মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
বিদয়াতপন্থীরা সাধারণত নিজেদের উদ্ভাবিত কাজে সমর্থনে সূফীয়ায়ে কিয়াম ও মাশায়েখে তরীকতের দোহাই দিয়ে থাকে। তারা বড় বড় ও সুস্পষ্ট বিদয়াতী কাজকেও ‘বিদয়াত’ নয়-বড় সওয়াবের কাজ বলে চালিয়ে দেয়। আর বলেঃ অমুক অলী-আল্লাহ, অমুক হযরত পীর কেবলা নিজে এ কাজ করেছেন এবং করতে বলেছেন। আর তাঁর মতো অলী-আল্লাহই যখন এ কাজ করেছেন, করতে বলে গেছেন, তাহলে তা বিদয়াত হতে পারেনা, তা অবশ্যই বড় সওয়াবের কাজ হবে। তা না হলে কি আর তিনি তা করতেন। অতএব তা সুন্নাত বলে ধরে নিতে হবে।
বিদয়াতের সমর্থনে এরূপ পীরের দোহাই দেয়ার ফলে সমাজে দু’ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একটি প্রতিক্রিয়া এই যে, কোনটি সুন্নাত আর কোনটি বিদয়াত, কোনটি জায়েয আর কোনটি নাজায়েয তা সুনির্দিষ্টভাবে ও নিঃসন্দেহে জানবার জন্য না কুরআন দেখা হয়, না হাদীস, না সাহাবায়ে কিরামের আমল ও জীবন চরিত। কেবল দেখা হয়, অমুক হুজুর কিবলা এ কাজ করেছেন কিনা। তিনিই যদি করে থাকেন তাহলে তা করতে আর কোনো দ্বিধাবোধ করা হয়না। সেক্ষেত্রে এতটুকুও চিন্তা করা হয়না যে, যার বা যাদের দোহাই দেয়া হচ্ছে সে বা তারা কুরআন-হাদীস অনুযায়ী কাজ করছে কিনা; তারা শরীয়তের ভিত্তিতে এ কাজ করেছে নাকি নিজেদের ইচ্ছেমতো।
এরূপ কথাতো আরবের কাফির সমাজের লোকদের বলা কথার মতো। যখন তাদের নিকট প্রকৃত তওহীদী দ্বীনের দাওয়াত পেশ করা হয়েছিল, তখন তারা বলেছিলঃ আমরা আমাদের বাপদাদাকে একটি পন্থার সংঘবদ্ধ অনুসারীরূপে পেয়েছি। আমরা তাদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে চলতে চলতে হেদায়াত পেয়ে যাব।
অর্থাৎ তাদের নিকট হক না হকের একমাত্র দলীল ছিল পূর্বপুরুষের দোহাই। তাদের তারা অনুসরণ করতো এ কারণে নয় যে, তারা কোনো ভাল আদর্শ অনুসরণ করে গেছে; বরং এ জন্যে যে, তারা ছিল তাদের পূর্বপুরুষ। এক্ষেত্রেও তাই দেখা যায়ঃ বিদয়াত কাজের সমর্থনে কেবল হুজুর কেবলার দোহাই। সে দোহাইর ভিত্তি শরীয়তের কোনো দলীল নয়, দলীল শুধু এই যে, সে তাদের ধারণা মতে একজন বড় অলী-আল্লাহ আর তার করা কাজ শরীয়তের প্রধান সনদ।
বলো! তোমরা তোমাদের বাপ দাদাকে যে নীতি অনুসারে পেয়েছ, তার অপেক্ষা অধিক উত্তম হেদায়াতের বিধান যদি আমি তোমাদের নিকট নিয়ে উপস্থিত হয়ে থাকি, তাহলেও কি তোমরা সে বাপ দাদাদেরই অনুসরণ করতে থাকবে?
অর্থাৎ এ এক আশ্চর্যের ব্যাপার যে, নীতি হিসেবে যেটা ভালো ও উত্তম বিবেচিত হবে, সেটা তারা অনুসরণ করতে রাজি নয়। এমন কি ভালো নীতি কোনটি তার বিচার বিবেচনা করতেও প্রস্তুত নয় তারা। সর্বোত্তম নীতি ও আদর্শ পেশ করা হলেও তারা যেমন পূর্বপুরুষদের অনুসরণ করতেই বদ্ধপরিকর ছিল, তেমনি এরাও শরীয়তের দলীলের ভিত্তিতে যদি কোনো কাজের বিদয়াত হওয়ার প্রমাণিতও হয় তবু তারা হুজুর কেবলার দোহাই দিয়ে সে বিদয়াতী কাজ-ই করতে থাকবে।
এর পরিণাম এই যে, মানুষের দ্বীন ও ঈমানকে জনৈক অলী-আল্লাহ বা তথাকথিত পীরের আচার-আচরণের উপর নির্ভরশীল করে দেয়া হয়। সেখানে না আল্লাহ্র কথার কোনো দোহাই চলে, না রাসূলের কোনো কাজের বা কথার। আর কুরআন হাদীসের দৃষ্টিতে এ নীতি সুস্পষ্ট শিরক ও নিষিদ্ধ। এরূপ নীতিই গোমরাহীর মূল উৎস। এরূপ অবস্থায় মানুষ মানুষের অন্ধ অনুসারী হয়ে যায়; আর আল্লাহ্র বান্দা হওয়ার পরিবর্তে বান্দা হয়ে যায় সেই মানুষেরই। আল্লাহ্র বান্দা হওয়ার কোনো সুযোগই এদের জীবনে ঘটেনা।
অথচ ইসলামের দৃষ্টিতে সত্যিকার মুমিন মুসলমানের ভূমিকা সম্পূর্ণরূপে বিবৃত হয়েছে কুরআনে, হাদীসে, ইতিহাসে। তাদের সমাজে দোহাই চলতো কেবল কুরআনের, হাদীসের। কোনো ব্যক্তির দোহাই দেয়া সে সমাজে শিরক রূপে গণ্য ছিল। সকল জটিল অবস্থাতেই শুধু এই কুরআন হাদীসেরই দোহাই দেয়া হতো এবং কুরআন হাদীসের কোনো দলীল তাদের সামনে পেশ করা হলে সব বিবাদ মুছে যেত, বিদ্রোহ দমন হতো, ঘুছে যেত সব মতপার্থক্য। তা-ই মেনে নিত তারা মাথা নত করে। তার বিপরীত আচরণ করতে তারা সাহস করতোনা, সে অধিকার কারো আছে বলেও মনে করতোনা তারা। রাসূলে করীমের ইন্তিকালের পরে খিলাফত পর্যায়ে মুসলমানদের মধ্যে মতভেদ হয়, হয় বাক-বিতন্ডা। কিন্তু যখনই তাঁদের সামনে রাসূলে করীম(স) এর একটি হাদীস পেশ করা হয় অমনি সবাই তা মেনে নিলেন। প্রথম খলীফা হযরত আবু বকর(রা) যাকাত দিতে অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। সাহাবীদের মাঝে এ বিষয়ে মতভেদ হলো। এ পর্যায়ে কুরআনের দলীল পেশ করা হলে সবাই মেনে নিলেন যে, খলীফার গৃহীত এ নীতি যুক্তিসঙ্গত। ক্রীতদাস উসামা ইবনে যায়দের নেতৃত্বে বাহিনী প্রেরণ পর্যায়ে সাহাবীদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয়। হযরত আবু বকর(রা) বললেনঃ রাসূলে করীম(স) নিজে যে বাহিনী প্রেরণের সিদ্ধান্ত করে গেছেন, আমি তা প্রত্যাহার করতে পারবোনা।
এ সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা সবাই মেনে নিলেন। বস্তুত এ-ই হচ্ছে আদর্শ মুসলমানের ভূমিকা। আর মুসলমানদের জন্য চিরন্তন আদর্শ এ-ই হতে পারে, এ-ই হওয়া উচিত।
এর দ্বিতীয় প্রতিক্রিয়া এই দেখা দিয়েছে যে, জনসাধারণ মনে করতে শুরু করেছে যে, শরীয়ত ও মারিফাত (বা তরীকত) দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বতন্ত্র জিনিস। শরীয়তে যা নাজায়েজ, মারিফাত বা তরীকতের দৃষ্টিতে তাই জায়েয। কেননা একদিকে শরীয়তের দলীল দিয়ে বলা হচ্ছেঃ এটা বিদয়াত কিন্তু পীরের দোহাই দিয়ে সেটিকেই জায়েয করে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে শরীয়ত আর মারিফাতের দুই পরস্পর বিধান হওয়ার ধারণা প্রকট হয়ে উঠে।
এরূপ ধারণা দ্বীন ইসলামের পক্ষে যে কতখানি মারাত্মক, তা বলে শেষ করা কঠিন। অতঃপর দ্বীন ও ঈমানের যে কোনো কল্যাণ নেই, তা স্পষ্ট বলা যায়। কেননা মানুষকে সব রকমের গোমরাহী থেকে বাঁচাবার একমাত্র উপায় হচ্ছে শরীয়ত। এই শরীয়তের সুস্পষ্ট বিরোধিতাকেও যদি জায়েয মনে করা হয়, জায়েয বলে চালিয়ে দেয়া সম্ভব হয়, তাহলে গোমরাহীর সয়লাব যে সবকিছুকে রসাতলে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে, তা রোধ করতে পারবে কে?
তাই আমরা বলতে চাই, শরীয়তের ব্যাপারে রাসূল ও সাহাবাদের ছাড়া আর কারো দোহাই চলতে পারেনা। কুরআন, হাদীস ও ইজমায়ে সাহাবা ছাড়া স্বীকৃত হতে পারেনা অপর কোনো দলীল। কোনো মুসলমান-ই সে দোহাই মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। নিলে তা ইসলাম হবেনা, হবে অন্য কিছু।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/289/21
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।