hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সংক্ষেপিত ইযহারুল হক্ক

লেখকঃ ড. মুহাম্মাদ আহমদ আব্দুল কাদির মালকাবী

৮৮
৪. ২. ২. ৩. মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষয়ক তৃতীয় ভবিষ্যদ্বাণী
আদিপুস্তকের ১৭ অধ্যায়ের ২০ আয়াতে ঈশ্বর অবরাহামকে ইশ্মায়েলের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন: ‘‘আর ইশ্মায়েলের বিষয়েও তোমার প্রার্থনা শুনিলাম; দেখ, আমি তাহাকে আশীর্বাদ করিলাম, এবং তাহাকে ফলবান করিয়া তাহার অতিশয় বংশবৃদ্ধি করিব; তাহা হইতে দ্বাদশ রাজা উৎপন্ন হইবে, ও আমি তাহাকে বড় জাতি করিব (And as for Ishmael, I have heard thee: Behold, I have blessed him, and will make him fruitful, and will multiply him exceedingly; twelve princes shall he beget, and I will make him a great nation)

‘‘আমি তাহার অতিশয় বংশবৃদ্ধি করিব (multiply him exceedingly) কথাটি কোনো কোনো প্রাচীন আরবী অনুবাদে নিম্নরূপ: ‘‘আমরা তাহাকে বৃদ্ধি করিব মাদমাদ দ্বারা।’’

৫ম হিজরী শতকের (খৃস্টীয় দ্বাদশ শতকের) প্রসিদ্ধ আলিম কাযী ইয়ায (৫৪৪ হি/১১৪৯খৃ) তার ‘আশ-শিফা’ গ্রন্থে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন যে ‘মাদমাদ’ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি নাম। এখানে ‘‘আমি তাহার অতিশয় বংশবৃদ্ধি করিব’’ এবং ‘‘আমি তাহাকে বড় জাতি করিব’’ বাক্যদ্বয় মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নুবুওয়াতের ভবিষ্যদ্বাণী। কারণ ইশ্মায়েলের বংশে তিনি ছাড়া আর কোনো ব্যক্তিত্বের আবির্ভাব ঘটেনি যিনি এ জাতিকে বড় জাতি (great nation) করেছেন। ইশ্মায়েল বংশে তিনিই একমাত্র নবী যাঁর আগমনের মধ্য দিয়েই ইশ্মায়েল বংশ বড় জাতিতে পরিণত হয়। মহান আল্লাহ কুরআনে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য ইবরাহীম ও ইসমাঈল আলাইহিস সালাম-এর প্রার্থনা উদ্ধৃত করেছেন। কুরআনের ভাষায় তাঁরা বলেন: ‘‘হে আমাদের প্রতিপালক, তাদের মধ্য হতে তাদের নিকট এক রাসূল প্রেরণ করো, যে তোমার আয়াতসমূহ তাদের নিকট আবৃত্তি করবে, তাদেরকে গ্রন্থ ও প্রজ্ঞা শিক্ষা দিবে এবং তাদেরকে পবিত্র করবে। তুমি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’’ [সূরা বাকারা, ১২৯ আয়াত।]

ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু আহমদ কুরতুবী (১২৭৩ খৃ) তার ‘আল-ই’লাম বিমা ফী দীনিন নাসারা মিনাল ফাসাদি ওয়াল আওহাম’ (খৃস্টধর্মের অন্তর্ভুক্ত বিভ্রান্তি ও কল্পকাহিনীর বিবরণ) নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, হিব্রু পাঠে এখানে দু স্থানে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নামের সাংখ্যিক মান দেওয়া হয়েছে। ইয়াহূদীদের মধ্যে সংখ্যার একটি হিসাব প্রচলিত। প্রত্যেক বর্ণের একটি সাংখ্যিক মান রয়েছে এবং শব্দের মধ্যে ব্যবহৃত অক্ষরগুলির সাংখ্যিক মান হিসাব করে তারা বিভিন্ন অর্থ গ্রহণ করেন। এ হিসাব অনুসারে এ শ্লোকে সংখ্যার ভাষায় দুইবার মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রথমবার: ‘অতিশয়’ বা ‘অনেক অনেক’ (exceedingly)। হিব্রু ভাষায় শব্দটি ‘বিমাদমাদ’। হিব্রু ও আরবী বর্ণমালার সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে এ শব্দটির সংখ্যা ৯২: বা=২, মীম=৪০, আলিফ=১, দাল=৪, দ্বিতীয় মীম=৪০, আলিফ=১, দাল=৪, মোট ৯২। মুহাম্মাদ শব্দের অক্ষরগুলির গণনাফলও ৯২: মীম=৪০, হা=৮, মীম=৪০, দাল=৪।

দ্বিতীয়বার: ‘বড় জাতি’ (great nation)। হিব্রু ভাষায় এখানে বলা হয়েছে: ‘‘লুগাই গাদূল’’। হিব্রু ভাষায় জীম ও সাদ নেই। এজন্য হিব্রু ভাষায় গাইনই জীমের স্থলাভিষিক্ত। হিব্রু ভাষায় লাম=৩০ ও গাইন=৩, ওয়াও=৬, ইয়া=১০, গাইন=৩, দাল=৪, ওয়াও=৬, লাম=৩০। এখানেও মোট ৯২।

আব্দুস সালাম ছিলেন দশম হিজরী শতাব্দী বা ১৬শ খৃস্টীয় শতকের একজন ইয়াহূদী ধর্মগুরু ও পণ্ডিত। তিনি ইসলাম গ্রহণের পরে ‘আর-রিসালা আল-হাদীয়া’ (পথনির্দেশক পুস্তিকা) নামে একটি ছোট্ট পুস্তিকা রচনা করেন। এই পুস্তিকায় তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ইয়াহূদী ধর্মগুরুদের অধিকাংশ দলিলপ্রমাণের ভিত্তি বর্ণমালার বর্ণগুলির সংখ্যাতাত্ত্বিক মানের উপর। এ শ্লোকে বিদ্যমান ‘‘বিমাদমাদ’’ শব্দকে ‘‘মুহাম্মাদ’’ শব্দের প্রতি ইঙ্গিত হিসেবে গ্রহণ করার বিষয়ে ইয়াহূদী পণ্ডিতদের আপত্তি তিনি বিভিন্ন ইয়াহূদী ব্যবহারের ভিত্তিতে খণ্ডন করেছেন।

উপরের বিষয়টি বাদ দিলেও আক্ষরিকভাবেই বাইবেলের উপর্যুক্ত বক্তব্য মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর আগমনের সুসংবাদ। কারণ এখানে ইসমাঈলের আলাইহিস সালাম প্রশংসা ও মর্যাদা বৃদ্ধির সুসংবাদ দিয়ে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তাকে অতিশয় বৃদ্ধি করবেন এবং বড় জাতি করবেন। এদ্বারা কখনোই স্বাভাবিক বংশবৃদ্ধি বুঝানো হয় নি। কারণ স্বাভাবিক বংশবৃদ্ধিতে কোনো মর্যাদা নেই। কারণ সকল মানুষেরই বংশবৃদ্ধি হয়। নিঃসন্দেহে এখানে বিশেষ মর্যাদাময় বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। ইসমাঈল আলাইহিস সালাম-এর উত্তরপুরুষ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর আগে ইসমাঈলের বংশধর ইতিহাসে বা মানব সভ্যতায় কোনো বিশেষ বৃদ্ধি বা ‘‘বড় জাতি’’ হিসেবে প্রকাশ লাভ করেন নি। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মাধ্যমেই এ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়েছে। তাঁর মাধ্যমেই ইসমাঈলের আলাইহিস সালাম বংশ ও বংশের অনুসারী ‘‘অতিশয় বৃদ্ধি’’ পেয়েছে এবং বিশ্ব সভ্যতায় ‘‘বড় জাতি’’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। যদি কেউ তা অস্বীকার করেন তাহলে তাকে বলতে হবে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছাড়া কখন ও কিভাবে ইসমাঈলকে আলাইহিস সালাম বড় জাতিতে পরিণত করার এ প্রতিশ্রুতি আল্লাহ পুরণ করেছেন?

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন