hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

প্রিয় নবীর সান্নিধ্যে চল্লিশ আসর

লেখকঃ আদেল বিন আলী আশ-শিদ্দী

১৭
পনেরতম আসর: নবী ও নারী (২)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বামীদেরকে স্ত্রীদের জন্য খরচ করতে উৎসাহ দিয়েছেন।

তিনি বলেন,

إِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللهِ إِلَّا أُجِرْتَ عَلَيْهَا، حَتَّى مَا تَجْعَلُهُ فِي فِيّ امْرَأَتِكَ " ] متفقٌ عليْهِ [

আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তুমি যে কোনো ব্যয় করবে, তার প্রতিদান অবশ্যই পাবে। এমনকি খাবারের যে লোকমাটি স্ত্রীর মুখে উঠিয়ে দেবে তার সওয়াবও তুমি পাবে।

অধিকন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিবারের জন্য ব্যয় করাকে সর্বোত্তম ব্যয় বলে চিহ্নিত করেছেন।

তিনি বলেন,

أَفْضَلُ دِينَارٍ : دِينَارٌ يُنْفِقُهُ الرَّجُلُ عَلَى عِيَالِهِ " ] رواه مسلم [

সর্বোত্তম অর্থ তা-ই, যা ব্যক্তি তার পরিবারের জন্য খরচ করে।

তিনি আরো বলেন,

إِنَّ الرَّجُلَ إِذَا سَقَى امْرَأَتَهُ مِنَ الْـمَاءِ أُجِرَ " ] رواه أحمدُ وحسَّنه الألبانيُّ [

কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে পানি পান করালেও সে সওয়াব প্রাপ্ত হবে।

এ হাদীস শুনে ইরবাজ বিন সারিয়া রা. সাথে সাথে তার স্ত্রীকে পানি পান করান এবং তাকে রাসূলের এ হাদীস শোনান।

এভাবেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবাদের নারীর প্রতি সদাচার, নম্রতাপূর্ণ আচরণ, তাদের প্রতি স্নেহশীল হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। আরো শিক্ষা দিয়েছেন ভালো জিনিসগুলো তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া ও সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করার।

তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, একজন পুরুষ ভাল মানুষ ও সৎ চরিত্রবান হিসাবে বিবেচিত হবার বড় প্রমাণ হলো নারীদের সাথে সদ্‌ব্যবহার।

خِيَارُكُمْ خِيَارُكُمْ لِنِسَائِهِمْ ] رواه أحمد والترمذي [

তোমাদের মধ্যে তারাই উত্তম, যারা নিজ স্ত্রীদের কাছে উত্তম।

তিনি স্বামীদেরকে নিজ স্ত্রীদের ঘৃণা ও তাদের প্রতি রাগান্বিত হতে নিষেধ করেছেন।

তিনি বলেন,

لَا يَفْرَكُ مُؤْمِنٌ مُؤْمِنَةً - أَي لا يبغَضُها - إِنْ كَرِهَ مِنْهَا خُلُقًا، رَضِيَ مِنْهَا آخَرَ " ] رَواهُ مُسْلم [

কোন মুমিন পুরুষ মুমিন নারীকে দূর করে দেবে না- তাকে ঘৃণা করবে না- তার একটি স্বভাব অপছন্দ হলে, আরেকটি পছন্দ হবে।

এভাবেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষদেরকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, তাদের মধ্যে বিরাজিত ইতিবাচক ও ভালো স্বভাবগুলোর প্রতি গুরুত্ব প্রদান করতে এবং নেতিবাচক দিকগুলোকে গুরুত্ব না দিতে। কারণ, নেতিবাচক দিকগুলোর প্রতি গুরুত্ব দিলে তা নারী-পুরুষের মাঝে বৈরিতা ও বিচ্ছিন্নতার প্রাচীর দাঁড় করাবে। ভেঙে যাবে সুন্দর সংসার।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের প্রহার করতেও নিষেধ করেছেন।

তিনি বলেন,

لَا تَضْرِبُوا إِمَاءَ اللهِ " ] رَوَاهُ أَبُو دَاود [

তোমরা আল্লাহর বাঁদিদের প্রহার কর না।

যারা নারীদের কষ্ট দেয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, বলেছেন, হে আল্লাহ! আমি দুর্বল জাতির অধিকারগুলোকে খুব জটিল মনে করি : নারী ও ইয়াতীম। অর্থাৎ যারা এই দুই শ্রেণীর মানুষের প্রতি দুর্ব্যবহার ও জুলুম করবে, আল্লাহর দরবারে তারা ছাড় পাবে না। বরং দুনিয়া- আখেরাত উভয় জগতেই তারা শাস্তি ও সংকীর্ণতার সম্মুখীন হবে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারী-পুরুষ উভয়কে পরস্পরের গোপন খবর বাইরে প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, কেয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বেশি ঘৃণিত হবে ঐ ব্যক্তি যে তার স্ত্রীর সাথে শয্যা গ্রহণ করল, এবং যে স্ত্রী স্বামীর সাথে শয্যা গ্রহণ করল, অতঃপর গোপন বিষয়াদি বাইরে প্রকাশ করে দিল।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের সম্মান করতেন এর আরেকটি প্রমাণ হল, তিনি স্ত্রীদের ব্যাপারে স্বামীদেরকে খারাপ ধারণা পোষণ করতে নিষেধ করেছেন। এবং তাদের ভুল-ত্রুটি অন্বেষণ করতে বারণ করেছেন। জাবের রা. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের খেয়ানতকারী জ্ঞান করে কিংবা তাদের বিচ্যুতি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করার উদ্দেশ্যে পুরুষদেরকে রাতের বেলায় আকস্মাৎ ঘরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। নারীদের সাথে রাসূলের ব্যবহার ছিল আরো অমায়িক, আরো বন্ধুত্বপূর্ণ। তাদের ক্ষেত্রে নম্রতা ও স্নেহশীলতার মূর্ত প্রতীক ছিলেন তিনি।

আসওয়াদ রা. বলেন, আমি আয়েশা রা. -কে জিজ্ঞাসা করেছি, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বাড়িতে কোন কাজ করতেন? তিনি বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা স্ত্রীদের কাজে সহযোগিতা করতেন। সালাতের সময় হয়ে গেলে সালাতের জন্য উঠে পড়তেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় স্ত্রীদেরকে মিষ্টি কথা আর কৌতুকের মাধ্যমে প্রফুল্ল রাখতেন। তিনি একদিন আয়েশাকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি তোমার সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টি সব বুঝতে পারি। আয়েশা বললেন, আল্লাহর রাসূল! আপনি কীভাবে তা বুঝতে পারেন? তিনি বললেন, তুমি যখন সন্তুষ্ট থাক তখন বল, হ্যা, এমনই, মুহাম্মদের রবের শপথ। আর যখন অসন্তুষ্ট থাক তখন বল, না, ইবরাহিমের রবের শপথ। আয়েশা বললেন, আল্লাহর রাসূল আপনি ঠিকই বলেছেন। তবে, আমি শুধু আপনার নামটিই বাদ দেই। আমার অন্তরে আপনি ঠিকই বিদ্যমান থাকেন, এতে কোনো পরিবর্তন আসে না।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রী খাদিজাকে কখনো ভোলেননি, এমনকি মৃত্যুর পরও না। আনাস রা. বলেন, রাসূলের নিকট কোনো উপহার সামগ্রী আসলে তিনি বলতেন। এগুলো অমুকের কাছে নিয়ে যাও, সে খাদিজার বান্ধবী ছিল। এ হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নারীর প্রতি ভালোবাসা ও তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের কিছু নিদর্শন।

হে নারী স্বাধীনতার দাবিদার ব্যক্তিবর্গ, তোমাদের মাঝে এর কোন কোনটি বিদ্যমান আছে! একটু ভেবে দেখবে কি?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন