (এ ব্যাপারে বুঝতে হলে নিচের বিষয়গুলো বুঝতে হবে।) হালাল হারামের দিক দিয়ে ইসলামের বিধান পাঁচ ভাগে বিভক্ত। যথা

১. ফরজ : এটা আবশ্যকীয় এবং পালনীয়। এর ওপর আমল না করলে আযাব ও শাস্তি দেয়া হবে। ২ মুস্তাহাব : এর নির্দেশ আছে এবং এর ওপর আমল করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। ৩. মুবাহ : বৈধ, এটা করার অনুমতি আছে। তবে করা না করা সমান। ৪. মাকরূহ : এটা বৈধ নয়, এর ওপর আমল করা অপছন্দনীয়। ৫. হারাম : এটাকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর ওপর আমল করা নিষিদ্ধ এবং এ কাজ পরিত্যাগ করা সওয়াবের কাজ। একের অধিক বিয়ে করা এ সকল বিধানের অন্তর্ভুক্ত। এ কাজ করার অনুমতি আছে, তবে একথা বলা যাবে না যে, যে ব্যক্তির একাধিক স্ত্রী আছে, সে তার চেয়ে উত্তম যার স্ত্রী মাত্র একজন। এটা আল্লাহর কুদরতি নিয়ম যে, নারী পুরুষের সংখ্যা প্রায় সমান। তবে একজন বালিকা একজন বালকের চেয়ে অধিক শক্তি রাখে। একজন বালিকা একজন বালকের চেয়ে অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রাখে। এজন্য জন্মের শুরুতে মেয়ে শিশুর চেয়ে ছেলে শিশুর মৃত্যু হার বেশি। এভাবে যুদ্ধে নারীর চেয়ে পুরুষ অধিক হারে মৃত্যুবরণ করে। দুর্ঘটনা ও রোগ-ব্যাধির কারণে নারীর চেয়ে অধিক হারে পুরুষ মৃত্যুবরণ করে। নারীদের মধ্যে বেঁচে থাকার বয়স গড় পুরুষের চেয়ে বেশি আবার বিপত্নীক স্বামীদের চেয়ে বিধবা স্ত্রীদের সংখ্যা অধিক। ভারত এবং তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহ সে সকল রাষ্ট্রের

অন্তর্ভুক্ত, যাদের নারীদের সংখ্যা পুরুষের তুলনায় কম। এর কারণ হলো অভিশপ্ত যৌতুক প্রথা। ভারতে নারী শিশুদের অনেককে পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্ব থেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। মূলত এখানে লাখ লাখ নারী গর্ভবতী অবস্থায় ডাক্তারি পরীক্ষায় কন্যা শিশুর ভ্রুণকে চিহ্নিত করে হত্যা করে। এজন্য প্রতি বছর দশ লাখের অধিক কন্যা শিশুকে মৃত্যুর দরজায় পাঠানো হয়। যদি এ ধরনের অপকর্ম বন্ধ করা হতো, তাহলে ভারতেও নারীদের সংখ্যা নিঃসন্দেহে বেড়ে যেত। আমেরিকায় পুরুষের তুলনায় নারীদের সংখ্যা ৫৮ লাখের মতো বেশি। শুধু নিউইয়র্কে নারীদের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা ১০ লাখ বেশি এবং এ তথ্য ওখানকার এক পরিসংখ্যান Gender ভিত্তিক ছিল।

আমেরিকায় নপুংসক ভিত্তিক সামগ্রিক সংখ্যা আড়াই কোটি। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য এই যে, এ সব লোকের নারীদের বিয়ে করার কোনো ইচ্ছেই নেই। এরূপ অবস্থা বৃটেনেও। সেখানে নারীদের তুলনায় পুরুষদের সংখ্যা ৪০ লাখ বেশি। - জার্মানিতে নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় ৫০ লাখ বেশি। - রাশিয়ায় নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় ৯০ লাখ বেশি।

আদম শুমারি অনুপাতে, বর্তমানে বাংলাদেশেরও নারীদের সংখ্যা পুরুষদের তুলনায় সাত ভাগ বেশি। আসল সংখ্যা তো আল্লাহই ভালো জানেন যে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা কত বেশি। যদি একজন পুরুষ একজন নারীকে বিয়ে করে, তাহলে আমেরিকাতে ৩ কোটি নারী স্বামীবিহীন থাকবে। এটাও মনে রাখতে হবে যে, আড়াই কোটি লোক আমেরিকাতে নপুংসক (হিজড়া)। এরূপভাবে বৃটেনে ৪০ লাখ, জার্মানিতে ৫০ লাখ, রাশিয়াতে ৯০ লাখ নারীর জন্য কোনো স্বামী মিলবে না।

ধরুন, আমার বোন আমেরিকায় থাকে এবং সে অবিবাহিত নারীদের একজন। আবশ্যকীয়ভাবে আপনার বোনও ওখানে থাকতে পারে। এদের জন্য দুটি অবস্থার মধ্যে একটি সমাধান বেছে নিতে হবে১. হয়তো সে এমন এক লোকের সঙ্গে বিয়ে বসবে যার পূর্বে থেকে স্ত্রী আছে, অথবা ২. তাকে পাবলিক প্রপার্টি বা বেশ্যা হয়ে যেতে হবে। এ দু’পথের বাইরে কোনো পথ নেই। যে নারীর কল্যাণময় গুণ আছে সে অবশ্যই প্রথম পথ অবলম্বন করবে। অনেক নারী নিজ স্বামীর সঙ্গে অন্য নারীর সঙ্গ বরদাশত করে না। কিন্তু যখন ইসলামি সমাজে অবস্থা এতোদূর নাজুক ও সঙ্কটময় হয় তখন একজন ঈমানদার নারী এধরনের ক্ষতি স্বীকার করে নেবেন এবং তিনি চাইবেন না যে তারই বোনেরা পাবলিক প্রপার্টি বা বেশ্যা হয়ে থেকে যাবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন