hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ধৈর্য-সবর কখন ও কিভাবে

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

১৫
হাদীস -৬.
6 - وَعَنْ صُهَيْبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم قَالَ : « كَانَ مَلِكٌ فيِمَنْ كَانَ قبْلَكُمْ، وَكَانَ لَهُ سَاحِرٌ، فَلَمَّا كَبِرَ قَالَ لِلْمَلِك : إِنِّي قَدْ كَبِرْتُ فَابعَثْ إِلَيَّ غُلاَماً أُعَلِّمْهُ السِّحْرَ ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ غُلاَماً يعَلِّمُهُ ، وَكَانَ في طَريقِهِ إِذَا سَلَكَ رَاهِبٌ، فَقَعَدَ إِلَيْهِ وَسَمِعَ كَلاَمهُ فأَعْجَبهُ، وَكَانَ إِذَا أَتَى السَّاحِرَ مَرَّ بالرَّاهِب وَقَعَدَ إِلَيْه، فَإِذَا أَتَى السَّاحِرَ ضَرَبَهُ، فَشَكَا ذَلِكَ إِلَى الرَّاهِبِ فقال : إِذَا خَشِيتَ السَّاحِر فَقُلْ : حبَسَنِي أَهْلي، وَإِذَا خَشِيتَ أَهْلَكَ فَقُلْ : حَبَسَنِي السَّاحرُ .

فَبيْنَمَا هُو عَلَى ذَلِكَ إذْ أتَى عَلَى دابَّةٍ عظِيمَة قدْ حَبَسَت النَّاس فقال : اليوْمَ أعْلَمُ السَّاحِرُ أفْضَل أم الرَّاهبُ أفْضلَ ؟ فأخَذَ حجَراً فقالَ : اللهُمَّ إنْ كان أمْرُ الرَّاهب أحَبَّ إلَيْكَ مِنْ أَمْرِ السَّاحِرِ فاقتُلْ هَذِهِ الدَّابَّة حتَّى يمْضِيَ النَّاسُ، فرَماها فقتَلَها ومَضى النَّاسُ، فأتَى الرَّاهب فأخبَرهُ . فقال لهُ الرَّاهبُ : أىْ بُنيَّ أَنْتَ اليوْمَ أفْضلُ منِّي، قدْ بلَغَ مِنْ أمْركَ مَا أَرَى، وإِنَّكَ ستُبْتَلَى ، فإنِ ابْتُليتَ فَلاَ تدُلَّ عليَّ، وكانَ الغُلامُ يبْرئُ الأكْمةَ والأبرصَ، ويدَاوي النَّاس مِنْ سائِرِ الأدوَاءِ . فَسَمعَ جلِيسٌ للملِكِ كانَ قدْ عمِىَ، فأتَاهُ بهداياَ كثيرَةٍ فقال : ما ههُنَا لك أجْمَعُ إنْ أنْتَ شفَيْتني، فقال إنِّي لا أشفِي أحَداً، إِنَّمَا يشْفِي الله تعَالى، فإنْ آمنْتَ بِاللَّهِ تعَالَى دعوْتُ الله فشَفاكَ، فآمَنَ باللَّه تعَالى فشفَاهُ اللَّهُ تَعَالَى، فأتَى المَلِكَ فجَلَس إليْهِ كما كانَ يجْلِسُ فقالَ لَهُ المَلكُ : منْ ردَّ علَيْك بصَرك؟ قال : ربِّي . قَالَ : ولكَ ربٌّ غيْرِي ؟ قَالَ : رَبِّي وربُّكَ الله، فأَخَذَهُ فلَمْ يزلْ يُعذِّبُهُ حتَّى دلَّ عَلَى الغُلاَمِ فجئَ بِالغُلاَمِ، فقال لهُ المَلكُ : أىْ بُنَيَّ قدْ بَلَغَ منْ سِحْرِك مَا تبْرئُ الأكمَهَ والأبرَصَ وتَفْعلُ وَتفْعَلُ فقالَ : إِنَّي لا أشْفي أَحَداً، إنَّما يشْفي الله تَعَالَى، فأخَذَهُ فَلَمْ يزَلْ يعذِّبُهُ حتَّى دلَّ عَلَى الرَّاهبِ، فجِئ بالرَّاهِبِ فقيل لَهُ : ارجَعْ عنْ دِينكَ، فأبَى، فدَعا بالمنْشَار فوُضِع المنْشَارُ في مفْرقِ رأْسِهِ، فشقَّهُ حتَّى وقَعَ شقَّاهُ، ثُمَّ جِئ بجَلِيسِ المَلكِ فقِلَ لَهُ : ارجِعْ عنْ دينِكَ فأبَى، فوُضِعَ المنْشَارُ في مفْرِقِ رَأسِهِ، فشقَّهُ به حتَّى وقَع شقَّاهُ، ثُمَّ جئ بالغُلامِ فقِيل لَهُ : ارجِعْ عنْ دينِكَ، فأبَى، فدَفعَهُ إِلَى نَفَرٍ منْ أصْحابِهِ فقال : اذهبُوا بِهِ إِلَى جبَلِ كَذَا وكذَا فاصعدُوا بِهِ الجبلَ، فـإذَا بلغتُمْ ذروتهُ فإنْ رجعَ عنْ دينِهِ وإِلاَّ فاطرَحوهُ فذهبُوا به فصعدُوا بهِ الجَبَل فقال : اللَّهُمَّ اكفنِيهمْ بمَا شئْت، فرجَف بِهمُ الجَبَلُ فسَقطُوا، وجَاءَ يمْشي إِلَى المَلِكِ، فقالَ لَهُ المَلكُ : ما فَعَلَ أَصحَابكَ ؟ فقالَ : كفانيهِمُ الله تعالَى، فدفعَهُ إِلَى نَفَرَ منْ أصْحَابِهِ فقال : اذهبُوا بِهِ فاحملُوه في قُرقُور وَتَوسَّطُوا بِهِ البحْرَ، فإنْ رَجَعَ عنْ دينِهِ وإلاَّ فَاقْذفُوهُ، فذَهبُوا بِهِ فقال : اللَّهُمَّ اكفنِيهمْ بمَا شِئْت، فانكَفَأَتْ بِهِمُ السَّفينةُ فغرِقوا، وجَاءَ يمْشِي إِلَى المَلِك . فقالَ لَهُ الملِكُ : ما فَعَلَ أَصحَابكَ ؟ فقال : كفانِيهمُ الله تعالَى . فقالَ للمَلِكِ إنَّك لسْتَ بقَاتِلِي حتَّى تفْعلَ ما آمُركَ بِهِ . قال : ما هُوَ ؟ قال : تجْمَعُ النَّاس في صَعيدٍ واحدٍ، وتصلُبُني عَلَى جذْعٍ، ثُمَّ خُذ سهْماً مِنْ كنَانتِي، ثُمَّ ضعِ السَّهْمِ في كَبدِ القَوْسِ ثُمَّ قُل : بسْمِ اللَّهِ ربِّ الغُلاَمِ ثُمَّ ارمِنِي، فإنَّكَ إذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ قَتَلْتنِي . فجَمَع النَّاس في صَعيدٍ واحِدٍ، وصلَبَهُ عَلَى جذْعٍ، ثُمَّ أَخَذَ سهْماً منْ كنَانَتِهِ، ثُمَّ وضَعَ السَّهمَ في كبِدِ القَوْسِ، ثُمَّ قَالَ : بِسْم اللَّهِ رَبِّ الغُلامِ، ثُمَّ رمَاهُ فَوقَعَ السَّهمُ في صُدْغِهِ، فَوضَعَ يدَهُ في صُدْغِهِ فمَاتَ . فقَالَ النَّاسُ : آمَنَّا بِرَبِّ الغُلاَمِ، فَأُتِىَ المَلكُ فَقِيلُ لَهُ : أَرَأَيْت ما كُنْت تحْذَر قَدْ وَاللَّه نَزَلَ بِك حَذرُكَ . قدْ آمنَ النَّاسُ . فأَمَرَ بِالأخدُودِ بأفْوَاهِ السِّكك فخُدَّتَ وَأضْرِمَ فِيها النيرانُ وقالَ : مَنْ لَمْ يرْجَعْ عنْ دينِهِ فأقْحمُوهُ فِيهَا أوْ قيلَ لَهُ : اقْتَحمْ ، ففعَلُوا حتَّى جَاءتِ امرَأَةٌ ومعَهَا صَبِيٌّ لهَا ، فَتقَاعَسَت أنْ تَقعَ فِيهَا، فقال لَهَا الغُلاَمُ : يا أمَّاهْ اصبِرِي فَإِنَّكَ عَلَي الحَقِّ » روَاهُ مُسْلَمٌ

সুহাইব রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের মধ্যে এক রাজা ছিল। তার একজন যাদুকর ছিল। সে যখন বৃদ্ধ হয়ে গেল তখন সে রাজাকে বলল, ‘আমিতো বৃদ্ধ হয়ে গেছি। একজন বালককে আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। আমি তাকে যাদু বিদ্যা শিক্ষা দেব। রাজা একজন বালককে তার কাছে যাদু শেখার জন্য পাঠাল। তার যাতায়াতের পথে ছিল একজন খৃষ্টান ধর্মযাজক। সে বালকটি তার কাছে বসে তার কথা-বার্তা শুনে মুগ্ধ হয়ে গেল। আর এভাবে সে যাদুকরের কাছে আসার সময় ধর্মযাজকের কাছে বসতে লাগল। যাদুকরের কাছে যেতে দেরী করার কারণে যাদুকর তাকে মারপিট করত। ফলে সে ধর্মযাজকের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দিল। ধর্মযাজক বলল, যখন তোমার যাদুকরের ভয় হবে তখন তাকে বলবে, ‘আমার পরিবার আমাকে আটকে রেখে ছিল।’ যখন তোমাদের পরিবারের ভয় করবে তখন তাদের বলবে, ‘যাদুকর আমাকে আটকে রেখেছিল।’ একদিন এক বন্য জন্তু এসে মানুষের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে রাখল। বালকটি তখন ভাবল, আজ আমি জেনে নেব ধর্মযাজক শ্রেষ্ঠ না যাদুকর শ্রেষ্ঠ। সে এক খন্ড পাথর হাতে নিয়ে বলল, ‘হে আল্লাহ! ধর্মযাজকের কাজ যদি যাদুকরের কাজ থেকে আপনার কাছে বেশী পছন্দের হয় তাহলে এ জন্তুটিকে মেরে ফেলুন, যাতে মানুষ পথ দিয়ে চলাচল করতে পারে। তারপর সে পাথরটি নিক্ষেপ করল। জন্তুটি মারা গেল। আর মানুষের পথের বাধা দূর হয়ে গেল। তারপর সে ধর্মযাজকের কাছে এসে ঘটনাটি বর্ণনা করল। ধর্মযাজক তাকে বলল, ‘হে আমার প্রিয় বৎস! আজ তুমি আমার থেকে শ্রেষ্ঠ হয়ে গেলে। আমার মতে তোমার ব্যাপারটা একটা বিশেষ পর্যায়ে পৌছে গেছে। তুমি শীঘ্রই পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। যদি তুমি পরীক্ষায় পতিত হও তবে আমার কথা কাউকে বলবে না।’ বালকটি অন্ধ ও কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করে দিত এবং মানুষের সকল ধরণের রোগের চিকিৎসা করত। রাজার পরিষদবর্গের একজন অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সে বালকটির কাছে অনেক উপঢৌকন নিয়ে হাজির হয়ে বলল, ‘তুমি যদি আমাকে আরোগ্য করে দাও তাহলে এ সকল উপঢৌকন সবই তোমার।’ বালকটি বলল, ‘আমি কাউকে আরোগ্য দান করি না। মহান আল্লাহ আরোগ্য দান করেন। আপনি যদি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন তবে আমি আপনার জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করব। ফলে তিনি তোমাকে আরোগ্য দান করবেন।’ সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করল। মহান আল্লাহ তাকে আরোগ্য দান করলেন। তারপর সে আবার রাজদরবারে গিয়ে বসল। রাজা তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘কে তোমাকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিল?’ সে উত্তর দিল, ‘আমার প্রভূ।’ রাজা বলল, ‘আমি ছাড়া তোমার প্রভূ আছে?’ সে বলল, ‘আল্লাহ-ই হলেন আপনার ও আমার প্রভু।’ তারপর রাজা তাকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে লাগল। অবশেষে সে বালকটির কথা বলে দিল। তখন বালকটিকে রাজদরবারে আনা হল। রাজা তাকে বলল, ‘হে প্রিয় বৎস! তোমার যাদুর খবর আমার কাছে পৌছেছে যে, তুমি নাকি অন্ধ ও কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করে থাক। এবং আরো অনেক কিছু করতে পার।’ বালকটি বলল, ‘আমি কাউকে সুস্থ করি না। আরোগ্য ও সুস্থতা তো আল্লাহ তাআলাই দান করেন।’ রাজা তাকে (আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের অপরাধে) গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে লাগল। অবশেষে বালকটি ধর্মযাজকের কথা বলে দিল। তারপর ধর্মযাজককে ধরে আনা হল। তাকে বলা হল, ‘তুমি তোমার ধর্ম থেকে ফিরে আস।’ সে ধর্ম থেকে ফিরে আসতে অস্বীকার করল। তখন রাজা করাত আনতে নির্দেশ দিল। তারপর করাতটি তার মাথার উপর চালিয়ে তাকে চিরে দু টুকরা করা হল। তারপর বাদশার সে পরিষদ সদস্যকে হাজির করা হল। তাকেও বলা হল, ‘তুমি তোমার ধর্ম থেকে ফিরে আস।’ সেও অস্বীকার করল। ফলে তাকে করাত দিয়ে দু টুকরো করা হল। তারপর বালকটিকে আনা হল। তাকেও বলা হল, ‘তুমি তোমার ধর্ম থেকে ফিরে আস।’ সেও অস্বীকার করল। তারপর রাজা তাকে কয়েকজন লোকের হাতে সোপর্দ করে বলল, তাকে অমুক পাহাড়ের চূড়ায় উঠাও। উঠিয়ে তাকে তার ধর্ম ত্যাগ করতে বলবে। যদি করে, তো ঠিক আছে। না করলে তাকে সেখান থেকে নীচে ফেলে দেবে। তারা তাকে নিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণ করল। সে বলল, ‘হে আল্লাহ! আপনি যেভাবে চান আমাকে তাদের হাত থেকে মুক্তি দান করুন।’ অত:পর পাহাড়টি কেঁপে উঠল। তারা পাহাড় থেকে পড়ে গেল। আর বালকটি হেটে রাজার কাছে আসল। রাজা তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘তোমার সঙ্গীদের খবর কি?’ সে বলল, ‘তাদের বিরুদ্ধে আমার পক্ষে আল্লাহ তাআলাই যথেষ্ট।’ তখন রাজা তাকে তার কয়েকজন সঙ্গীর কাছে অর্পন করে বলল, ‘ছোট নৌকায় উঠিয়ে তাকে সমুদ্রের মাঝে নিয়ে যাও। তারপর সে যদি তার ধর্ম ত্যাগ না করে তাহলে সমুদ্রে ফেলে দেবে।’ তারা তাকে নিয়ে চলে গেল। বালকটি দুআ করল, ‘হে আল্লাহ! আপনি যেভাবে চান আমাকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করুন।’ রাজার নৌকা তাদের সকলকে নিয়ে নিমজ্জিত হল। তারা সকলে ডুবে মারা গেল আর বালকটি আবার রাজার কাছে ফিরে আসল। রাজা তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘তোমার সাথের লোকদের খবর কী?’ সে বলল, ‘তাদের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করতে আল্লাহ তাআলাই যথেষ্ট।’ তারপর সে রাজাকে বলল, ‘আপনি আমার নির্দেশ মত কাজ না করলে আমাকে হত্যা করতে পারবেন না।’ বাদশা জিজ্ঞেস করল, ‘সেটা কী কাজ?’ সে বলল, ‘একটি ময়দানে লোকদের জমায়েত করবেন। তারপর আমাকে শুলে চরাবেন। তারপর আমার তীরদানি থেকে একটি তীর বের করে ধনুকের মাঝে রেখে ‘বিছমিল্লাহি রাবিবল গোলাম’ (বালকটির প্রতিপালক আল্লাহর নামে তীর ছুড়ছি) বলে তীর মারবেন। এরকম করলে আপনি আমাকে হত্যা করতে পারবেন।’

রাজা একটি ময়দানে লোকদের একত্রিত করে বালকটিকে শুলে চড়াল। তীর থেকে একটি তীর বের করে ধনুকের মাঝে রেখে বলল, ‘বিছমিল্লাহি রাবিবল গোলাম’ (বালকটির প্রতিপালক আল্লাহর নামে তীর ছুড়ছি) বলে তীর ছুড়ল। তীরটি বালকটির কানের কাছে মাথায় গিয়ে লাগল এবং সেখানে তার হাত রাখল। তারপর সে মারা গেল। এ দেখে উপস্থিত লোকেরা বলতে লাগল, আমরা বালকটির প্রতিপালকের উপর ঈমান গ্রহণ করলাম। এ খবর রাজার কাছে পৌছলে তাকে বলা হল, যে ভয় আপনার ছিল তাই হয়ে গেল। সকল মানুষ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনল। রাজা তখন তার লোকজনকে রাস্তার পার্শ্বে বড় বড় গর্ত খোড়ার নির্দেশ দিল। তারপর গর্ত খনন করে তাতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হল। রাজা ঘোষণা দিল, যে ধর্ম ত্যাগ না করবে তাকে তোমরা এ গর্তে ফেলে দেবে। যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানের ধর্ম ত্যাগ করল না, তাদের আগুনে ফেলে দেয়া হল। এমনি করে একজন মহিলা তার শিশুসহ আসল। সে ধর্ম ত্যাগ করবে, না আগুনে যাবে এ বিষয়ে ইতস্তত করছিল। শিশুটি তার মাকে বলল, ‘মা! (ধর্ম ত্যাগ না করে) আপনি ধৈর্য ধারণ করুন। কারণ আপনি সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত।’

বর্ণনায়ঃ মুসলিম

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন