hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

প্রিয় নবীর সান্নিধ্যে চল্লিশ আসর

লেখকঃ আদেল বিন আলী আশ-শিদ্দী

২৩
একুশতম আসর: রাসূলের ইবাদত
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব বেশি ইবাদত করতেন। সালাত, সওম, যিকির, দুআ সব কিছুই বেশি বেশি করতেন। সব আমলই তিনি খুব সুন্দর ও ধারাবাহিকভাবে সম্পাদন করতেন। আয়েশা রা. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাতের সালাত যদি ব্যথা কিংবা অন্য কোনো কারণে ছুটে যেত, তাহলে দিনের বেলায় বার রাকাত সালাত আদায় করে নিতেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিয়ামুল লাইল তথা তাহাজ্জুদের সালাত কখনো ত্যাগ করতেন না। রাতে এতো দীর্ঘ কিয়াম করতেন যে, পা ফুলে যেত। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে, উত্তর দিলেন, আমি কি আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হতে চাইব না?

হুযাইফাতুল ইয়ামান রা. বলেন, কোন একরাতে আমি রাসূলের সাথে সালাত আদায় করলাম। তিনি সূরা বাকারার তেলাওয়াত শুরু করলেন, আমার ধারণা ছিল একশত আয়াত পড়ে রুকু করবেন। কিন্তু না, (তা করেননি বরং) কেরাত চালিয়ে গেলেন। আমি ভাবলাম, এক সূরা দিয়ে এক রাকাত শেষ করবেন। তিনি তাও করলেন না। সূরা বাকারা শেষ করে সূরা নিসা শুরু করলেন। এ সূরা শেষ করে সূরা আলে ইমরান আরম্ভ করলেন এবং এটিও শেষ করলেন। তিলাওয়াতের পুরোটাই ধীরে ধীরে তারতীলসহ আদায় করলেন। তিলাওয়াতে আল্লাহর তাসবীহ সম্বলিত আয়াত আসলে, তাসবীহ পড়েছেন। প্রার্থনার আয়াত আসলে, প্রার্থনা করেছেন। কোনো বস্তুর অনিষ্ট হতে পানাহ চাওয়ার আয়াত আসলে, অনিষ্ট হতে পানাহ চেয়েছেন। অতঃপর রুকু করলেন। রুকুতে পড়লেন, سبحان ربي العظيم রুকুও প্রায় কিয়ামের সমান দীর্ঘ হল। অতঃপর বললেন, سمع الله لمن حمده، ربنا لك الحمد অতঃপর লম্বা কেয়াম করলেন, প্রায় রুকুর সমান। এরপর সেজদা করলেন, সেজদায় বললেন, سبحان ربي الأعلى সেজদাও প্রায় কেয়ামের সমান দীর্ঘ হল।

নবীজী মুকীম অবস্থায় নিয়মিত খুব যত্ন সহকারে দশ রাকাত সালাত আদায় করতেন, যোহরের আগে দুই রাকাত, যোহরের পরে দুই রাকাত, মাগরিবের পরে দুই রাকাত, এশার পর ঘরে এসে দুই রাকাত এবং ফজর সালাতের আগে দুই রাকাত।

অন্য সব নফল সালাতের তুলনায় ফজর সালাতের সুন্নতের প্রতি তিনি বেশি গুরুত্ব দিতেন। সফর কিংবা মুকীম উভয় অবস্থায় ফজরের সুন্নত এবং বেতেরের সালাত ত্যাগ করতেন না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর অবস্থায় এ দুই সুন্নত ব্যতীত অন্য কোনও সুন্নত পড়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না।

যোহরের আগে কখনো কখনো চার রাকাত পড়তেন। একবার রাতের সালাতে শুধুমাত্র একটি আয়াতই বার বার পড়তে থাকলেন এরই মাঝে সকাল হয়ে গেল।

রোযা রাখার জন্য সোম ও বৃহস্পতিবারের অপেক্ষায় থাকতেন।

তিনি বলেছেন, প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বান্দার আমল (আল্লাহর দরবারে) পেশ করা হয়। আমার আমল রোযা অবস্থায় পেশ হোক, এটি আমার ভালো লাগে।

প্রতি মাসে নিয়মিত তিন দিন রোযা রাখতেন। মুআজা আদাবিয়া নামক জনৈক সাহাবী আয়েশা রা. কে জিজ্ঞাসা করলেন, রাসূল কি প্রতি মাসে তিন দিন রোযা রাখতেন, তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, মাসের কোন অংশে রোযা রাখতেন? বললেন, এর জন্য কোনও ধরা বাধা নিয়ম ছিল না।

ইবনে আব্বাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফর কিংবা মুকীম অবস্থায় সাধারণত আইয়ামে বীয তথা মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোযা বিহীন থাকতেন না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার দিন রোযা রাখতেন এবং সাহাবাদের রোযা রাখার নির্দেশ দিতেন।

আয়েশা রা. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো মাসে শাবানের চেয়ে বেশি রোযা রাখতেন না। তিনি শাবান মাসের পুরোটাই রোযা রাখতেন। অপর এক বর্ণনায় এসেছে, দিন কয়েক ছাড়া পূর্ণ শাবানই তিনি রোযা রাখতেন।

যিকিরের ইবাদত সম্পর্কে বলা যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জিহ্বা আল্লাহর যিকির হতে কখনো ক্লান্ত হত না। সর্বাবস্থায় তিনি আল্লাহর যিকির করে যেতেন। সালাত শেষে তিনবার এস্তেগফার পড়তেন এরপর বলতেন :

اللهم أنت السلام ومنك السلام، تباركت يا ذالجلال والإكرام .

সালাত শেষে আরো বলতেন :

لاإله إلا الله وحده لاشريك له، له الملك، وله الحمد، وهو على كل شيء قدير، اللهم لا مانع لما أعطيت، ولا معطي لما منعت، ولا ينفع ذا الجد منك الجد .

রুকু-সেজদায় বলতেন ,

سبوح قدوس، رب الملائكة والروح .

আনাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অধিকাংশ দুআ ছিল,

اللهم آتنا في الدنيا حسنة وفي الآخرة حسنة وقنا عذاب النار

তিনি এস্তেগফারও বেশি বেশি করতেন। ইবনে ওমর রা. বলেন, আমরা এক মজলিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একশত বার পর্যন্ত এস্তেগফার পড়তে শুনতাম,

رب اغفر لي وتب علي إنك أنت التواب الرحيم .

তিনি এবাদতের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি ও কঠোরতা করতে নিষেধ করেছেন। বলতেন,

عَلَيْكُمْ بِمَا تُطِيقُونَ , فَوَاللهِ لَا يَمَلُّ اللهُ حَتَّى تَمَلُّوا

তোমাদের সাধ্যে যতটুকু কুলায়, ততটুকু কর। আল্লাহর কসম! আল্লাহ কিন্তু (তোমাদের সওয়াব লেখতে) ক্লান্ত হবেন না, তোমরাই বরং (আমল করতে করতে) ক্লান্ত হয়ে পড়বে। ব্যক্তির নিয়মিত আমলকেই তিনি পছন্দ করতেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন