hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

প্রিয় নবীর সান্নিধ্যে চল্লিশ আসর

লেখকঃ আদেল বিন আলী আশ-শিদ্দী

তৃতীয় আসর: মাহে রমাযানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ (১)
ইমাম ইবনুল কায়্যিম রহ. বলেন: মাহে রমযানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শই পরিপূর্ণ অনুসরণীয়, মানযিলে মাকসুদে পৌঁছাতে কার্যকরী ও সকলের জন্য আমলের উপযোগী আদর্শ।

সিয়াম তৃতীয় হিজরীতে ফরয হয়। সে হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাত্র নয় বছর সিয়াম পালনের সুযোগ পেয়েছেন।

ফরয হওয়ার প্রথম পর্যায়ে সিয়াম পালন প্রক্রিয়াটি ছিল খুবই সহজ। ইচ্ছা করলে কোন ব্যক্তি রোযা পালন না করে কোন দরিদ্র ব্যক্তির জন্য খাবারের ব্যবস্থা করলেই হয়ে যেত। পরবর্তীতে সিয়াম পালন সকলের উপর অত্যবশ্যকীয় বিধানরূপে আরোপিত হয়। শুধুমাত্র বয়োবৃদ্ধ পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে মিসকীন খাওয়ানোর হুকুমটি বলবৎ থাকে।

অবশ্য রোগাক্রান্ত ও মুসাফির ব্যক্তি রোযা না রেখে পরবর্তীতে কাযা করতে পারবে, এ বিধান এখনও বলবৎ রয়েছে। আর গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারিনী মহিলা যদি জীবনের ক্ষতির আশঙ্কা করে তবে তাদের জন্যও এ অনুমতি রয়েছে।

তবে তারা যদি স্বীয় সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা করে, তাহলে কাযা করার সাথে সাথে প্রতি দিনের জন্য একজন মিসকীনকে খাওয়াতে হবে। কেননা তাদের রোযা ছেড়ে দেয়াটা অসুস্থতার কারণে হয়নি। বরং তারা সুস্থই ছিল। এ কারণে মিসকীন খাওয়ানোর মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। যেমনটি ইসলামের শুরুতে সুস্থ ব্যক্তির রোযা ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ছিল।

ইবাদতের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়া

মাহে রমযানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ ছিল ইবাদতের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়া। জিবরাইল আ. রমযানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কুরআন পাঠ করে শোনাতেন ও তাঁকে পাঠ করতে বলতেন। জিবরাইলের সাক্ষাৎ হলে তিনি দান খয়রাতে প্রবল বাতাসের চেয়ে অধিক দ্রুতগামী হতেন। রমযান এলে তার দানশীলতায় যুক্ত হত আরো নতুন মাত্রা। রমযানে তিনি দান-সদকা, ইহসান, কুরআন তিলাওয়াত, সালাত ও যিকিরে অধিক পরিমাণে নিমগ্ন হতেন।

ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে রমযানকে এমনভাবে বিশেষায়িত করতেন যা অন্য কোন মাসের বেলায় করতেন না। তিনি কখনো সেহরি গ্রহণ করা থেকেও বিরত থাকতেন। উদ্দেশ্য ছিল রাত ও দিনের পুরো সময়টাই ইবাদতে কাটিয়ে দেয়া।

রাসূলুল্লাহ সাহাবাদেরকে সেহরি গ্রহণ না করে সওমে বিসাল পালন হতে বারণ করতেন। তাদেরকে বলতেন:

لَسْتُ كَهَيْئَتِكُمْ، إِنِّي أَبِيتُ " وَفي رِوايةٍ : " إِنِّي أَظَلُّ عِنْدَ رَبِّي يُطْعِمُنِي وَيَسقِيني " [ مُتفقٌ عَليهِ [

আমি তোমাদের মত নই। আমি রাত্রিযাপন করি, অন্য এক বর্ণনায়, আমি আমার রবের সান্নিধ্যে থাকি। তিনি আমাকে খাওয়ান ও পান করান।

তিনি উম্মতের প্রতি দয়া পরবশ হয়ে সওমে বিসালকে নিষিদ্ধ করেছেন। তবে সেহরির সময় পর্যন্ত রোযা দীর্ঘায়িত করার অনুমতি দিয়েছেন। সহীহ বুখারীতে আবু সাঈদ খুদরী রা. হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন,

لَا تُواصِلُوا , فأيُّكُمْ أَرَادَ أَنْ يُوَاصِلَ، فَلْيُواصِلْ إِلَى السَّحَرِ

তোমরা সওমে বিসাল পালন কর না। যে ব্যক্তি এরূপ করতে চায়,. সে যেন তা কেবল সেহরি পর্যন- করে।

এটি সিয়াম পালনকারীর জন্য অধিক উপযোগী ও সহজ। কেননা এটা তার জন্য রাতের খাবার গ্রহণ করার মতই, তবে সে একটু দেরি করে করছে। অর্থাৎ দিন ও রাতে রোযাদারের জন্য একবার খাবার গ্রহণের অনুমতি রয়েছে। সেহরীর সময় খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে রোযাদার তার এই খাবারটাকেই রাতের শুরু থেকে সরিয়ে শেষ রাতে নিয়ে গেল মাত্র।



মাহে রমযান শুরু বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ ছিল, তিনি নিশ্চিতরূপে চাঁদ দেখা ব্যতীত, অথবা কোন এক ব্যক্তির সাক্ষ্য ব্যতীত মাহে রমযানের রোযা রাখা শুরু করতেন না। একবার ইবনে ওমর রা. এর সাক্ষ্য অনুযায়ী রোযা রাখেন। জনৈক বেদুইন ব্যক্তির সাক্ষীতেও রোযা রেখেছিলেন। এ দুই জনের দেয়া সংবাদের ওপর ভিত্তি করেই রোযা রাখেন। রাসূলুল্লাহ তাদের দ্বারা সাক্ষ্য প্রদানমূলক বাক্য উচ্চারণ করাননি। তাদের দেয়া সংবাদ যদি কেবলই সংবাদ হিসেবে ধরা হয়, তবে তিনি একজনের দেয়া সংবাদ তথা খবরে ওয়াহেদ কে রমযানের ক্ষেত্রে যথেষ্ট মনে করেছেন। আর যদি বিষয়টিকে সাক্ষ্য হিসেবে ধরে নেয়া হয়, তবে তিনি সাক্ষ্যদাতাকে সাক্ষ্য সংক্রান্ত শব্দ উচ্চারণ করতে বলেন নি। আর যদি চাঁদ দেখা না যেত অথবা এ ব্যাপারে কারো সাক্ষ্য পাওয়া না যেত, তাহলে শাবান মাস ৩০ দিন পুরো করতেন। ২৯ শাবান দিবাগত রাতে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার কারণে চাঁদ দেখা অসম্ভব হলে তিনি পুরো ৩০ দিন হিসেব করে শাবান মাস শেষ করতেন, তারপর রোযা রাখা শুরু করতেন।

মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে, সেদিন তিনি রোযা রাখতেন না। এ ধরনের দিনে রোযা রাখার নির্দেশও তিনি কাউকে দেননি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকা অবস্থায় তিনি শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ করতেন। এটাই হল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আমল ও নির্দেশ। এর সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী

فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলে তোমরা হিসেব করে ধরে নাও বাক্যটির কোন বৈপরীত্য নেই।

হাদীসে ব্যবহৃত শব্দ (হিসেব করে ধরে নাও) এর অর্থ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলে শাবান মাস ৩০ দিন হিসেব করে গণনা করা। বুখারির বিশুদ্ধ বর্ণনাতেও এর সমর্থন মেলে, বুখারিতে এসেছে, فأكملوا عدة شعبان

(তোমরা শাবান মাসের হিসেব পূর্ণ কর।)

মাহে রমযান সমাপ্তি বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ

এ ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ হচ্ছে,তিনি রমযান শুরুর ক্ষেত্রে এক ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ করে মানুষকে সিয়ামের আদেশ করতেন, আর রমযান সমাপ্তির ব্যাপারে দুই ব্যক্তির সাক্ষ্য গ্রহণ করতেন।

ঈদের সালাতের সময় চলে যাওয়ার পর যদি দুই ব্যক্তি চাঁদ দেখার ব্যাপারে সাক্ষ্য দিত তবে তিনি রোযা ছেড়ে দিতেন এবং অন্যদেরকেও ছেড়ে দিতে বলতেন, এবং পরদিন সময়মত ঈদের সালাত আদায় করতেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন