hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

প্রিয় নবীর সান্নিধ্যে চল্লিশ আসর

লেখকঃ আদেল বিন আলী আশ-শিদ্দী

পঞ্চম আসর: মাহে রমযানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ (৩)
মাহে রমযানে কখনো কখনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাবাতের গোসল না সেরেই সুবহে সাদেক অতিক্রম করেছেন। এবং সেদিন ফজরের আযানের পর গোসল সেরেছেন এবং রোযা রেখেছেন।

রোযা অবস্থায় তিনি কখনো কখনো স্ত্রীদের চুম্বন করতেন, আর এ চুম্বনকে পানি দিয়ে কুলি করার তুল্য বলে ব্যাখ্যা করেছেন।

রমযানে ভুল করে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণকারীর ব্যাপারে রাসূলুল্লাহর আদর্শ

রোযা অবস্থায় ভুল করে কিছু খেলে বা পান করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদর্শ হল উক্ত রোযা কাজা না করা। কেননা আল্লাহই ঐ ব্যক্তিকে খাইয়েছেন ও পান করিয়েছেন। এটা ঘুমন্ত অবস্থায় খাদ্য ও পানীয় গ্রহণের মতই। আর ঘুমন্ত ও ভুলকারী ব্যক্তি তাকলীফ বা দায়বদ্ধতা থেকে মুক্ত।

রোযা ভঙ্গের কারণসমূহ

এ ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত বিষয়গুলো নিম্নরূপ:

খাদ্য বা পানীয় গ্রহণ ( যেসব বস্তু খাদ্যের বিকল্প হিসাবে ব্যহহার করা হয় তাও এর মধ্যে শামিল যেমন খাদ্যজাতীয় ইনজেকশন) শিঙ্গা লাগানো, ও বমি করা।

আল-কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রীর মিলনও পানাহারের মত রোযা ভঙ্গের কারণ। এ ক্ষেত্রে কারও কোন দ্বিমত নেই। চোখে সুরমা লাগালে রোযা ভাঙবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ বিষয়ে কিছু প্রমাণিত হয়নি। তিনি রোযা অবস্থায় মিসওয়াক করতেন বলেও বর্ণনায় এসেছে।

ইমাম আহমদ রহ. বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযা অবস্থায় মাথায় পানি ঢালতেন, কুলি করতেন ও নাকে পানি দিতেন। তবে নাকে পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে অতিরঞ্জিত করা থেকে বারণ করেছেন। রোযা অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন বলে কোন প্রমাণনেই।

দিনের শুরুতে অথবা শেষভাগে মিসওয়াক থেকে বারণ করেছেন বলেও বিশুদ্ধ সূত্রে কিছু পাওয়া যায় না।

এতেকাফ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদর্শ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশকে এতেকাফ করতেন। ওফাত পর্যন্ত তিনি এ নিয়মের অনুবর্তী ছিলেন। একবছর কোন কারণে শেষ দশকের এতেকাফ করতে পারেননি, পরে শাওয়াল মাসে তা কাজা করেছেন। লাইলাতুল কদর তালাশ করতে গিয়ে তিনি একবার রমযানের প্রথম দশকে অতঃপর মধ্য দশকে এরপর শেষ দশকে এতেকাফ করেন। পরবর্তীতে তাকে জানিয়ে দেয়া হল যে, লাইলাতুল কদর শেষ দশকে। এরপর থেকে তিনি ওফাত পর্যন্ত শেষ দশকেই এতেকাফ চালিয়ে গেছেন।

তিনি তাঁবুর ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিতেন যা মসজিদে টানানো হত। সেখানেই তিনি আল্লাহর যিকির-আরাধনায় নিবিষ্ট হতেন।

এতেকাফের নিয়ত করলে তিনি ফজরের সালাত আদায় করতেন ও এতেকাফ শুরু করতেন।

প্রতি বছর দশ দিন করে এতেকাফ করতেন। তবে যে বছর পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন সে বছর বিশ দিন এতেকাফ করেছেন।

-জিবরাঈল আ. প্রতি বছর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একবার করে কুরআন পড়া ও পড়ানোর দায়িত্ব নিয়ে আগমন করতেন। তবে তাঁর ওফাতের বছর তিনি দুইবার এ দায়িত্ব পালন করেছেন।

-জিবরাঈল আ. বছরে একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে কুরআন পড়তেন, তবে ইন্তেকালের বছর দুইবার পড়েছেন।

- এতেকাফের সময় তিনি নির্ধারিত তাঁবুতে একা একা প্রবেশ করতেন।

- এতেকাফ অবস্থায় প্রাকৃতিক প্রয়োজন ব্যতীত ঘরে প্রবেশ করতেন না।

-মসজিদ হতে আয়েশা (রা.) এর কক্ষে মাথা প্রবেশ করিয়ে দিতেন, আয়েশা (রা) নিজ কক্ষ হতেই হায়েয অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মাথা ধুয়ে দিতেন এবং আঁচড়িয়ে দিতেন।

-এতেকাফে থাকা কালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সাক্ষাত করার জন্য উম্মাহাতুল মুমিনীনদের কেউ কেউ নির্ধারিত স্থানে যেতেন, সাক্ষাত শেষে তিনি উঠে দাঁড়ালে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)ও দাঁড়াতেন এবং বিদায় দিতেন । আর এ যিয়ারতের ঘটনা সাধারণত: রাতের বেলায় সংঘটিত হত।

এতেকাফ অবস্থায় তিনি কখনোই কোন স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করেননি। এমনকি চুমোও দেননি।

-তিনি ইতিকাফ করতে গেলে বিছানা পেতে দেয়া হত। এতেকাফস্থলে তাঁর খাটও রাখা হত।

- কোন প্রয়োজনে ইতিকাফ স্থল হতে বের হলে, সে কাজ ব্যতীত অন্য কোনো কাজ করতেন না। যেমন, কোন রোগীর পাশ দিয়ে যেতেন, কিন্তু তার কাছে যেতেন না, এবং তার সম্বন্ধে কারো কাছে কিছু জিজ্ঞেসও করতেন ন।

- একবার তিনি একটি তুর্কি তাঁবুতে এতেকাফ করেন। তখন তাঁবুটির প্রবেশপথ পাটি দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এতেকাফের মূল উদ্দেশ্য যাতে অর্জিত হয় সে জন্যই তিনি এরূপ করেছেন। বর্তমান সময়ের অজ্ঞ ও মূর্খ লোকদের অবস্থা ঠিক এর বিপরীত। তারা এতেকাফের জায়গাকে আলাপ-চারিতা ও যিয়ারতকারীদের অভ্যর্থনা জানানোর জায়গা বানিয়ে ফেলে। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে, এসব এতেকাফের রং-রূপ আর নববী এতেকাফের রং-রূপ সম্পূর্ণ ভিন্ন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন