hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের উপর ৪০টি অভিযোগ এবং তার প্রমাণ ভিত্তিক জবাব

লেখকঃ ডা. জাকির নায়েক

১১
প্রশ্ন-১০. ইসলামে মদকে কেন হারাম করা হয়েছে?
উত্তর : প্রাচীনকাল থেকে মদ মানব সমাজের জন্য বিপদ ও হয়রানির কারণ হয়ে আছে। আজো সারা দুনিয়ায় বহুলোক এ পাপের মূল (মদ) এর কবলে পড়ে এবং লাখ লাখ লোক এর কারণে নানা ধরনের সমস্যার শিকার হচ্ছেন। সমাজের বহু সমস্যার মূল এ জিনিস। এর দ্বারা অপরাধ বৃদ্ধি পায়, মস্তিষ্কে রোগ এবং মদের ধ্বংসের শিকারে বহু পরিবার ভেঙ্গে যায়। আল-কুরআনে এর নিষিদ্ধকারী আয়াত হলো ৫ নং সূরা মায়িদার ৯০ নং আয়াত, এরূপ এসেছে

অর্থ : হে ঈমানদার লোকেরা! তোমরা জেনে রাখো মদ, জুয়া, পূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণায়ক তীর হচ্ছে ঘৃণিত শয়তানের কাজ। তোমরা তা সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ কর তাহলে তোমরা সফল হবে। বাইবেলেও মদকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আহাদ নামা আতীকের দৃষ্টান্ত ধর্ম গ্রন্থে আছে, মদ হলো একটি ধোকাবাজ পানীয়। যে এর নিকট দিয়ে গমন করে, তাকে পাগল বানিয়ে ছাড়ে। আহাদনামা আতীকে আছে- এবং মদের নেশায় নিমগ্ন হয়ো না।

মানুষের মস্তিষ্কে খারাপ থেকে ফেরানোর একটি পদ্ধতি আছে যাকে নফসে লাওয়ামাহ' বলা হয়। এটা মানুষকে ভুল (নিষিদ্ধ কাজ) থেকে বিরত রাখে। উদাহরণস্বরূপ, সাধারণভাবে একজন মানুষ মাতা-পিতা এবং বড়দের সঙ্গে কথা বলার সময় ভুল বা খারাপ ভাষা ব্যবহার করে না। এভাবে যখন তার পায়খানা পেশাবের চাপ আসে তখন সাধারণত তা চাপিয়ে রাখে এবং মানুষ টয়লেটে চলে যায় এবং সেখান থেকে পৃথক হয়ে প্রয়োজন পূর্ণ করে পবিত্র হয়।

যদি মদ পান করে তখন মানুষের স্বভাবগত শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে যায় এবং সে এমন আচরণ করে যে, যা সাধারণত তার স্বভাবের বাইরে। সে মদের নেশায় ভুল এবং বিশ্রী ভাষা ব্যবহার করে। কিন্তু এতে তার অনুভূতি হচ্ছে না যে, সে তার পিতা-মাতাকেও সম্বোধন করছে। বেশিরভাগ মদ্যপ নিজ পোশাকেই পেশাব করে দেয়। সে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে না। স্বাভাবিকভাবে চলতেও পারে না। কথাও বলতে পারে না।

এমনকি মারপিটের দ্বারাও স্বাভাবিক হয় না। আমেরিকার বিচার বিভাগের এফ জেস্ট-এর এক ব্যুরো রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৯৬ সালে আমেরিকায় ২ হাজার ৭১৩টি ধর্ষণ দৈনিক সংঘটিত হয়েছে। গণনায় ধরা পড়েছে যে, এ ধর্ষকদের অধিকাংশই নেশাগ্রস্ত ছিল। পরিসংখ্যানে এ তথ্যও পাওয়া গেছে যে, ৮% আমেরিকান মুহরিমাদের সাথে যৌন আচরণ করে। অন্য কথায়, প্রত্যেক ১২ জনের মধ্যে একজন এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত। এ সকল ঘটনার সিংহভাগ একজন অথবা উভয়ের নেশাগ্রস্ততার মধ্যে ঘটে। মরণব্যাধি এইডস-এর ছড়িয়ে পড়ার এক বড় কারণ হলো নেশা।

বহুলোক একথা বলে যে, সে অস্থায়ী নেশাকারী অর্থাৎ কখনো কখনো সুযোগ পেলে মদ পান করে। সে আরো বলে, সে নেশায় বুদ হয়ে যায় না, ২/১ কাপ পান করে মাত্র এবং তার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ আছে এবং তার নেশা হয় না। বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, শুরুতে সকলে হালকা ও অস্থায়ী মদ্যপ হয়। একজনও একথা চিন্তা করে মদপান শুরু করে না যে, সে মূল মদ পানকারী হবে। কোনো কোনো অস্থায়ী মদ্যপ এটাও বলে যে, আমি কয়েক বছর যাবত মদ পান করছি এবং আমি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখি। আমার একবারও নেশা হয় নি। ধরুন, একজন অস্থায়ী মদ্যপ যদি মাত্র একবার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়।

সে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ধর্ষণ করল অথবা নিজের কোনো মুহরিমার সঙ্গে ব্যভিচার করে বসল। পরবর্তীতে অনুভূতি তার ওপর সারা জীবন থাকবে। ব্যভিচারকারী এবং এর শিকার নারীর এতো বড় ক্ষতি হয় যে, তার পরিসংখ্যান অসম্ভব। সুনানে ইবনে মাজার ‘পান অধ্যায়' এর বাবু ওমর (মদ অধ্যায়) হাদীস নং ৩,৩৭১ এ মদের হারাম হবার বিষয়টি আছে। প্রিয় নবী করীম : এরশাদ করেন, মদ পান করো না, নিঃসন্দেহে এটি সকল অপরাধের চাবি (মূল)'। ৩,৩৯২ নং হাদীসে বলা হয়েছে

সকল নেশা এবং নেশাদ্রব্য হারাম। সামান্য পরিমাণ নেশার উদ্রেক করলে সামান্য পরিমাণও হারাম। অর্থাৎ মদের এক ঢোক বা এক চামচও হারাম যে ব্যক্তি মদপান করে তার ওপর আল্লাহ তাআলার অভিশাপ এবং ঐ সকল লোকের ওপরও আল্লাহর অভিশাপ যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদের লেনদেনের সাথে যুক্ত। সুনানে ইবনে মাজার (৩৩৮০) আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু-এর বর্ণিত হাদীসে ইরশাদ হলোআল্লাহ তাআলা মদের ওপর দশ প্রকারের অভিশাপ দিয়েছেন। তাহলো১. মদের সঞ্চয়কারীর ওপর। ২. মদ প্রস্তুতকারক। ৩. যার জন্য মদ প্রস্তুত করা হয়।

৪. মদের বিক্রেতা। ৫. যে মদের ক্রেতা হয়। ৬, মদের জন্য গমনকারীর ওপর। ৭. যার নিকট মদ নিয়ে যাওয়া হয়। ৮. মদের মূল্য আদায়কারীর ওপর। ৯. মদের পানকারীর ওপর। ১০. মদের পরিবেশনকারীর ওপর। মদ এবং যাবতীয় নেশাদ্রব্য ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞার বহু বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। দুনিয়ায় মদের কারণে বহু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেক বছর মদের কারণে লাখ লাখ লোক মারা যায়। আমি এর সকল পরিসংখ্যান একত্র করতে চাই না। তবে কয়েকটি উল্লেখ করতে চাই১. পাকস্থলীর ক্যান্সার এক বহু প্রসিদ্ধ রোগ যা মদের কারণে হয়ে থাকে। ২. পাকস্থলীর অন্ত্রের ক্যান্সার এবং বৃহৎ অন্ত্রের ক্যান্সার।

Cardiomyopatry অর্থাৎ হৃদয়ের অঙ্গে এর প্রভাব পড়ে রক্তচাপ এবং Coronary Artherosclerosis অর্থাৎ হৃদয়ের শিরাগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

এনজায়েনা এবং হার্ট এর চলার সকল রোগ মদের প্রভাবে হয়। ৪. মগজের নড়াচড়া এবং তার যাবতীয় বিষয়ের সম্পর্ক নেশার সাথে।

বিভিন্ন প্রকার মস্তিষ্কের রোগ যেমন- Cortical, Peripheral, Neuropathy, Cerebellar Atrophy, Atrophy এসব বেশিরভাগ মদ পানের কারণে হয়। স্মৃতিশক্তির কমতি ঘটে। বেরিবেরি রোগ এবং দন্ত সম্পৰ্কীয় সকল রোগ মদ পানের কারণে হয়। ডিলিরিম রিমিনন ও বারবার মদ পানের কারণে হয় যা এক ধরনের মারাত্মক রোগ অপারেশনের পরে হয় এবং অনেক সময় এটা মৃত্যুর কারণও হয়। এর লক্ষণ হলো মেধার কমতি, ভীতি, ঘাবড়ানো ও ধারণা করা। এড়ো কারায়েন গজ রোগ যেমন Myoxodema, Florid Cushing, Hyperthyroidism ইত্যাদি।

১০. রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ততার রোগগুলো, রক্ত স্বল্পতা, এর কারণে Mycirocytic Anemia, এনিমিয়া, এরকান ইত্যাদি মদপান ও নেশাগ্রস্ততা থেকে জন্ম নেয়। ১১. রক্তের সাদা কণিকার স্বল্পতা এবং এ সংক্রান্ত সমস্যাবলি দেখা দেয়। ১২. সাধারণ ব্যবহার্য ওষুধ মেট্রো নিডাজল (ফ্লাজিল) মদের সাথে খুবই মারাত্মক রিঅ্যাকশন করে। শরীরের ইনফেকশন থেকে বারবার প্রভাবিত হয় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায় অতিরিক্ত মদ পানের কারণে। সীনার ইনফেকশন, নিউমোনিয়া, ফুসফুসের জালা Emphysena এবং ফুসফুসের টিবি, (যক্ষ্মা), মদের কারণে জন্মলাভকারী সাধারণ রোগ। মদে অভ্যস্থকারী নেশার অবস্থায় বেশিরভাগ সময় বমি করে। এছাড়া যে সকল বিষয় শ্বাশনালীকে সংরক্ষণ করে তা নষ্ট করে দেয়। যার কারণে সাধারণত বমি ফুসফুসের মধ্যে চলে যায়, ফলে নিউমোনিয়া এবং ফুসফুসের

ক্ষতি হয় এবং অনেক সময় দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে থাকে। ১৬. মহিলাদের মধ্যে মদের বেশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। পুরুষের তুলনায় মদ্যপ নারীর হার্টবিট বেশি হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের বাচ্চার ওপর খুব বেশি প্রভাব পড়ে। ১৭. চর্মের রোগ-বালাইও মদপানের কারণে হয়ে থাকে। ১৮. চর্মের রোগগুলোর মধ্যে Atopecia অর্থাৎ গাঞ্জাপন, নখগুলো ভেঙ্গে যাওয়া,

নখের ইনফেকশন ইত্যাদি রোগ মদপানের কারণে হয়ে থাকে। এখন ডাক্তার মদের ব্যাপারে স্বাধীন চিন্তা করে এবং মদকে রোগের চেয়েও বেশি নাম দিয়ে থাকে। ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন একটি পোস্টার প্রচার করে। যাতে একথা বলা হয়েছিল যে, যদিও মদ একটি রোগ, যা অনেক রোগের মূল। যা১. বোতলে বিক্রি করা হয়। ২. এর প্রসার, প্রচার রেডিও টিভিতে হয়। ৩. এর প্রচারের লাইসেন্স দেয়া হয়। ৪. এটা রাষ্ট্রের পক্ষে এক নম্বরী দুর্নীতি করে।

বড় বড় শহরে ভয়ানক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর কারণ। ৬. ঘরোয়া জীবনকে ধ্বংস করে এবং অপরাধের বৃদ্ধি ঘটায়। ৭. জীবাণু ও ভাইরাস ব্যতীতই মানুষদের ধ্বংসের কারণ হয়। মদ শুধু একটি রোগই নয় বরং এটা শয়তানের এক মারাত্মক হাতিয়ার। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা নিজ সীমাহীন হিকমতের কারণে আমাদেরকে শয়তানের

জাল থেকে বাচানোর জন্য খবরদার (সাবধান করে দিয়েছেন। এটা মানুষের প্রকৃতির ধর্ম। এর যে ধরনের বিধান আছে তা মানুষের মূল ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যকে সমান রাখার জন্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু মদ মানুষ ও সমাজের স্বাভাবিক প্রকৃতি থেকে পৃথক করে দেয়। এটা মানুষকে পশুর চেয়েও নিচে নামিয়ে দেয়। যদিও সে আশরাফুল মাখলুকাত হবার দাবি করে। এ সকল কারণে মদকে হারাম করা হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন