hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের উপর ৪০টি অভিযোগ এবং তার প্রমাণ ভিত্তিক জবাব

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

২০
প্রশ্ন-১৯. একথা কি সত্য নয় যে, উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কুরআনের অনেক কপি যা ঐ সময় পর্যন্ত ছিল, তিনি জ্বালিয়ে দেবার নির্দেশ দান করেন এবং মাত্র এক কপি বাকি ছিল। এভাবে একথা কি সত্য নয় যে, বর্তমান কুরআন ঐ কপি যার তরতীব (ক্রমধারা) ও সংকলন উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু-এর এবং প্রকৃতপক্ষে তাকে ঐ কুরআন ছিল যা আল্লাহ তাআলা নাযিল করেছেন?
উত্তর : আল-কুরআন সম্পর্কে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এক ধারণা, ইসলামের তৃতীয় খলিফা উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ঐ সকল কপি জ্বালিয়ে দেন যা একরূপ ছিল না এবং এক কপির সংকলন ও তার ওপর জোর দেন। প্রকৃতপক্ষে যে কুরআন দুনিয়ার মানুষের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু, উহা ঐ কুরআন যা মুহাম্মদ (সাঃ) এর ওপর অবতীর্ণ হয়।

যা তিনি স্বয়ং লিখিয়েছেন এবং তিনি স্বয়ং তাকে জোর দিয়েছেন। আমি এ ভিত্তিহীন ধারণার প্রত্যুত্তর করব যার আলোকে এ ধারণা করা হয় যে, কুরআনের সংকলন উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু করিয়েছিলেন। যখন নবী করীম এর ওপর অহী নাযিল হতো, প্রথমে তিনি মুখস্থ করতেন। পরে তার সাহাবীদের শোনাতেন এবং এ নির্দেশনা দিতেন, যে ব্যক্তি তা মুখস্থ করবে আল্লাহ তাআলা তার ওপর সন্তুষ্ট হবে।

তিনি অহী লেখকদের নির্দেশ দিতেন যে এ আয়াতগুলো লিখে নাও। আর তিনি নিজে শুনে এগুলোর সত্যায়ন করতেন। নবী করীম নিরক্ষর ছিলেন এবং লেখা-পড়া জানতেন না। এজন্য প্রত্যেকবার অহী নাযিলের পর সাহাবীদের সামনে তা পড়তেন যাতে তারা তা লিখে নিতে পারেন। আবার নবী করীম তার নিজ থেকে শুনতেন এবং এর মধ্যে কোনো ভুল হলে তা চিহ্নিত করে ঠিক করতেন।

আর দু’বার তা শুনতেন ও নিশ্চিত করতেন। এভাবে সারা কুরআনের লেখনি নবী করীম এর নিজের তত্ত্বাবধানেই হতো। পূর্ণ কুরআন সাড়ে বাইশ বছর ব্যাপী প্রয়োজন অনুযায়ী অল্প অল্প করে অবতীর্ণ হয়েছে। মুহাম্মদ (সাঃ) কুরআনের সংকলনের ক্ষেত্রে অবতীর্ণের সময়কাল এর বিন্যাস অনুযায়ী করান নি। আয়াত এবং সূরার অহীর বিন্যাস এর পেছনে তা করতেন এবং এটা আল্লাহ তাআলার নির্দেশের মাধ্যমে জিবরাঈল আলাইহি সাল্লাম মুহাম্মদ (সাঃ) কে তা বলে দিতেন।

যখন নাযিলকৃত আয়াত সাহাবাদের সামনে পড়তেন তখন মুহাম্মদ (সাঃ) এর আয়াত কোন্ সূরায় কোন্ আয়াতের পরে হবে তাও বলে দিতেন। প্রত্যেক রমজানে মুহাম্মদ (সাঃ) কুরআনের অবতীর্ণ অংশের আয়াতের বিন্যাস দোহরাতেন এবং জিব্রাঈল আলাইহি সাল্লাম তাঁকে নিশ্চিত করতেন।

মুহাম্মদ (সাঃ) এর ইনতিকালের পূর্ব রমজানে কুরআনের প্রত্যয়ন দুবার হয়েছে। এ কারণে একথা সম্পূর্ণ পরিষ্কার যে, মুহাম্মদ (সাঃ) নিজ জীবদ্দশায় স্বয়ং কুরআনের সংকলন, প্রত্যয়ন এবং তাঁর লেখনি ও সাহাবা কিরামদের মুখস্থ করানো দুদিক থেকেই হয়েছে। মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবদ্দশায় পূর্ণ কুরআন আয়াতের সঠিক বিন্যাস এবং এর পূর্বাপরের সঙ্গেই মজুদ ছিল। হ্যা, এর আয়াতগুলো পৃথক পৃথক চামড়ার টুকরো, হালকা পাথর, গাছের পাতা, খেজুরের ডাল এবং উটের ধারালো হাড় ইত্যাদির ওপর লেখা হয়েছিল।

তাঁর ওফাতের পর ইসলামের প্রথম খলিফা আবু বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু-এর নির্দেশে বিভিন্ন জিনিসের ওপর লিখিত কুরআনের অংশগুলো একস্থানে লিপিবদ্ধ করে পাতার আকার দিলেন। এ পাতাগুলোকে ডোর দ্বারা বাধা হয়েছিল যাতে এর কোনো অংশ ধ্বংস না হয়ে যায়। এ কপি আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর জীবদ্দশায় তাঁর নিকট ছিল এবং তাঁর ওফাতের পর উমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু-এর শাসনামলে তার নিকটে ছিল। এরপর রাসূলের স্ত্রী উম্মুল মুমিনীন হাফসা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা-এর নিকট রাখা হয়। কিন্তু তার প্রচার পর্যন্ত হয় নি।

তৃতীয় খলিফা উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু-এর আমলে আল কুরআনের কিছু শব্দ লেখা ও উচ্চারণের ক্ষেত্রে মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়। এ মতানৈক্যে যদিও অর্থের দিক দিয়ে কোনো পার্থক্য হতো না, তবুও নও মুসলিম অনারবীদের নিকট এরও অনেক গুরুত্ব ছিল। কিছু লোক নিজেদের পাঠকে সঠিক এবং অন্যদের পাঠকে ভুল বলতেন। এজন্য উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু উম্মুল মুমিনীন হাফসা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা-এর কাছ থেকে কুরআনের মূল কপি চেয়ে নেন, যার মতন (মূল)-এর নিশ্চয়তা মুহাম্মদ (সাঃ) স্বয়ং করেছিলেন।

হযরত উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু মুহাম্মদ (সাঃ) এর নির্দেশে কুরআনের চার লেখক সাহাবী যাদের প্রধান ছিলে যায়িদ বিন ছাবিত। তাঁদেরকে দায়িত্ব দিয়ে আল-কুরআনের নকল কপি লেখার নির্দেশ দিলেন।

এ নকল কৃত কপিগুলোকে মুসলমানদের বড় বড় কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন। কিছু লোকের নিকট আল কুরআনের কিছু কিছু অংশ তাদের এক আকৃতিতে মওজুদ ছিল। এটা সম্ভব ছিল যে, এর মধ্যে কিছু (আঞ্চলিক হরফে বা উচ্চারণে) অশুদ্ধ ছিল, এমন কি অসম্পূর্ণ ছিল। এজন্য উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এ সকল লোকদের নিকট আবেদন করেন যেন তারা ঐগুলো জ্বালিয়ে দেন যেগুলো মূল কপির অনুরূপ নয়। যাতে কুরআনের আমল মতন (মূল) সংরক্ষিত হয়ে যায়। মুহাম্মদ (সাঃ) এর কঠিন সত্যায়িত মূল কুরআনের মতন অনুযায়ী তৈরি করা কুরআনের দুটি নকল আজো দুনিয়ার মধ্যে মওজুদ আছে। যার মধ্যে এক কপি উজবেকিস্তান-এর তাসখন্দ শহরের যাদুঘরে এবং দ্বিতীয় কপি তুরস্কের ইস্তামবুলের তোপকাপি জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। (রাসূল-এর অনুকূলে কৃত উসমান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কর্তৃক মূল আট কপির একটির ফটোকপি ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ঢোকার সময় ডান দিকে কাঁচ দিয়ে ঘিরে রাখা আছে।

পাশেই রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কপি হাতে লেখা কুরআন মজিদ (মূল))- অনুবাদক। কুরআনের মূল কপিগুলোতে এবং হরকতের ইরাব তিনটি চিহ্ন যাকে উর্দুতে ‘যের’, যবর’, ‘পেশ’ ও আরবিতে ফাতহা, দম্মা’ এবং কাসরা' বলা হয়। এছাড়াও তাশদীদ', মদ’ এবং ‘জযম' ইত্যাদি আছে। আরবি ভাষীদের জন্য উপযুক্ত উচ্চারণে পড়ার জন্য এ চিহ্নগুলোর প্রয়োজন হতো না।

কেননা আরবি তাদের মাতৃভাষা ছিল। অনারবিদের জন্য এ ইরাব ব্যতীত কুরআন শরীফের সঠিক উচ্চারণ সহজ ছিল না। এ জন্য এ সকল চিহ্ন বনু উমাইয়ার পঞ্চম খলিফা আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ানের যুগে ৬৬ থেকে ৮৬ হিজরি মুতাবেক ৬৮৫ থেকে ৭০৫ খ্রি. অন্তর্ভুক্ত হয় এবং হাজ্জাজ বিন ইউসুফের আগ্রহে আল-কুরআনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিছু কিছু লোক একথাও বলে যে, কুরআন শরীফের বর্তমান রূপ যার মধ্যে ইরাব ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত আছে মুহাম্মদ (সাঃ) এর সময়কার মূল কুরআন নয়। কিন্তু তারা এ

মূল কথাটি বুঝতে সক্ষম হন নি যে, কুরআনের শাব্দিক অর্থ বার বার পড়া, অর্থাৎ তিলাওয়াত করার জিনিস। এজন্য লেখার নিয়ম কিছুটা ভিন্ন অর্থাৎ এর মধ্যে হরকত ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মূলকথা এই যে, কুরআনে করীমে বিশুদ্ধ তিলাওয়াত যদি আরবি মতন এবং তার উচ্চারণ ওটাই থাকে যা শুরুতে ছিল তাহলে আবশ্যকীয় কথা এই যে, এটার অর্থ তা-ই আছে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কুরআনের সংরক্ষণের দায়িত্ব নিজেই গ্রহণ করেছেন। ১৫ নং সূরা হিজর-এর ৯ নং আয়াতে মহান রব বলেন

অর্থ : আমিই উপদেশ (সম্বলিত কুরআন) নাযিল করেছি, আমিই উহার সংরক্ষণকারী।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন