hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের উপর ৪০টি অভিযোগ এবং তার প্রমাণ ভিত্তিক জবাব

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

৩৪
প্রশ্ন-৩৩. হিন্দু পণ্ডিত অ্যাণ শৌরী এ দাবি করেছে যে, আল-কুরআনে হিসাবে একটি ভুল রয়েছে। তার বক্তব্যে সূরা নিসার ১১ ও ১২ নং আয়াতে উত্তরাধিকারের অংশগুলো যদি যোগ দেয়া হয় তাহলে সংখ্যা একের অধিক হয়। এজন্য কুরআনের রচয়িতা গণিত জানে না।
উত্তর : উত্তরাধিকারের বিধান কুরআনে বহু স্থানে বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন : ১. ২ নম্বর সূরা বাকারার ১৮০ নম্বর আয়াত। ২. ২ নম্বর সূরা বাকারার ২৪০ নম্বর আয়াত। ৩. ৪ নম্বর সূরা নিসার ৭ নং থেকে ৯ নং আয়াত। ৪. ৪ নম্বর সূরা নিসার ১৯ এবং ৩৩ নং আয়াত। ৫. ৫ নম্বর সূরা মায়িদাহ্-এর ১০৫ এবং ১০৮ নং আয়াত। তবে অংশীদারের অংশের ব্যাপারে ৪ নং সূরা নিসার ১১, ১২ এবং ১৭৬ নং আয়াতে সম্পূর্ণ পরিষ্কার বিধানাবলি বর্ণনা করা হয়েছে। আমরা সূরা নিসার আয়াত নং ১১ এবং ১২ কে বিশ্লেষণ করবো। যার বরাত অরুন শৌরী দিয়েছে। কুরআন বলেছে

অর্থ : আল্লাহ তাআলা তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে এই মর্মে তোমাদের জন্যে বিধান জারি করেছেন যে, এক ছেলের অংশ হবে দুই কন্যা সন্তানের মতো, কিন্তু উত্তরাধিকারী কন্যারা যদি দুয়ের বেশি হয়, তাহলে তাদের জন্যে (থাকবে) রেখে যাওয়া সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ। আর সে কন্যা সন্তান যদি এক হয় তাহলে তার (অংশ) হবে (পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধেক। মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকলে তার

পিতা-মাতার জন্যে থাকবে (সে সম্পদের) ছয় ভাগের এক ভাগ, (অপরদিকে) মৃত ব্যক্তির যদি কোনো সন্তান না থাকে এবং পিতা-মাতাই যদি হয় তার একমাত্র উত্তরাধিকারী, তাহলে তার মায়ের (অংশ) হবে তিন ভাগের এক ভাগ, যদি মৃত ব্যক্তির কোনো ভাই-বোন (বেঁচে) থাকে, তাহলে তার মায়ের (অংশ) হবে ছয় ভাগের এক ভাগ। (মৃত্যুর) আগে সে যে ওসিয়ত করে গেছে এবং তার (রেখে যাওয়া) ঋণ আদায় করে দেওয়ার পরই (এসব ভাগ বাটোয়ারা করতে হবে) তোমরা জানো না তোমাদের পিতা-মাতা তোমাদের সন্তান-সন্ততি এর মধ্যে কে তোমাদের জন্যে উপকারের দিক থেকে বেশি নিকটবর্তী, (অতএব) এ হচ্ছে আল্লাহর বিধান। অবশ্যই আল্লাহ তাআলা সকল কিছু সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং তিনিই হচ্ছেন মঙ্গলময়।

অর্থ : তোমাদের স্ত্রীদের রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে তোমাদের অংশ হচ্ছে অর্ধেক যদি তাদের কোনো সন্তানাদি না থাকে, আর যদি তাদের সন্তান থাকে, তাহলে (সে সম্পত্তিতে) তোমাদের অংশ হবে চার ভাগের এক ভাগ। তারা যে ওসিয়ত করে গেছে কিংবা (তাদের) ঋণ পরিশোধ করার পরই (কিন্তু তোমরা এ অংশ পাবে।) তোমাদের স্ত্রীদের জন্যে (থাকবে) তোমাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ, যদি তোমাদের কোনো সন্তান না থাকে। যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তাহলে তারা পাবে রেখে যাওয়া সম্পদের আট ভাগের এক ভাগ। মৃত্যুর আগে তোমরা যা ওসিয়ত করে যাবে কিংবা যে ঋণ তোমরা রেখে যাবে তা পরিশোধ করে দেয়ার পরই (এই অংশ তারা পাবে)। যদি কোনো পুরুষ কিংবা নারী এমন হয় যে, তার কোনো সন্তানও নেই, পিতা-মাতাও নেই, শুধু আছে তার এক ভাই ও এক বোন, তাহলে তাদের সবার

জন্যে থাকবে ছয় ভাগের একভাগ। ভাই-বোন মিলে তারা যদি এর চেয়ে বেশি হয়, তবে (মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পদের এক-তৃতীয়াংশে তারা সবাই সমান অংশীদার হবে। অবশ্য এ সম্পত্তির ওপর মৃত ব্যক্তির যা ওসিয়ত করা আছে কিংবা কোনো ঋণ পরিশোধ, এরপরই এই ভাগাভাগি করা যাবে। তবে কখনো উত্তরাধিকারীদের অধিকার পাওয়ার পথে তা যেন ক্ষতিকর হয়ে না দাঁড়ায়। সে কথাও খেয়াল রাখতে হবে, (উত্তরাধিকার বণ্টনের ব্যাপারে) এই হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশ। আর আল্লাহ তাআলা সর্বজ্ঞানী ও পরম ধৈর্যশীল।

ইসলামে উত্তরাধিকার আইন খুবই বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছে। কুরআন এক পরিপূর্ণ এবং ভিত্তিশীল মূল বর্ণনা করা হয়েছে এবং মুহাম্মদ (সাঃ) এর হাদীসে বিস্তারিত বর্ণনা এসেছে। এটা এতো পরিপূর্ণ ও বিস্তারিত যে, যদি কোনো অংশীদাররা বিভিন্ন কৌশল ও বিন্যাসের সাথে এর ওপর দক্ষতা অর্জন করতে চায় তাহলে তাকে এজন্য সারাজীবন ব্যয় করার প্রয়োজন হবে। ১. অ্যারুন শৌরী আছে যে কুরআনের দুআয়াত দ্রুত ও উপরি উপরি অধ্যয়ন থেকে এবং শরয়ী মাপকাঠি না জেনেই এ বিধান জানার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়লো। এর দৃষ্টান্ত হলো তার মতো যে, বীজগণিতের এক সরল সমাধান করার সখ রাখে; কিন্তু গণিতের মূল নিয়মের আগাও নয়। যা অনুযায়ী এ কথা আবশ্যকীয়ভাবে জানা থাকতে হবে যে, গণিতের কোন্ চিহ্ন আগে আসবে, প্রথমে তো মৌলিক নিয়ম সমাধান করার প্রয়োজন।

২. প্রথমে আপনাকে ব্র্যাকেটের কাজ করতে হবে। দ্বিতীয় অবস্থায় যোগ ও বিয়োগের কাজ করতে হয়। যদি অ্যারুন শৌরী হিসাব সম্পর্কে অজ্ঞ হয় এবং সরল অংকের প্রথমে গুণন দিয়ে শুরু করে, এরপর বিয়োগ করে, এরপরে ব্র্যাকেট করে, এরপর ভাগের দিকে আসে এবং সর্বশেষে যোগের কাজ করে তাহলে নিশ্চিতই এর উত্তর ভুল হবে। এরূপভাবে ৪ নং সূরা নিসার ১১ ও ১২ নং আয়াতে উত্তরাধিকারের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে, তবে যদিও প্রথমে সন্তানদের অংশের উল্লেখ করেছে এরপরে পিতা-মাতা এবং স্বামী-স্ত্রীর অংশের উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু ইসলামের উত্তরাধিকার আইনে সবার আগে ঋণ এবং কর্তব্য আদায় করতে হবে। এরপরে পিতা-মাতা এবং স্বামী-স্ত্রীর অংশ দিতে হবে যা ভিত্তির ওপর হবে যে, মৃত তার পেছনে সন্তান রেখে এসেছে কিনা? এরপরে বাকি অংশ ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে নির্ধারিত অংশ মোতাবেক বণ্টন করতে হবে। এভাবে করলে বেশি হবার প্রশ্ন আবার কোথায় থাকল? (যেমন আ: করিম- পিতা-মাতা, স্ত্রী ও দুই ছেলে এক মেয়ে রেখে মারা গেল। বিধি মোতাবেক পিতা ১ + মাতা ২ + স্ত্রী ২ = (৪ + ৪ + ৩)/২৪ = ১৯ এবং বাকি ২৪ অংশ পাঁচ ভাগ হবে এবং প্রত্যেক

ছেলে প্রত্যেক মেয়ের দ্বিগুণ হিসেবে পাবে। অংশ বাকি থাকার বা যোগফল ১ এর অধিক হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।) এজন্য আল্লাহ তাআলা গণিত জানেন না তা নয় বরং অ্যারুন শৌরী গণিতের জ্ঞান সম্পর্কে অজ্ঞ এবং অনভিজ্ঞ।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন