hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ধৈর্য-সবর কখন ও কিভাবে

লেখকঃ আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

৪০
হাদীসটি থেকে শিক্ষা ও মাসায়েলঃ
১- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবদ্দশায় গণীমত বা যুদ্ধলব্দ সম্পদ বন্টন করার দায়িত্ব ছিল তাঁরই। কাকে কত পরিমাণ দিলে ইসলামের স্বার্থ উদ্ধার হবে, ইসলামের উন্নতি হবে সে সম্পর্কে তিনি ছিলেন পরিপূর্ণ ওয়াকেফহাল। যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে সবকিছু সমভাবে বন্টন করার ব্যাপারে তিনি আদিষ্ট ছিলেন না। কিন্তু সমালোচক ব্যক্তি মনে করেছিল, সকলকে সমভাবে দেয়ার নামই হল ন্যায়নীতি। তার ধারণা মতেই সে মন্তব্য করেছে। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন সকল কিছু আল্লাহর নির্দেশে করেন, তখন তার বন্টনের ব্যাপারে এ ধরনের মন্তব্য করা ন্যায়সঙ্গত হয়নি। মন্তব্যটা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্যও করা হয়নি। করা হয়েছে নিজ স্বার্থের খাতিরে। কাজেই তার মন্তব্যটা নিজের ব্যাপারে প্রযোজ্য। আল্লাহর রাসূলের ব্যাপারে নয়।

২- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক সময় নতুন মুসলমানদের মধ্যে যারা গোত্রের নেতা ছিলেন গণীমত ও দান সাদকা তাদের বেশী পরিমাণে দিতেন। যাতে তারা নিজেরা ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়, অবিচল থাকে ও নিজেদের গোত্রের লোকদের ইসলামের প্রতি আহবান করে। ইসলামের শক্তি বৃদ্ধি হয়। আর এটা তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই করতেন।

৩- এ সমালোচনা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাঁর চেহারা বিবর্তিত হওয়ায় সহজে তা বুঝে আসে। তিনি মানবীয় সাধারণ গুণাবলির উর্দ্ধে ছিলেন না। কিন্তু তিনি এ সমালোচনা সহ্য করেছেন। ধৈর্য ধারণ করেছেন। শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা সত্বেও সমালোচনাকারীকে কোন শাস্তি দেননি। তাকে তিরস্কার করেননি। তিনি শাস্তি প্রদানে সম্পূর্ণ সক্ষম ছিলেন। কারণ এটা ছিল হিজরতের আট বছর পরের ঘটনা। ইসলামী রাষ্ট্র তখন বেশ শক্তিশালী। ইসলামের প্রথম যুগ ছিল না যে, শাস্তি দিলে সমস্যা হবে। বরং তিনি এখানে মুসা আ. এর ধৈর্যের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। নিজেকে ধৈর্য ধারনের ব্যাপারে অবিচল রেখেছেন।

৪- সমালোচকদের সমালোচনা শোনা ও তা সহ্য করা আল্লাহর রাসূলের একটি আদর্শ। আল্লাহ তাআলা এ রকমই নির্দেশ দিয়েছেন।

خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ وَأَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِينَ .

‘‘তুমি ক্ষমা প্রদর্শন কর এবং ভালো কাজের আদেশ দাও। আর মূর্খদের থেকে বিমুখ থাক।’’ সূরা আল-আরাফ, আয়াত ১৯৯

৫- সংবাদ সেবা অর্থাত সাংবাদিকতা ইসলামে একটি সুন্দর ও স্বীকৃত কাজ। অনেক সাহাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে বিভিন্ন সংবাদ পৌছে দিতেন। তবে যে সকল সংবাদ কাউকে কষ্ট দেয়, কারো মানহানী করে, এমন নৈতিবাচক সংবাদ পৌছে দেয়া উচিত নয়। যেমন আমরা এ প্রাজ্ঞ সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. কে এ হাদীসে বলতে দেখলাম, ‘এরপর আমি কখনো এরূপ সংবাদ পৌছে দেব না।’

৬- আল্লাহ ও তারপরে তাঁর রাসূল হলেন সবচেয়ে বেশী ন্যায়নীতি পরায়ন। আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে ইনসাফ, ন্যায়-বিচার করতে শিখিয়েছেন, সর্বক্ষেত্রে ন্যায়ের অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

৬- এ হাদীসে যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ধৈর্য ধারণের একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে, তেমনি মুসা আ. এর ধৈর্যের কথা আলোচিত হয়েছে। যাতে বিপদাপদে নবী রাসূলদের পদাংক অনুসরণ করে মুমিনরা ধৈর্য ধারণে উৎসাহ পায়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন