hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুন্নাত ও বিদয়াত

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (র.)

২০
বিদয়াত কত প্রকার?
বিদয়াত সম্পর্কে এ মৌলিক আলোচনার শেষ পর্যায়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা একান্ত আবশ্যক, তা হলো বিদয়াতের প্রকারভেদ সম্পর্কে। প্রশ্ন হলো, বিদয়াত কি সত্যিই কয়েকভাগে বিভক্ত?

সাধারণভাবে মুসলিম সমাজের প্রচলিত ধারণা হলো বিদয়াত দু’প্রকার। একটি হলো ‘বিদয়াতে হাসানা’ বা ‘ভালো বিদয়াত’ আর দ্বিতীয়টি হলো ‘বিদয়াতে সাইয়্যেয়া’ বা মন্দ বিদয়াত। কেউ কেউ দ্বিতীয়টির নাম দিয়েছেন ‘বিদয়াতে মুস্তাকবিহা’ বা ‘ঘৃণ্য ও জঘন্য বিদয়াত’। কিন্তু বিদয়াতের এ বিভাগও বোধ হয় একটি অভিনব বিদয়াত। কেননা বিদয়াতকে ‘ভালো’ ও ‘মন্দ’ এ দু’ভাগে ভাগ করার ফলে বহু সংখ্যক ‘বিদয়াত’-ই ভালো বিদয়াত হওয়ার পারমিট নিয়ে ইসলামী আকীদা ও আমলের বিশাল ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করেছে অগোচরে। ফলে তওহীদবাদীরাই আজ এমন সব কাজ অবলীলাক্রমে করে যাচ্ছে, যা প্রকৃতপক্ষেই তওহীদবিরোধী-যা সুস্পষ্টরূপে বিদয়াত এবং কোনো তওহীদবাদীর পক্ষেই তা এক মুহুর্তের তরেও বরদাশত করার যোগ্য নয়।

এ পর্যায়ে আল্লামা বদরুদ্দীন আইনীর মতো মনীষী ও বিদয়াতকে দু’প্রকারে বলে একটি সংজ্ঞা পেশ করেছেন। তিনি বলেছেনঃ বিদয়াত দু’প্রকার। বিদয়াত যদি কোনো শরীয়তসম্মত ভালো কাজের মধ্যে গণ্য হয়, তবে তা ‘বিদয়াতে হাসানা’-ভালো বিদয়াত। আর তা যদি শরীয়তের দৃষ্টিতে খারাপ ও জঘন্য কাজ হয়, তবে তা ‘বিদয়াতে মুস্তাকবিহা’ বা ‘ঘৃণ্য ও জঘন্য বিদয়াত’।

প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ও গ্রন্থ প্রণেতা ইমাম শাওকানী লিখেছেনঃ ‘বিদয়াত’ আসলে বলা হয় এমন নতুন উদ্ভাবিত কাজ ও কথাকে, পূর্ববর্তী সমাজে যার কোনো দৃষ্টান্তই পাওয়া যায়না। আর শরীয়তের পরিভাষায় সুন্নাতের বিপরীত জিনিসকে বলা হয় বিদয়াত। অতএব তা অবশ্যই নিন্দনীয় হবে।

অর্থাৎ যা-ই সুন্নাতের বিপরীত তা-ই বিদয়াত। অতএব বিদয়াতের সব কিছুই নিন্দনীয়, পরিত্যাজ্য, তার মধ্যে কোনো দিকই প্রশংসনীয় বা ভালো হতে পারেনা। অন্য দিকে বিদয়াতকে দু’ভাগে ভাগ করে এক ভাগকে ভালো বিদয়াত বলে আখ্যায়িত করা এবং এক ভাগকে মন্দ বিদয়াত বলা একেবারেই অমূলক।

এ কথার যৌক্তিকতা অনস্বীকার্য্। শরীয়তে যার কোনো না কোনো ভিত্তি বা দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়া যাবে, তা তো কোনোক্রমেই সুন্নাতের বিপরীত হতে পারেনা। যা-ই সুন্নাতের বিপরীত নয়, তা-ই বিদয়াত নয়। আর যার কোনো দৃষ্টান্তই ইসলামের সোনালী যুগে পাওয়া যায়না, শরীয়তে পাওয়া যায়না যার কোনো ভিত্তি তা কোনোক্রমেই শরীয়তসম্মত নয় বরং তা-ই সুন্নাতের বিপরীত; অতএব তা-ই বিদয়াত। এর কোনো দিকই ভালো প্রশংসনীয় বা গ্রহণযোগ্য নয়। এক কথায় বিদয়াতকে হাসানাহ্ ও সাইয়্যেয়া-ভালো ও মন্দ ভাগ করা অযৌক্তিক।

রাসূলের যুগে বিদয়াতের মধ্যে কোনো ভালো দিক পাওয়া যায়নি। সাহাবী ও তাবেয়ীনের যুগেও নয়, রাসূলের বাণীতেও বিদয়াতকে এভাবে ভাগ করা হয়নি।

তাহলে মুসলিম সমাজে বিদয়াতের এ বিভাগ কেমন করে প্রচলিত হলো? এর জবাব পাওয়া যাবে হযরত উমর ফারূকের(রা) একটি কথার বিস্তারিত ব্যাখ্যার মাধ্যমে। এ সম্পর্কে হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে। আবদুর রহমান ইবনে আবদুল কারী বলেনঃ আমি হযরত উমর(রা) এর সাথে রমজান মাসে মসজিদে গেলাম। সেখানে দেখলাম লোকেরা বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্তভাবে নিজ নিজ নামায পড়ছে। আবার কোথাও একজন লোক নামায পড়ছে, আর তার সঙ্গে পড়ছে কিছু লোক। তখন হযরত উমর(রা) বলেনঃ আমি মনে করছি, এসব লোককে একজন ভালো ক্বারীর পিছনে একত্রে নামায পড়তে দিলে খুবই ভালো হতো। পরে তিনি তাই করার ব্যবস্থা করেন এবং হযরত উবাই ইবনে কায়াবের ইমামতিতে জামায়াতে নামায পড়ার ব্যবস্থা করে দিলেন। এই সময় এক রাত্রে আবার উমর ফারূকের সাথে আমিও বের হলাম। তখন দেখলাম লোকেরা একজন ইমামের পেছনে জামা‘আতবদ্ধ হয়ে তারাবীহর নামায পড়ছেন। এ থেকে হযরত উমর(রা) বললেনঃ এতো খুব ভালো বিদয়াত।(এই হাদীসটি ঈমাম বুখারী প্রমূখ মুহাদ্দিস জামা‘আতের সাথে তারাবীহ নামায পড়ার পর্যায়েই তা উল্লেখ করেছেন। রমযান মাসে জামা‘আতের সাথে তারাবীহ পড়া যে জায়েজ এ হাদীসই তার দলীল।)

হাদীসের শেষভাগে উল্লেখিত হযরত উমর ফারূক(রা) এর কথাটিই হলো বিদয়াতকে দু’ভাগে ভাগ করার পক্ষে অনেকের যুক্তি। বাক্যটির শাব্দিক তরজমা হলো ‘এটা একটা উত্তম বিদয়াত’। আর একটি বিদয়াত যদি উত্তম হয়, তাহলে আপনা আপনি বোঝা যায় যে, আর একটি বিদয়াত অবশ্যই খারাপ হবে। তাহলে মনে করা যেতে পারে যে, কোনো কোনো বিদয়াত ভালো, আর কোনো কোনো বিদয়াত মন্দ। এই হলো এ ব্যাপারে মূল ইতিহাস। মনে হচ্ছে উত্তরকালে হাদীসের ব্যাখ্যা লিখতে গিয়েই লোকেরা বিদয়াতের এ দুটো ভাগকে তুলে ধরেছেন। এবং বুখারী থেকেই সাধারণ সমাজে এ কথাটি ছড়িয়ে পড়েছে ও লোকদের মনে বদ্ধমূল হয়ে বসেছে। এখন অবস্থা হচ্ছে এই যে, যে কোনো বিদয়াতকে সমালোচনা করলে বা সে সম্পর্কে আপত্তি তোলা হলে, তাকে বিদয়াত বলে ত্যাগ করার দাবি জানানো হলে অমনি জবাব দেয়া হয়, ‘হ্যাঁ, বিদয়াততো বটে, তবে বিদয়াতে সাইয়্যেয়া নয়, বিদয়াতে হাসানাহ, অতএব ত্যাগ করার প্রয়োজন নেই।’ হয়তোবা এ বিদয়াতের হাসানাহ এর আবরণে সুন্নাতের সম্পূর্ণ খেলাপ এক মারাত্মক বিদয়াত-ই সুন্নাতের মধ্যে, সওয়াবের কাজের মধ্যে গণ্য হয়ে মুসলিম সমাজে দ্বীনি মর্যাদা পেয়ে গেল। বস্তুত বিদয়াতের মারাত্মক দিক-ই হচ্ছে এই। এ কারণে বাস্তবতার দৃষ্টিতে রাসূলের বাণী ‘সব বিদয়াত-ই গোমরাহী’- এ কথাটি অর্থহীন হয়ে যায়। কেনন সব বিদয়াত-ই যদি গোমরাহী হয়ে থাকে তাহলে কোনো বিদয়াতই হেদায়াত হতে পারেনা। কিন্তু বিদয়াতের ভাগ-বন্টনে তার বিপরীত কথাই প্রমাণিত হয়। তার অর্থ দাঁড়ায় এই যে, কোনো কোনো বিদয়াত ভালোও আছে।রাসূলের কথা ‘সব বিদয়াতই গোমরাহী’ এ কথাটি ঠিক নয় (নাউজুবিল্লাহে মিন জালিক)। রাসূলের কথার বিপরীত ব্যাখ্যা দানের মারাত্মক দৃষ্টতা এর চেয়ে আর কিছু হতে পারেনা।

আমার বক্তব্য এই যে, মূলত বিদয়াতকে হাসানাহ ও সাইয়্যেয়া এ দু’ভাগে ভাগ করাই ভুল। আর হযরত উমর ফারূক(রা) এর কথা দ্বারাও এ বিভাগ প্রমাণিত হয়না। কেননা উমর ফারূক(রা) এর কথার অর্থ মোটেই তা নয়, যা মনে করা হয়েছে। এ জন্যে যে, উমর ফারূক(রা) জামা‘আতের সাথে তারাবীহর নামাযকে সে অর্থে বিদয়াত বলেননি, যে অর্থে বিদয়াত সুন্নাতের বিপরীত। তা বলতেও পারেননা তিনি। হযরত উমরের চাইতে অধিক ভালো আর কে জানবেন যে, জামা‘আতের সাথে তারাবীহ এর নামায পড়া মোটেই বিদয়াত নয়। রাসূলের জামানায় তা পড়া হয়েছে। রাসূলে করীম(সা) তারাবীহ এর নামায দু’তিন রাত নিজেই ইমাম হয়ে পড়িয়েছেন- এ কথা সহীহ হাদীস হতেই প্রমাণিত।

হযরত আয়েশা(রা) বলেনঃ (আরবি)

-নবী করীম(স) মসজিদে নিজের নামায পড়ছিলেন। বহু লোক তাঁর সঙ্গে নামায পড়লো, দ্বিতীয় রাত্রেও সে রকম হলো। এতে করে এ নামাযে খুব বেশি সংখ্যক লোক শরীক হতে শুরু করলো। তৃতীয় বা চতূর্থ রাত্রে যখন জনগণ পূর্বানুরূপ একত্রিত হলো, তখন নবী করীম(স) ঘর হতে বের হলেননা। পরের দিন সকাল বেলা রাসূলে করীম(স) লোকদের বললেনঃ তোমরা যা করেছ তা আমি লক্ষ্য করেছি। আমি নামাযের জন্য মসজিদে আসিনি শুধু একটি কারণে, তাহল এভাবে জামা‘আতবদ্ধ হয়ে (তারাবীহ) নামায পড়লে আমি ভয় পাচ্ছি, হয়ত তা তোমাদের ওপর ফরযই করে দেয়া হবে।

হযরত আয়েশা (রা) বলেনঃ ‘এ ছিল রমযান মাসের ব্যাপার।’

এ হাদীসে অকাট্যভাবে প্রমাণ করে যে, জামা‘আতের সাথে তারাবীহ নামায পড়াবার কাজ প্রথম করেন নবী করীম(স) নিজে। করেন পর পর তিন রাত্রি পর্য্ন্ত। তাঁর পিছনে লোকেরা নামাযে শরীক হয়; কিন্তু তিনি নিষেধ করেননা। পরে তিনি তা পড়ান বন্ধ করেন শুধু এ ভয়ে যে, এভাবে এক অফরয নামায রাসূলের ইমামতিতে পড়া হলে এ কাজটি আল্লাহ্র তরফ হতে ফরয করে দেয়া হতে পারে। কেননা তখনো ওহী নাযিল হচ্ছিল, শরীয়ত তৈরি হচ্ছিল। আর নবীর কাজতো সুন্নাত। তা বিদয়াত হবে কি করে? [নবী করীম(স) নিজে তারাবীহ নামাযে ইমামতি বন্ধ করলেও তা জামা‘আতের সাথে পড়া কিন্তু বন্ধ হলোনা। তারপরও তা চলছে, কিন্তু তিনি নিষেধ করেননি জানা সত্ত্বেও। হযরত আয়েশা(রা) বর্ণিত হাদীসই তার প্রমাণ। তিনি বলেনঃ তৃতীয় বা চতূর্থ রাত্রে তিনি যখন তারাবীহ নামাযের ইমামতি করতে এলেননা, তখন পরেরদিন সকাল বেলা তিনি সাহাবীদের লক্ষ্য করে বললেনঃ রাত্রি বেলা তোমরা যা করেছিলে(তারাবীহ নামায পড়ছিলে) তা আমি দেখেছি। কিন্তু কেবল মাত্র একটি ভয়ই তোমাদের সাথে যোগ দিতে আমাকে বিরত রেখেছে। তা হচ্ছে, জামা‘আতের সাথে তারাবীহ পড়া তোমাদের জন্য ফরয হয়ে যাওয়া।]

[নবী করীম(স) কোনো কাজ করতে ইচ্ছে করেও তা করেননি শুধু এ ভয়ে যে, তিনি নিয়মিত তা করলে লোকেরাও তা নিয়মিত করতে শুরু করবে। আর তা দেখে আল্লাহ ও তাঁর বান্দাদের জন্য তা ফরয করে দিতে পারেন, এ কথা হযরত আয়েশা(রা) এর কথা থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। তিনি বলেনঃ নবী করীম(স) কোনো কোনো কাজ করতে ভালবাসতেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও তা করতেননা শুধু এ ভয়ে যে, তিনি তা নিয়মিত করতে থাকলে লোকদের উপর তা ফরয হয়ে যেতে পারে।]

তাহলে হযরত উমর (রা) জামা‘আতের সাথে নামায পড়াকে বিদয়াত বললেন কেন? বলছেন বিদয়াতের শাব্দিক ও আভিধানিক অর্থে, পরিভাষা হিসেবে নয়। বিদয়াতের শাব্দিক ও আভিধানিক অর্থ যে ‘নতুন’ তা পূর্বেই বলা হয়েছে। আর একে নতুনও এ হিসেবে বলা হয়নি যে, এরূপ নামায ইতিপূর্বে কখনোই পড়া হয়নি; বরং বলা হয়েছে এ জন্যে যে, নবী করীম(স)এর সময়ে জামা‘আতের সাথে তারাবীহ নামায পড়া দু চার দিন পর বন্ধ হয়ে যায়, তার পর বহু বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। হযরত আবু বকর(রা) এর খিলাফতের সময় এ নামায নতুন করে চালু করা যায়নি। এরপরা হযরত উমর ফারূক(রা) এর সময় এ নামায় পূণরায় চালু হয়। এ হিসেবে একে বিদয়াত বলা ভুল কিছু হয়নি এবং তাতে করে তা সে বিদয়াতও হয়ে যায়নি যা সুন্নাতে বিপরীত, যার কোনো দৃষ্টান্তই রাসূলের যুগে পাওয়া যায়না। তবুও প্রশ্ন থেকে যায়, তাহলে হযরত উমরের এ কথাটির সঠিক তাৎপর্য্ কি? মুহাদ্দিসদের মতে এর তাৎপর্য্ এইঃ জামা‘আতের সাথে নামায পড়া এক অতি উত্তম চমৎকার ব্যবস্থা যা রাসূলে করীম(স) হতে শুরু হয়েছিল এবং পরে হযরত আবু বকরের সময়ে লোকদের নানা জটিলতায় মশগুল হয়ে থাকার কারণে পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছিল।

মুল্লা আলী কারী হযরত উমর ফারূক(রা) এর এ কথাটুকুর ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ

উমার ফারূক(রা) এ কাজকে বিদয়াত বলেছেন তার বাহ্যিক দিককে লক্ষ্য করে। কেননা নবী করীমের পর এ-ই প্রথমবার নতুনভাবে জামা‘আতের সাথে তারাবীহ্র নামায পড়া চালু হয়েছিল। নতুবা প্রকৃত ব্যাপারের দৃষ্টিতে জামা‘আতের সাথে এ নামায পড়া মোটেই বিদয়াত নয়।

এখানে ইমাম মালিক(রা) এর প্রখ্যাত কথাটি স্মরণীয়। তিনি বলেছেনঃ যে লোক ইসলামের কোনো বিদয়াতের সৃষ্টি করলো এবং তাকে খুবই ভালো মনে করলো, সে প্রকারান্তরে ঘোষণা করলো যে, হযরত মুহাম্মদ(স) রিসালাতের দায়িত্ব পালনে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন (নাউজুবিল্লাহ)। কেননা আল্লাহ তো বলেছেনঃ আমি আজ তোমাদের দ্বীনকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম। অতএব রাসূলের সময় যা দ্বীনভুক্ত ছিলনা, তা আজও দ্বীনভুক্ত নয়।

এ বিষয়ে আমার শেষ কথা হলো, বিদয়াতকে দু’ভাগে ভাগ করাও একটি বিদয়াত এবং বিদয়াতের এ বিভাগ এর দুয়ার-পথ দিয়ে অসংখ্যা মারত্মক বিদয়াত ইসলামের গৃহ-প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে দ্বীনি মর্যাদা লাভ করেছে। বড় সওয়াবের কাজ বলে সমাজের বুকে শিকড় মজবুত করে গেড়ে বসেছে। এ বিষবৃক্ষ যত তাড়াতাড়ি উৎপাটিত করা যায়, ইসলাম ও মুসলমানের পক্ষে ততোই মঙ্গল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন