মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আল্লাহর রহমত প্রাপ্ত বলেই তুমি তাদের সাথে বিনয়ী ও নম্র হয়েছ। আর যদি তুমি কর্কশ ও কঠিন হৃদয়ের হতে, তারা তোমার নিকট হতে সরে যেত। তুমি তাদের ক্ষমা করে দাও এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর। এবং যে কোনো সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তাদের সাথে পরামর্শ কর।
অন্যত্র বলেন :
সুতরাং তুমি তাদের ক্ষমা কর এবং এড়িয়ে চল, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা সৎকর্মশীলদের ভালোবাসেন।
তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাধারণ স্বভাব ছিল, ক্ষমা করা এবং এড়িয়ে চলা, তবে যখন একেবারে জরুরি হয়ে পড়ত, তখন কেবল শাস্তি দিতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবনে ক্ষমার অনেক উদাহরণ রয়েছে। যেমন মক্কা বিজয়ের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা, একটি বড় নমুনা।
আরেকটি উদাহরণ:
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নজদের এলাকায় একটি অশ্ববাহিনী প্রেরণ করেন। তারা বনী হানীফার এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে আসে। যার নাম সুমামা বিন উসাল, ইয়ামামা বাসীদের নেতা। তারা তাকে মসজিদের একটি খুঁটির সাথে বেধে রাখে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট এসে বললেন : সুমামা! তোমার খবর কি-(তোমার কিছু বলার আছে কি)? সে বলল : ভাল, মুহাম্মদ। যদি তুমি আমাকে হত্যা কর, তবে রক্ত মাংসের একজন মানুষকে হত্যা করবে (হত্যাপোযুক্ত একজন ব্যক্তিকে হত্যা করবে), আর যদি আমাকে ক্ষমা কর, তবে কৃতজ্ঞ একজন ব্যক্তিকে ক্ষমা করবে। আর যদি সম্পদ চাও, তবে যা চাইবে, তাই দেয়া হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এই অবস্থায় রেখে চলে গেলেন। পরবর্তী দিন বললেন : সুমামা! খবর কি তোমার ? সে বলল : আমি আগে যা বলেছি তাই। যদি তুমি আমাকে হত্যা কর, তবে রক্ত মাংসের একজন লোককে হত্যা করবে, আর যদি ক্ষমা কর, তবে একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তিকেই ক্ষমা করবে। আর যদি সম্পদ চাও, তবে যা চাইবে, তাই দেয়া হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সে অবস্থায় রেখে ফিরে গেলেন। পরবর্তী দিন আবার বললেন : সুমামা! তোমার খবর কি ? সে বলল : গতকাল যা বলেছি তাই। আমাকে হত্যা করলে রক্ত মাংসের একজন মানুষকে হত্যা করবে, আর ক্ষমা করলে একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তিতে ক্ষমা করবে। আর যদি সম্পদ চাও, তবে বল, যা চাইবে, তাই দেয়া হবে। তিনি বললেন : সুমামাকে ছেড়ে দাও। সে ছাড়া পেয়ে মসজিদের পাশে একটি বাগানে গিয়ে গোসল করে মসজিদে প্রবেশ করল। অতঃপর বলল :
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ তাআলা ব্যতীত আর কোন সত্যিকার মাবুদ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা এবং রাসূল। হে মুহাম্মাদ! আল্লাহর শপথ করে বলছি, পৃথিবীর বুকে আমার নিকট আপনার চেহারার চেয়ে অধিক ঘৃণিত কোনো চেহারা ছিল না। আর এখন আপনার চেহারা অন্য সকল চেহারা অপেক্ষা আমার নিকট অধিক প্রিয় হয়ে গিয়েছে। আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমার নিকট আপনার দীন অপেক্ষা ঘৃণিত আর কোনো দীন ছিল না আর এখন আপনার দীন অন্য সকল দীন থেকে আমার নিকট অধিক প্রিয় হয়ে গিয়েছে। আল্লাহর শপথ করে বলছি, আপনার শহরই আমার নিকট ছিল সর্বাধিক ঘৃণিত শহর আর এখন সেটিই আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয় হয়ে গিয়েছে।
আপনার অশ্বারোহী বাহিনী আমাকে গ্রেফতার করেছে আর আমি উমরা পালনের মনস্থির করেছি। আপনি কি বলেন? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সুসংবাদ দান করলেন এবং উমরা পালনের নির্দেশ দিলেন।
তিনি মক্কায় আসলে জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করল: তুমি কি বেদীন হয়ে গিয়েছ? উত্তরে তিনি বললেন: না, বরং আমি রাসূলুল্লাহর সাথে ইসলাম গ্রহণ করেছি। আল্লাহর শপথ করে বলছি, এখন থেকে রাসূলুল্লাহর অনুমোদন ব্যতীত ইয়ামামাহ থেকে তোমাদের কাছে এক দানা গমও আর আসবে না।
সুপ্রিয় পাঠক! লক্ষ্য করে দেখুন। ক্ষমা ও উদারতা মানুষকে কীভাবে পরিবর্তন করে দেয়। মানুষের অন্তরে কত সুন্দরভাবে এর প্রভাব পড়ে। এবং এ উদারতা কত নিপুণভাবে মানুষকে কুফরের অমানিশা ও শিরকের বিভ্রান্তি হতে দূরে সরিয়ে নিয়ে আসে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ক্ষমার আরেকটি নিদর্শন:
যে ইহুদি মহিলা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিষ প্রয়োগ করে বকরির গোস্ত পরিবেশন করেছিল তিনি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খানিক গোস্ত ভক্ষণ করেন। কিন্তু তিনি প্রতিশোধ নেননি। অবশ্য পরে তার গোস্ত খেয়ে মারা যাওয়া বিশ্র ইবনে বারা বিন মারূরের কিসাস স্বরূপ তাকে হত্যা করা হয়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ক্ষমার আরেকটি উদাহরণ : জাবের রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নজ্দ অভিমুখে অভিযান পরিচালনা শেষে ফিরতি পথে কাটাদার বৃক্ষ ভর্তি একটি ময়দানে বিশ্রাম নেয়ার জন্য যাত্রা বিরতি দিলেন। সাহাবায়ে কেরাম ছায়ার তালাশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বিক্ষিপ্ত হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামুরা নামক গাছের সাথে তলোয়ার ঝুলিয়ে তার নীচে বিশ্রাম নিতে লাগলেন।
জাবের রা. বলেন : আমরা সামান্য ঘুমিয়ে নিলাম। হঠাৎ দেখি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের ডাকছেন। আমরা তার নিকট গেলাম। লক্ষ্য করে দেখলাম, একজন বেদুইন তার নিকট বসা আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : এই ব্যক্তি ঘুমন্ত অবস্থায়, আমার তলোয়ার নিয়ে নেয়। আমি জাগ্রত হয়ে দেখি, তার হাতে উন্মুক্ত তলোয়ার। সে আমাকে বলল : তোমাকে আমার কবল হতে কে রক্ষা করবে? আমি বললাম, আল্লাহ। এখানে বসা, এই সে ব্যক্তি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কোনো শাস্তি না দিয়েই ছেড়ে দেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/583/41
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।