hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কী জানেন

লেখকঃ আলী আস-সাদিক

‘হরকতে আমাল’ এর সাথে হাসান নাসরুল্লাহর সম্পর্ক:
‘আমালে’র প্রতিষ্ঠাতা মুসা সদরের সাথে খোমেনির গভীর সম্পর্ক ছিল, যা আমরা পূর্বে প্রমাণ করেছি।

৮/১০/১৯৮৩ই. সালে জাফরি (শিয়া) মুফতি আব্দুল আমির কিবলান ‘শিয়া উচ্চ পরিষদ’ থেকে ঘোষণা করেন: নিশ্চয় ‘হরকতে আমাল’ শিয়াদের জন্য মেরুদণ্ড স্বরূপ। ‘আমাল’ যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আমরা সেটাকে ‘শিয়া উচ্চ পরিষদে’র সিদ্ধান্ত মনে করব। অনুরূপ ‘শিয়া উচ্চ পরিষদ’ যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, ‘আমাল’ সেটা আঁকড়ে ধরবে”। [দেখুন: مجلة المستقبل (৩৪৬), তারিখ: ৮/১০/১৯৮৩ই. সংগৃহীত: أمل والمخيمات الفلسطينية গ্রন্থ থেকে (পৃ.১৮৪)]

‘আমাল’ শিয়াদের শিরোমণি খোমেনির নিকট বায়‘আত গ্রহণ করে তাকে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের নেতা স্বীকার করেছে। [দেখুন: مجلة الايكونوميست সংখ্যা ৪/৫/১৯৮২ই.]

‘হরকতে আমাল’ এর প্রতি এ সাহায্য-সহযোগিতা তখনই আসে যখন ‘আমাল’ থেকে বের হয়ে তা ‘আমালুল ইসলামিয়া’ রূপ লাভ করে, আর তারও পরে সেটা ‘হিযবুল্লাহ’ নামে আত্মপ্রকাশ লাভ করে ও দ্বন্দ্বে ঝড়িয়ে পড়ে।

‘হরকতে আমালে’র সহ-সভাপতি হুসাইন মুসাভি ‘আমাল’ থেকে নিজেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ‘আমালুল ইসলামিয়া’ গঠন করে, পরবর্তীতে যা হিযবুল্লাহ নাম গ্রহণ করে। [দেখুন: حزب الله رؤية مغايرة (পৃ.১১৭-১২২), এবং حزب الله من الحلم الإيديولوجي إلى الواقعية السياسية (পৃ.২৩, ৫৩-৫৬)]

এ থেকে স্পষ্ট হয় যে, সশস্ত্র আন্দোলন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও লেবাননে ইরানি এজেন্ডা বাস্তবায়ন থেকে ‘হরকতে আমাল’ বেশী দূরত্বে ছিল না।

এই হচ্ছে ‘হিযবুল্লাহ’; কতক আহলে সুন্নাহ না জেনে হিযবুল্লাহর পক্ষ নিয়ে থাকে। তারা হাসান নাসরুল্লার স্বরূপ ও ফিলিস্তিনে আহলে-সুন্নাহ হত্যায় তার সম্পৃক্ততা সম্পর্কে জানে না। কারণ, সে মিথ্যার আড়ালে নিজেকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষাবলম্বনকারী ও তাদের সাহায্যকারী হিসেবে প্রকাশ করেছে।

হাসান নাসরুল্লাহ সম্পর্কে জানার জন্য বেশী তথ্যানুসন্ধান ও গবেষণার প্রয়োজন নেই, এতটুকুন জানাই যথেষ্ট যে, সে জাফরি শিয়া দ্বাদশ ইমামিয়ার অন্তর্ভুক্ত, যাদের নিকট আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উপায় হচ্ছে সাহাবিদের গালমন্দ করা।

শায়খ ইউসুফ কারদাভি এক সাক্ষাতকারে বলেছেন: হাসান নাসরুল্লাহ কট্টর শিয়া। [দেখুন: جريدة الوطن পত্রিকা, সংখ্যা: (২১৬৫), তারিখ: ৩/৯/২০০৬ই. এ সাক্ষাতে শায়খ আরো বলেছেন যে, অত্র এলাকায় শিয়াদের বিস্তার খুব বিপজ্জনক, বিশেষ করে মিসরে। শিয়া সংগঠনগুলো ইরাকে সুন্নী মুসলিমদের হত্যা করছে, সুন্নীদের নিশ্চিহ্ন করার মাধ্যমে ইরাককে সুন্নী মুক্ত করার ঘৃণ্য পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়ন করছে।]

তাদের দেখে অবাক লাগে, যারা হিযবুল্লাহকে সমর্থন দেয় ও তাকে সাহায্য করে, অথচ সে সাহাবি ও মুমিনদের বড় শত্রু।

সত্যিকার অর্থে যদি হাসান নাসরুল্লাহ ইসরাইলের জন্য হুমকি হত, তাহলে সে কিভাবে লেবাননের উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম চষে বেড়ায়, ইসরাইলের বিষোদগার করে বেতার-যন্ত্র ও টেভির পর্দায় সাক্ষাতকার দেয়। বিশাল জনসভায় তাকে হুমকি দেয়, যেসব সভার দিন-তারিখ ও স্থান পূর্ব থেকে নির্ধারিত থাকে, অথচ ইসরাইল তাকে কিছু বলে না, কোনো মিসাইল তার গাড়ি, বাড়ি বা জনসভাকে লক্ষ্য ছুড়ে না, পক্ষান্তরে যার থেকে সুন্নিরা কোনোভাবেই নিরাপদ নয়?

হে মুসলিম ভাই, শিয়াদের এ নোংরা কর্মকাণ্ডের দ্বারা প্রতারিত হবেন না, যারা চায় কথার দ্বারা মুসলিমদের অন্তরে জায়গা করে নিতে, অথচ ‘আমাল’ সংস্থার দ্বারা সংঘটিত সে কালো ইতিহাস তা এখনো আমাদের স্মৃতিতে জাগরুক রয়েছে। তারা সুপরিকল্পিতভাবে শত-শত আহলে সুন্নাহকে হত্যা করেছিল!

‘হরকতে আমাল’ সংস্থাটির এসব অপকর্ম ও লাঞ্ছনাকর কর্মকাণ্ডের পর কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় এ সংস্থাটিকে বিশ্বাস করা, কিংবা তার কোনো বিষয় গ্রহণ করা, অথচ এ সংস্থা থেকেই হিযবুল্লাহর জন্ম, অতএব মুসলিম কিভাবে এটিকে বিশ্বাস করবে?!

কিছুকাল পূর্বে যদিও ‘আমাল’ ও ‘হিযবুল্লাহ’ হানাহানিতে লিপ্ত হয়েছিল কিন্তু এ কারণে তারা বিচ্ছিন্ন নয়, বরং আদিকাল থেকে বাতিল পরস্পর এভাবেই চলে আসছে। আল্লাহ তা‘আলা তাদের দোসর ইয়াহূদীদের সম্পর্কে বলেন:

﴿ بَأۡسُهُم بَيۡنَهُمۡ شَدِيدٞۚ تَحۡسَبُهُمۡ جَمِيعٗا وَقُلُوبُهُمۡ شَتَّىٰۚ ١٤ ﴾ [ الحشر : ١٤ ]

“তাদের পরস্পরের মাঝে তাদের ঝগড়া খুব কঠিন ও বীভৎস”। [সূরা হাশর: (১৪)] অন্যত্র তিনি বলেন:

﴿ وَأَلۡقَيۡنَا بَيۡنَهُمُ ٱلۡعَدَٰوَةَ وَٱلۡبَغۡضَآءَ إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِۚ ٦٤ ﴾ [ المائ‍دة : ٦٤ ]

“আর আমি কিয়ামতের দিন পর্যন্ত তাদের মধ্যে শত্রুতা ও ঘৃণা ঢেলে দিয়েছি”। [সূরা মায়েদা: (৬৪)] অন্যত্র তিনি তাদের অপর দোসর খ্রিস্টানদের সম্পর্কে বলেন:

﴿ فَأَغۡرَيۡنَا بَيۡنَهُمُ ٱلۡعَدَاوَةَ وَٱلۡبَغۡضَآءَ إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِۚ ١٤ ﴾ [ المائ‍دة : ١٤ ]

“ফলে আমি কিয়ামতের দিন পর্যন্ত তাদের মধ্যে শত্রুতা ও ঘৃণা উসকে দিয়েছি”। [সূরা মায়েদা: (১৪)]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন