মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
একত্রিশতম আসর: উম্মতের প্রতি রাসূলুল্লাহর দয়া ও সহানুভূতি (২)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/583/33
عَنْ أَنسِ بْنِ مَالكٍ ، عَنِ النبيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : بَينَما نَحْنُ فِي المسْجِد مع رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاء أعرابيٌّ فَقَام يبُولُ في المسْجِد، فَقَال أصحابُ رَسولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : مَهْ مَهْ . فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " دَعُوهُ لَا تُزْرِمُوهُ ()" فَتركُوه حَتَّى بال . ثُمَّ إِنَّ رسولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم دَعَاهُ فَقَالَ لَهُ : " إِنَّ هذهِ المسَاجِدَ لَا تصلُحُ لِشَيْءٍ مِنْ هَذَا البَوْلِ وَالْقَذَرِ، إِنَّما هِيَ لِذِكْرِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ ". قَالَ : فأمرَ رَجُلاً مِنَ القَوْمِ , فَجَاءَ بِدلوٍ مِنْ مَاءٍ فشنَّه عَليه . [ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ [.
বিশিষ্ট সাহাবী আনাস বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করছেন, আমরা একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে মসজিদে ছিলাম। একজন বেদুইন মসজিদে প্রবেশ করল। এবং কিছু সময় পর মসজিদেই প্রস্রাব করতে উদ্যত হল। এ অবস্থা দেখে সাহাবারা তাকে বললেন: থাম... থাম...।
পরিস্থিতি দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে ছেড়ে দাও, প্রস্রাব বন্ধ করতে বাধ্য করো না। (এতে তার ক্ষতির আশঙ্কা আছে)
তারা তাকে ছেড়ে দিল, সে প্রস্রাব করল।
অত:পর রাসূলুল্লাহ তাকে কাছে ডেকে নিয়ে বললেন : এ মসজিদগুলোতে প্রস্রাব পায়খানা ও এ ধরনের কদর্য কাজ করা শোভনীয় নয় বরং এগুলো নির্মাণ করা হয়েছে আল্লাহর যিকির ও কুরআন তিলাওয়াতের জন্যে।
বর্ণনাকারী বলছেন: এরপর নবীজী তাদের একজনকে (পরিষ্কার করার) নির্দেশ দিলেন, তিনি পানি ভর্তি একটি বালতি এনে তাতে ঢেলে দিলো।
উম্মতের প্রতি রাসূলুল্লাহর কি মায়া-মুহব্বত ছিল এবং তিনি তাদের প্রতি কোন পর্যায়ের সহানুভূতিশীল ছিলেন, নিম্নোক্ত ঘটনা থেকে আমরা এর একটি বাস্তব নিদর্শন দেখতে পাব।
জনৈক যুবক রাসূলুল্লাহর কাছে এসে বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে যিনা করার অনুমতি দিন!!
উপস্থিত লোকেরা তার দিকে তেড়ে এসে ধমকাতে লাগল, এবং বলল: থাম... থাম...।
তখন রাসূলুল্লাহ বললেন : নিকটে আস। সে তাঁর নিকটে আসল।
নবীজী বললেন : তুমি কি এ কাজ তোমার মায়ের জন্যে পছন্দ কর?
সে বলল : না আল্লাহর শপথ! আল্লাহ তাআলা আমাকে আপনার উপর উৎসর্গিত করুন।
নবীজী বললেন : কোন মানুষই তা নিজ মায়ের জন্যে পছন্দ করে না। আচ্ছা, তুমি কি এটি তোমার মেয়ের জন্য পছন্দ কর?
সে বলল: আল্লাহর কসম, না। ইয়া রাসূলুল্লাহ । আল্লাহ তাআলা আমাকে আপনার উপর কোরবান করুন।
নবীজী বললেন, কোনো লোকই নিজ কন্যার জন্যে তা পছন্দ করে না। আচ্ছা তুমি কি তা তোমার বোনের জন্যে পছন্দ কর?
লোকটি বলল: আল্লাহর শপথ, না। আল্লাহ তাআলা আমাকে আপনার উপর কোরবান করুন।
নবীজী বললেন : লোকেরাও নিজ বোনদের জন্যে তা পছন্দ করে না। তুমি কি এটি তোমার ফুফুর জন্যে পছন্দ কর ?
সে বলল : না... আল্লাহর শপথ। আল্লাহ তাআলা আমাকে আপনার উপর কোরবান করুন।
নবীজী বললেন : লোকেরাও তাদের ফুফুদের জন্যে তা পছন্দ করে না। তুমি কি সেটি তোমার খালার জন্যে পছন্দ কর?
সে বলল: না... আল্লাহর শপথ। আল্লাহ তাআলা আমাকে আপনার উপর কোরবান করুন।
নবীজী বললেন : লোকেরাও নিজেদের খালার জন্যে তা পছন্দ করে না। অত:পর নবীজী নিজ হাত তার উপর রাখলেন এবং বললেন : হে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দাও। তার অন্তর পবিত্র করে দাও। তার লজ্জাস্থানকে হেফাজত কর। এরপর থেকে যুবকটি আর কোন বস্তুর দিকে নজর দেয়নি।
এরূপ সহানুভূতিশীল ও হৃদ্যতাপূর্ণ পদ্ধতির মাধ্যমেই রাসূলুল্লাহ যুবকটির হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করতে সক্ষম হলেন এবং তার প্রার্থিত বস্তু যিনাকে তার কাছে ঘৃণিত করে দিতে পারলেন এবং এটি পরবর্তীতে তার সংশোধন ও সরল-সঠিক পথে চলার দিশা হয়ে থাকল।
উম্মতের প্রতি তাঁর সদয় হওয়ার আরো একটি দৃষ্টান- :
عن ابن عباس رضي الله عنه قال : : بيْنَما النبيُّ صلى الله عليه وسلم يخطُبُ، إِذَا هُو برجُلٍ قائمٍ، فَسألَ عَنْهُ فَقَالُوا : أَبُو إِسْرَائِيلَ نَذَرَ أَنْ يقومَ فِي الشمْسِ وَلَا يقعدَ، وَلَا يستظلَّ ولا يتكلمَ , وَيصُومَ , فقالَ النبيُّ صلى الله عليه وسلم : " مُرُوه فَلْيَتَكَلَّمْ , وَلْيَسْتَظِلَّ , وَلْيَقْعُدْ، وَلْيُتِمَّ صَوْمَهُ " [ رواهُ البخَارِيُّ [.
সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একবার নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিচ্ছিলেন, তখন এক ব্যক্তিকে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পেলেন। তিনি তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে লোকেরা তার পরিচয় দিয়ে বলল: সে আবু ইসরাঈল, মান্নত করেছে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকবে, বসবে না এবং ছায়াতেও যাবে না, কারো সাথে কথা বলবে না এবং রোযা রাখবে। তখন রাসূলুল্লাহ বললেন: তাকে আদেশ কর সে যেন কথা বলে, ছায়ায় যায়, বসে এবং নিজ সওম পূর্ণ করে।
عن عبد الله بن عمرو بن العاص رضي الله عنهما قال : أُخْبِر النبيُّ صلى الله عليه وسلم أَنِّي أقولُ : واللهِ لَأصومَنَّ النَّهارَ، ولَأقومنَّ الليلَ مَا عِشْتُ . فَقَالَ رسولُ الله صلى الله عليه وسلم : " أَنْتَ الَّذِي تَقُولُ ذَلِكَ؟ " فقلْتُ له : قد قلتُه بِأَبِي أنتَ وَأُمِّي يَا رسولَ اللهِ . قَال : " فَإِنَّكَ لَا تَسْتَطِيعُ ذَلِكَ، فَصُمْ وَأَفْطِرْ، وَنَمْ وَقُمْ , وَصُمْ مِنَ الشَّهْرِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ , فَإِنَّ الحسَنَةَ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا , وَذَلِك مِثْلُ صِيَامِ الدَّهْرِ ".
সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন: নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সংবাদ দেয়া হল যে, আমি শপথ করেছি, যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন দিনভর রোযা রাখব আর রাতভর জাগ্রত থেকে এবাদতে কাটিয়ে দেব। শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তুমি কি সেরকম বলেছ?
আমি বললাম : ইয়া রাসূলাল্লাহ আপনার প্রতি আমার মাতা পিতা কোরবান হোক! হ্যাঁ আমি সেরূপ বলেছি। তিনি বললেন: তুমিতো তা পারবে না। বরং তুমি একদিন রোযা রাখ আর একদিন রোযাবিহীন থাক। রাতের কিছু সময় এবাদতে অতিবাহিত কর আর কিছু সময় ঘুমিয়ে কাটাও। আর প্রত্যেক মাসে তিনটি করে রোযা রাখ। কারণ প্রতিটি নেক কাজে দশগুণ করে ছাওয়াব দেয়া হয়। আর এটি হচ্ছে সিয়ামুদ্দাহারের দৃষ্টান্ত।
অন্য রেওয়ায়াতে এসেছে :
(রাসূলুল্লাহ বললেন) আমি কি এ বিষয়ে সংবাদ প্রাপ্ত হইনি যে তুমি সারাদিন রোযা রেখে কাটাবে আর রাতভর এবাদতে মগ্ন থাকবে?
আমি বললাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
নবীজী বললেন: তুমি এরূপ করবে না। বরং রোযা রাখবে এবং রোযাবিহীন থাকবে, রাতে (কিছু সময়) জাগ্রত থেকে ইবাদত করবে এবং সাথে সাথে নিদ্রাও যাপন করবে। কেননা, তোমার উপর তোমার শরীরের হক আছে, তোমার চোখের হক আছে, তোমার স্ত্রীর হক আছে এবং তোমার প্রতিবেশীর হক আছে। তোমার জন্যে প্রতি মাসে তিনদিন রোযা রাখাই যথেষ্ট। কারণ, তোমাকে একেকটি নেকীর পরিবর্তে (অনুরূপ) দশটি (নেকীর) ছাওয়াব দেয়া হবে। আর এটি হচ্ছে সিয়ামুদদাহার।
আব্দুল্লাহ বলেন : আমি আরো কঠিন দিক বেছে নিয়েছি। ফলে আমার উপর কঠিন করা হয়েছে। আমি বলেছি : ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি এর চেয়েও বেশি শক্তি রাখি। রাসূলুল্লাহ বললেন : তুমি আল্লাহর নবী দাউদের অনুরূপ রোযা রাখ। এর অতিরিক্ত করো না। আমি বললাম : সিয়ামে দাউদের স্বরূপ কি? বললেন: অর্ধ দাহর। আব্দুল্লাহ বৃদ্ধ হওয়ার পর বলতেন : আমি যদি আল্লাহর রুখসতকে গ্রহণ করতাম কতই না ভাল ছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/583/33
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।