মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
প্রথম আসর: মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর অধিকার-১
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/583/3
সন্দেহ নেই, মহান আল্লাহ নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রেরণ করে আমাদেরকে করেছেন সম্মানিত এবং তাঁর রিসালাতের সূর্য উদিত করে আমাদের প্রতি করেছেন সীমাহীন ইহসান ।
অবশ্যই আল্লাহ তাআলা মুমিনদের প্রতি ইহসান করেছেন। কারণ, তিনি তাদের মাঝে তাদের থেকেই একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন, যে তাদেরকে তাঁর আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে শোনায়। তাদের আত্মসংশোধন করে এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়। যদিও তারা ইতিপূর্বে স্পষ্ট গোমরাহিতে ছিল।
আমাদের উপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনেক অধিকার রয়েছে, যা আদায় ও সংরক্ষণ করা একান্ত জরুরি। বিনষ্ট ও অবহেলা করা থেকে বিরত থাকা আবশ্যিক।
সেসব অধিকারের কিছু নিম্নে বর্ণিত হল,
এক: তাঁর প্রতি ঈমান আনা
রাসূলুল্লাহর অধিকারসমূহের মধ্যে প্রধান ও শ্রেষ্ঠতম অধিকার হল তাঁর প্রতি ঈমান আনা ও তাঁর রিসালাতে বিশ্বাস স্থাপন করা। যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শেষ নবী হিসাবে মানবে না, সে সত্যচ্ছুত-কাফির। পূর্ববর্তী সকল নবী-রাসূলের প্রতি ঈমান এ ক্ষেত্রে তার কোনো কল্যাণে আসবে না।
পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াত আল্লাহর রাসূলের প্রতি ঈমান আনার নির্দেশ দেয় এবং তার রিসালাতে সন্দেহ-সংশয় পোষণ হতে বারণ করে।
মুমিন কেবল তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, তারপর সন্দেহ পোষণ করেনি। আর নিজদের সম্পদ ও নিজদের জীবন দিয়ে আল্লাহর রাস-ায় জিহাদ করেছে। এরাই সত্যনিষ্ঠ। {সূরা হুজুরাত:১৫}
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অস্বীকার করা ধ্বংস ও কঠিন শাস্তির কারণ এ বিষয়টি নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
এটি এ কারণে যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করেছে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করবে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর। {সূরা আনফাল:১৩}
যার হাতে মুহাম্মদের আত্মা তার শপথ, এ জাতির যে-ই আমার নাম শুনেছে, হোক সে খ্রিস্টান কিংবা ইহুদি, অতঃপর সে মৃত্যুবরণ করেছে, আমি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছি তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করেই। তা হলে সে জাহান্নামবাসী হবে।
দুই: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আনুগত্য করা
নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আনুগত্যই তার প্রতি ঈমানের প্রকৃত প্রমাণ। যে ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি ঈমান আনার দাবি করে অথচ তার আদেশ পালন করে না এবং তিনি যেসব বিষয় থেকে বারণ করেছেন তা থেকে বিরত থাকে না, তাঁর সুন্নতের অনুসরণ করে না। সে তার দাবিতে মিথ্যাবাদী। আর ঈমান তো মনোজগতে আন্দোলিত একটি বিষয়, ব্যক্তির কর্ম ও আমল যাকে সত্যায়ন করে।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তাঁর দয়া ও করুণা একমাত্র আনুগত্যশীল ও আত্মসমর্পণকারীরাই পেয়ে থাকে।
অতএব তোমার রবের কসম, তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক নির্ধারণ করে, তারপর তুমি যে ফয়সালা দেবে সে ব্যাপারে নিজদের অন্তরে কোন দ্বিধা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়। {সূরা নিসা:৬৫}
তিন : মহানবীর প্রতি ভালোবাসা
উম্মতের কাছে মহানবীর প্রাপ্য অধিকারের মধ্যে একটি হল তাকে ভালোবাসা, সাধারণ অর্থে নয় বরং তা হতে হবে পূর্ণাঙ্গ, সর্ব-ব্যাপ্ত, ও অন্তরের অন্তস্থল থেকে।
রাসূলুল্লাহ বলেছেন:
لَا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ ِ َوَالِدِه و وَلَدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ " [ متفق عليه
তোমাদের কেউ পরিপূর্ণ মুমিন হবে না যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার সন্তান, পিতা ও সমগ্র মানুষ হতে প্রিয়তম হব।
যে ব্যক্তির হৃদয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ভালোবাসা নেই সে মুমিন হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। মুসলিম নাম ধারণ ও মুসলমানদের মাঝে বসবাস এ ক্ষেত্রে তাকে মুমিনদের দলভুক্ত করতে অপারগ বলে প্রমাণিত হবে।
সর্বোচ্চ ভালোবাসা হল মুমিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ভালোবাসবে নিজ থেকেও অধিক। ওমর রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে একদা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে বাদ দিয়ে সকল বিষয় থেকে আপনি আমার কাছে অধিক প্রিয়। প্রত্যত্তুরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন
না, আমার আত্মা যার কবজায় তাঁর কসম, আমাকে তোমার নিজ সত্তা থেকেও অধিক ভালোবাসতে হবে। ওমর বললেন: আল্লাহর কসম নিশ্চয়ই আপনি এখন আমার কাছে আমার নিজ সত্তা থেকেও অধিক প্রিয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এখন হয়েছে হে ওমর।
চার: রাসূলের পক্ষাবলম্বন ও তাঁকে সাহায্য করা
জীবিত বা মৃত উভয় অবস্থায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার এটি। তাঁর জীবদ্দশায় এ দায়িত্ব অনুপুঙ্খভাবে আদায় করেছেন সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম। আর তাঁর ওয়াফাতের পর এ দায়িত্ব পালিত হবে তাঁর সুন্নত সংরক্ষণের মাধ্যমে, যদি তা কোন অপবাদের অথবা মূর্খদের বিকৃতির বা বাতিলপন্থীদের বানোয়াট রচনার শিকার হয়। ব্যক্তি রাসূলকে প্রতিরক্ষার মাধ্যমেও এ দায়িত্ব পালিত হবে, যদি তিনি আক্রান্ত হন কারও তুচ্ছতাচ্ছিল্যের, অথবা যদি কেউ তাঁর সুউচ্চ অবস্থানের সাথে সাংঘর্ষিক কোন বিশেষণে তাঁকে বিশেষিত করার স্পর্ধা দেখায়।
বর্তমানে মহানবীর ব্যক্তিত্ব আক্রমণের শিকার হচ্ছে অহর্নিশ। এমতাবস্থায় সমস্ত উম্মতের দায়িত্ব হবে,সর্বশক্তি প্রয়োগ করে আক্রমণকারীদের প্রতিহত করা। তাদেরকে এ অন্যায় আচরণ হতে বিরত রাখতে যার-পর-নাই চেষ্টা করে যাওয়া। এবং এ ক্ষেত্রে সকল মাধ্যম ব্যবহার করে মহানবীর স্বপক্ষে দাঁড়িয়ে যাওয়া এবং মিথ্যাচারিতা ও অপবাদ থেকে বিরত হতে অন্যায়কারীদেরকে বাধ্য করা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/583/3
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।