মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
আল্লামা ইবনুল কাইয়িম রহ. যাদুল মাআদ গ্রন্থে উহুদ যুদ্ধ থেকে শিক্ষণীয় অনেকগুলো চমৎকার বিষয় উল্লেখ করেছেন। পাঠকবৃন্দের জ্ঞাতার্থে আমরা তার কিছু নিম্নে তুলে ধরছি।
প্রথমত: মুমিনদেরকে অবাধ্যতা, বিবাদ ও ব্যর্থতার মন্দ পরিণতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া, তাদের উপর যে বিপদ ও মুসীবত আপতিত হয়েছে তার একমাত্র কারণ পারস্পরিক মতভেদ ও অবাধ্যতা।
আর নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের সাথে তাঁর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন, যখন তোমরা আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিনাশ করছিলে, এমনকি তোমরা সাহস হারালে এবং নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করলে এবং যা তোমরা পছন্দ কর তা তোমাদেরকে দেখাবার পর তোমরা অবাধ্য হলে। তোমাদের কতক ইহকাল কামনা করছিল এবং কতক পরকাল। অতঃপর তিনি পরীক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে তাদের হতে ফিরিয়ে দিলেন। অবশ্য তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করলেন। আর আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল।
{সূরা আলে ইমরান: ১৫২}
যখন তারা রাসূলের অবাধ্যতা, তার সাথে মতবিরোধ, ও ব্যর্থতার শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করলেন, তখন থেকে তাঁরা অধিক সতর্ক ও চৈতন্যসম্পন্ন হয়ে গেলেন।
দ্বিতীয়ত: রাসূলগণ ও তাঁদের অনুসারীগণের ব্যাপারে আল্লাহর হিকমত ও রীতি এই চলে এসেছে যে, তাদেরকে একবার বিজয় দেবেন তো আরেকবার মাহরুম করবেন, তবে শেষ পরিণতি তাদের পক্ষেই যাবে। কেননা, তারা যদি সর্বদা বিজয় লাভ করতে থাকে, তবে তাদের সাথে মুসলিম ও অমুসলিম একসাথে মিশে যাবে। অতঃপর সত্যবাদীকে অসত্যবাদী থেকে আলাদা করা দুষ্কর হবে।
তৃতীয়ত: সত্যিকার মুমিন, মিথ্যাবাদী মুনাফিক থেকে পৃথক হয়ে যাবে। কেননা, মুসলমানদেরকে বদর দিবসে যখন বিজয় দান করা হল, প্রকৃত অর্থে যারা ইসলামে প্রবেশ করেনি, তারাও তাদের সাথে বাহ্যিকভাবে মিশে গেল। তাই আল্লাহর হিকমত এই ছিল যে, তার বান্দাদেরকে কষ্ট-যাতনা ভোগ করাবেন, যা মুমিন থেকে মুনাফিককে পৃথক করে দেবে। মুনাফিকরা উহুদযুদ্ধে তাদের মাথা উঁচু করেছিল, এবং যা তারা গোপন করত তা বলে ফেলেছিল। মুমিনরা বুঝতে পারলেন তাদের নিজের ঘরেই শত্রু রয়েছে। অতঃপর তারা তাদের বিরুদ্ধে প্রস্তুত হলেন, এবং তাদের বিষয়ে সতর্ক হয়ে গেলেন।
চতুর্থত: যারা আল্লাহর বন্ধু ও তাঁর বাহিনীভুক্ত তাদের দাসত্বের স্বরূপ উদ্ঘাটন করা। সুখে ও দুঃখে, পছন্দে ও অপছন্দে এবং শত্রুর বিরুদ্ধে সফলতা অর্জনে ও শত্রুদের দ্বারা পরাজিত হওয়া তথা সর্বাবস্থায় তাদের দাসত্ব বজায় থাকে কি-না তা পরখ করে নেওয়া। সুতরাং পছন্দ ও অপছন্দ সর্ব অবস্থায় যদি মুমিনরা আনুগত্য ও দাসত্বের উপর দৃঢ় থাকতে পারে তবেই তারা প্রকৃত অর্থে আল্লাহর বান্দা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে।
পঞ্চমত: যদি আল্লাহ তাআলা সর্বদা তাদের সাহায্য করেন এবং সর্বস্থানে তাদের শত্রুর বিরুদ্ধে তাদেরকে বিজয় দান করেন এবং সব সময় শত্রুদের বিপক্ষে তাদের প্রতিষ্ঠা ও ক্ষমতা দান করেন তাহলে তাদের অন্তর অবাধ্যতা ও অহংকারে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। সুতরাং বান্দাদের মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখতে তাদের সুখ-দুঃখ, স্বচ্ছলতা ও অস্বচ্ছলতা ইত্যাদি দিয়ে পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
ষষ্ঠত: যখন আল্লাহ তাআলা তাদের জয়-পরাজয় ও বিপর্যয় দিয়ে পরীক্ষা করবেন তখন তারা দীনতা-হীনতা ও বশ্যতা স্বীকার করে অনুগত হয়ে থাকবে এবং তার নিকট সাহায্য ও ইজ্জত প্রার্থনা করবে।
সপ্তমত: নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তাঁর মুমিন বান্দাদের জন্য অনেক মর্যাদার স্তর প্রস্তুত করে রেখেছেন। যেখানে তারা বিপদ-আপদ ও পরীক্ষায় আপতিত হওয়া ব্যতীত শুধুমাত্র তাদের আমল দিয়ে পৌঁছতে সক্ষম হয় না। ফলে তিনি তাদেরকে বিপদ-আপদ ও পরীক্ষায় নিপতিত করেন এবং সেগুলো তাকে সেই মর্যাদার স্তরে পৌঁছে দেয়।
অষ্টমত: সুস্থতা, স্বচ্ছলতা, মদদপুষ্টতা ও পরমুখাপেক্ষিতা মুক্ত থাকার কারণে মানবাত্মা ক্রমান্বয়ে অবাধ্য ও দুনিয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে যায়। আর এটি এমন এক রোগ যা মানুষকে তার প্রতিপালক আল্লাহ ও পরকালের দিকে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আমল ও চেষ্টা-সাধনা করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। অতঃপর আল্লাহ তাআলা যদি মানুষকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে চান তিনি তাকে নানাবিধ বিপদ ও পরীক্ষায় পতিত করেন যেটি তার সেই রোগের ঔষধ হিসাবে কাজ করে। তখন সেই বিপদ ও পরীক্ষাটি তার জন্যে সেই ডাক্তারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় যে অসুস্থ ব্যক্তিকে তিক্ত ঔষধ সেবন করায় এবং কষ্টদায়ক ধমনিসমূহ কেটে দেয়। উদ্দেশ্য রোগের উৎসগুলো বের করে সুস্থ করে তোলা। আল্লাহ তাআলা যদি মানুষকে তার নিজ অবস্থার উপর ছেড়ে দেন তাহলে তার প্রবৃত্তি তার উপর বিজয়ী হবে এবং শেষ পর্যন্ত তাতেই তার ধ্বংস অনিবার্য হয়ে দাঁড়াবে।
নবমত: শাহাদাত বরণ আল্লাহ তাআলার নিকট তাঁর ওলীদেরকে উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছে দেয়। শাহাদাত বরণকারী তাঁর বিশেষ নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা। সিদ্দীকিয়্যতের স্তরের পরই শাহাদাতের স্থান। আর শত্রু চাপিয়ে দিয়ে বিপদ আরোপিত করা ব্যতীত ঐ স্তরে পৌঁছার আর কোন রাস্তা নেই।
দশমত: আল্লাহ যখন তাঁর শত্রুদের ধ্বংস করতে চান তখন তিনি তাদের দিয়ে এমনসব কাজ সম্পাদন করান যা তাদের ধ্বংসকে অনিবার্য করে তোলে। কুফরির পর ধ্বংসের মারাত্মক কারণসমূহ: যেমন- অবাধ্যতা, সীমা লঙ্ঘন, আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দাদের কষ্ট প্রদান, তাদের সাথে যুদ্ধ করা ও তাদের উপর প্রভাব বিস্তার ইত্যাদি। এর মাধ্যমে তাঁর নৈকট্যপ্রাপ্ত ওলী-আউলিয়ারা তাদের গুনাহ ক্ষমা করিয়ে পরিশোধিত হয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় আর শত্রুরা তাদের ধ্বংসের উপকরণ আরো বৃদ্ধি করে নেয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/583/31
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।