hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের উপর ৪০টি অভিযোগ এবং তার প্রমাণ ভিত্তিক জবাব

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

৩১
প্রশ্ন-৩০. কুরআনে কয়েক স্থানে একথা বলা হয়েছে যে, জমিন এবং আসমান ছয় দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু সূরা ফুসসিলাত বা হামীম আস সিজদায় বলা হয়েছে জমিন এবং আসমান ৮ দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে। এটা কি কুরআনের বৈপরিত্য নয়? এ আয়াতে এটাও বর্ণনা করা হয়েছে যে, জমিন ছয় দিনে তৈরি হয়েছে পুনরায় আসমান দু’দিনে তৈরি করা হয়েছে। এরূপ বলা Big Bang-এর বিপরীত। যার কথা হলো আসমান জমিন এক সময়ে অস্তিত্বে এসেছিল।
উত্তর : আমি একথার সাথে একমত যে, আল কুরআনের বর্ণনানুযায়ী আসমান এবং জমিন ছয় দিনে দ্বিতীয় কথায় ছয় চক্করে সৃষ্টি করা হয়েছে। এর উল্লেখ আল-কুরআনের নিচের আয়াতগুলোতে এসেছে

৭ নং সূরা আরাফ, ৫৪ নং আয়াত

১০ নং সূরা ইউনুস, ৩ নং আয়াত

১১ নং সূরা হুদ,৭ নং আয়াত

২৫ নং সূরা ফুরকান, ৫৯ নং আয়াত

৩২ নং সূরা সাজদা, ৪ নং আয়াত

৫০ নং সূরা ক্বফ, ৩৮ নং আয়াত

৫৭ নং সূরা হাদীদ, ৪ নং আয়াত

কুরআনের ঐ আয়াতগুলো যেগুলোর ব্যাপারে আপনার ধারণা হলো যে, আসমান ও জমিন আট দিনে সৃষ্টি হয়েছে, তা হলো সূরা ফুসসিলাত বা হামীম আস সাজদা, যার সূরা নং ৪১, আয়াত নং ৯ থেকে ১২ তে বলা হয়েছে

অর্থ : বলুন! তোমরা কি তাকে অস্বীকার করতে চাও, যিনি দু'দিনে পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমরা অন্য কাউকে কি তারই সমকক্ষ হিসেবে দাঁড় করাতে চাও? অথচ ইনিই সারা সৃষ্টির পালনকর্তা। তিনিই এ জমিনের মাঝে ওপর থেকে পাহাড়সমূহকে স্থাপন করে দিয়েছেন এবং তাতে বহুমুখী কল্যাণ রেখে দিয়েছেন এবং তাতে সবার আহারের পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন চার দিন সময়ের ভেতর। অনুসন্ধানীদের জন্য সবই সমান।

অতঃপর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করলেন যা ছিল ধূম্রকুঞ্জ বিশেষ। এরপর তিনি তাকে ও জমিনকে আদেশ করলেন, তোমরা উভয়েই এগিয়ে এসো ইচ্ছায় হোক কিংবা অনিচ্ছায়, তারা উভয়েই বলল, আমরা অনুগত হয়েই এসেছি। অতঃপর তিনি দুই দিনের ভেতর এ (সেই ধূম্রকুঞ্জ)-কে সাত আসমানে পরিণত করলেন এবং প্রতিটি আকাশে তার আদেশনামা পাঠালেন।

পরিশেষে আমি নিকটবর্তী আসমানকে তারকারাজি দ্বারা সাজিয়ে দিলাম এবং (জ্বীন ও শয়তান থেকে) সুরক্ষিত করলাম। এ সকলই পরাক্রমশালী ও সুবিজ্ঞ মহা-মহিমের নির্ধারণ। আল কুরআনের এ আয়াতগুলো প্রকাশ্যে এটাই বলে যে, আসমান-জমিন আট দিনে সৃষ্টি হয়েছিল। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এ আয়াতগুলোর শুরুতে বর্ণনা করেন যে, ঐ লোক এ সকল বাক্যের অংশের বর্ণনাকৃত তথ্যের এবং সত্যতার

ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টির জন্য ভুল অনুমান পেশ করে, আসলে সে কুফরী প্রচারের ইচ্ছে রাখে এবং আল্লাহর একত্ববাদকে অস্বীকার করে। আল্লাহ তাআলা এর সাথে আমাদের এটাও বর্ণনা করেন যে, কিছু কাফির এমনও আছে যে, এই প্রকাশ্য বৈপরীত্যের ভুল অনুমান পেশ করবে। যদি আপনি মনোযোগ ও সুবিবেচনার সাথে এ আয়াতগুলোর বিশ্লেষণ করেন তাহলে আপনার কাছে পরিষ্কার হবে যে, এখানে জমিন এবং আসমানের দুই পৃথক সৃষ্টির উল্লেখ করা হয়েছে। পাহাড় ব্যতীত জমিনকে দুই দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং চার দিনে পাহাড়গুলোকে জমিনের ওপর শক্ত করে স্থাপন করা হয়েছে এবং জমিনে বরকত রাখা হয়েছে এবং একে লেপন করা ও এতে রিযক দেয়া হয়েছে।

এজন্য ৯ এবং ১০ নং আয়াত অনুযায়ী পাহাড়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে জমিনকে ছয় দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে। ১১ ও ১২ নং আয়াতে আছে যে, অতিরিক্ত দিনগুলোতে আসমান সৃষ্টি করা হয়েছে। ১১ নং আয়াতের শুরুতে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য আবার অথবা উহা ব্যতীত। কুরআনের কিছু তরজমায় এর উদ্দেশ্যে ‘অতঃপর লেখা হয়েছে এবং এরপর ব্যতীত’ উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে।

যদি এর অনুবাদ ভুল অনুমানে ফেরানো হয় তাহলে আসমান ও জমিনের সৃষ্টিতে সব মিলে আট দিন গণ্য হবে এবং একথা কুরআনের দ্বিতীয় আয়াতের বিপরীত হবে। যাতে বলা হয়েছে যে, আসমান জমিন ছয় দিনে সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়াও এ আয়াত ২১ নং সূরা আম্বিয়ার ৩০ নং আয়াতেরও বিপরীত হবে। যাতে এটা বলা হয়েছে যে, জমিন ও আসমানকে এক সময়ে সৃষ্টি করা হয়েছে।

এ কারণে এ আয়াতে এ শব্দটি সঠিক তরজমা এটা ব্যতীত অথবা এর সাথে সাথে হবে। আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলী সঠিক অনুবাদ Moreover' করেছেন, যাতে এটা পরিষ্কারভাবে স্পষ্ট হয় যে, যে সময়ে পাহাড় ও জমিন ইত্যাদি সমেত ছয় দিনে জমিন সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে একই সময়ে এর সঙ্গে দুদিনে আসমানগুলোকেও সৃষ্টি করা হয়েছে। এ জন্য সকল কিছুর সৃষ্টি আট নয় ছয় দিনে হবে।

ধরুন, একজন রাজমিস্ত্রি বললেন যে, দশ তলা বিল্ডিং এবং তার চার দেওয়াল ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করবে এবং এর সমাপ্তির পরে এর অতিরিক্ত তাফসীর বর্ণনা করতে গিয়ে একথা বলল, বিল্ডিং এর মূল কাঠামো দু'মাসের মধ্যে হয়েছে এবং দশ তলার গঠন চার মাসে হয়েছে এবং যখন কাঠামো ও মূল বিল্ডিং এক সাথে সমাপ্ত করল সেই সাথে বিল্ডিং এর চার দেয়ালের কাজও শেষ করেছে যা দু মাসের দৈর্ঘ্য সময় লেগেছে। এ কথার মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণনার মধ্যে বৈপরীত্য নেই। বরং দ্বিতীয় বর্ণনায় বিল্ডিং এর বিস্তারিত বর্ণনা এসেছে। আল কুরআনের কয়েক স্থানে সৃষ্টিকুলের পয়দার উল্লেখ রয়েছে। কোথাও বলা হয়েছে। কোথাও বলা হয়েছে ও

শব্দাবলিও ব্যবহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ২১ নং সূরা আম্বিয়ায় ৩০ নং আয়াতে Big Bang-এর উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, আসমান ও জমিনকে এক সময়ে সৃষ্টি করা হয়েছে।

অর্থ : এ কাফিররা কি দেখে না যে, আসমানসমূহ ও জমিন (এক সময়) ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল। অতঃপর আমিই এদের উভয়কে আলাদা করে দিয়েছি, আমি প্রাণবন্ত সবকিছুকেই পানি থেকে সৃষ্টি করেছি। এসব জানার পরও কি তারা ঈমান আনবে না? ২ নং সূরা বাকারার ২৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে

অর্থ : তিনি সেই মহান সত্তা যিনি এ পৃথিবীর সবকিছুকে তোমাদের জন্য তৈরি করেছেন। সাথে সাথে তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করলেন এবং সাত আসমান তৈরির কাজকে সুষম করলেন। তিনি সকল কিছু সম্পর্কে অবগত। এ আয়াতে - -এর অনুবাদ ‘অতঃপর করি, তাহলে এ আয়াত আল কুরআনে অন্য কিছু আয়াতের এবং Big Bang এর বিপরীত হয়ে যায়, এজন্যই -এর সঠিক তরজমা সাথে সাথে অথবা একই সাথে করতে হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন