hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

প্রিয় নবীর সান্নিধ্যে চল্লিশ আসর

লেখকঃ আদেল বিন আলী আশ-শিদ্দী

১৩
এগারতম আসর: নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গুণাবলি ও মর্যাদা
আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লমের গুণ ও মর্যাদা অনেক, তিনি ছিলেন অসংখ্য মহৎগুণের অধিকারী। নিচে আমরা তাঁর অসংখ্য গুণাবলী হতে সামান্য আলোচনা করার প্রয়াস পাব।

(১) উত্তম চরিত্র ও মাধুর্যপূর্ণ আচরণ।

এ বিষয়ে স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই প্রশংসা করে বলেন:

وَإِنَّكَ لَعَلى خُلُقٍ عَظِيمٍ .

আর অবশ্যই তুমি মহান চরিত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

إنما بعثت لأتمم مكارم الأخلاق . رواه الطبراني

নিশ্চয় আমি মহৎ চারিত্রিক গুণাবলীর পূর্ণতা দান করার উদ্দেশ্যে প্রেরিত হয়েছি। {তাবরাণী}

(২) নিজ উম্মত ও সকল মানবতার জন্যে তাঁর অনুগ্রহ ও করুণা, দয়া ও অনুকম্পা।

এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,

وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ .

আর আমি তোমাকে বিশ্ববাসীর জন্যে কেবল রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।

আরো ইরশাদ হয়েছে:

وَكَانَ بِالْمُؤْمِنِينَ رَحِيمًا .

তিনি ছিলেন মুমিনদের প্রতি পরম দয়ালু।

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে:

فَبِمَا رَحْمَةٍ مِنَ اللَّهِ لِنْتَ لَهُمْ وَلَوْ كُنْتَ فَظًّا غَلِيظَ الْقَلْبِ لَانْفَضُّوا مِنْ حَوْلِكَ .

আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্যে কোমল হৃদয় হয়েছেন। পক্ষান্তরে আপনি যদি রূঢ় ও কঠিন-হৃদয় হতেন, তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে অন্তর্হিত হয়ে যেত।

আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে বলছেন:

إنما أنا رحمة مهداة

নিশ্চয় আমি উপহার স্বরূপ প্রদত্ত রহমত বিশেষ।

(৩) জন্ম থেকেই তাঁর প্রতি আল্লাহ তাআলার বিশেষ যত্ন ও তত্ত্বাবধান।

ইরশাদ হয়েছে:

أَلَمْ يَجِدْكَ يَتِيمًا فَآَوَى ﴿৬﴾ وَوَجَدَكَ ضَالًّا فَهَدَى ﴿৭﴾ وَوَجَدَكَ عَائِلًا فَأَغْنَى .

তিনি কি তোমাকে এতীম রূপে পাননি ? অতঃপর আশ্রয় দিয়েছেন। তিনি তোমাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথ প্রদর্শন করেছেন। তিনি তোমাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, অতঃপর অভাবমুক্ত করেছেন।

(৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক তাঁর বক্ষ উন্মুক্ত করা এবং তাঁর আলোচনা সুউচ্চ করা।

মহান আল্লাহ তাআলা বলেন:

أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ ﴿১﴾ وَوَضَعْنَا عَنْكَ وِزْرَكَ ﴿২﴾ الَّذِي أَنْقَضَ ظَهْرَكَ ﴿৩﴾ وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ

আমি কি তোমার বক্ষ উন্মুক্ত করে দেইনি ? আমি কি লাঘব করেনি তোমার বোঝা, যা তোমার পৃষ্ঠকে ভেঙে দিচ্ছিল এবং আমি তোমার চর্চা ও আলোচনাকে করেছি সুউচ্চ।

(৫) তাঁর বৈশিষ্ট্যের অন্যতম একটি দিক হচ্ছে তিনি হচ্ছেন নবী পরম্পরা পরিসমাপ্তকারী - শেষ নবী।

ইরশাদ হয়েছে:

مَا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِنْ رِجَالِكُمْ وَلَكِنْ رَسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ .

মুহাম্মদ তোমাদের কোন পুরুষের পিতা নন, বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীদের দৃষ্টান্ত সেই ব্যক্তির মত যে একটি ঘর নির্মাণ করল এবং নির্মাণকর্ম খুব সুন্দর ও পরিপূর্ণ রূপে সমাপ্ত করল, তবে ঘরের এক কোণে একটি ইটের জায়গা খালি রেখে দিল। লোকেরা ঘর প্রদক্ষিণ করতে লাগল এবং নির্মাণশৈলী দেখে খুব বিস্মিত হল এবং বলল, ঐ খালি স্থানে ইট লাগাচ্ছ না কেন ? তোমার ঘর পূর্ণতা পেত। আমিই হচ্ছি সেই ইট।

(৬)সকল নবী-রাসূলদের উপর তাঁকে শ্রেষ্ঠত্ব দান ।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন:

ছয়টি দিক থেকে সকল নবীদের উপর আমাকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে। আমাকে জাওয়ামিউল কালিম তথা ব্যাপক অর্থবোধক বাক্য বলার যোগ্যতা দেয়া হয়েছে, আমাকে রোব ( ভক্তি-মাখা-ভীতি) দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে, গনীমতের মাল (যুদ্ধ লব্ধ সম্পদ) আমার জন্যে বৈধ করা হয়েছে, আমার জন্যে সকল ভূমিকে পবিত্র ও সেজদার উপযুক্ত করা হয়েছে, আমি সকল মানুষের তরে প্রেরিত হয়েছি এবং আমার মাধ্যমে নবুওয়ত পরম্পরা শেষ করা হয়েছে।

(৭) তিনি হচ্ছেন সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ ও সর্বাপেক্ষা বড় মুত্তাকি ।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:

আমি মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিব, আল্লাহ তাআলা সকল মাখলুক সৃষ্টি করলেন অতঃপর তাদের মধ্যে যারা উত্তম আমাকে তাদের সাথে রাখলেন। এরপর তাদেরকে দুই দলে বিভক্ত করলেন আর আমাকে উত্তম দলের সাথে রাখলেন। তারপর তাদেরকে বিভিন্ন বংশে বিভক্ত করলেন আর আমাকে তাদের উত্তম বংশের সাথে রাখলেন। অতঃপর তাদেরকে ঘরে ঘরে বিভক্ত করলেন আর আমাকে তাদের উত্তম ঘরের মধ্যে রাখলেন। সুতরাং আমি তোমাদের থেকে ঘর ও ব্যক্তি উভয় দিক থেকে উত্তম।

(৮) তিনি কেয়ামতের দিন হাউজ ও শাফাআতের মালিক।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

আমি হাউজে (কাউসারে) তোমাদের পূর্বে উপস্থিত হয়ে তোমাদের অপেক্ষায় থাকব। তোমাদের কতিপয় লোককে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে। এক পর্যায়ে আমি যখন তাদেরকে চিনে নেব তাদেরকে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নেয়া হবে। আমি বলব: হে রব, আমার সাহাবীবৃন্দ ! তখন বলা হবে, আপনার জানা নেই তারা আপনার ইন্তেকালের পর কি কি (বেদআত) আবিষ্কার করেছে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেন:

নিশ্চয় প্রত্যেক নবীকেই বিশেষ একটি দুআ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে, তাঁরা সেটি করে ফেলেছেন এবং তা কবুলও করা হয়েছে। আর আমি আমার দুআটি কেয়ামতের দিন আমার উম্মতের শাফাআতের জন্যে বিলম্বিত করেছি।

(৯) কেয়ামত দিবসে তিনি মানবকুলের নেতা।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

কেয়ামতের দিন আমি সকল আদম সন্তানের নেতা। এতে কোন গর্ব-অহংকার নেই। সেদিন আমার হাতে প্রশংসার ঝান্ডা থাকবে তাতে কোন গর্ব-অহংকার নেই। আদম থেকে নিয়ে যত নবী-রাসূল আছেন সকলেই আমার ঝান্ডার নীচে থাকবেন। আমি হচ্ছি প্রথম সুপারিশকারী এবং আমার সুপারিশই সর্ব প্রথম কবুল করা হবে। এতে কোন গর্ব-অহংকার নেই।

(১০) কেয়ামতের দিন তিনিই সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশকারী ব্যক্তি ।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

জান্নাতের দরজায় আমিই সর্বপ্রথম করাঘাত করব, তখন খাযেন (প্রহরী) জিজ্ঞেস করবে: কে আপনি ? আমি বলব: মুহাম্মাদ। সে বলবে: উঠছি এবং আপনার জন্যেই খুলে দিচ্ছি। আপনার পূর্বে কারো জন্যে উঠব না, এবং আপনার পরেও আর কারো জন্যে দাঁড়াব না।

(১১) যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি, জান্নাতের আশা এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রত্যাশা করেন তিনি তাদের সকলের জন্যে উত্তম আদর্শ।

ইরশাদ হয়েছে:

لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ ...

যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে তাদের জন্যে রাসূলুল্লাহর মাঝে উত্তম আদর্শ রয়েছে।

(১২) তিনি মনগড়া ও প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। বরং দীন ও শরীয়ত সংশ্লিষ্ট তাঁর সকল কথা ও বাণী আল্লাহর পক্ষ হতে ওহী যা কোন বাতিলের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।

ইরশাদ হয়েছে:

وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى ﴿৩﴾ إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى ﴿৪﴾ .

এবং তিনি নিজ খেয়াল-খুশি মোতাবেক কথা বলেন না। ইহা তো ওহী বৈ অন্য কিছু নয়, যা প্রত্যাদেশ করা হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন