মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
দ্বিতীয় বিবরণ ১৮/১৭-২২: ‘‘(১৭) তখন সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, উহারা ভালই বলিয়াছে। (১৮) আমি উহাদের জন্য উহাদের ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে তোমার সদৃশ এক ভাববাদী (a Prophet from among their brethren, like unto thee) উৎপন্ন করিব, ও তাঁহার মুখে আমার বাক্য দিব; আর আমি তাঁহাকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিব, তাহা তিনি উহাদিগকে বলিবেন। (১৯) আর আমার নামে তিনি আমার যে সকল বাক্য বলিবেন, তাহাতে যে কেহ কর্ণপাত না করিবে, তাহার কাছে আমি প্রতিশোধ লইব। (২০) কিন্তু আমি যে বাক্য বলিতে আজ্ঞা করি নাই, আমার নামে যে কোন ভাববাদী দুঃসাহসপূর্বক তাহা বলে, কিমবা অন্য দেবতাদের নামে যে কেহ কথা বলে, সেই ভাববাদীকে নিহত হইতে হইবে। [গ্রন্থকারের প্রদত্ত আরবী পাঠ অনুসারে এ অনুবাদ। বাংলা বাইবেলে ‘‘মরিতে হইবে’’।] (২১) আর তুমি যদি মনে মনে বল, সদাপ্রভু যে বাক্য বলেন নাই, তাহা আমরা কি প্রকারে জানিব? ২২ [তবে শুন,] কোন ভাববাদী সদাপ্রভুর নামে কথা কহিলে যদি সেই বাক্য পরে সিদ্ধ না হয়, ও তাহার ফল উপস্থিত না হয়, তবে সেই বাক্য সদাপ্রভু বলেন নাই; ঐ ভাববাদী দুঃসাহসপূর্বক তাহা বলিয়াছে, তুমি তাহা হইতে উদ্বিগ্ন হইও না।’’
ইয়াহূদীগণ দাবি করেন যে, এই ভবিষ্যদ্বাণী ও সুসংবাদটি যিহোশূয়ের বিষয়ে বলা হয়েছে। আর খৃস্টানগণ দাবি করেন যে, কথাটি যীশুর [একই ব্যক্তি স্বয়ং ঈশ্বর এবং তিনিই আবার ঈশ্বরের ভাববাদী!] বিষয়ে বলা হয়েছে। উভয় দাবিই ভিত্তিহীন। নিঃসন্দেহে এ কথাগুলি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আগমন বিষয়ক সুসংবাদ ছাড়া কিছুই নয়। নিম্নোক্ত বিষয়গুলি তা প্রমাণ করে:
(১) বাইবেলের বিভিন্ন বক্তব্য থেকে নিশ্চিত জানা যায় যে, যীশুর সমসাময়িক ইয়াহূদীগণ এ ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে প্রতিশ্রুত একজন ভাববাদীর আগমনের অপেক্ষায় ছিলেন এবং তারা নিশ্চিতরূপে বিশ্বাস করতেন যে, প্রতিশ্রুত এই ভাববাদী মসীহ বা খৃস্ট নন, বরং অন্য একজন হবেন। কাজেই এখানে যে ভাববাদীর আগমনের সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে তিনি কখনোই যিহোশূয় হতে পারেন না বা যীশুও হতে পারেন না। [যীশুকে এই ভবিষ্যদ্বাণীর প্রতিশ্রুত ভাববাদী বলে দাবি করলে খৃস্টানদেরকে স্বীকার করতে হবে যে, তিনি ‘খৃস্ট’ ছিলেন না; কারণ প্রতিশ্রুত মসীহ (খৃস্ট) ও প্রতিশ্রুত ভাববাদী দুই ব্যক্তি হবেন, এক ব্যক্তি নন। আর এখানে যিহোশূয়কে বুঝানো হলে তো আর ইহূদীগণ হাজার হাজার বছর ধরে ‘সেই ভাববাদী’-র আগমনের অপেক্ষায় থাকতেন না।]
(২) এ ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে ‘‘তোমার সদৃশ (like unto thee)’’। যিহোশূয় ও যীশু কেউই মোশির সদৃশ বা মোশির তুল্য হতে পারেন না।
কারণ যিহোশূয় ও যীশু উভয়েই ইস্রায়েল সন্তানগণের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। আর ইস্রায়েল সন্তানগণের মধ্যে কেউ মোশির তুল্য বা সদৃশ হতে পারেন না। দ্বিতীয় বিবরণ ৩৪/১০-এ বলা হয়েছে: ‘‘মোশির তুল্য কোন ভাববাদী ইস্রায়েলের মধ্যে আর উৎপন্ন হয় নাই (there arose not a prophet since in Israel like unto Moses)।’’
এছাড়া মোশির সাথে যিহোশূয় ও যীশুর কোনো সাদৃশ্য নেই। কারণ মোশি ছিলেন ঐশ্বরিক গ্রন্থ ও বিধিনিষেধময় নতুন ব্যবস্থা প্রাপ্ত একজন ভাববাদী। পক্ষান্তরে যিহোশূয় ও যীশু এরূপ কিছুই লাভ করেন নি। বরং তাঁরা মোশির ব্যবস্থার অনুসারী ছিলেন। এছাড়া মোশির ব্যবস্থায় শাস্তি, দন্ড, গোসলের বিধান, পবিত্রতা ও শুচিতার বিধান, শুচি ও অশুচি খাদ্য ও পানীয় ইত্যাদির বিধান রয়েছে। প্রচলিত নতুন নিয়ম থেকে প্রমাণিত হয় যে, যীশুর ব্যবস্থায় এ সব কিছুই নেই। মোশি তার জাতির মানুষের কাছে সম্মানিত মর্যাদাময় নেতা ছিলেন, সকলেই যার আনুগত্য করত এবং তার আদেশ ও নিষেধ কার্যকর করা হতো। যীশু এরূপ ছিলেন না। এছাড়া খৃস্টানগণের বিশ্বাস অনুসারে যীশু ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন তার অনুসারীদের পাপমুক্তির জন্য। মোশি তার অনুসারীদের পাপমুক্তির জন্য ক্রুশে আরোহণ করেন নি।
(৩) এ ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে: ‘‘উহাদের ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে (from among their brethren)’’। আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে, ইস্রায়েল সন্তানদের দ্বাদশ বংশ সকলেই তখন মোশির নিকট উপস্থিত ছিলেন। যদি এ ভবিষ্যদ্বাণীর উদ্দেশ্য হতো যে, এ প্রতিশ্রুত ভাববাদী ইস্রায়েলের দ্বাদশ বংশের কোনো বংশে জন্মগ্রহন করবেন, তবে এখানে ঈশ্বর ‘‘উহাদের মধ্য হইতে’’ বলতেন, ‘‘উহাদের ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে’’ বলতেন না। ‘ভ্রাতৃগণ’ কথাটি থেকে স্পষ্টতই বুঝা যায় যে, প্রতিশ্রুত ভাববাদী ইস্রায়েলীদের দ্বাদশ বংশের কোনো বংশের অন্তর্ভুক্ত হবেন না, বরং দ্বাদশ বংশের সকলের ‘ভ্রাতৃগণের’ মধ্যে তিনি জন্মগ্রহণ করবেন। যেহেতু যিহোশূয় ও ঈসা আলাইহিস সালাম উভয়েই ইয়াকূব আলাইহিস সালাম বা ইস্রায়েলের সন্তান, সেহেতু তাঁরা উভয়েই ইস্রায়েল-সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত, কাজেই তাঁরা এ ভবিষ্যদ্বাণীর উদ্দেশ্য হতে পারেন না।
প্রকৃত সত্য হলো, এখানে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বুঝানো হয়েছে, কারণ তিনি ইস্রায়েলের দ্বাদশ বংশের ভ্রাতৃগণ অর্থাৎ ইসমাঈল আলাইহিস সালাম-এর বংশধর ছিলেন। আর বাইবেলে ইসমাঈল আলাইহিস সালাম-কে ইস্রায়েল-সন্তানদের ইসমাঈল ও তাঁর বংশধরের ‘‘ভ্রাতৃগণ’’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। আল্লাহ হাগার (Hagar) বা হাজেরাকে তাঁর পুত্র ইসমাঈলের বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সে প্রতিশ্রুতিতে ‘ভ্রাতৃগণ (brethren) শব্দটি এ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আদিপুস্তক ১৬/১২ শ্লোকে বলা হয়েছে: ‘‘সে তাহার ভ্রাতৃগণের সম্মুখে (সকল ভ্রাতার সম্মুখে) বসতি স্থাপন করিবে।’’ (he shall dwell in the presence of all his brethren)।’’
অনুরূপভাবে আদিপুস্তক ২৫/১৮ শ্লোকে ইসমাঈলের বিষয়ে ‘ভ্রাতৃগণ’ শব্দটি এ অর্থেই ব্যবহার করা হয়েছে। ‘‘তিনি তাহার সকল ভ্রাতার (all his brethren) সম্মুখে বসতিস্থান পাইলেন।’’
মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইস্রায়েল-সন্তানগণের ভ্রাতৃগণ ইসমায়েল সন্তানগণের বংশধর, এজন্য এ ভবিষ্যদ্বাণী তাঁর ক্ষেত্রেই সঠিকভাবে প্রযোজ্য।
(৪) উপর্যুক্ত ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে যে, ‘আমি উৎপন্ন করিব (আরবী বাইবেলের ভাষ্য অনুসারে: আগামীতে উৎপন্ন করিব)’। আর এ কথা বলার সময় যিহোশূয় ইস্রায়েল সন্তানগণের সাথে মোশির নিকট উপস্থিত ছিলেন এবং মোশির স্থলাভিষিক্ত ভাববাদী তিনি। কাজেই এই ভবিষ্যদ্বাণী তাঁর ক্ষেত্রে কিভাবে প্রযোজ্য হবে?
(৫) এ ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে: ‘‘ তাঁহার মুখে আমার বাক্য দিব’’। একথা থেকে বুঝা যায় যে, এই ভাববাদীর উপর পৃথক ‘আসমানী কিতাব’ অবতীর্ণ হবে এবং নিরক্ষর হওয়ার কারণে তিনি তা লিখিতভাবে পাঠ করতে পারবেন না, বরং মুখস্থ রেখে মুখে পাঠ করবেন। এ দুটি বিষয়ের কোনোটিই যিহোশূয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তাঁর উপর কোনো পৃথক ‘‘বাক্য’’ নাযিল হয় নি, এবং তিনিও মুখের বাক্য নয়, বরং লিখিত তাওরাত থেকে পাঠ করতেন।
(৬) এ ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে: ‘‘ আর আমার নামে তিনি আমার যে সকল বাক্য বলিবেন, তাহাতে যে কেহ কর্ণপাত না করিবে, তাহার কাছে আমি প্রতিশোধ লইব’’। এ ভাববাদীর বৈশিষ্ট্য বুঝানোর জন্য একথা বলা হয়েছে। এতে বুঝা যায় যে, এই প্রতিশোধ বিশেষ ধরনের শাস্তি, যা সাধারণ ভাববাদীগণের কথা অমান্য করলে প্রযোজ্য নয়। কজেই এ প্রতিশোধ বলতে শুধু পারলৌকিক জাহান্নামের শাস্তি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা শাস্তি হতে পারে না। কারণ যে কোনো ভাববাদীর কথায় কর্ণপাত না করলেই এরূপ প্রতিশোধ বা শাস্তি আল্লাহ প্রদান করেন। এভাবে বুঝা যায় যে, এখানে প্রতিশোধ বলতে ‘ব্যবস্থা’ নির্ধারিত প্রতিশোধ বুঝানো হয়েছে। এ ভাববাদী আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশিত হবেন তাঁর কথায় কর্ণপাত না করলে তাকে শাস্তি প্রদানের। এ বিষয়টি যীশুর ক্ষেত্রে কোনোভাবেই প্রয়োজ্য নয়; কারণ তাঁর ব্যবস্থায় তাঁর কথায় কর্ণপাত না করলে বা ব্যবস্থা পালন না করলে কোনো শাস্তি, দন্ড বা যুদ্ধের বিধান নেই। এজন্য এ বিষয়টি শুধু মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাঁর মাধ্যমে প্রদত্ত আল্লাহর বিধান অমান্য করলে শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনে শত্রুরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা জিহাদের ব্যবস্থা মহান আল্লাহ তাঁকেই দিয়েছিলেন।
(৭) উপর্যুক্ত ভবিষ্যদ্বাণীতে স্পষ্টতই উল্লেখ করা হয়েছে, ঈশ্বর যে কথা বলেন নি, সে কথা যদি কোনো ভাববাদী ঈশ্বরের নামে বলে তবে তাকে নিহত হতে হবে। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি সত্য ভাববাদী না হতেন তবে তিনি অবশ্যই নিহত হতেন। পবিত্র কুরআনেও আল্লাহ এ বিষয়ে বলেছেন: ‘‘সে যদি আমার নামে কিছু রচনা করে চালাতে চেষ্টা করত, আমি অবশ্যই তার দক্ষিণ হস্ত ধরে ফেলতাম, এবং কেটে দিতাম তার জীবন-ধমনী।’’ [সূরা হাক্কা, ৪৪-৪৬ আয়াত।]
কিন্তু তিনি নিহত হন নি বা বিনষ্ট হন নি। তাঁকে হত্যার বা গুপ্ত হত্যার জন্য কাফিরদের প্রানান্ত প্রচেষ্টা ছাড়াও তিনি নিজে বহুবার যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ করেছেন, একাকী যুদ্ধের ময়দানে দৃঢ়তার সাথে দাঁড়িয়ে থেকেছেন, কিন্তু তাঁর শত্রুরা তাঁকে হত্যা করতে সক্ষম হয় নি। তাঁর বিষয়ে আল্লাহ বলেছেন: ‘‘আল্লাহ তোমাকে মানুষ হতে রক্ষা করবেন।’’ [সূরা মায়িদা, ৬৭ আয়াত।] আর আল্লাহ তাঁর এ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। কেউ তাঁকে হত্যা করতে সক্ষম হয় নি। স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করে তিনি সর্বোচ্চ সঙ্গীর সাথে মিলিত হয়েছেন। [এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অলৌকিক চিহ্নসমূহের অন্যতম। খৃস্টানগণ বিশ্বাস করেন যে, যীশু তার মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এবং সেভাবেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পক্ষান্তরে চারিদিকে শত্রুপরিবেষ্ঠিত অবস্থাতেই আল্লাহ ঘোষণা করলেন যে, তিনি তাঁকে রক্ষা করবেন, কেউ তাঁকে হত্যা করতে পারবে না। একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকে সুনিশ্চিত না হলে কেউ এরূপ নিশ্চয়তা দিতে পারেন না। আর আমরা দেখছি যে, এই ভবিষ্যদ্বাণী যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং কেউ তাকে হত্যা করতে সক্ষম হয় নি।] পক্ষান্তরে খৃস্টানদের বিশ্বাস অনুসারে যীশু নিহত হয়েছেন এবং ক্রুশবিদ্ধ হয়েছেন। এজন্য যদি কেউ দাবি করেন যে, এই ভবিষ্যদ্বাণীটি যীশুর বিষয়ে কথিত, তবে তাতে প্রমাণিত হবে যে, তিনি মিথ্যাবাদী ভাববাদী ছিলেন বা ঈশ্বরের নামে তিনি মিথ্যা বলেছিলেন। ইয়াহূদীরা তাঁর বিষয়ে এরূপ বিশ্বাসই পোষণ করে। নাঊযু বিল্লাহ!
বিশেষ দ্রষ্টব্য: মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিহত হন নি, বরং স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন, কাজেই উপর্যুক্ত ভবিষ্যদ্বাণীটি তাঁর ক্ষেত্রে পরিপূর্ণভাবে প্রযোজ্য। এ বিষয়টি অনুধাবন করার পর খৃস্টান ধর্মগুরুগণ তাদের বাইবেল পরিবর্তন করেন। প্রাচীন আরবী অনুবাদগুলিতে দ্বিতীয় বিবরণ ১৮/২০ শ্লোক নিম্নরূপ ছিল: ‘‘কিন্তু আমি যে বাক্য বলিতে আজ্ঞা করি নাই, আমার নামে যে কোন ভাববাদী দুঃসাহসপূর্বক তাহা বলে, কিমবা অন্য দেবতাদের নামে যে কেহ কথা বলে, সেই ভাববাদীকে নিহত হইতে হইবে।’’ কিন্তু খৃস্টানধর্মগুরুগণ একে পরিবর্তন করে ১৮৬৫ খৃস্টাব্দের অনুবাদে লিখেছেন: ‘‘.... সেই ভাববাদীকে মরিতে হইবে।’’ এভাবে তারা নিহত হওয়ার পরিবর্তে মরার কথা লিখলেন। তাদের উদ্দেশ্য মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নুবুওয়াতের সত্যতা অস্বীকার করার পথ তৈরি করা। নিহত হওয়া ও মরার মধ্যে পার্থক্য সুস্পষ্ট। সত্য ও ভন্ড উভয় প্রকারের ভাববাদীই মৃত্যুবরণ করবে, এতে সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করার সুযোগ থাকে না। তবে এ বিকৃতির মাধ্যমে তার সত্য পুরোপুরি গোপন করতে পারেন নি। নিম্নের বিষয় লক্ষ্য করুন:
(৮) উপরের ভবিষ্যদ্বাণীর ২২ শ্লোকে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি কোনো ভাববাদী সদাপ্রভুর নামে মনগড়া কিছু বলেন, তবে তিনি তা কখনো সিদ্ধ হতে দেন না, বরং তার ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়। প্রথম অনুচ্ছেদে পাঠক দেখেছেন যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক বিষয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন এবং এ সকল ভবিষ্যদ্বাণী সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, তিনি সত্য নবী ছিলেন।
(৯) ইয়াহূদী পণ্ডিতগণ স্বীকার করেছেন যে, তোরাহ-এ যে ভাববাদী আগমনের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই সেই প্রতিশ্রুত ভাববাদী। তবে তাদের কেউ তার প্রতি ঈমান আনয়ন করেছেন, যেমন মুখাইরিক, আব্দুল্লাহ ইবনু সাল্লাম, কা’ব আল-আহবার। অন্য অনেক ইয়াহূদী তাঁকে প্রতিশ্রুত ভাববাদী বুঝতে পেরেও অবিশ্বাসের মধ্যেই থেকেছেন, যেমন আব্দুল্লাহ ইবনু সূরবা, হুয়াই ইবনু আখতাব, তার ভাই আবূ ইয়াসির ইবনু আখতাব। আর এরূপ অবিশ্বাস তো খুবই স্বাভাবিক। বাইবেল থেকে জানা যায় যে, যীশুর সমসাময়িক অনেক ইয়াহূদী পণ্ডিত তাঁর নুবুওয়াত ও মুজিযা সঠিক বলে স্বীকার করেন, কিন্তু তারা ঈমান গ্রহণ করেন নি। সুসমাচার লেখক যোহনের সাক্ষ্য অনুসারে মহাযাজক কায়াফা (Caiaphas) একজন ভাববাদী ছিলেন। তিনি জানতে পেরেছিলেন যে, যীশুই প্রতিশ্রুত মসীহ বা খৃস্ট। কিন্তু তিনি তাঁর প্রতি ঈমান আনেন নি। বরং তাঁকে ‘ঈশ্বর-নিন্দা’র (blasphemy) অভিযোগে অভিযুক্ত করে তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদানের নির্দেশ দেন। যোহনলিখিত সুসমাচারের ১১ ও ১৮ অধ্যায়ে তা বলা হয়েছে। [যোহন ১১/৪৯-৫৭, ১৮/১-২৪।]
প্রথম আপত্তি: এখানে কেউ বলতে পারেন যে, ‘ইস্রায়েল সন্তানগণের ভ্রাতৃগণ’ বলতে শুধু ইসমাঈল সন্তানগণকেই বুঝানো হবে এমন তো নয়। বরং ইসমাঈল সন্তানগণ ছাড়াও এষৌ [ইসহাকের জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং যাকোব বা ইস্রায়েল জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা।]-এর বংশধর এবং অব্রাহামের অন্য স্ত্রী কটুরার পুত্রদের বংশধরগণও ‘ইস্রায়েল সন্তানগণের ভ্রাতৃগণ’ বলে গণ্য। (কাজেই এই প্রতিশ্রুত ভাববাদী তো এদের মধ্য থেকেও আসতে পারেন।)
এক্ষেত্রে আমার বক্তব্য যে, হ্যাঁ, তারাও ইস্রায়েল সন্তানগণের ভ্রাতৃগণ’ বলে গণ্য। তবে তাদের মধ্য থেকে এ সকল বৈশিষ্ট্য সহ কোনো ভাববাদী আবির্ভুত হন নি। এছাড়া ইশ্মায়েলের বংশধরদের জন্য আল্লাহ যেভাবে কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাদের জন্য সেরূপ কোনো প্রতিশ্রুতি দেন নি। পক্ষান্তরে ইশ্মায়েলের বংশধরদেরকে মহা মর্যাদা দানের বিষয়ে হাগার (Hagar) [বিবি হাজেরা] এবং অবরাহামকে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। [আদিপুস্তকের ১৭ অধ্যায়ের ২০ আয়াতে ঈশ্বর অবরাহামকে বলেন: ‘‘আর ইশ্মায়েলের বিষয়েও তোমার প্রার্থনা শুনিলাম; দেখ, আমি তাহাকে আশীর্বাদ করিলাম, এবং তাহাকে ফলবান করিয়া তাহার অতিশয় বংশবৃদ্ধি করিব; তাহা হইতে দ্বাদশ রাজা উৎপন্ন হইবে, ও আমি তাহাকে বড় জাতি করিব (I will make him a great nation)।]
এ ছাড়া ইসহাক যাকোবকে যে আশীর্বাদ করেন এবং এরপর এষৌকে যে আশীর্বাদ করেন তা থেকে জানা যায় যে, এষৌ-এর বংশধরদের মধ্যে এই প্রতিশ্রুত ভাববাদীর আগমন সম্ভব নয়। আদিপুস্তকের ২৭ অধ্যায়ে তা উল্লেখ করা হয়েছে। [বাইবেল থেকে জানা যায় যে, ঈশ্বরকে প্রতারণা করা ও ধোঁকা দেওয়া খুবই সহজ! শেষ বয়সে ইসহাক অন্ধ হয়ে যান। তিনি তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র এষৌকে বলেন, আমাকে প্রান্তর থেকে মৃগ শিকার করে সুস্বাদু খাদ্য প্রস্ত্তত করে খাওয়াও, যেন আমার প্রাণ তোমাকে আশীর্বাদ করে। এষৌ প্রান্তরে গমন করলে ছোট ভাই যাকোব বড় ভাইয়ের পোশাক পরে, নিজেকে এষৌ বলে দাবি করে পিতার নিকট আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। পিতা বারংবার তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে সেই এষৌ কিনা। বারংবার নিশ্চয়তা প্রদানের পরে পিতা তাকে আশীর্বাদ করেন। তিনি মূলত এষৌকেই আশীর্বাদ করেন। এরপর প্রকাশ পায় যে, সবই ছিল প্রবঞ্চনা ও ধোঁকা। কিন্তু ঈশ্বর এই ধোঁকায় প্রবঞ্চিত হয়ে প্রবঞ্চক যাকোবকেই দুধ, মধু ও সকল কর্তৃত্ব দিতে বাধ্য হন! আর সহজ, সরল, সত্যবাদী ও পিতার নির্দেশ যথাযথ পালনকারী এষৌ-এর ভাগ্যে জোটে সকল অভিশাপ। আর ঈশ্বর সদাপ্রভু সেই অভিশাপ বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হলেন!!! যাইহোক যাকোবের জন্য ইসহাক আশীর্বাদ করেন: ‘‘তুমি আপন জ্ঞাতিদের কর্তা হও, তোমার মাতৃপুত্রেরা তোমার কাছে প্রণিপাত করুক।’’ আর এষৌকে তিনি আশীর্বাদ করে বলেন: ‘‘তুমি খড়্গজীবী এবং আপন ভ্রাতার দাস হইবে’’। এথেকে বুঝা যায় যে, এষৌ-এর বংশে কোনো মহান ভাববাদী জন্ম নিতে পারেন না।]
দ্বিতীয় আপত্তি: দ্বিতীয় বিবরণের ১৮ অধ্যায়ের ১৫ শ্লোকে মোশি বলেছেন: ‘‘তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার মধ্য হইতে, তোমার ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে, তোমার জন্য আমার সদৃশ এক ভাববাদী (a Prophet from the midst of thee, of thy brethren) উৎপন্ন করিবেন...।’’ এখানে ‘‘তোমার মধ্য হইতে’’ কথাটি দ্বারা সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত হয় যে, এই প্রতিশ্রুত ভাববাদী ইস্রায়েল সন্তানগণের মধ্য থেকে আবির্ভুত হবেন, ইশ্মায়েল সন্তানগণের মধ্য থেকে নয়।
এ আপত্তির বিষয়ে আমাদের বক্তব্য এই যে, আরবী ও হিব্রু ব্যাকরণ অনুসারে (তোমার ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে) কথাটি (তোমার মধ্য হইতে) কথাটির ‘‘বদল’’, অর্থাৎ আংশিক বা সংশোধন মূলক প্রতিকল্প বাক্যাংশ। আরবী ব্যাকরণের পরিভাষায় তা ‘বদল ইশতিমাল’ বা ‘আংশিক পরিবর্তন’ অথবা ‘বদল ইদরাব’ বা ‘সংশোধনমূলক পরিবর্তন’ বলে গণ্য। আর উভয় ক্ষেত্রেই প্রথম শব্দ বা বাক্যাংশটি বক্তার উদ্দেশ্য বহির্ভুত বলে গণ্য। [আরবী-হিব্রু বা সেমিটিক ভাষায় এবং অন্যান্য ভাষায় এভাবে একটি শব্দ বা বাক্যাংশ বলে তারপর অন্যটি বললে তাকে বদল বা বিকল্প বলা হয়। এক্ষেত্রে দ্বিতীয়টিই উদ্দেশ্য। যেমন আমি তোমাকে- তোমার ভাইকে দেখেছি, আমি বইটি- বইটির অর্ধেক পড়েছি ইত্যাদি।] এক্ষেত্রে দ্বিতীয় বাক্যাংশই মূল উদ্দেশ্য, প্রথম বাক্যাংশ সংশ্লিষ্ট মাত্র। আর সকল অবস্থায় এ বক্তব্য মূলত আমাদের বক্তব্যের বিরোধী নয়। [‘‘তোমার মধ্য হইতে, তোমার ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে’’ বক্তব্যটির দুটি অংশ বাহ্যত পরস্পর বিরোধী। হয় একটি বাক্যাংশ পরবর্তী কালে সংযোজিত, অথবা দুটির একটি রূপক। পরবর্তী কালে সংযোজিত হলে প্রথম বাক্যাংশটিই (তোমার মধ্য হইতে) সংযোজিত বলে গণ্য হবে, কারণ পরবর্তী ১৮ আয়াতে ঈশ্বরের নিজের ভাষায় যে বক্তব্য রয়েছে তাতে এ কথাটুকু নেই। আর যদি দুটি বাক্যাংশই সঠিক বলে গণ্য হয় তবে একটি রূপক বা প্রশস্ত অর্থে গ্রহণ করতে হবে। সে ক্ষেত্রেও প্রথম বাক্যাংশটিই রূপক বলে গণ্য হবে। কারণ পরবর্তী আয়াতে এই কথাটুকু নেই এবং ব্যাকারণ ও ভাষার দিক থেকে পরবর্তী শব্দ বা বাক্যাংশই মূল বলে গণ্য করা হয়। গ্রন্থকার তা ব্যাখ্যা করেছেন।] কারণ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় আগমন করেন এবং সেখানেই তাঁর প্রতিশ্রুত অবস্থা পূর্ণতা লাভ করে। মদীনার মধ্যে ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ইয়াহূদীগণ বসবাস করতেন। খাইবার, বনূ কাইনূকা, বনূ নাযীর ও অন্যান্য ইয়াহূদী গোত্র তথায় বসবাস করতেন। তাদের অভ্যন্তরে বা তাদের মধ্যেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিষ্ঠিত হন। এভাবে তিনি একদিকে ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে আবির্ভুত হলেন এবং অন্যদিকে ইস্রায়েল সন্তানদের ভ্রাতৃগণের মধ্য থেকে আবির্ভুত হলেন। এছাড়া ভ্রাতৃগণের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অর্থই নিজেদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া। [দ্বিতীয় বিবরণের ১৮/১৫ শ্লোকে প্রথম বাক্যাংশটুকু (তোমার মধ্য হইতে) যে পরবর্তী সংযোজন তার সুস্পষ্ট প্রমাণ এই যে, মোশি পরবর্তী ১৮ আয়াতে যখন এই প্রতিশ্রুতি ঈশ্বরের ভাষায় পুনরাবৃত্তি করেন তখন সেখানে এই কথাটুকু উল্লেখ করেন নি। অনুরূপভাবে যীশুর প্রেরিত শিষ্য পিতর এই প্রতিশ্রুতি উদ্ধৃত করেছেন, কিন্তু তাঁর উদ্ধৃতির মধ্যে (তোমার মধ্য হইতে) কথাটুকু উল্লেখ করেন নি। (প্রেরিত ৩/২২) আবার স্তিফানও (Stephen) এই প্রতিশ্রুতি উদ্ধৃত করেছেন। তার উদ্ধৃতিতেও এই কথাটুকু নেই। (প্রেরিত ৭/৩৭)। সর্বোপরি শমরীয় তোরাহ-এ দ্বিতীয় বিবরণ ১৮/১৫ শ্লোকে ‘তোমার মধ্য হইতে’ কথাটুকু নেই। শমরীয় আয়াতের পাঠ নিম্নরূপ: ‘‘তোমার সকল ভ্রাতৃগণের মধ্য হইতে আমার সদৃশ এক ভাববাদী উৎপন্ন করিবেন, তাঁহারই কথায় তোমরা কর্ণপাত করিবে।’’ এ বিষয়টি সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে যে, হিব্রু বাইবেলে দ্বিতীয় বিবরণের ১৮/১৫ শ্লোকে এ কথাটি অতিরিক্ত সংযোজন করা হয়েছে।]
বাইবেলের উপর্যুক্ত ভবিষ্যদ্বাণীতে প্রতিশ্রুত নবী ‘‘মূসা আলাইহিস সালাম-এর সদৃশ বা তার অনুরূপ হবেন বলে বলা হয়েছে। নিম্নে মূসা আলাইহিস সালাম ও মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মধ্যে বিদ্যমান সাদৃশ্যের কয়েকটি দিক দেখুন:
(১) মোশির মত তিনিও আল্লাহর বান্দা ও রাসূল (দাস ও ভাববাদী)। [বাইবেলে বারংবার মোশিকে আল্লাহর দাস ও রাসূল বলা হয়েছে।]
(২) পিতা ও মাতার সন্তান।
(৩) বিবাহিত ও সন্তান-সন্ততির পিতা।
(৪) উভয়কেই জিহাদ বা যুদ্ধ করার ও অবিশ্বাসী ও পৌত্তলিকদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
(৫) উভয়ের ব্যবস্থায় ব্যভিচার ও অন্যান্য অপরাধের শাস্তি ও দন্ড প্রদানের নির্দেশ রয়েছে।
(৬) উভয়েই ব্যবস্থা নির্ধারিত শাস্তি প্রদান ও প্রয়োগে সক্ষম ছিলেন।
(৭) উভয়েই নিজ জাতির মধ্যে সম্মানিত নেতা ছিলেন, যাকে সকলেই মান্য করেছেন এবং তাঁর আদেশ ও নিষেধ পালন করেছেন।
(৮) উভয়ের শরীয়ত বা ব্যবস্থায় প্রার্থনা বা ইবাদতের সময় দেহ ও পরিচ্ছদের পবিত্রতা অর্জনের বিধান রয়েছে, অপবিত্রতা, মহিলাদের মাসিক বা প্রসবোত্তর অপবিত্রতা থেকে গোসল করার নির্দেশ রয়েছে।
(৯) উভয় শরীয়তে মৃত প্রাণী, জবাই না করা প্রাণী ও প্রতিমার জন্য উৎসর্গীত প্রাণী অবৈধ করা হয়েছে।
(১০) উভয় ব্যবস্থায় অপরাধ-আইন ও বিভিন্ন শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
(১১) উভয় ব্যবস্থায় সুদ নিষিদ্ধ।
(১২) উভয়েই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন এবং স্বাভাবিকভাবে কবরস্থ হয়েছেন।
এরূপ আরো অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলি দ্বারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয় যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মূসা আলাইহিস সালাম-এর সদৃশ বা তুল্য (like unto thee/Moses) ছিলেন। এজন্যই মহান আল্লাহ বলেছেন: ‘‘আমি তোমাদের নিকট পাঠিয়েছি এক রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষী স্বরূপ, যেরূপ রাসূল পাঠিয়েছিলাম ফিরাউনের নিকট।’’ [সূরা মুয্যাম্মিল, ১৫ আয়াত।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/612/86
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।