hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

প্রিয় নবীর সান্নিধ্যে চল্লিশ আসর

লেখকঃ আদেল বিন আলী আশ-শিদ্দী

৩৫
তেত্রিশতম আসর: নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ন্যায়পরায়ণতা
ইসলাম পূর্ণাঙ্গ ন্যায় পরায়ণতা নিয়েই পৃথিবীতে আগমন করেছে।

আল্লাহ তাআলা বলেন:

إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَالْإِحْسَانِ وَإِيتَاءِ ذِي الْقُرْبَى .

নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ন্যায় পরায়ণতা, ইহসান ও আত্মীয়দের দান করতে আদেশ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেন :

وَلَا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآَنُ قَوْمٍ عَلَى أَلَّا تَعْدِلُوا اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَى .

কোন সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ যেন তোমাদেরকে ন্যায়পরায়ণতা না করতে প্ররোচিত না করে। তোমরা ন্যায়পরায়ণতা কর, এটাই তাকওয়ার সবচেয়ে বেশি কাছাকাছি।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সার্বজনীন ন্যায়বিচারের একটি দৃষ্টান্ত,

মাখযুম গোত্রের এক সম্ভ্রান্ত নারী চুরি করল, বিষয়টি কুরাইশদের ভাবিয়ে তুলল। তারা শাস্তি মওকুফ করার জন্য নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সুপারিশ করত চাইল। নিজেরা বলাবলি করল, এ বিষয়ে রাসূলের সাথে কথা বলবে কে? তারাই বলল, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রিয়ভাজন উসামা বিন যায়েদই একমাত্র এই দুঃসাহস করতে পারে। অতঃপর উসামাহ বিন যায়েদ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট তার ব্যাপারে সুপারিশ করলেন। অনুরোধ শুনে রাসূলুল্লাহর চেহারার রং পরিবর্তন হয়ে গেল। তিনি বললেন : তুমি কি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তির ব্যাপারে সুপারিশ করছ? উসামা বলল : হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

সন্ধ্যায় নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিলেন। তিনি আল্লাহর তাআলার প্রশংসা করলেন। অতঃপর বললেন, তোমাদের পূর্ববর্তীরা একারণেই ধ্বংস হয়েছে যে, তাদের সম্ভ্রান্ত কোন ব্যক্তি চুরি করলে তাকে তারা ছেড়ে দিত। আর কোন দুর্বল ব্যক্তি চুরি করলে তার উপর নির্বারিত দণ্ড আরোপ করত। আমি ঐ সত্তার শপথ করে বলছি, যার হাতে আমার আত্মা, যদি মুহাম্মদের মেয়ে ফাতিমাও চুরি করে তাহলে আমি তার হাত কেটে দেব।

এই হচ্ছে নববী ন্যায় বিচার, যা শক্তিশালী ও দুর্বলের মাঝে কোন পার্থক্য করে না, পার্থক্য করে না ধনী-গরিব ও রাজা-প্রজার মাঝে। সত্য ও ন্যায় বিচারের মানদণ্ডে সকলেই এক সমান।

আরেকটি দৃষ্টান্ত,

সাহাবী নুমান বিন বশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: আমার পিতা আমাকে কিছু দান করলেন। তখন তার মাতা উমরাহ বিনতে রাওয়াহা বললেন : নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রত্যক্ষ করা অবধি আমি এতে রাজি নই। অতঃপর সে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে এসে বলল : আমি ওমরাহ বিনতে রাওয়াহার সম্পদ হতে আমার ছেলেকে কিছু দান করেছি। সে আপনাকে সাক্ষী রাখার জন্য আমাকে আদেশ করেছে,

রাসূলুল্লাহ বললেন : তুমি কি তোমার সব ছেলেকে এভাবে দিয়েছ। সে বলল, না। তখন তিনি বললেন: আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমাদের ছেলেদের মধ্যে ন্যায়ানুগভাবে বিতরণ কর। এরপর বশীর ফিরে গেল এবং তার দান ফিরিয়ে নিল।

আরেকটি বর্ণনায় আছে,

তিনি বললেন : তোমার কি এ ছাড়া আরো সন্তান আছে? সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন: তুমি এরকম করে সবাইকে দিয়েছ কি? বলল : না। তখন তিনি বললেন : তাহলে আমি অন্যায়-অবিচারের উপর সাক্ষ্য দেব না।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মালামাল বিলি বণ্টন করছিলেন। এমন সময় যুল খুওয়াইসারা তামীমী আসল, এসে বলল: হে আল্লাহর রাসূল! ন্যায়সংগতভাবে ভাগ করুন। রাসূলুল্লাহ বললেন : তোমার ধ্বংস হোক। আমি ন্যায়বিচার না করলে ন্যায়বিচার করবে কে? ন্যায় বিচার না করলে আমিই ক্ষতিগ্রস্ত হব।

ঐ ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তাআলা মর্যাদা দান করেছেন, ন্যায় বিচারক বানিয়েছেন ও ওহীর আমানতও দান করেছেন, তিনি কীভাবে ন্যায়বিচার না করে পারেন? তিনিই তো এ বক্তব্য প্রদান করেছেন: নিশ্চয় ন্যায়বিচারকারীগণ আল্লাহ তাআলার নিকট নূর দ্বারা নির্মিত আসনে সমাসীন থাকবে। যারা নিজেদের বিচার-ফায়সালা, পরিবার ও দায়িত্বের ক্ষেত্রে ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখত।

আর স্ত্রীদের মাঝে ন্যায়বিচারের বিষয়টি সম্পর্কে বলতে গেলে বলতেই হয় যে, এখানেও নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রি যাপন, সাংসারিক খরচপাতিসহ সবকিছুতে সফর-একামত সর্বাবস্থায় যতটুকু সম্ভব সমভাগ নিশ্চিত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। প্রত্যেকের নিকট এক রাত্র করে অবস্থান করতেন। নিজের হাতে যা থাকত তা তাদের প্রত্যেকের উপর সমভাবে খরচ করতেন। প্রত্যেকের জন্য একটি করে কামরা নির্মাণ করেছেন। যখন ভ্রমণে যেতেন তখন তাদের মধ্যে লটারি দিতেন। যার অনুকূলে লটারি আসত তাকে নিয়ে বের হতেন। এ ব্যাপারে তিনি শিথিলতা করতেন না। এ সমতা ছিল তার আমরণ। তাঁর অসুস্থ অবস্থায় তাদের পালা অনুসারে প্রত্যেক স্ত্রীর ঘরে নিয়ে যাওয়া হত। যখন এটি তাঁর পক্ষে খুব কঠিন হয়ে পড়ল, আর সকলে বুঝে নিল যে, তিনি আয়েশার ঘরে থাকতে চান, তখন সকলে আয়েশার ঘরে থাকার অনুমতি দিল। তিনি সেখানেই মৃত্যু পর্যন্ত অবস্থান করলেন। এত সূক্ষ্মভাবে ন্যায্যতা রক্ষা করার পরও আল্লাহ তাআলার নিকট নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করে বলছেন:

اللهم هذا قسمي فيما أملك فلا تلمني فيما تملك ولا أملك .

হে আল্লাহ আমি যার সামর্থ রাখি এটি আমার বণ্টন। অতএব তুমি যার মালিক এবং যা আমার আয়ত্বে নেই সে বিষয়ে তুমি আমাকে তিরস্কার কর না।

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক স্ত্রীর দিকে অন্য স্ত্রীর তুলনায় বেশি ঝুঁকে যেতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন- যার দুজন স্ত্রী রয়েছে আর সে তাদের একজনের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে গেল সে কিয়ামতের দিন এক পাশে নুয়ে থাকা অবস্থায় আসবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন