hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

প্রিয় নবীর সান্নিধ্যে চল্লিশ আসর

লেখকঃ আদেল বিন আলী আশ-শিদ্দী

২৪
বাইশতম আসর: ইসলাম প্রসারের সূচনা
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তায়েফে উপহাস, বিদ্রূপ আর অবজ্ঞার শিকার হয়ে মক্কায় ফিরে আসেন। মুতইম ইবনে আদীর আশ্রয়ে মক্কায় অবস্থান করেন।

বয়কট, মিথ্যা ও কঠোরতায় ভরপুর পরিবেশে আল্লাহ তাআলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লৌহকঠিন প্রত্যয়ে দৃঢ় করতে চাইলেন। তাই তাঁকে ইসরা ও মিরাজের মর্যাদায় ভূষিত করলেন। প্রত্যক্ষ করালেন বড় বড় নিদর্শন। অবগত করালেন স্বীয় ক্ষমতা ও কুদরতের বিশাল ব্যাপ্তি। যাতে তিনি কুফর ও কাফিরদের মুকাবিলায় আরো বেশি মনোবল অর্জনে সক্ষম হন।

ইসরা, রাত্রিতে মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে বাইতুল মুকাদ্দাসের মসজিদুল আকসা পর্যন্ত সফর এবং সে রাতেই ফিরে আসা।

মিরাজ, ঊর্ধ্ব জগতে আরোহণ, নবীদের সাথে সাক্ষাৎ, অদৃশ্য জগৎ প্রত্যক্ষকরণ ইত্যাদি। এ সফরেই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয হয়।

এই বিস্ময়কর ঘটনাটি মুসলমানদের ঈমান পরীক্ষার একটি উপলক্ষ্যে পরিণত হয়। এ সম্বন্ধে শোনার পর কেউ কেউ ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে যায়। আবার কতিপয় লোক আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট গিয়ে বলে, আপনার সঙ্গী দাবি করছেন, আজ রাতে তিনি বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত সফর করে আবার ফিরে এসেছেন। আবু বকর বললেন, তিনি কি এরূপ বলেছেন? তারা বলল, হ্যাঁ, অবশ্যই বলেছেন। আবু বকর বললেন, তিনি যদি এমন বলে থাকেন, তবে সত্যই বলেছেন। তারা বলল, আপনি কি বিশ্বাস করেন, তিনি এক রাতে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত গিয়ে ভোর হওয়ার আগেই ফিরে এসেছেন?

আবু বকর বললেন, হ্যাঁ, আমি তো (তাঁর ব্যাপারে) এর চেয়েও দূরের বিষয়ে বিশ্বাস করি। সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর দেয়া আসমানী সংবাদাদি বিশ্বাস করি।

আবু বকর রা. কে এজন্যই সিদ্দীক, তথা অধিক বিশ্বাসকারী হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

কুরাইশদের পক্ষ হতে বিরুদ্ধাচরণ ও দাওয়াত প্রচার কার্যক্রমে বাঁধা প্রদানের কারণে তিনি অন্যান্য গোত্রাভিমুখী হলেন। তায়েফ থেকে ফিরে এসে বিভিন্ন মেলাতে নিজেকে পেশ করতে শুরু করলেন এবং নিপুন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে লোকদেরকে ইসলাম সম্বন্ধে বুঝাতে লাগলেন। ইসলাম ও আল্লাহর বাণী পৌঁছানোর স্বার্থে তাদের নিকট আশ্রয় ও সাহায্য প্রার্থনা করেন।

কেউ কেউ খুব ঘৃণা ও নিষ্ঠুরভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ফিরিয়ে দিত। কেউ আবার সুন্দর ও শালীনভাবে না করে দিত। সবচেয়ে খারাপ ব্যবহার করেছে, বনু হানীফা গোত্র- মিথ্যা নবুওয়তের দাবিদার মুসাইলামার দল।

যাদের নিকট রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেকে পেশ করেছেন, তাদের মধ্যে ইয়াসরিবের আউস বংশীয় একটি দলও ছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সাথে কথা বললেন, তারা তাঁকে চিনতে পারল। এবং বুঝে গেল যে, তিনিই সেই নবী, ইহুদীরা যার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে থাকে। তারা নিজেদের মাঝে বলাবলি করল, আল্লাহর শপথ! এ নবীর আগমনের কথা-ই ইহুদীরা আমাদের বলে আসছে। আমরা তাদেরকে কোন মতেই আগে ঈমান গ্রহণ করার সুযোগ দেব না। তাদের ছয়জন তখনই ঈমান কবুল করল, আর এটি ছিল মদীনায় ইসলাম প্রচারের শুভ সূচনা। তাঁরা হলেন, ১. আসআদ বিন জুরারা ২. আউফ ইবনে হারেস ৩. রাফে বিন মালেক ৪. কুতবা বিন আমের বিন হাদীদা ৫. উকবা বিন আমের ৬. সাদ বিন রবি।

তাদের সকলেই পরবর্তী বছর পুনরায় আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বদেশ ফিরে গেলেন।

পরবর্তী বছর অর্থাৎ নবুওয়তের দ্বাদশতম বছর প্রথম আকাবার বায়আত অনুষ্ঠিত হয়। এতে বারোজন মদীনাবাসী রাসূলের হাতে বায়আত গ্রহণ করেন। আউস বংশের দশজন আর খাযরাজ বংশের দুইজন। এদের মধ্যে পূর্ববর্তী বছরের ছয় জনের পাঁচজন বিদ্যমান ছিলেন। তারা সকলেই ঈমান গ্রহণ করলেন। শপথ করলেন, ঈমান ও সত্যবাদিতার জন্য উৎসর্গিত হবেন, শিরক ও অবাধ্যতা পরিত্যাগ করবেন, কল্যাণমূলক কাজ করবেন, এবং কখনো মিথ্যা বলবেন না। এরপর সকলেই মদীনায় ফিরে গেলেন। আর এভাবেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনার সর্বত্র ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিলেন। একটি ঘরও এমন ছিল না যেখানে রাসূলের আলোচনা চর্চিত হয়নি।

প্রথম আকাবার পরের বছর, অর্থাৎ নবুওয়তের ত্রয়োদশতম বছর দ্বিতীয় আকাবার বায়আত অনুষ্ঠিত হয়। এ বায়আতে সত্তরজন পুরুষ ও দুই জন নারী অংশ নেন। এবং সকলেই ইসলাম গ্রহণ করেন। এই বলে বায়আত গ্রহণ করেন যে, উদ্যমতা ও আলস্য, উভয় অবস্থায় আনুগত্য করবেন, স্বচ্ছলতা ও দারিদ্র উভয় অবস্থায় আল্লাহর পথে খরচ করবেন, সৎ কাজের আদেশ দেবেন, অসৎ কাজ হতে বিরত রাখবেন, আল্লাহর ব্যাপারে ধিক্কার, নিন্দা ও কোনো ভয়-ভীতির পরওয়া করবেন না, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাহায্য করবেন, তার বিরুদ্ধে পরিচালিত যে কোন অনিষ্ট প্রতিহত করবে।

অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে নিজদের মধ্য হতে আমির হওয়ার যোগ্য বারজন লোককে নির্বাচিত করে দিতে বললেন। এরা সকলেই রাসূলের শিক্ষা নিজ নিজ প্রভাব বলয়ে প্রচার করবে। তারা খাযরাজ থেকে নয়জন এবং আউস থেকে তিনজন নকিব মনোনীত করে দিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বললেন, তোমরা নিজ নিজ গোত্রের জিম্মাদার, যেমন জিম্মাদার ছিলেন ঈসা ইবনে মারইয়ামের হাওয়ারীবৃন্দ। আর আমি আমার বংশের জিম্মাদার। তারা সকলেই মদীনাভিমুখে রওয়ানা হলেন। ইসলাম প্রসার লাভ করল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সকলের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন।

এটাই ছিল রাসূলের মদীনায় হিজরতের প্রাথমিক ভূমিকা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন