hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের উপর ৪০টি অভিযোগ এবং তার প্রমাণ ভিত্তিক জবাব

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

৩৮
প্রশ্ন-৩৭. কুরআনের কয়েক স্থানে বলা হয়েছে যে ইবলিস একজন ফেরেশতা ছিল, কিন্তু সুরা কাহফে এটা বলা হয়েছে যে, ইবলিস জ্বীন ছিল। এ দ্বারা কুরআনের বৈপরীত্য কি প্রমাণিত হয় না?
উত্তর : আল-কুরআনের বিভিন্ন স্থানে আদম ও ইবলিসের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। ২নং সূরা বাকারার ৩৪ নং আয়াতে রয়েছে

অর্থ : আমি যখন ফেরেশতাদের বললাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর, ইবলিস ছাড়া সবাই সিজদা করল। সে অস্বীকার করল এবং অহংকার করল। এছাড়াও কুরআনে উল্লেখ রয়েছে

১. ৭নং সূরা আরাফের ১১ নং আয়াতে।

২. ১৫ নং সূরা হিজরের ১৩ ও ২৮ নং আয়াতে।

৩. ১৭ নং সূরা বনী ইসরাঈলের ৬১ নং আয়াতে।

৪. ২০ নং সূরা ত্বহার ১১৬ নং আয়াতে।

৫. ৩৮ নং সূরা ছদ এর ৭১ ও ৭৪ নং আয়াতে। কিন্তু ১৮ নং সূরা কাহফের ৫০ নং আয়াতে রয়েছে

অর্থ : (স্মরণ কর) যখন আমি ফেরেশতাদের বললাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর, তখন ইবলিস ছাড়া সবাই সিজদা করল। সে ছিল জ্বীনদের অন্তর্ভুক্ত এবং সে তার প্রভুর নাফরমানি করল। সূরা বাকারার বর্ণিত কয়েক আয়াতের প্রথম অংশ থেকে আমরা জানলাম যে, ইবলিস একজন ফেরেশতা ছিলেন। কুরআন আরবি ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে। আরবি ভাষায় একটি সাধারণ কায়েদা আছে যাতে, যদি অধিকাংশকে সম্বোধন করা হয়, তাহলে অল্পসংখ্যক নিজে নিজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। যেমন : আমি ১০০ ছাত্রের এক শ্রেণিতে বক্তা যার মধ্যে ৯৯ জন ছাত্র এবং ১ জন ছাত্রী। আমি আরবিতে যদি বলি সকল ছাত্র দাড়িয়ে যাও, তা হলে এর প্রয়োগ ছাত্রীর উপরও পড়বে।

আমাকে আলাদাভাবে এ ছাত্রীকে সম্বোধন করা আবশ্যক নয়। এরূপভাবে কুরআন অনুযায়ী যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যখন ফেরেশতাদের সম্বোধন করেছেন তখন ইবলিস সেখানে ছিল এবং এটা আবশ্যক ছিল না যে, তার উল্লেখ আলাদা করতে হবে, এজন্য সূরা বাকারা এবং অন্যান্য সূরায় ইবলিস ফেরেশতা হোক বা না হোক তাকে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয় নি। তবে সূরা কাহফের ৫০ নং আয়াত মোতাবেক ইবলিস একজন জ্বীন ছিল। কুরআনের কোথাও একথা বলা হয় নি যে, ইবলিস একজন ফেরেশতা ছিল, এজন্য আল কুরআনে এ ব্যাপারে কোনো বৈপরীত্য নেই। এ ব্যাপারে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কথা এই যে, জ্বীনদের স্বাধীনতা ও ইচ্ছে প্রদান করা হয়েছে। সে চাইলে আনুগত্য অস্বীকার করতে পারে। তবে ফেরেশতাদের স্বাধীনতা ও ইচ্ছে দেয়া হয় নি এবং তারা সর্বদা আল্লাহর আনুগত্য করে থাকে।

এজন্য এ প্রশ্নের সৃষ্টি হয় না যে, কোনো ফেরেশতা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নাফরমানি করবে। একথা থেকে এ জিনিস প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল যে, ইবলিস একজন জ্বীন ছিল, ফেরেশতা নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন