hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের উপর ৪০টি অভিযোগ এবং তার প্রমাণ ভিত্তিক জবাব

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

৪০
প্রশ্ন-৩৯. কুরআনে কি একথা বলা হয় নি যে, ঈসা মসীহ আল্লাহর কালিমা ও আল্লাহর রূহ। এতে কি খোদায়িত্বের শান প্রকাশ পায় না?
উত্তর : কুরআন অনুযায়ী মসীহ আলাইহি সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে কালিমা : ‘আল্লাহর কালিমা’ নয়। ৩ নং সূরা আলে ইমরানের ৪৫ নং আয়াতে রয়েছে

অর্থ : অতঃপর ফেরেশতারা বলল, অবশ্যই আল্লাহ তার পক্ষ থেকে একটি কালিমার সুসংবাদ দিচ্ছেন, তার নাম হবে মসীহ ইবনে মারইয়াম। দুনিয়া-আখিরাতের উভয় দিকেই তিনি সম্মানিত হবেন। তিনি আল্লাহর নৈকট্য হাসিলকারীদের মধ্যে একজন। কুরআনে মসীহ আলাইহি সাল্লাম-এর উদ্দেশ্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক কালিমা’-এর দিক থেকে করা হয়েছে।

আল্লাহর কালিমা’-এর দিক থেকে না। আল্লাহর এক কালিমা অর্থ হচ্ছে আল্লাহর পয়গাম বা সংবাদ। কারো ব্যাপারে যদি আল্লাহর পক্ষ থেকে এক কালিমা' বলা হয়, তবে তার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তিনি আল্লাহর পয়গম্বর বা নবী। বিভিন্ন নবীকে বিভিন্ন উপাধিতে সম্মানিত করা হয়েছে।

যখন কোনো নবীকে কোনো উপাধি দেওয়া হয়, তবে এর দ্বারা আবশ্যকীয়ভাবে এ উদ্দেশ্য হয় না যে, অন্য কোনো নবীর মধ্যে এ গুণ পাওয়া যাবে না। যেমন ইবরাহীম আলাইহি সাল্লাম-কে কুরআনে খলীলুল্লাহ' অর্থাৎ আল্লাহর বন্ধু বলা হয়। এর দ্বারা এ উদ্দেশ্য নয় যে, অন্য নবী আল্লাহর বন্ধু নয়। মূসা আলাইহি সাল্লাম-কে কলিমুল্লাহ’ বলা হয়, যার দ্বারা বুঝা যায় যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তার সঙ্গে কথা বলছেন।

এর উদ্দেশ্য এই নয় যে, আল্লাহ তাআলা অন্য সকল নবীদের সঙ্গে কথা বলেন নি। এভাবে মসীহ আলাইহি সাল্লাম-কে কালিমাতুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর কালিমা’ বলা হয়। এর উদ্দেশ্য এই নয় যে, অন্যান্য নবী আল্লাহর কালিমা বা পয়গম্বর নন। ইয়াহইয়া আলাইহি সাল্লাম যাকে খ্রিস্ট ইউহোন্না সিবাগ (রঞ্জিত) (John the Baptist) বলেন এর মধ্যেও ঈসা আলাইহি সাল্লাম-কে কালিমাতুল্লাহ' অর্থাৎ আল্লাহর পক্ষ থেকে কালিমা বলা হয়েছে। ৩ নং সূরা আলে ইমরানের ৩৮ ও ৩৯ নং আয়াতে ঘোষণা করা হয়েছে

অর্থ : সেখানে দাঁড়িয়েই যাকারিয়া তার রবের নিকট দোআ করলেন, হে আমার রব, তুমি তোমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহের প্রতীক হিসেবে একটি নেক সন্তান দান কর, নিশ্চয়ই তুমি দোআ শ্রবণ করো। ফেরেশতারা তাকে ডাক দিল- এমন সময় যখন ইবাদতের কক্ষে নামায আদায় করছিল, আল্লাহ তাআলা তোমাকে ইয়াহইয়া সম্পর্কে সুসংবাদ দিচ্ছেন, আল্লাহর কালিমার সত্যতা প্রমাণ করবে, সে হবে নেতা, সততার প্রতীক, নবী এবং সৎকৰ্মশীল ব্যক্তিদের একজন। কুরআনে মসীহ আলাইহি সাল্লাম-এর উল্লেখ রুহুল্লাহ’ হিসেবে নয় বরং সূরা নিসায় রুহুম মিনাল্লাহ' অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে রূহ বলা হয়েছে। আল্লাহ ইরশাদ করেন ৪ নং সূরা নিসায় ১৭১ নং আয়াতে

অর্থ : হে আহলে কিতাব! নিজেদের দ্বীনের ব্যাপারে তোমরা বাড়াবাড়ি করো না এবং ঈসা আলাইহি সাল্লাম-এর বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা সম্পর্কে সত্য ছাড়া কোনো মিথ্যা বলো না। মারইয়ামের পুত্র ঈসা আলাইহি সাল্লাম ছিলেন আল্লাহর রাসূল এবং মারইয়ামের ওপর প্রেরিত আল্লাহর বাণী। তিনি ছিলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো এক রূহ। অতঃপর তোমরা আল্লাহ ও রাসূলদের প্রতি ঈমান আনো। তিন (মাবুদ) বলো না। এ থেকে তোমরা দূরে থাকো, এতেই তোমাদের কল্যাণ। নিশ্চয়ই আল্লাহ তিনি একক মাবুদ, তিনি সন্তান হওয়া থেকে পবিত্র। আসমানসমূহ ও জমিনের মধ্যে যা কিছু আছে সবই তাঁর। অভিভাবক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।

আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে রূহ ফুঁকে দেয়ার উদ্দেশ্য এ নয় যে, ঈসা আলাইহি সাল্লাম (নাউযুবিল্লাহ) মাবুদ। আল-কুরআনে কয়েক স্থানে বর্ণনা করা হয়েছে যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা মানুষের মধ্যে নিজের রূহ ঠুকে দেন। যেমন ১৫ নং সূরা হিজর-এর ২৯ নং আয়াতে

অর্থ : অতঃপর আমি যখন তাকে সুঠাম করবো এবং আমার রূহ থেকে ফুকে দেব, তখন তোমরা তার সামনে সিজদাবনত হয়ে যাবে। ৩২ নং সূরা সাজদার ৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে

অর্থ : পরে তিনি তাকে ঠিকঠাক করলেন এবং তার মধ্যে তিনি তার নিজের কাছ থেকে রূহ ফুকে দিলেন। তোমাদের জন্যে তাতে কান, চোখ ও অন্তঃকরণ দান করলেন। তোমাদের কম লোকই কৃতজ্ঞতা আদায় করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন