মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রুদের বুলি : ইসলাম নারীর উপর জুলুম করেছে, তাদেরকে শোষণের পাত্র বানিয়েছে, অধিকার বঞ্চিত করেছে। সর্বোপরি তাদেরকে পুরুষদের সেবক ও ভোগের পণ্যে পরিণত করেছে।
বস্তুত নারীর মর্যাদা, সম্মান। নারীর মতামতের গুরুত্ব, তার সাথে ভদ্রোচিত ব্যবহার, সর্ব ক্ষেত্রে তার ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করণ ও যথাযথ প্রাপ্য প্রদান করার যে সকল নির্দেশ ও উপদেশ বাণী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-থেকে বর্ণিত হয়েছে তা সমালোচকদের মিথ্যাচারকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করে।
আরবরা স্বভাবগতভাবেই ইসলামপূর্ব যুগে মেয়েদের অপছন্দ করত, তাদেরকে অপমান ও লজ্জার বিষয় বলে গণ্য করত। কোথাও কোথাও মেয়েদের জীবিত দাফন করার ঘটনাও ঘটেছে। পবিত্র কুরআন যার চিত্র তুলে ধরেছে এভাবে:
তাদের কাউকে কন্যাসন্তানের সুসংবাদ দেয়া হলে মুখমণ্ডল কালো হয়ে যায় এবং অসহনীয় মনস্তাপে ক্লিষ্ট হয়। তাকে যে সংবাদ দেয়া হয়, তার গ্লানি হেতু সে নিজ সম্প্রদায় হতে আত্মগোপন করে, সে চিন্তা করে যে, হীনতা সত্ত্বেও সে তাকে রেখে দেবে, না মাটিতে পুঁতে ফেলবে। সাবধান! তারা যা সিদ্ধান্ত করে তা কতই না নিকৃষ্ট।
সে যুগে স্বামী মারা গেলে সন্তান ও নিকট আত্মীয়রা স্ত্রীদের উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক বনে যেত। তাদের ইচ্ছা হলে অন্য কারো সাথে বিয়ে দিত, তা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত এভাবেই আটকে রাখত। ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ইনসাফপূর্ণ বিধান প্রণয়ন করে এ সকল কুসংস্কার থেকে মানব সমাজকে পরিশুদ্ধ করেছে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
নারীরা পুরুষের সহোদরা, তাদের ভগ্নিসদৃশ।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে ইসলামে নারী-পুরুষের মাঝে কোন বৈষম্য নেই। ইসলামের দুশমনরা যেমনটি তুলে ধরতে সদা তৎপর। বরং ইসলামে আছে নারী পুরুষের মাঝে ভ্রাতৃত্ব ও একে অন্যকে পূর্ণতাদানের সম্পর্ক।
পবিত্র কুরআন ঈমান, আমল ও প্রতিদানের ব্যাপারে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য সমভাবে বিধান রচনা করে দিয়েছে। ইরশাদ হয়েছে :
নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ ও মুসলমান নারী, মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, সিয়াম পালনকারী পুরুষ ও সিয়ামপালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী পুরুষ ও যৌনাঙ্গ হিফাযতকারী নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও অধিক স্মরণকারী নারী- এদের জন্যে আল্লাহ রেখেছেন ক্ষমা ও মহা প্রতিদান।
কেউ মন্দ আমল করলে সে শুধু তার আমলের অনুরূপ শাস্তি পাবে এবং পুরুষ কিংবা নারীর মধ্যে যারা মুমিন হয়ে সৎ আমল করবে তারা প্রবেশ করবে জান্নাতে, সেখানে তারা অসংখ্য রিযিক পাবে।
এ ছাড়াও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর প্রতি তাঁর মহব্বতপূর্ণ মনোবৃত্তির কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন :
তোমাদের এ পার্থিব জগৎ হতে আমার নিকট নারী ও সুগন্ধি প্রিয় করে দেয়া হয়েছে। আর সালাতের মধ্যে আমার চোখের শীতলতা রেখে দেয়া হয়েছে। নারীর প্রতি এ মহব্বত ও ভালোবাসাপূর্ণ হৃদয় যিনি বহন করেছেন, তাঁর পক্ষে কখনো সম্ভব নয় নারীর প্রতি জুলুম করা, তাকে অবজ্ঞা-অবহেলা করা, তাদের শোষণ-জ্বালাতনের পাত্রে পরিণত করা।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের অপছন্দ করা ও তাদের জীবিত দাফন করার কুপ্রথা শুধু রহিতই করেননি, এর বিপরীতে বরং মেয়েদের যথার্থভাবে লালন-পালন, শিক্ষাদান এবং তাদের সাথে মমতাপূর্ণ আচরণ ও সদ্ব্যবহার ইত্যাদির প্রতি খুবই তাগিদ করেছেন। তিনি বলেছেন:
যে ব্যক্তি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত দুই জন মেয়ের লালন পালনের দায়িত্ব পালন করবে কিয়ামতের দিন সে এবং আমি এভাবে উত্থিত হব- তিনি হাতের আঙুলগুলো জড়ো করে দেখালেন।
অর্থাৎ সে ব্যক্তির মর্যাদা খুব ঊর্ধ্বে, সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অতি নিকটবর্তী। যার একমাত্র কারণ, মেয়েদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা এবং সাবালক ও নিজের পায়ে দাঁড়ানো পর্যন্ত তাদের লালন-পালন করা।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন :
যার তিনজন মেয়ে বা তিনজন বোন রয়েছে অথবা দুজন মেয়ে বা দুজন বোন রয়েছে আর সে তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করল এবং তাদের অধিকারের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করল, তার জন্যে রয়েছে জান্নাত।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের শিক্ষা-দীক্ষা, তালীম- তরবিয়তের ব্যাপারেও সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন। তিনি সপ্তাহে একদিন নির্ধারণ করে রেখেছিলেন শুধু তাদের জন্য। তিনি সে দিন তাদের কাছে আসতেন, তাদের আল্লাহর বাণী ও তাঁর আদেশ-নিষেধসমূহ শিক্ষা দিতেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের ঘরের চার দেয়ালের ভেতর আবদ্ধ করেও রাখেননি, যেমনটি সাধারণত ধারণা করা হয়। বরং তিনি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে বাইরে বের হওয়ার বৈধতা ঘোষণা করেছেন। যেমন মাতা-পিতা ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ, অসুস্থ ব্যক্তিদের দেখতে যাওয়া ইত্যাদি। এমনকি লজ্জা-শালীনতা বজায় রেখে ইসলামী পর্দার অনুকূলে থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যের মুআমালাকেও নারীর জন্য জায়েয করেছেন। তাদের জন্য মসজিদে গমনাগমন বৈধ রেখেছেন, তারা মসজিদে যেতে চাইলে বারণ করতে নিষেধ করেছেন।
তিনি বলেন,
لَا تَمْنَعُوا نِسَاءَكُمُ المسَاجِدَ " ] رواه أحمد وأبوداود [
এ হাদীসের দাবি হচ্ছে, নারীদের সাথে বন্ধুপ্রতিম আচরণ নিশ্চিত করা, তাদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, তাদের মন-মানসিকতা ও চাওয়া-পাওয়ার মূল্য দেয়া এবং তাদের কোন রূপ কষ্ট না দেয়া।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/583/16
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।