hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কী জানেন

লেখকঃ আলী আস-সাদিক

১১
হিযবুল্লাহর স্বার্থ কোথায় ও তার অর্থের যোগানদাতা কে?
হিযবুল্লাহর সমুদয় অর্থের যোগান দেয় ইরান। [শুধু এখানেই শেষ নয়, ইরান ইরাকের ‘ফায়লাক বদর’ ও ‘জায়শে মাহদি’কেও অর্থ সাহায্য প্রদান করেন, যাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে ইরাকে আহলে সুন্নাহ ও তার আলেমদের হত্যা করা এবং তাদের মসজিদগুলো দখল করা।] বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ১৯৯০ই. সালে হিযবুল্লাহকে দেওয়া ইরানের অনুদানের পরিমাণ ছিল সাড়ে তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার; ১৯৯১ই. সালে তার পরিমাণ ছিল পঞ্চাশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; এবং ১৯৯২ই. সালে এক শত বিশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ১৯৯৩ই. সালে ইরান এক শত ষাট মিলিয়ন মার্কিন ডলার হিযবুল্লাহকে অনুদান প্রদান করে। [দেখুন: জায়ন মাহমুদের প্রবন্ধ: ‘হিযবুল্লাহ ভেতর থেকে রহস্য ও গোপনীয়তা ঘেড়া’, যা প্রকাশ করেছে «الشراع» পত্রিকা, ১৪/৮/১৯৯৫ই. আরো দেখুন: ড. অলিদ আব্দুন নাসির রচিত ‘ইরানি বিপ্লব ও রাষ্ট্রের উপর গবেষণা’, যা তিনি আব্দুল মুনয়িম রচিত «حزب الله رؤية مغايرة» (পৃ.১৬২) থেকে সংগ্রহ করেছেন।]

একাধিক সূত্র থেকে প্রমাণ রাফশানজানির আমলে হিযবুল্লাহকে দেওয়া ইরানি অনুদানের পরিমাণ ছিল ‘দুই শত আশি’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। [দেখুন: মাজাল্লাতুল মাজাল্লাহ, সংখ্যা: ১০১৩, তারিখ: ১১/৭/১৯৯৯ই.। আব্দুল মুনয়িম রচিত: «حزب الله رؤية مغايرة» গ্রন্থ থেকে নেওয়া (পৃ.১৬২)।]

এ বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে হিযবুল্লাহ লেবাননে ইরানি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করত, তবে লেবাননের জাতীয় উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবদান রাখত না। এসব অনুদানের ফলে হিযবুল্লাহ স্বীয় যোদ্ধাদের পরিসর বৃদ্ধি ও শিয়াদের সংখ্যা বাড়ানোর সুযোগ লাভ করে। হিযবুল্লাহ শিয়াদের প্রয়োজন খরিদ করে দেয় ও তাদের পাশে দাড়ায়, ফলে তারাও তার পক্ষ নেয় ও তার পাশে দাড়ায়। এভাবে সে একটি সমাজের নিকট ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ লাভ করে। একজন হিযবুল্লাহ যোদ্ধাকে ‘পাঁচ হাজার’ লেবাননি লিরা মাসিক বেতন দেওয়া হত। [এ সময় বিশ্ব বাজারে লেবাননি মুদ্রার অনেক মূল্য ছিল।] ১৯৮৬ই. সালে একজন লেবাননি যোদ্ধার এটাই সর্বোচ্চ বেতন ছিল। তাই অর্থের লোভে ‘আমাল’ সংগঠনের যোদ্ধারা হিযবুল্লাহতে যোগ দেয় ও তার কাতারে শামিল হয়। [দেখুন: ‘লেবাননের গোপন যুদ্ধ’ (পৃ.২৭১), আরো দেখুন: ‘হিযবুল্লাহর সাম্রাজ্য’: (পৃ.১৩৫-১৩৬)]

এখানে আরো উল্লেখ্য যে, ইরান হিযবুল্লাহর মাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছিল: “সর্বশেষ ইসরাইলি হামলায় লেবাননের যে ক্ষয়ক্ষতি হবে, ইরান তার ক্ষতিপূরণ করবে, ঘর-বাড়ি ও অন্যান্য জিনিস পত্র তৈরি করে দিবে।

যেরূপ কথা সেরূপ কাজ, প্রথম দিন থেকে শিয়া অঞ্চলসমূহে হিযবুল্লাহ ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য দেওয়া শুরু করে, যেমন বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চল ও অন্যান্য শিয়া এলাকা। প্রথম কিস্তি হিসেবে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তকে ঘর ভাড়া ও আসবাব পত্র খরিদ করার অর্থ দেওয়া হয়, যতক্ষণ না ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরগুলো ঠিক হবে, তাদেরকে অর্থ সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। [লন্ডনস্থ ‘আল-হায়াত’ পত্রিকায় প্রকাশ, প্রাথমিক সাহায্য হিসেবে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্তদের ১২-হাজার ডলার প্রদান করা হয়, ঘর নির্মাণের জন্য আরো প্রদান করা হবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়’। তারিখ: ১৯/৮/২০০৬ই.]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন