মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
১৯৭৯ই. সালে ইরানে খোমেনি বিপ্লব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ইরানি সরকার সৌদি আরবে তার অনুসারীদের সরকার বিরোধী আন্দোলনের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে থাকে, যার সূত্র ধরে ১৪০০হি. কাতিফে শিয়া বিদ্রোহ দেখা দেয়, যার শ্লোগান ছিল:
«مبدؤنا حسيني، قائدنا خميني» «يسقط النظام السعودي» «يسقط فهد وخالد» .
১. ‘আমাদের আদর্শ হুসাইনি, আমাদের নেতা খোমেনি’। ২. ‘সৌদি সরকারের পতন ঘটবে’। ৩. ‘পতন ঘটবে ফাহাদ ও খালেদের’, ইত্যাদি।
ইরানে খোমেনি বিপ্লবের পর ইরান-সৌদি আরবের শিয়াদের মাঝে যখন গভীর সম্পর্ক কায়েম হয়, তখন ইরানের পক্ষ থেকে হাসান সাফফারের নেতৃত্বে সৌদি আরবে একটি শিয়া সংগঠন তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়, যার নাম হবে: منظمة الثورة الإسلامية لتحرير الجزيرة العربية ‘জাজিরাতুল আরবের স্বাধীনতাকামী ইসলামি বিপ্লবী সংগঠন’। [দেখুন: الأحزاب والحركات والجماعات الإسلامية (পৃ.২/৫৮১)] পরবর্তীতে তার নাম নির্ধারণ করা হয়: منظّمة الثورة الإسلامية في الجزيرة العربية ‘জাজিরাতুল আরব ভিত্তিক ইসলামি বিপ্লবী সংগঠন’। এ সংগঠনের লক্ষ্য ছিল নিম্নরূপ:
১. ইরানি বিপ্লবকে রক্ষা করা এবং ইসলামি বিশ্বে তা রপ্তানি করণের কাজ সুগম করা।
২. ইসলামি সুন্নি সরকার থেকে জাজিরাতুল আরব-সৌদিকে মুক্ত করা এবং তাতে ইরানের আদলে শিয়া রাষ্ট্র কায়েম করা।
অতএব তাদের দৃষ্টিতে সৌদি সরকার ও উপসাগরীয় অন্যান্য সরকারগুলো তাগুতি কুফরি। এ সংগঠন নিজেকে খোমেনি বিপ্লবের একটি অংশ জ্ঞান করে। সংগঠনের মুরব্বি ও অভিভাবক শায়খ হাসান সাফফার বলেন: “আমরা ইরান থেকে দিক-নির্দেশনার মত অনেক কিছু প্রত্যাশা ও দাবি করি, যা ইসলামি বিপ্লব জন্ম দিতে সক্ষম”। [দেখুন: الأحزاب والحركات والجماعات الإسلامية (পৃ.২/৫৮৮)]
এ সংগঠন মনে করে, ইসলামি বিপ্লব বাস্তবায়ন করার জন্য তিনটি শর্ত পুরো করা জরুরি:
১. নেতৃবৃন্দের হিজরত করা ও বহির্বিশ্ব থেকে তার দায়িত্ব আঞ্জাম দেওয়া, কারণ প্রবাসে বসে অধিক স্বাধীনতা অর্জন করা যায়। এ ছাড়া একাধিক অনারব সংগঠন ও সংস্থার প্রয়োজন, যারা অত্র সংস্থাকে বৈষয়িক ও তাত্ত্বিকভাবে সমৃদ্ধ করবে।
২. অস্ত্র ব্যতীত শিয়া বিপ্লবে সফলতা আসবে না।
৩. এ সংগঠনের সহযোগী একাধিক সংগঠন তৈরি করা জরুরি।
‘জাজিরাতুল আরব ভিত্তিক ইসলামি বিপ্লবী সংগঠনে’র প্রথম কার্যালয় ছিল ইরানে, তারপর দামেস্কে এবং সর্বশেষ লন্ডনে স্থায়ী কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ সংগঠন থেকে ১৯৮০ই. দশকে «الثورة الإسلامية» ‘ইসলামি বিপ্লব’ নামে একটি পত্রিকা বের করা হয়।
সংগঠন ও তার থেকে প্রকাশিত পত্রিকার স্পর্শকাতর নাম থেকে তাদের অভিজ্ঞতা হল, এ নাম তাদের স্বার্থের উপযোগী নয়, এভাবে জনগণের মাঝে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে না। অতএব কৌশলগত কারণে ১৯৯০ই. সালের শেষে ও ১৯৯১ই. সালের প্রথম দিকে «منظمة الثورة الإسلامية في الجزيرة العربية» নাম পরিবর্তন করে «الحركة الإصلاحية [ الشيعية ] في الجزيرة العربية» ‘জাজিরাতুল আরব ভিত্তিক [শিয়া] সংস্কার আন্দোলন’ রাখা হয়। আর «الثورة الإسلامية» ম্যাগাজিনের নাম পরিবর্তন করে «مجلة الجزيرة العربية» রাখা হয়।
অনুরূপ এ সংস্থাটি «دار الصفا» ‘দারুস সাফা’ নামে একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান চালু করে তার মাধ্যমে সৌদি সমাজের বিরুদ্ধে অপবাদ ও উসকানি প্রচার করতে থাকে। তার আরেকটি কাজ ছিল সংগঠনের অর্থ সাহায্য সংগ্রহের নিমিত্তে নানা তথ্য সংগ্রহ ও রিপোর্ট তৈরি করে পশ্চিমা বিশ্ব ও ইয়াহূদী সংস্থাসমূহে সরবরাহ করা। উল্লেখ্য এ সংস্থার সাথে পশ্চিমা বিশ্বের অনেক সাংসদদের সাথে গভীর সম্পর্ক ছিল।
১৯৯১ই. সাল থেকে ১৯৯৩ই. সাল পর্যন্ত «مجلة الجزيرة العربية» এর প্রায় ত্রিশটি সংখ্যা বের হয়। এ সময়ে পত্রিকাটি বহির্বিশ্ব থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ সাহায্য লাভ করে, তার উদ্দেশ্য ইসলামি সরকার থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করা এবং সৌদি আরবে বিশৃঙ্খলা, ফেতনা ও অচলাবস্থার সৃষ্টি করা। পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ছিল হামজাহ হাসান এবং তার নির্বাহী সম্পাদক ছিল আব্দুল আমির মুসা।
তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে যেহেতু একাধিক সংস্থা তৈরির পরিকল্পনা ছিল, তাই তারা «منظمة الثورة الإسلامية في الجزيرة العربية» এর অধীন لجنة حقوق الإنسان ‘মানবাধিকার সংস্থা’ তৈরি করে। এ সংস্থাকে তারা নিজেদের থেকে দূরে রাখে, তবে আমেরিকান সরকারের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে বলে, যেন তার সাথে আমেরিকান ও ইয়াহূদী অনেক সংস্থার গভীর সম্পর্ক কায়েম হয়। তাছাড়া তারা এর কিছু শাখা সংগঠনও তৈরী করে।
তারা «اللجنة الدولية لحقوق الإنسان في الخليج والجزيرة العربية» ‘উপসাগর ও আরব উপদ্বীপে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা’ নামে সংস্থা তৈরি করে। এ সংস্থা "Arabia moniter" নামে একটি ম্যাগাজিন বের করে ইংরেজি ভাষায়, তার অধিকাংশ প্রবন্ধ ছিল বাড়াবাড়ি, অপবাদ ও মিথ্যায় ভরপুর, বিপ্লবী আন্দোলন ও তার চিন্তাধারা তো তাতে ছিলই।
এ সংগঠনের ওয়াশিংটন অফিসের কর্মকর্তা ছিল জাফর শায়েব, লন্ডন অফিসের কর্মকর্তা ছিল বু খামিস, আর সাদেক জাবরান কেন্দ্রীয় অফিসে তাদের সহযোগী ছিল। এ সংগঠনের অপর সক্রিয় কর্মী হচ্ছে তাওফিক সাইফ, যে ইতোপূর্বে الحركة الإصلاحية الشيعية في الجزيرة العربية এর সেক্রেটারি জেনারেল ছিল।
‘জাজিরাতুল আরব ভিত্তিক [শিয়া] সংস্কার আন্দোলনে’র সক্রিয় কতক কর্মকর্তা [যারা ইতঃপূর্বে ‘জাজিরাতুল আরব ভিত্তিক ইসলামি বিপ্লবী সংগঠনে’ কর্মরত ছিল] নিম্নরূপ:
১. হাসান আস-সাফফার, প্রতিষ্ঠাতা, পরামর্শদাতা ও অভিভাবক।
২. তাওফিক সাইফ, সাধারণ সম্পাদক।
৩. হামজা আল হাসান, «الجزيرة العربية» ম্যাগাজিনের চীফ এডিটর।
৪. মির্জা খুওয়াইলিদি, প্রকাশনা বিভাগের ম্যানেজার।
এ ছাড়াও আছেন আদেল সুলাইমান, হাবিব ইবরাহিম, ফুওয়াদ ইবরাহিম, মুহাম্মদ হুসাইন, যাকি মিলাদি, ঈসা মায‘আল, জাফর শায়েব, সাদেক জাবরান ও ফাউজি প্রমুখগণ।
১৯৯৩ই. ও ১৯৯৪ই. সালে ‘জাজিরাতুল আরব ভিত্তিক [শিয়া] সংস্কার আন্দোলন’ ও সৌদি সরকার এক চুক্তি স্বাক্ষর করে, যাতে উভয়ে এ বিষয়ে একমত হয় যে, বহির্বিশ্বে শিয়া সংস্থার সকল অফিস বন্ধ করা হবে, সেখান থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিনের প্রকাশনা বন্ধ করা হবে, বহির্বিশ্বে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হবে, ইয়াহূদী ও অন্যান্য সংস্থার সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে এবং সামাজিক ও সরকারী সংস্থার সাথে তারা কাজ করবে।
ইরানি খোমেনি বিপ্লবের হাকিকত যখন প্রকাশ পেল; মানুষ জেনে গেল যে, এটা শুধু সাম্প্রদায়িক বিপ্লব, যার উদ্দেশ্য অত্র অঞ্চলে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করা; মানুষ আরো জানল যে, তারা দীন ও রাজনৈতিক ব্যাপারে ‘তাকইয়া’ (প্রকাশ্যে কিছু বলে মানুষকে ধোকা দেওয়া) নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে; তখন এসব বিষয় চিন্তা করে তাদের কেউ দেশের অভ্যন্তরে কাজ করার নিমিত্তে সৌদিতে ফিরে আসে। কেউ দেশের বাইরে থেকে যায়, ভাইদের শুরু করা কাজ সমাপ্ত করা ও তাদের কর্ম অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে। [তাদের কেউ চুক্তিতে সাক্ষর করে, কেউ ইহুদি ও বেরুনি সংস্থার অর্থ দ্বারা নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বাইরে থেকে যায়, যেমন আলি আলে-আহমদ। তার লক্ষ্য সৌদি ইসলামি রাষ্ট্রের বিপক্ষে অবস্থানকারী প্রত্যেক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা।]
যদিও চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, তবুও তাদের অনেকে জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত হয়নি।
তারা ২০০৬ই. সালের অক্টোবর মাসে সৌদি আরবের কাতিফ জেলায় সর্বশেষ বিদ্রোহ করে। এক শিয়া মাহফিলে হাসান সাফফার ঘোষণা করেন, যদি সৌদি সরকার শিয়াদের দাবি না শুনে, তাহলে শিয়া অঞ্চলে ইরানি বিপ্লব ঘটিয়ে দেব, যেমন ঘটিয়েছিলাম ১৪০০হি. সালে এবং মক্কায় ১৪০৭হি.।
(হিযবুল্লাহ হিজায এর) সামরিক উইং
১৯৮৭ই. সালে আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে منظّمة الثورة الإسلامية في الجزيرة العربية এর অধীন একটি সামরিক শাখা তৈরি করা হয়, যার নাম দেওয়া হয় حزب الله الحجاز ‘হিজাযী হিযবুল্লাহ’। [হিজাজ নাম করণের উদ্দেশ্য হচ্ছে, তাদের ইমাম খোমেনি সৌদি আরবের ইসলামি সরকারকে স্বীকার করে না, যদিও এ নামকরণ তাদের পক্ষে সুবিধাজনক হয়নি, কারণ হিজাজিরা সুন্নী, আর তারা হচ্ছে শিয়া।] এ গ্রুপটি ইরানের শিয়া সরকার ও তার সেনা সদস্যের সাথে সমন্বয় করে হজ ও অন্যান্য মৌসুমে সৌদি আরবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে।
ইরানি প্রজাতন্ত্রের চৌকস সেনাবাহিনীর পরামর্শে এ দলটি গঠন করা হয়। তার নেতৃত্বে ছিল ইরানি গোয়েন্দা কর্মকর্তা আহমদ শারিফি, পরিকল্পনা মোতাবেক কতক সৌদি শিয়াকে ইরানের ‘কুম’ নগরীতে পড়া-শুনার জন্য প্রেরণ করা হয়। সৌদি আরবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে যখন ‘হিযবুল্লাহ হিজায’ ও ‘জাজিরাতুল আরব ভিত্তিক ইসলামি বিপ্লবী আন্দোলনে’র মাঝে দ্বন্দ্ব ও বিরোধ দেখা দিল, ইরান আহমদ শারিফির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ‘হিযবুল্লাহ হিজায’ এর উপর সামরিক কর্মকাণ্ড ন্যস্ত করে উভয়কে পৃথক করে দেয়।
১৪০৭হি. হজের মৌসুমে ‘হিযবুল্লাহ হিজায’ ইরানি বিপ্লবী গার্ডের সমন্বয়ে বড় বিক্ষোভের আয়োজন করে, যার উদ্দেশ্য ছিল হাজিদের হত্যা করা, জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করা এবং মসজিদে হারাম ও অন্যান্য পবিত্র স্থানসমুহে ফেতনার সৃষ্টি করা। [দেখুন: الحرس الثوري الإيراني، كينيث كاتزمان (পৃ.১৯৫)]
অনুরূপ তারা কুয়েতি হিযবুল্লাহর সাথে মিশে মক্কার সুড়ঙ্গ পথে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগ করেছিল, যে কারণে শত শত হাজি মারা যায় ও আহত হয়।
৯/২/১৪১৭হি. মোতাবেক ২৫/৬/১৯৯৬ই. সালে ‘হিযবুল্লাহ হিজায’ ‘খুবার’ শহরে এক আবাসিক হোটেলে বিরাট গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা গাড়িটি জনবহুল এলাকায় দাঁড় করিয়ে অপর গাড়ি করে দ্রুত পালিয়ে যায়, যার চার মিনিট পরেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এ কাজে অংশ গ্রহণকারী শিয়া সম্প্রদায়ের কতক ব্যক্তিবর্গ হচ্ছে: হানি সায়েগ, মোস্তফা কাসসাব, জাফর শাবিখাত, ইবরাহিম ইয়াকুব, আলি হাজুরি, আব্দুল কারিম নাসির, আহমদ মুগতাসাল, যাকে ‘হিযবুল্লাহ হিজায’ এর সামরিক কর্মকর্তা ও খুবার শহরে বোমা বিস্ফোরণে প্রত্যক্ষ নেতৃত্বদানকারী গণ্য করা হয়। আরো কতিপয় যেমন হুসাইন আলে মুগিস, আব্দুর রহমান জারাশ, শায়খ সায়িদ আল-বিহার, শায়খ আব্দুল জলিল সামিন প্রমুখগণ।
খুবার নগরে আবাসিক হোটেলে বোমা বিস্ফোরণের পর কানাডায় হানি সায়েগকে গ্রেফতার করা হয়, অতঃপর আমেরিকার মাধ্যমে তাকে সৌদি হস্তান্তর করে। আর আব্দুল কারিম, আহমদ মাগলাস, ইবরাহিম ইয়াকুব ও আলি হুরি ইরান পলায়ন করে। ‘শাবিখাত’কে সিরিয়ায় আটক করার একদিন পর সেখানকার কোনো এক জেলখানায় আত্মহত্যার নাটক করে তাকে হত্যা করা হয়, অতঃপর তাকে সিরিয়া থেকে ফেরারি ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, ইরানের পরামর্শে গোয়েন্দাদের দ্বারা তাকে হত্যা করা হয়, যেন খুবার আবাসিক হোটেলে বোমা বিস্ফোরণের মূল তথ্য ফাঁস না হয়।
‘হিযবুল্লাহ হিজায’ এর অপর গুরুত্বপূর্ণ নেতা হচ্ছে, আব্দুল কারিম হুসাইন নাসের।
তাছাড়া আরও রয়েছে, ফাদেল আল উলবী, আলী মারহূন, মুস্তফা আল-মু‘আল্লিম, সালেহ রমদান, যাদেরকে বোমা বিস্ফোরণের পূর্বেই এ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সময় গ্রেফতার করা হয়। ফলে আহমদ মাগসাল এ বিস্ফোরণের দায়িত্ব অন্য শাখাকে প্রদান করে।
‘হিযবুল্লাহ হিজায’ এর অপর নেতৃবৃন্দ হলেন: শায়খ জাফর আলি মুবারেক, আব্দুল কারিম কাজেম আল-হাবিল ও হাশেম সাখস, তারা সবাই ‘হিযবুল্লাহ হিজায’ এর পৃষ্ঠপোষক ও তার অর্থ যোগানদাতা। [এ তিন জনই শিয়াদের নিকট ‘হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন’ খেতাব প্রাপ্ত, যা প্রমাণ করে শিয়াদের নিকট তারা মুজতাহিদের মর্তবায় উপনীত।]
এ ছাড়া আরো অনেক সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ রয়েছে, যাদের সমন্বয়ে ‘হিযবুল্লাহ হিজায’ একটি পূর্ণাঙ্গ সংগঠনরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। তারা ইরান ও লেবাননে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সৌদি ইসলামি হুকুমতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, যেন সৌদি সরকারকে উৎখাত করে ইরানের আদলে একটি শিয়া রাষ্ট্র কায়েম করা সম্ভব হয়। [দেখুন: جريدة الرياض মঙ্গলবার, ৪ জুল-কাদাহ, ১৪২৬হি. মোতাবেক ৬ ডিসেম্বর ২০০৫ই. সংখ্যা: (১৩৬৭৯), আরো দেখুন: الأحزاب والحركات والجماعات الإسلامية (২/৫৮১-৬০১)]
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ফলে ‘হিযবুল্লাহ হিজায’ এর একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার হয়, অনেকে «منظمة الثورة الإسلامية في الجزيرة العربية» সংগঠন থেকে অব্যাহতি নেয়, আবার অনেকে প্রবাস জীবনে গিয়ে রাজনীতি ও শিয়া মতবাদ প্রচারে আত্মনিয়োগ করে। বর্তমানেও তারা সৌদি সরকার থেকে আরব ভূমিকে মুক্ত করার ষড়যন্ত্র, সরকারের বিরোধিতা করা ও তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত। অনুরূপ বিভিন্ন দেশে রয়েছে তাদের নানা ওয়েব সাইট, যেখানে সৌদি সরকারের কুৎসা রটনা ও ইরানি ইসলামি বিপ্লবের পক্ষে প্রতিনিয়ত প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও সংবাদ প্রচার করা হয়। [দেখুন: بيان حزب الله الحجاز المؤرّخ তারিখ: ৯/৩/২০০৫ই.]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/712/14
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।